দশম শ্রেণী (প্রথম অধ্যায়): ইতিহাসের ধারণা হতে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হল।
দশম শ্রেণী (প্রথম অধ্যায়): ইতিহাসের ধারণা হতে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
x history 1st chap ২ নাম্বারের প্রশ্ন- আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদান ব্যবহারের পদ্ধতি
1.আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার প্রধান উপাদানগুলি কী?
উত্তর:- আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার প্রধান উপাদানগুলি হল সরকারি নথিপত্র, আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা, ব্যক্তিগত চিঠিপত্র, সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র।
2. ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সরকারি নথিপত্রগুলি মূলত কী কী?
উত্তর:- ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সরকারি নথিপত্রগুলি হল পুলিশ ও গোয়েন্দাদের রিপোর্ট, সরকারি আধিকারিক ও দপ্তরগুলির প্রদত্ত বিভিন্ন বিবরণ, প্রতিবেদন, চিঠিপত্র প্রভৃতি।
3. সরকারি নথিপত্রের বিবরণ থেকে প্রাপ্ত একটি ঐতিহাসিক তথ্যের উদাহরণ দাও।
উত্তর:- সরকারি নথিপত্রের বিবরণ থেকে প্রাপ্ত একটি ঐতিহাসিক তথ্যের উদাহরণ হল সিপাহি বিদ্রোহের (১৮৫৭ খ্রি.) প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ফরেস্ট তাঁর ‘হিস্ট্রি অব দি ইন্ডিয়ান মিউটিনি’ গ্রন্থটি লিখেছেন। এই গ্ৰন্থ থেকে সিপাহি বিদ্রোহের নানা তথ্য পাওয়া যায়।
4. ব্রিটিশ আমলের পুলিশ, গোয়েন্দা প্রমুখের বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে কী ধরনের ঐতিহাসিক তথ্যাদি জানা যায়?
উত্তর:- ব্রিটিশ আমলের পুলিশ, গোয়েন্দা প্রমুখের বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে ব্রিটিশ-বিরোধী বিভিন্ন গণ আন্দোলন, বিদ্রোহ, বিপ্লবী আন্দোলন, গুপ্ত সমিতির কার্যকলাপ প্রভৃতি সম্পর্কে নানান ঐতিহাসিক তথ্যাদি জানা যায়।
5. মহাফেজখানা থেকে কীভাবে ইতিহাস জানা যায়?
উত্তর:- মহাফেজখানাগুলিতে সমকালীন বিভিন্ন সরকারি প্রতিবেদন, চিঠিপত্র, পুলিশ ও গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রভৃতি সংরক্ষিত থাকে। এগুলিতে সমকালীন বিভিন্ন ঘটনার সঠিক তথ্যসমূহ পাওয়া সম্ভব। এইসব তথ্য পড়ে সমকালীন ইতিহাস জানা যায়।
6. ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব কি?
উত্তর:- ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সরকারি নথিপত্রের বিশেষ গুরুত্ব আছে। যেমন –
- (১) সরকারি নথিপত্র পাঠ, পুনর্পাঠ ও বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে সমসাময়িক নানা ঘটনার পিছনে সরকারের ভূমিকা ও মনোভাব স্পষ্টভাবে জানা যায়।
- (২) আধুনিক ভারতের ইতিহাস পর্যালোচনায় ঔপনিবেশিক শাসকের দৃষ্টিকোণ থেকে ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনার চর্চা সম্ভব হয়।
7. সরকারি নথিপত্র থেকে ঐতিহাসিক সত্য উদ্ঘাটন করা যায় এমন একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর:- সরকারি নথিপত্র থেকে ঐতিহাসিক সত্য উদ্ঘাটন করা যায় এমন একটি উদাহরণ হল – স্বামী বিবেকানন্দ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের উদ্যোগকে ব্রিটিশ সরকার যে সুনজরে দেখত না তা সমকালীন সরকারি নথিপত্র থেকে জানা গেছে।
8. ঐতিহাসিক বিবরণ বা তথ্যসমৃদ্ধ কয়েকটি সরকারি নথিপত্রের উদাহরণ দাও।
উত্তর:- ঐতিহাসিক বিবরণ বা তথ্যসমৃদ্ধ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সরকারি নথিপত্র হল –
- (i) ফরেস্ট রচিত “হিস্ট্রি অব দ্য ইন্ডিয়ান মিউটিনি’,
- (ii) স্যার সৈয়দ আহমদ খান রচিত ‘দি কজেস অব ইন্ডিয়ান রিভোল্ট’,
- (iii) কার্জনের স্বরাষ্ট্রসচিব রিজলে রচিত ব্যক্তিগত দিনলিপি,
- (iv) কে লেপেল গ্রিফিন রচিত বিবরণ প্রভৃতি।
9. সরকারি নথিপত্র বলতে কী বোঝায়?
উত্তর:- বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী, সেনাপতি, সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা সমকালীন বিভিন্ন প্রত্যক্ষ ঘটনা সম্পর্কে যে তথ্যাদি লিখে গিয়েছেন সেইসব বিবরণ সরকারি নথিপত্র নামে পরিচিত।
10. ইন্দিরাকে লেখা জওহরলাল নেহরুর চিঠিগুলির নাম কী? এই চিঠিগুলির হিন্দি অনুবাদ কে করেন ?
উত্তর:- ইন্দিরাকে লেখা জওহরলাল নেহরুর লেখা চিঠিগুলির নাম হল “লেটার্স ফ্রম আ ফাদার টু হিজ ডটার”।
বিখ্যাত হিন্দি ঔপন্যাসিক মুন্সি প্রেমচাঁদ ‘পিতা কে পত্ৰ পুত্ৰী কে নাম’ শিরোনামে এই চিঠিগুলির হিন্দি অনুবাদ করেন।
11. আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা কী?
উত্তর:- নিজের জীবন ও সেই সংক্রান্ত ঘটনাগুলো যখন কোনো ব্যক্তি নিজে লিপিবদ্ধ করেন, তখন সেই লিপিবদ্ধ কাহিনিকে আত্মজীবনী বলা হয়। যখন কোনো ব্যক্তি অতীতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা দীর্ঘদিন পর স্মৃতি থেকে মনে করে লিপিবদ্ধ করেন তখন তা হয়ে ওঠে স্মৃতিকথা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সব আত্মজীবনীই স্মৃতিকথা; কিন্তু সব স্মৃতিকথাই আত্মজীবনী নয়।
12. ব্রিটিশ সরকার কেন ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে ‘সোমপ্রকাশ’ সাময়িকপত্রের প্রকাশ বন্ধ করে দেয়?
উত্তর:- বড়োলাট লর্ড লিটন ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে ‘দেশীয় সংবাদপত্র আইন’ পাসের মাধ্যমে ভারতীয় সংবাদপত্রগুলির ওপর হস্তক্ষেপ করে ব্রিটিশ বিরোধিতার পথ বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়। এই আইনের দ্বারা ‘সোমপ্রকাশ’ পত্রিকাটিও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
13. আত্মজীবনী কীভাবে ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে?
অথবা, স্মৃতিকথা বা আত্মজীবনীকে কীভাবে আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদানরূপে ব্যবহার করা হয়?
উত্তর:- বিভিন্ন ব্যক্তির লেখা আত্মজীবনী ইতিহাসের উপাদান হিসেবে বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন –
- (১) আত্মজীবনী থেকে অনেক সময় সমকালীন সময়ের রাজনৈতিক ঘটনাবলির কথা জানা যায়।
- (২) আত্মজীবনীতে উল্লিখিত সমকালীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- (৩) আত্মজীবনীতে উল্লিখিত সমকালীন আর্থসামাজিক ঘটনাবলিও ইতিহাস রচনায় ব্যবহৃত হতে পারে।
- (৪) আত্মজীবনীতে উল্লিখিত লেখকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধিগুলি ইতিহাসের মূল্যবান উপাদান হিসেবে কাজে লাগতে পারে।
14. ইতিহাসের উপাদানরূপে সংবাদপত্রের গুরুত্ব কী?
উত্তর:- ইতিহাসের উপাদানরূপে সংবাদপত্রের বিভিন্ন গুরুত্ব রয়েছে। যেমন :- (১) সংবাদপত্রগুলিতে উল্লিখিত সমসাময়িক রাজনৈতিক খবরাখবর থেকে সমকালীন রাজনৈতিক ইতিহাস জানা যায়। (২) সংবাদপত্রগুলিতে মুদ্রিত সমসাময়িক সমাজ ও সংস্কৃতির খবরাখবর থেকে সেই সময়ের সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা যায়। (৩) সংবাদপত্রে মুদ্রিত সমকালীন সরকার ও রাষ্ট্রপরিচালনার বিভিন্ন খবর থেকে সেই সময়ের রাষ্ট্রীয় ইতিহাস জানা সম্ভব হয়। (৪) জনগণের অসন্তোষ, ক্ষোভ, বিদ্রোহ প্রভৃতি বিষয়েও সংবাদপত্র থেকে জানা যায়। (৫) কোনো ঘটনা সম্পর্কে জনমত কোন দিকে তাও সংবাদপত্র থেকে জানা যায়।
15. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা আত্মজীবনীর নাম কী ? এই গ্রন্থ থেকে ইতিহাস রচনার জন্য কী ধরনের তথ্য পাওয়া যায়?
উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা আত্মজীবনীর নাম হল ‘জীবনস্মৃতি’।
‘জীবনস্মৃতি’ প্রশ্নটি থেকে ঠাকুরবাড়ির নানা তথ্য, তৎকালীন ইংরেজি ভাষা ও বিদেশি প্রথা সম্পর্কে বাঙালি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি, হিন্দুমেলা সম্পর্কে নানা তথ্য, স্বদেশিয়ানার প্রতি বাঙালিদের আগ্রহ ও উদ্যোগ প্রভৃতি সম্পর্কে নানা তথ্য পাওয়া যায়, যেগুলি আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
16. ‘সোমপ্রকাশ’ পত্রিকায় নারীদের সম্পর্কে কী ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হত?
উত্তর:- ‘সোমপ্রকাশ’ পত্রিকায় বাল্যবিবাহ, কৌলিন্য প্রথা প্রভৃতির বিরুদ্ধে এবং নারীশিক্ষা, বিধবাবিবাহ প্রভৃতির পক্ষে সংবাদ পরিবেশন করা হত। এভাবে নারীসমাজের উন্নতির পক্ষে জনমত গঠনে সোমপ্রকাশ পত্রিকা গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
17. আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার জন্য যেসব সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র তথ্য সরবরাহ করে তার কয়েকটির নাম লেখো।
উত্তর:- ব্রিটিশ শাসনকালে প্রকাশিত হিকির ‘বেঙ্গল গেজেট, মার্শম্যানের ‘দিগদর্শন’ ও ‘সমাচার দর্পণ’, রামমোহন রায় সম্পাদিত সম্বাদ কৌমুদি, ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘সমাচার চন্দ্রিকা’, অক্ষয়কুমার দত্ত সম্পাদিত ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’, ঈশ্বর গুপ্ত সম্পাদিত ‘সংবাদ প্রভাকর’, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘বঙ্গদর্শন’, দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ সম্পাদিত ‘সোমপ্রকাশ’, হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ প্রভৃতি ভারতীয় সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার জন্য তথ্য সরবরাহ করে থাকে।
18. বিপিনচন্দ্র পালের লেখা আত্মজীবনীর নাম কী ? এই গ্রন্থ থেকে ইতিহাস রচনার জন্য কী ধরনের তথ্য পাওয়া যায়।
উত্তর:- বিপিনচন্দ্র পালের লেখা আত্মজীবনীর নাম ‘সত্তর বৎসর’।
‘সত্তর বৎসর’ গ্রন্থটি থেকে বিপিনচন্দ্র পালের সঙ্গে আনন্দমোহন বসু, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ জাতীয় নেতার ঘনিষ্ঠতা, তাঁর ব্রাহ্মসমাজে যোগদান, স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর ঝাঁপিয়ে পড়া, স্বদেশি, বয়কট, পূর্ণ স্বরাজ প্রভৃতি আন্দোলনে তাঁর অংশগ্রহণ প্রভৃতি তথ্য পাওয়া যায়। এইসব তথ্য আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
19. ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা থেকে সমকালীন ভারতের ইতিহাস রচনার কী ধরনের তথ্য পাওয়া যায়?
উত্তর:- ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা থেকে বাংলায় ব্রিটিশদের শাসন ও শোষণ, জমিদারদের শোষণ-অত্যাচার, তৎকালীন রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি, সাধারণ মানুষের অবস্থা প্রভৃতি বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। এই সব তথ্য সমকালীন ভারতের ইতিহাস রচনার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
20. ব্রিটিশ শাসনকালে প্রকাশিত ভারতীয় সংবাদপত্রগুলি থেকে আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার কী ধরনের তথ্যাদি পাওয়া যায়?
উত্তর:- ব্রিটিশ শাসনকালে প্রকাশিত ভারতীয় সংবাদপত্রগুলি থেকে তৎকালীন ভারতীয় আর্থসামাজিক অবস্থা, ব্রিটিশ সরকার ও তার সহযোগীদের শোষণ-অত্যাচারের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা বিদ্রোহ ও আন্দোলন প্রভৃতি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যাদি পাওয়া যায়।
21. বেঙ্গল গেজেট কে, কবে প্রকাশ করেন?
উত্তর:- বেঙ্গল গেজেট নামে সাপ্তাহিক ইংরেজি সংবাদপত্রটি জেমস অগাস্টাস হিকি ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা থেকে প্রকাশ করেন।
22. সংবাদপত্র এবং সাময়িক পত্রের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর:- সংবাদপত্র ও সাময়িক পত্রের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। যেমন – (১) সাধারণত সংবাদপত্র প্রতিদিন প্রকাশিত হয়। কিন্তু সাময়িকপত্র একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রকাশিত হয়। (২) সংবাদপত্রের মুদ্রণে রোজকার খবরাখবর গুরুত্ব পায়। সাময়িকপত্রে রোজকার খবরের পরিবর্তে সমকালীন বাছাই করা বিষয় গুরুত্ব পায়। (৩) সংবাদপত্রের পৃষ্ঠা আকারে বড়ো হয় এবং সেগুলো বাঁধানো থাকে না। অন্যদিকে, সাময়িকপত্রের পৃষ্ঠাগুলো অপেক্ষাকৃত ছোটো হয় এবং সাধারণত তা বইয়ের মতো বাঁধাই করা হয়।
23. সরলাদেবী চৌধুরানীর লেখা আত্মজীবনীর নাম কী ? এই গ্রন্থ থেকে ইতিহাস রচনার জন্য কী ধরনের তথ্য পাওয়া যায়?
উত্তর:- সরলাদেবী চৌধুরানীর লেখা আত্মজীবনীর নাম হল ‘জীবনের ঝরাপাতা’।
‘জীবনের ঝরাপাতা’ গ্রন্থ থেকে ভারতের কৃষক ও শ্রমিকদের ওপর ব্রিটিশ ও তাদের সহযোগীদের শোষণ-অত্যাচার, ব্রিটিশ-বিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন, স্বদেশি আন্দোলন, ঠাকুরবাড়ির সাংস্কৃতিক চর্চা প্রভৃতি সম্পর্কে নানা তথ্য পাওয়া যায়। এইসব তথ্য আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
24. আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদানসমৃদ্ধ কয়েকটি আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার উদাহরণ দাও।
উত্তর:- আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদানসমৃদ্ধ উল্লেখযোগ্য আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার উদাহরণ হল – (১) বিপিনচন্দ্র পালের ‘সত্তর বৎসর’, (২) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জীবনস্মৃতি’, (৩) সরলাদেবী চৌধুরানীর ‘জীবনের ঝরাপাতা’, (৪) মহাত্মা গান্ধির ‘দ্য স্টোরি অব মাই এক্সপেরিমেন্টস উইথ ট্রুথ’, (৫) সুভাষচন্দ্র বসুর ‘অ্যান ইণ্ডিয়ান পিলগ্রিম’ (অসমাপ্ত), (৬) জওহরলাল নেহরুর ‘অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ প্রভৃতি।
25. ইতিহাসের তথ্যসংগ্রহে ইনটারনেট ব্যবহারের অসুবিধাগুলি কী?
উত্তর:- ইতিহাসের তথ্যসংগ্রহে ইনটারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অসুবিধা আছে। যেমন –
- (১) ইনটারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনেকসময় অসম্পূর্ণ থাকে।
- (২) তথ্যগুলি অনেকসময় মনগড়া হয়।
- (৩) গবেষণার কাজে এই তথ্য ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ভরসা পাওয়া যায় না।
- (৪) অনেকক্ষেত্রে ইনটারনেটের অসত্য বা অর্ধসত্য তথ্য গবেষণার গুণগত মান কমিয়ে দেয়।
১. ইতিহাস কী?
উত্তর:- সাধারণভাবে ‘ইতিহাস’ হল অতীতের কথা। মানব প্রজাতির আবির্ভাবের সময় থেকে শুরু করে বর্তমানে মানবসভ্যতার চরম উৎকর্ষ লাভের সময় পর্যন্ত যাবতীয় ঘটনাবলি আলোচিত হয় যে শাস্ত্রে, তাই হল ইতিহাস। অন্যভাবে বলা যায় ইতিহাস হল মানবসভ্যতার ধারাবাহিক বিবর্তনের কাহিনি।
২. বর্তমানকালে ইতিহাসের আলোচনায় সমাজের কোন্ স্তরের মানুষ স্থান পায় ?
উত্তর:- বর্তমানকালে ইতিহাসের আলোচনায় সমাজের উচ্চস্তর থেকে নিম্নস্তর পর্যন্ত সমস্ত মানুষ অর্থাৎ রাজা, শাসক, অভিজাত, মধ্যবিত্ত, সাধারণ মানুষ, কৃষক, শ্রমিক, সৈনিক, নারী প্রমুখ সকলেই স্থান পায়।
৩. আধুনিক ইতিহাসচর্চার নানা বৈচিত্র্যগুলি উল্লেখ করো ।
উত্তর:- আধুনিক ইতিহাসচর্চায় বহু নতুন বিষয়ের আলোচনা যুক্ত হওয়ার ফলে তা যথেষ্ট বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ইতিহাসের এই সব নতুন বিষয়ের মধ্যে অন্যতম হল নতুন সমাজবিন্যাস, খেলাধুলা, খাদ্যাভ্যাস, শিল্পচর্চা, পোশাক-পরিচ্ছদ, যানবাহন-যোগাযোগ ব্যবস্থা, দৃশ্যশিল্প, স্থাপত্য, স্থানীয় অঞ্চল, শহর, যুদ্ধবিগ্রহ, পরিবেশ, বিজ্ঞান-প্ৰযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যা, নারী প্রভৃতির ইতিহাসচর্চা।
৪. ‘নতুন সামাজিক ইতিহাস’ কী? অথবা, সামাজিক ইতিহাস কী?
উত্তর:- বর্তমানকালে রাজা-মহারাজা বা অভিজাত সমাজের মানুষের আলোচনা ছাড়াও ইতিহাসে সমাজের নিম্নবর্গের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে কৃষক, শ্রমিক, মজুর, নারী প্রমুখ সকলের আলোচনা করা হয়। বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হওয়া এই ধরনের ইতিহাসচর্চা ‘নতুন সামাজিক ইতিহাস’ নামে পরিচিত।
৫. ‘অ্যানাল স্কুল’ কী ?
উত্তর:- ‘অ্যানাল স্কুল’ হল ফ্রান্সের একটি পত্রিকাগোষ্ঠী। মার্ক ব্লখ ও লুসিয়েন ফেবর -এর উদ্যোগে ‘আনালস অব ইকনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল হিস্ট্রি’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশের মধ্য দিয়ে এই গোষ্ঠী গড়ে ওঠে। এই গোষ্ঠীর ইতিহাসচর্চায় সমাজ, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সাধারণ মানুষ, পরিবার, মনস্তত্ত্ব প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয় স্থান পেয়েছে।
৬. নতুন সামাজিক ইতিহাসের প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলি কী ?
উত্তর:- নতুন সামাজিক ইতিহাসের প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলি হল জাতীয় স্তরের রাজনৈতিক ঘটনাবলির বিবরণের বাইরে থাকা সাধারণ মানুষের স্থানীয় পৌর ও সামাজিক জীবন, সংস্কৃতি, জনস্বাস্থ্য, জাতিগত পরিচয়, দারিদ্র্য, গণমাধ্যম প্রভৃতি ।
৭. নতুন সামাজিক ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর:- নতুন সামাজিক ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল রণজিৎ গুহ রচিত ‘সিলেক্টেড সাবলটার্ন স্টাডিজ’, ‘সাবলটার্ন স্টাডিজ রিডার : ১৯৮৬-১৯৯৫’, পার্থ চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘সাবলটার্ন স্টাডিজ’, জ্ঞানেন্দ্র পাণ্ড রচিত ‘এ হিস্ট্রি অব প্রেজুডিস’, শাহিদ আমিন রচিত ‘ইভেন্ট, মেটাফোর, মেমোরি : চৌরিচৌরা ১৯২২-৯২’, গৌতম ভদ্র ও পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘নিম্নবর্গের ইতিহাস’, গৌতম ভদ্র রচিত ‘ইমান ও নিশান’ প্রভৃতি।
৮. নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চা বলতে কী বোঝ ?
উত্তর:- ১৯৮০-র দশক থেকে ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়ায় বিভিন্ন দেশের গবেষকের উদ্যোগে জাতি, ধর্ম, শ্রেণি, লিঙ্গ প্রভৃতি নির্বিশেষে নিম্নবর্গের মানুষদের নিয়ে ইতিহাসচর্চা যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধারা নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চা বা সাবলটার্ন স্টাডিজ নামে পরিচিত।
৯. নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন ঐতিহাসিকের নাম লেখো।
উত্তর:- নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত ঐতিহাসিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন রণজিৎ গুহ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্ঞানেন্দ্র পাণ্ডে, শাহিদ আমিন, সুমিত সরকার, দীপেশ চক্রবর্তী, গৌতম ভদ্র প্রমুখ।
১০. খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন গবেষকের নাম লেখো।
উত্তর:- খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত খ্যাতনামা গবেষক হলেন কে টি আচয়, প্যাট চ্যাপম্যান, শরীফ উদ্দিন আহমেদ, হারভে লেভেনস্টেইন, জোনাথানরাইট, বিজয়া চৌধুরী, হরিপদ ভৌমিক প্রমুখ।
১১. হরিপদ ভৌমিক ইতিহাসে বিখ্যাত কেন ?
উত্তর:- গবেষক হরিপদ ভৌমিক তাঁর ‘রসগোল্লা বাংলার জগৎমাতানো আবিষ্কার’ গ্রন্থে দাবি করেছেন, বাংলার নদিয়া জেলার ফুলিয়ায় হারাধন ময়রা আদি রসগোল্লার সৃষ্টিকর্তা। এই কারণে তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
১২. নবীনচন্দ্র দাস কে ছিলেন?
উত্তর:- নবীনচন্দ্র দাস ছিলেন কলকাতার বাগবাজারের একজন ময়রা। নদিয়ার ফুলিয়ার হারাধন ময়রার তৈরি করা রসগোল্লা কিছুটা পরিবর্তন করে নবীনচন্দ্র ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে স্পঞ্জ রসগোল্লা তৈরি করেন।
১৩. মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে ইতিহাসচর্চার কী ধরনের উপাদান পাওয়া যেতে পারে ?
উত্তর:- মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের উপাদান বা তথ্য পাওয়া যেতে পারে। যেমন – (১) মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা, (২) সামাজিক রুচিবোধ, (৩) সামাজিক উদারতার মাত্রা, (৪) লিঙ্গবৈষম্য প্রভৃতি।
১৪. ব্রাহ্মিকা পদ্ধতি কি?
উত্তর:- ব্রাহ্মিকা পদ্ধতি হল বাঙালি মেয়েদের এক ধরনের শাড়ি পড়ার পদ্ধতি, যা মূলত অবাঙালিদের কুচি পদ্ধতিতে শাড়ি পড়ার বিবর্তিত রূপ। এই পদ্ধতিতে শাড়ির কুচির অংশটি অনেক বড়ো হয় এবং কোমর, বুক, পিঠ সর্বত্র হয়ে ওঠে টান টান। বর্তমানে বাঙালি মেয়েরা এই পদ্ধতিতেই শাড়ি পড়েন। উনিশ শতকের জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলের মেয়েরা প্রথম শাড়ি পরার এই পদ্ধতিটি চালু করেছিলেন।
১৫. কবে কোথায় ‘দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব ড্রেস হিস্টোরিয়ানস’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? এর উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর:- ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডে ‘দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব ড্রেস হিস্টোরিয়ানস’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
‘দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব ড্রেস হিস্টোরিয়ানস’ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য হল পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাস চর্চা করা।
১৬. পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন গবেষকের নাম লেখো।
উত্তর:- পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত খ্যাতনামা গবেষক হালেন কার্ল কোহলার, এম্মা টারলো, মলয় রায়, নিরুপমা পুণ্ডীর, ত্রৈলোক্যনাথ বসু প্রমুখ।
১৭. রণজিৎ গুহ রচিত নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর:- রণজিৎ গুহ রচিত নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থ হল – (১) ‘সিলেক্টেড সাবলটার্ন স্টাডিজ’, (২) ‘এলিমেন্টারি অ্যাসপেক্ট অব পিজেন্ট ইনসারজেন্সি ইন কলোনিয়াল ইন্ডিয়া’, (৩) ‘সাবলটার্ন স্টাডিজ রিডার : ১৯৮৬-১৯৯৫’।
১৮. বর্তমানকালে কোনো দেশ বা জাতির জীবনে খেলাধুলার গুরুত্ব কী ?
উত্তর:- বর্তমানকালে কোনো দেশ বা জাতির জীবনে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। যেমন – (১) কোনো দেশ বা জাতির জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িক অবস্থান, নানান সামাজিক দিক খেলাধুলোর মাধ্যমে প্রকাশ পায়। (২) বিভিন্ন দেশ ও জাতির মধ্যে যোগাযোগ ও সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে খেলাধুলোর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
১৯. সাম্প্রতিককালে কারা খেলাধুলার ইতিহাসচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন ?
উত্তর:- সাম্প্রতিককালে জে এ ম্যাসান, রিচার্ড হোল্ট, গৌতম ভট্টাচার্য, রূপক সাহা, বোরিয়া মজুমদার, কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ খ্যাতনামা গবেষক খেলাধুলার ইতিহাসচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন।
২০. খেলাধুলার ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর:- খেলাধুলার ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল বোরিয়া মজুমদার রচিত ‘ক্রিকেট ইন কলোনিয়াল ইন্ডিয়া’, বোরিয়া মজুমদার ও কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘এ সোশ্যাল হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়ান ফুটবল : স্ট্রাইভিং টু স্কোর’, কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘খেলা যখন ইতিহাস’, গৌতম ভট্টাচার্য রচিত ‘কাপমহলা’, রূপক সাহা রচিত ‘বিদ্রোহী মারাদোনা’, উৎপল শুভ্র রচিত ‘বিশ্ব যখন ফুটবলময়’ প্রভৃতি।
২১. মানুষের খাদ্যাভ্যাস থেকে ইতিহাসচর্চার কী ধরনের উপাদান পাওয়া যেতে পারে ?
উত্তর:- মানুষের খাদ্যাভ্যাস থেকে ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের উপাদান পাওয়া যেতে পারে যেমন – (১) কোনো সমাজের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা, (২) সেই সমাজের খাদ্যাভ্যাস কতখানি অন্য সমাজের দ্বারা প্রভাবিত, (৩) স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা প্রভৃতি।
২২. ঢাকাই খাবার কী?
উত্তর:- ঢাকা যখন প্রাদেশিক রাজধানী ছিল তখন এখানকার রন্ধনপ্রণালীর সঙ্গে পারসিক খাদ্যরীতির সংমিশ্রণ ঘটে। এর ফলে যে খাবার প্রস্তুত হয় তা ‘ঢাকাই খাবার’ নামে পরিচিত। এই খাবারের অন্তর্ভুক্ত ছিল খিচুড়ি, হালিম, চালের গুঁড়োর পিঠে প্রভৃতি।
২৩. শহরের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর:- শহরের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল পূর্ণেন্দু পত্রী রচিত ‘কলকাতা সংক্রান্ত’, নিখিল সরকার (শ্রীপান্থ) রচিত ‘কলকাতা’, রাধারমণ মিত্র রচিত ‘কলিকাতা দর্পণ’, বিজয়কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘শহর বহরমপুর’, শামসুদ্দোহা চৌধুরী রচিত ‘প্রাচীন নগরী সোনারগাঁও’, মুনতাসীর মামুন রচিত ‘ঢাকা : স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী’, পার্থ দত্ত রচিত ‘আরবানাইজেশন, ‘লোকাল পলিটিক্স অ্যান্ড লেবার প্রোটেস্ট’, নারায়ণী গুপ্ত রচিত ‘দ্য দিল্লি অমনিবাস’, রাধাপ্রসাদ গুপ্ত রচিত ‘কলকাতার ফিরিওয়ালার ডাক আর রাস্তার আওয়াজ’ প্রভৃতি।
২৪. সামরিক ইতিহাসচর্চার গুরুত্ব কী ?
উত্তর:- সামরিক ইতিহাসচর্চার প্রধান গুরুত্ব হল এর দ্বারা (১) সময়ের সঙ্গে যুদ্ধের বিবর্তন সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা যায়। (২) যুদ্ধে কোনো শক্তির জয় বা পরাজয়ের ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায়।
২৫. সামরিক ইতিহাসচর্চা করেছেন এমন কয়েকজন গবেষকের নাম উল্লেখ করো।
উত্তর:- সামরিক ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত উল্লেখযোগ্য গবেষক হলেন বার্নেট, কোরেলি, শেলফোর্ড বিডওয়েল, জন টেরাইন, রিচার্ড কোন, রজার স্পিলার, জন হোয়াইট ক্লে, যদুনাথ সরকার, সুরেন্দ্রনাথ সেন, রবার্ট আর্ম, সুবোধ ঘোষ, দীপ্তনীল রায়, নিখিলেশ ভট্টাচার্য, জি এস সাধু, উমা প্রসাদ, কৌশিক রায় প্রমুখ।
২৬. সামরিক ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর:- সামরিক ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল বার্নেট রচিত ‘ব্রিটেন অ্যান্ড হার আর্মি’, জন টেরাইন রচিত ‘দ্য আর্মি ইন মডার্ন ফ্রান্স’, রজার স্পিলার রচিত ‘আমেরিকান মিলিটারি রিডার্স’, জন হোয়াইট ক্লে রচিত ‘আমেরিকান মিলিটারি হিস্ট্রি’, যদুনাথ সরকারের ‘মিলিটারি হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া’, সুরেন্দ্রনাথ সেন রচিত ‘মিলিটারি সিস্টেম অব মারাঠাস’, সুবোধ ঘোষ রচিত ‘ভারতীয় ফৌজের ইতিহাস’, দীপ্তনীল রায় ও নিখিলেশ ভট্টাচার্য সম্পাদিত ‘অস্ত্রচর্চা’, জি এস সাধু রচিত ‘মিলিটারি হিস্ট্রি অব মেডিয়াভাল ইন্ডিয়া’, কৌশিক রায় রচিত ‘দ্য আর্মি ইন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া’ প্রভৃতি।
২৭. পরিবেশের ইতিহাসের গুরুত্ব কী?
উত্তর:- পরিবেশের ইতিহাস বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যেমন – (১) মানবসভ্যতার অগ্রগতির ক্ষেত্রে পরিবেশের ভূমিকা চিহ্নিত করে পরিবেশ সচেতনতা ও পরিবেশ সুরক্ষার ব্যবস্থা করা। (২) পরিবেশের সংকটজনক পরিস্থিতি, পরিবেশ বিপর্যয় এবং তার ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে অবগত করা। সর্বোপরি, বাসস্থানের ওপর পরিবেশগত গুরুত্ব আরোপ করা।
২৮. পরিবেশ রক্ষার দাবিতে ভারতে শুরু হওয়া দুটি আন্দোলনের নাম লেখ।
উত্তর:- পরিবেশ রক্ষার দাবিতে ভারতে শুরু হওয়া দুটি আন্দোলন হল ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের চিপকো আন্দোলন এবং ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দের নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন।
২৯. পরিবেশের ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন গবেষকের নাম উল্লেখ করো।
উত্তর:- পরিবেশের ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত উল্লেখযোগ্য গবেষক হলেন র্যাচেল কারসন, আলফ্রেড ক্রসবি, রিচার্ড গ্রোভ, ইরফান হাবিব, মাধব গ্যাডগিল, রামচন্দ্র গুহ, মহেশ রঙ্গরাজন, বসন্ত সবেরওয়াল প্রমুখ।
৩০. পরিবেশের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের নাম উল্লেখ করো।
উত্তর:- পরিবেশের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল র্যাচেল কারসন রচিত ‘সাইলেন্ট স্প্রিং’, আলফ্রেড ক্রসবি রচিত ‘ইকোলজিকাল ইম্পিরিয়ালিজম’, রিচার্ড গ্রোভ রচিত ‘গ্রিন ইম্পিরিয়ালিজম’, ইরফান হাবিব রচিত ‘মানুষ ও পরিবেশ’, মাধব গ্যাডগিল ও রামচন্দ্র গুহ রচিত ‘ইকোলজি অ্যান্ড ইকুইটি’, মহেশ রঙ্গরাজন রচিত ‘এনভায়রনমেন্টাল হিস্ট্রি’, বসন্ত সবেরওয়াল রচিত ‘প্যাস্টোরাল পলিটিক্স’ প্রভৃতি।
৩১. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসচর্চার গুরুত্ব কী ?
উত্তর:- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসচর্চার প্রধান গুরুত্ব হল এই চর্চার মাধ্যমে (১) বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার বিবর্তনের ধারাটি অনুধাবন করা যায়। (২) সমকালীন আর্থসামাজিক ও অন্যান্য দিক প্রভাবিত হওয়ার মাত্রা বিচার করা যায়।
৩২. বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন গবেষকের নাম লেখো।
উত্তর:- বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত উল্লেখযোগ্য গবেষক হলেন টমাস কুহন, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, জে ডি বার্নাল প্রমুখ।
৩৩. বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের নাম উল্লেখ করো।
উত্তর:- বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ইতিহাসচর্চা বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল টমাস কুহন রচিত ‘দ্য স্টাকচার অব সায়েন্টিফিক রেভোলিউশনস’, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় রচিত ‘আ হিস্ট্রি অব হিন্দু কেমিস্ট্রি’, জে ডি বার্নাল রচিত ‘হিস্ট্রি অব সায়েন্স’, দীপক কুমার রচিত ‘সায়েন্স অ্যান্ড দি রাজ প্রভৃতি’।
৩৪. আধুনিককালে নারী ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন গবেষকের নাম লেখো।
উত্তর:- আধুনিককালে নারী ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত উল্লেখযোগ্য গবেষক হলেন জোয়ান কেলি, গের্ভা লার্নার, জোয়ান স্কট, নীরা দেশাই, জেরাল্ডিন ফোর্বস, বি আর নন্দ, এম এন শ্রীনিবাস, কমলা ভাসিন প্রমুখ।
৩৫. নারীর ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের নাম উল্লেখ করো।
উত্তর:- নারীর ইতিহাসচর্চা বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল জোয়ান কেলি রচিত ‘ডিড উইমেন হ্যাভ আ রেনেসাঁ ?’, গের্ডা লার্নার রচিত ‘দি ক্রিয়েশন অব প্যাট্রিয়ার্কি’, জোয়ান স্কট রচিত ‘জেন্ডার অ্যান্ড দ্য পলিটিক্স অব হিস্ট্রি’, নীরা দেশাই রচিত ‘উইমেন ইন মডার্ন ইন্ডিয়া’, বি আর নন্দ রচিত ‘দি ইন্ডিয়ান উইমেন : ফ্রম পর্দা টু মডার্নিটি’, এম এন শ্রীনিবাস রচিত ‘দি চেঞ্জিং পজিশন অব ইন্ডিয়ান উইমেন’, চিত্রা ঘোষ রচিত ‘বাংলা রাজনীতি ও নারী আন্দোলন’ প্রভৃতি।
৩৬. চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন গবেষকের নাম লেখো।
উত্তর:- চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত উল্লেখযোগ্য গবেষক হলেন দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, ডেভিড আরনল্ড, পার্থসারথি চক্রবর্তী, তপন চক্রবর্তী প্রমুখ।
৩৭. চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের নাম উল্লেখ করো।
উত্তর:- চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসচর্চা বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘প্রাচীন ভারতে চিকিৎসাবিজ্ঞান’, ডেভিড আরনল্ড রচিত সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড মেডিসিন ইন কলোনিয়াল ইন্ডিয়া’, পার্থসারথি চক্রবর্তী রচিত ‘চিকিৎসাবিজ্ঞানের আজব কথা’, তপন চক্রবর্তী রচিত ‘চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাস’ প্রভৃতি।
৩৮. নারী ইতিহাসচর্চার গুরুত্ব কী ?
উত্তর:- বর্তমানে নারী ইতিহাসচর্চার মাধ্যমে (১) ইতিহাসে নারীর ভূমিকা সম্পর্কে জানা যায়। (২) ইতিহাসে নারীর যথার্থ ভূমিকা ও অবদানকে মর্যাদা দেওয়া হয়।
৩৯. আধুনিক ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে ফোটোগ্রাফি বা আলোকচিত্রের গুরুত্ব কী ?
উত্তর:- আধুনিক ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে ফোটোগ্রাফি বা আলোকচিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। যেমন – ফোটোগ্রাফি ইতিহাসচর্চার নতুন উপাদান সরবরাহ করতে পারে। (২) প্রচলিত তথ্য বা ঘটনার সত্যাসত্য ফোটোগ্রাফির দ্বারা যাচাই করা যেতে পারে।
৪০. ইতিহাসচর্চায় ফোটোগ্রাফের ব্যবহারের সময় কেন সচেতন থাকা দরকার ?
উত্তর:- কয়েকটি কারণে ইতিহাসচর্চায় ফোটোগ্রাফের ব্যবহারের সময় সচেতন থাকা দরকার। যেমন – (১) অনেক সময় ফোটোগ্রাফির বিষয়বস্তু নির্বাচনের ক্ষেত্রে ফোটোগ্রাফারের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও ব্যক্তিগত ভালোলাগা বড়ো হয়ে ওঠে। (২) ফোটোগ্রাফার নিজের কোনো ভাবনা প্রমাণ করার জন্য অনেক সময় প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে নিজের মনের মতো ছবি তুলতে পারেন। এই ধরনের ফোটোগ্রাফ গবেষকদের বিভ্রান্ত করে।
৪১. যানবাহন ও যোগাযোগের ইতিহাসচর্চার গুরুত্ব কী?
উত্তর:- যানবাহন ও যোগাযোগের ইতিহাসচর্চার প্রধান গুরুত্ব হল, এর দ্বারা (১) যানবাহন ও যোগাযোগের বিবর্তন সম্পর্কে জানা যায়। (২) এই বিবর্তন বিভিন্ন সমাজ ও সভ্যতাকে কতটা প্রভাবিত করেছে সেই বিষয়ে জ্ঞানলাভ করা যায়।
৪২. যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ইতিহাসকে প্রভাবিত করেছে এমন কয়েকটি উদাহরণ দাও।
উত্তর:- যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ইতিহাসকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে। যেমন – (১) পঞ্চদশ শতকে জাহাজ নির্মাণ ও সামুদ্রিক অভিযানের অগ্রগতি এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উপনিবেশের প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছে। (২) ভারতে রেলপথের প্রতিষ্ঠা ভারতীয়দের ঐক্য ও জাতীয়তাবোধের বিকাশে সহায়তা করেছে। (৩) অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় জাতিগঠনে সেই দেশের রেলপথের ভূমিকা রয়েছে।
৪৩. রেলপথের প্রসার এক-এক দেশে এক-এক রকম প্রভাব ফেলেছে উদাহরণ দাও।
উত্তর:- রেলপথের প্রসার এক এক দেশে এক এক রকম প্রভাব ফেলেছে। যেমন – (১) রেলপথের প্রতিষ্ঠা ও প্রসার অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় সাম্রাজ্যে জাতিগঠনে সহায়তা করেছে। (২) রেলপথের প্রতিষ্ঠা ও প্রসার ফ্রান্স ও জার্মানিতে শিল্পবিপ্লব ঘটাতে সহায়তা করেছে। (৩) রেলপথের প্রতিষ্ঠা ও প্রসার ভারতীয় অর্থসম্পদ শোষণের সুযোগ করে দিয়েছে।
৪৪. ভারতে রেলপথের প্রতিষ্ঠার কয়েকটি প্রভাব উল্লেখ করো।
উত্তর:- ভারতে রেলপথের প্রতিষ্ঠা ও প্রসার বিভিন্ন বিষয়কে প্রভাবিত করেছে। এর ফলে (১) ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রসারের সুবিধা হয়। (২) ভারতের অর্থসম্পদ ইংল্যান্ডে পাচার করা অনেক সুবিধা হয়। (৩) ভারতীয়দের ঐক্য ও জাতীয়তাবোধ প্রতিষ্ঠার সুযোগ আসে। (৪) ভারতের বিপ্লবীরা রেলপথ ব্যবহার করে তাঁদের বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড আরও ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। (৫) ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাবসাবাণিজ্যের সুবিধা হয়।
৪৫. ব্রিটিশরা ভারতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির উদ্দেশ্যে কী কী ব্যবস্থা চালু করে ?
উত্তর:- ব্রিটিশরা ভারতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা চালু করে। যেমন – (১) রেলপথের প্রতিষ্ঠা, (২) ডাক ব্যবস্থার উন্নতি, (৩) টেলিগ্রাফ ব্যবস্থার প্রবর্তন প্রভৃতি।
৪৬. যানবাহন-যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাসচর্চায় খ্যাতি অর্জন করেছেন এমন কয়েকজন গবেষকের নাম লেখো।
উত্তর:- যানবাহন-যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে খ্যাতি অর্জনকারী উল্লেখযোগ্য গবেষক হলেন জন আর্মস্ট্রং, ইয়ান কের, সুনীল কুমার মুন্সি, নীতিন সিনহা, গৌতম চট্টোপাধ্যায়, আর আর ভাণ্ডারী প্রমুখ।
৪৭. যানবাহন-যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর:- যানবাহন-যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাসচর্চা বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল জন আর্মস্ট্রং রচিত ‘ট্রান্সপোর্ট হিস্ট্রি’, ইয়ান কের রচিত ‘ইঞ্জিন্স অব চেঞ্জ – দ্য রেলরোডস দ্যাট মেড ইন্ডিয়া’, সুনীল কুমার মুন্সি রচিত ‘জিওগ্রাফি অব ট্রান্সপোর্টেশন ইন ইস্টার্ন ইন্ডিয়া আন্ডার ব্রিটিশরাজ’, নীতিন সিনহা রচিত ‘কমিউনিকেশন অ্যান্ড কলোনিয়ালিজম ইন ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’, গৌতম চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ইউরোপ অ্যান্ড দ্য হুগলি’, আর আর ভাণ্ডারী রচিত ‘ইন্ডিয়ান রেলওয়েজ : গ্লোরিয়াস ১৫০ ইয়ার্স’ প্রভৃতি।
৪৮. শহরের ইতিহাসচর্চার গুরুত্ব কী?
উত্তর:- শহরের ইতিহাসচর্চার মাধ্যমে (১) কোনো শহরের স্থানীয় সমাজ, অর্থনীতি, শিল্পকলা প্রভৃতি সম্পর্কে জানা যায়। (২) কোনো শহরের প্রতিষ্ঠা ও বিবর্তনের ইতিহাস জানা যায়। (৩) কোনো শহরের নানান স্থাপত্যরীতি ও নগরপরিকল্পনা সম্পর্কেও জানা যায়।
৪৯. শহরের ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন গবেষকের নাম লেখো।
উত্তর:- শহরের ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত উল্লেখযোগ্য গবেষক হলেন রাধাপ্রসাদ গুপ্ত, পূর্ণেন্দু পত্রী, নিখিল সরকার, রাধারমণ মিত্র, সৌমিত্র শ্রীমানী, বিজয়কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, শামসুদ্দোহা চৌধুরী, মুনতাসীর মামুন, পার্থ দত্ত, নারায়ণী গুপ্ত প্রমুখ।
৫০. পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর:- পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল মলয় রায় রচিত ‘বাঙালির বেশবাস : বিবর্তনের রূপরেখা’, কার্ল কোহলার রচিত ‘পোশাকের ইতিহাস’, জে ফর্বস ওয়াটসন রচিত ‘দ্য টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড দ্য কস্টিউম অব দ্য পিপল অব ইন্ডিয়া’, মাইকেল ডেভিস রচিত ‘আর্ট অব ড্রেস ডিজাইনিং’, এম্মা টারলোর ‘ক্লোদিং ম্যাটারস : ড্রেস অ্যান্ড আইডেনটিটি ইন ইন্ডিয়া’ প্রভৃতি।
৫১. সংগীতের ইতিহাস নিয়ে চর্চা করছেন এমন কয়েকজন গবেষকের নাম লেখো।
উত্তর:- সংগীতের ইতিহাস নিয়ে চর্চা করছেন উমেশ জোশী, রাজকুমার, প্যাট্রিক মৌতাল, চার্লস রাসেল ডে, সুকুমার রায়, সুধীর চক্রবর্তী, মৃদুলকান্তি চক্রবর্তী প্রমুখ গবেষক।
৫২. সংগীতের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর:- সংগীতের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল উমেশ জোশী রচিত “ভারতীয় সংগীত কা ইতিহাস’, রাজকুমার রচিত ‘এসেজ অন ইন্ডিয়ান মিউজিক’, প্যাট্রিক মৌতাল রচিত ‘কমপ্যারেটিভ স্টাডি অব হিন্দুস্তানি রাগস’, সুকুমার রায় রচিত ‘বাংলা সংগীতের রূপ’, করুণাময় গোস্বামী রচিত ‘বাংলা গানের বিবর্তন’, সুধীর চক্রবর্তী রচিত ‘বাংলা গানের সন্ধানে’, মৃদুলকান্তি চক্রবর্তী রচিত ‘বাংলা গানের ধারা’ প্রভৃতি।
৫৩. আধুনিক ভারতের কয়েকজন প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পীর নাম লেখো।
উত্তর:- আধুনিক ভারতের প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী হলেন উদয়শঙ্কর, অমলাশঙ্কর, রুক্মিনী দেবী, মল্লিকা সারাভাই, পণ্ডিত বিরজু মহারাজ, অনিতা রত্নম প্রমুখ।
৫৪. নৃত্যকলার ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন গবেষকের নাম লেখো।
উত্তর:- নৃত্যকলার ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত খ্যাতনামা গবেষক হলেন ক্যারল ওয়েলস, জে অ্যাডশিড ল্যান্সডেল, ওয়াং কেফেন, রাগিনী দেবী, আকৃতি সিনহা, শোভনা গুপ্তা, গায়ত্রী চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
৫৫. নৃত্যের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর:- নৃত্যের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল ক্যারল ওয়েলস রচিত ‘ডান্স-এ ভেরি সোশ্যাল হিস্ট্রি’, জে অ্যাডশিড ল্যান্সডেল সম্পাদিত ‘ড্যান্স হিস্ট্রি : অ্যান ইনট্রোডাকশন’, ওয়াং কেফেন রচিত ‘দ্য হিস্ট্রি অব চাইনিজ ড্যান্স’, রাগিনী দেবী রচিত ‘ড্যান্স ডায়ালেক্ট অব ইন্ডিয়া’, আকৃতি সিনহা রচিত ‘লেট’স নো ড্যান্সেস অব ইন্ডিয়া’, শোভনা গুপ্তা রচিত ‘ড্যান্স অব ইন্ডিয়া’, গায়ত্রী চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ভারতের নৃত্যকলা’ প্রভৃতি ।
৫৬. ইতিহাসচর্চায় নাটকের ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর:- ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে নাটকের ইতিহাস বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নাটকের ইতিহাসচর্চা থেকে (১) কোনো সমাজের সমকালীন বিনোদন সম্পর্কে আভাস পাওয়া যায়। (২) বহু নাটক সমকালীন সমাজজীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে। তাই সেগুলি থেকে সমকালীন সমাজের বহু ঐতিহাসিক উপাদান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। (৩) কোনো নাটক কীভাবে শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে মানুষকে প্রতিবাদী করে তুলেছে তা জানা যায়। (৪) নাটক কীভাবে লোকশিক্ষা দেয় তা জানা যায়।
৫৭. আধুনিক বাংলা নাটকে অসামান্য অবদান রেখেছেন এমন কয়েকজন ব্যক্তির নাম লেখো।
উত্তর:- আধুনিক বাংলা নাটকে অসামান্য অবদান রেখেছেন এমন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হলেন মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, শিশির ভাদুড়ী, শম্ভু মিত্র, উৎপল দত্ত প্রমুখ।
৫৮. নাটকের ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন গবেষকের নাম লেখো।
উত্তর:- নাটকের ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন গবেষক হলেন ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজীবন মুখোপাধ্যায়, আশুতোষ ভট্টাচার্য, বাবুল ভট্টাচার্য, সেলিম আল দীন, সাইমন জাকারিয়া, বালদুন ধিংরা প্রমুখ।
৫৯. নাটকের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর:- নাটকের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘বঙ্গীয় নাট্যশালার ইতিহাস’, সত্যজীবন মুখোপাধ্যায় রচিত ‘দৃশ্যকাব্য পরিচয়’, আশুতোষ ভট্টাচার্য রচিত ‘বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাস’, সেলিম আল দীন রচিত ‘মধ্যযুগের বাংলা নাটক’, সাইমন জাকারিয়া রচিত ‘বাংলাদেশের লোকনাটক : বিষয় ও আঙ্গিক বৈচিত্র্য’, বালদুন ধিংরা রচিত ‘এ ন্যাশনাল থিয়েটার ফর ইন্ডিয়া’ প্রভৃতি।
৬০. স্থাপত্যশিল্প নিয়ে ইতিহাসচর্চা করেছেন এমন কয়েকজন গবেষকের নাম লেখো।
উত্তর:- স্থাপত্যশিল্প নিয়ে ইতিহাসচর্চা করেছেন এমন কয়েকজন গবেষক হলেন জে ফার্গুসন, জর্জ মিশেল, পার্সি ব্রাউন, প্যাট্রিক নাটগেন্স, অমিয়কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাপদ সাঁতরা, প্রণব রায়, হিতেশরঞ্জন সান্যাল, রবিউল হুসেন, জাকারিয়া প্রমুখ।
৬১. স্থাপত্যশিল্পের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর:- স্থাপত্য শিল্পের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল জে ফার্গুসন রচিত ‘হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড ইস্টার্ন আর্কিটেকচার’, জর্জ মিশেল রচিত ‘ব্রিক টেম্পল অব বেঙ্গল’, পার্সি ব্রাউন রচিত ‘ইন্ডিয়ান আর্কিটেকচার’, প্যাট্রিক নাটগেন্স রচিত ‘দ্য স্টোরি অব আর্কিটেকচার’, অমিয়কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘পশ্চিমবঙ্গের পুরাসম্পদ’, তারাপদ সাঁতরা রচিত ‘কলকাতার মন্দির মসজিদ স্থাপত্য’, হিতেশরঞ্জন সান্যাল রচিত ‘বাংলার মন্দির’, রবিউল হুসেন রচিত ‘বাংলাদেশের স্থাপত্য সংস্কৃতি’, জাকারিয়ার লেখা ‘বাংলাদেশের প্রাচীন কীর্তি’ প্রভৃতি।
৬২. চলচ্চিত্রের ইতিহাসচর্চা করেছেন এমন কয়েকজন ব্যক্তির নাম লেখো।
উত্তর:- চলচ্চিত্রের ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হলেন ঋত্বিক কুমার ঘটক, সত্যজিৎ রায়, তপন সিংহ, ফারহানা মিলি, সপ্তয় মুখোপাধ্যায়, অপূর্ব কুণ্ডু, অনুপম হায়াৎ, ফ্রান্সেসকো ক্যাসেটি, পাম কুক, জিওফ্রে নাওয়েল স্মিথ প্রমুখ।
৬৩. চলচ্চিত্রের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর:- চলচ্চিত্রের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল ঋত্বিক কুমার ঘটক রচিত ‘চলচ্চিত্র, মানুষ ও আরও কিছু’, সত্যজিৎ রায় রচিত ‘একেই বলে শুটিং’ ও ‘বিষয় চলচ্চিত্র’, তপন সিংহের লেখা ‘চলচ্চিত্র আজীবন’, ফারহানা মিলি রচিত ‘সিনেমা এলো কেমন করে’, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় রচিত ‘দেখার রকমফের: ঋত্বিক ও সত্যজিৎ’, অপূর্ব কুন্ডুর লেখা ‘ইউরোপের চলচ্চিত্র’, অনুপম হায়াৎ রচিত ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের রূপরেখা’, ফ্রান্সেসকো ক্যাসেটির লেখা ‘থিওরিজ অব সিনেমা, পাম কুকের লেখা ‘দ্য সিনেমা বুক’ প্রভৃতি।
৬৪. ছবির দৃশ্যশিল্প বলতে কী বোঝায়?
উত্তর:- ছবির দৃশ্যশিল্প বলতে মূলত দুই ধরনের ছবিকে বোঝানো হয়। একধরনের ছবি হল শিল্পীর হাতে আঁকা ছবি এবং অন্য ধরনের ছবি হল ক্যামেরায় তোলা আলোকচিত্র বা ফোটোগ্রাফি।
৬৫. দৃশ্যশিল্প অর্থাৎ ছবি আঁকা ও ফোটোগ্রাফি নিয়ে ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন উল্লেখযোগ্য গবেষকের নাম লেখো।
উত্তর:- দৃশ্যশিল্প অর্থাৎ ছবি আঁকা ও ফোটোগ্রাফি নিয়ে ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়, অশোক মিত্র, বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়, বিদ্যা দেহেজিয়া, কবিতা সিং, গীতা কাপুর, ড. নীলিমা আফরিন প্রমুখ।
৬৬. দৃশ্যশিল্পের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর:- দৃশ্যশিল্পের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বাণেশ্বরী প্রবন্ধমালা’, অশোক মিত্র রচিত ‘ভারতের চিত্রকলা’, বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় রচিত ‘চিত্রকথা’, বিদ্যা দেহেজিয়ার লেখা ‘ইন্ডিয়ান আর্ট’, কবিতা সিং রচিত ‘নিউ ইনসাইটস ইনটু শিখ আর্ট’, গীতা কাপুর রচিত ‘কনটেমপোরারি ইন্ডিয়ান আর্টিস্টস’, ড. নীলিমা আফরিন রচিত ‘বাংলাদেশের শিল্পকলার উৎস সন্ধান’, জন ওয়েড রচিত ‘শর্ট হিস্ট্রি অব দি ক্যামেরা’ প্রভৃতি।
৬৭. আঞ্চলিক ইতিহাসচর্চা গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর:- আঞ্চলিক বা স্থানীয় ইতিহাসচর্চার দ্বারা (১) স্থানীয় অঞ্চলের সমাজ, অর্থনীতি, শিল্পকলা প্রভৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। (২) জাতীয় ইতিহাসচর্চার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপাদান পাওয়া যায়। আঞ্চলিক ইতিহাসের মাধ্যমেই জাতীয় ইতিহাস পূর্ণাঙ্গ রূপ নিতে পারে।
৬৮. স্থানীয় ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন গবেষকের নাম লেখো।
উত্তর:- স্থানীয় ইতিহাসচর্চার সঙ্গে যুক্ত খ্যাতনামা গবেষক হলেন কালীকমল সার্বভৌম, কুমুদনাথ মল্লিক, নিখিলনাথ রায়, সতীশচন্দ্র মিত্র, রাধারমণ সাহা, কালীনাথ চৌধুরী, মনোরঞ্জন চন্দ্র, শ্রীকেদারনাথ মজুমদার, ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুধীরকুমার মিত্র, ড. রতনলাল চক্রবর্তী প্রমুখ।
৬৯. স্থানীয় ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর:- স্থানীয় ইতিহাসচর্চা বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল কালীকমল সার্বভৌম রচিত ‘সেতিহাস বগুড়ার বৃত্তান্ত’, কুমুদনাথ মল্লিক রচিত ‘নদীয়া কাহিনি’, নিখিলনাথ রায় রচিত ‘মুর্শিদাবাদ কাহিনি’, সতীশচন্দ্র মিত্র রচিত ‘যশোহর খুলনার ইতিহাস’, রাধারমণ সাহা রচিত ‘পাবনা জেলার ইতিহাস’, কালীনাথ চৌধুরী রচিত ‘রাজশাহীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস’, মনোরঞ্জন চন্দ্র রচিত ‘মল্লভূম বিষ্ণুপুরের ইতিহাস’, ভগবতীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘কোচবিহারের ইতিহাস’, সুধীরকুমার মিত্র রচিত ‘হুগলি জেলার ইতিহাস’ প্রভৃতি।
৭০. প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র কোনটি? এটি কার পরিচালনায় কবে মুক্তি পায়?
উত্তর:- প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র হল ‘রাজা হরিশ্চন্দ্র’ (নির্বাক)।
‘রাজা হরিশ্চন্দ্র’ দাদাসাহেব ফালকের পরিচালনায় ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে মুক্তি পায়।
৭১. প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র কোনটি? এটি কার পরিচালনায় কবে মুক্তি পায় ?
উত্তর:- প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র হল ‘বিল্বমঙ্গল’ (নির্বাক)। ‘বিল্বমঙ্গল’ জ্যোতিষ ব্যানার্জির (মতান্তরে রোস্তমজি দুতিওয়ালা) পরিচালনায় ১৯১৯ মুক্তি পায়।
আরোও পড়ুন
- দশম শ্রেণী (দ্বিতীয় অধ্যায়): সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
- দশম শ্রেণী (তৃতীয় অধ্যায়): প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ-বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
- দশম শ্রেণী (চতুর্থ অধ্যায়): সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা-বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
- দশম শ্রেণী (পঞ্চম অধ্যায়): বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
- দশম শ্রেণী (ষষ্ঠ অধ্যায়): কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন-বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
- দশম শ্রেণী (সপ্তম অধ্যায়): নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন হতে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
- দশম শ্রেণী (অষ্টম অধ্যায়): উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত হতে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর