দশম শ্রেণী (দ্বিতীয় অধ্যায়): সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে বিবৃতির সঙ্গে ব্যাখ্যা মেলাও
মাধ্যমিক দশম শ্রেণী (দ্বিতীয় অধ্যায়): সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে বিবৃতির সঙ্গে ব্যাখ্যা মেলাও
১. বিবৃতি : দেশীয় ভাষাগুলির মধ্যে বাংলা ভাষাতেই প্রথম সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়।
ব্যাখ্যা ১ : এই সময় বাংলাভাষাই ছিল পত্রিকা প্রকাশের অবলম্বন।
ব্যাখ্যা ২ : এই সময় বাঙালিরা পত্রপত্রিকা প্রকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
ব্যাখ্যা ৩ : বাংলা ভাষায় পত্রপত্রিকা প্রকাশ করা সহজ ছিল।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ২ : এই সময় বাঙালিরা পত্রপত্রিকা প্রকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
২. বিবৃতি : ভারতে প্রাচ্য-পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল।
ব্যাখ্যা ১ : ভারতে প্রাচ্য শিক্ষা না পাশ্চাত্য শিক্ষা চালু হবে এই বিষয়ে।
ব্যাখ্যা ২ : ভারতে প্রাচ্য শিক্ষা চালু হবে এই বিষয়ে।
ব্যাখ্যা ৩ : ভারতে কোনো শিক্ষাই চালু হবে না এই বিষয়ে।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ১ : ভারতে প্রাচ্য শিক্ষা না পাশ্চাত্য শিক্ষা চালু হবে এই বিষয়ে।
৩. বিবৃতি : ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ পত্রিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যাখ্যা ১ : এই পত্রিকা ছাত্রসমাজকে ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করে।
ব্যাখ্যা ২ : এই পত্রিকা থেকে কৃষক আন্দোলনের খবর পাওয়া যায়।
ব্যাখ্যা ৩ : এই পত্রিকা সাঁওতাল বিদ্রোহ দমন ও নীলকরদের অত্যাচারের সমালোচনা করে।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ৩ : এই পত্রিকা সাঁওতাল বিদ্রোহ দমন ও নীলকরদের অত্যাচারের সমালোচনা করে।
৪. বিবৃতি : ‘উডের ডেসপ্যাচ’ (১৮৫৪) হল ভারতীয় শিক্ষার ‘ম্যাগনাকার্টা’।
ব্যাখ্যা ১ : ইংল্যান্ডের অনুকরণে ভারতে শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়।
ব্যাখ্যা ২ : ভারতীয় শিক্ষার সব দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করে।
ব্যাখ্যা ৩ : প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থায় সামঞ্জস্য প্রতিষ্ঠা করা হয়।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ৩ : প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থায় সামঞ্জস্য প্রতিষ্ঠা করা হয়।
৫. বিবৃতি : রাজা রামমোহন রায় ছিলেন ‘আধুনিক ভারতের জনক’।
ব্যাখ্যা ১ : রামমোহন ব্রিটিশ শাসনের পক্ষপাতী ছিলেন।
ব্যাখ্যা ২ : রামমোহন ব্রাহ্মধর্মের প্রচারে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।
ব্যাখ্যা ৩ : রামমোহন ছিলেন প্রগতিশীল এবং সমাজসংস্কারক।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ৩ : রামমোহন ছিলেন প্রগতিশীল এবং সমাজসংস্কারক।
৬. বিবৃতি : রামমোহন রায় লর্ড আমহার্স্টকে চিঠি লিখেছিলেন (১৮২৩ খ্রি.)।
ব্যাখ্যা ১ : সতীদাহ প্রথা বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে।
ব্যাখ্যা ২ : ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের আবেদন জানিয়ে।
ব্যাখ্যা ৩ : ভারতে সংস্কৃত শিক্ষাবিস্তারের আবেদন জানিয়ে।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ২ : ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের আবেদন জানিয়ে।
৭. বিবৃতি : ‘নীলদর্পণ’ নাটক ছিল সেকালের নীল বিদ্রোহের অন্যতম দলিল।
ব্যাখ্যা ১ : এতে নীল বিদ্রোহের কারণ পাওয়া যায়।
ব্যাখ্যা ২ : এতে নীলবিদ্রোহের কাহিনি বিবৃত আছে।
ব্যাখ্যা ৩ : এতে নীলবিদ্রোহের নাম পাওয়া যায়।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ২ : এতে নীলবিদ্রোহের কাহিনি বিবৃত আছে।
৮. বিবৃতি : উনিশ শতকের ভারতে ‘নবজাগরণ’ কথাটি মানান সই নয়।
ব্যাখ্যা ১ : তথাকথিত নবজাগরণের কোনো নিশ্চিত স্রষ্টা নেই।
ব্যাখ্যা ২ : উনিশ শতকে বুদ্ধির বিকাশের ক্ষেত্রে যে পরিপূর্ণতা দেখা যায়, তা ইউরোপীয় নবজাগরণের সঙ্গে তুলনীয়।
ব্যাখ্যা ৩ : নবজাগরণ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে স্পর্শ করে নি।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ৩ : নবজাগরণ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে স্পর্শ করেনি।
৯. বিবৃতি : এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটেছিল।
ব্যাখ্যা ১ : ভারতীয় মনীষীদের অনেকেই পাশ্চাত্য শিক্ষার অনুসারী ছিলেন।
ব্যাখ্যা ২ : সনদ আইনে পাশ্চাত্য শিক্ষার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়।
ব্যাখ্যা ৩ : ইংরেজরা ভারতে শিক্ষিত কেরানি তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ১ : ভারতীয় মনীষীদের অনেকেই পাশ্চাত্য শিক্ষার অনুসারী ছিলেন।
১০. বিবৃতি : বর্তমানেও বাংলা সংবাদপত্রের বিপুল সম্ভার অসংরক্ষিতভাবে পড়ে রয়েছে।
ব্যাখ্যা ১ : সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকারি অর্থসাহায্য পাওয়া যায়নি।
ব্যাখ্যা ২ : এগুলি এখনও গবেষকদের দৃষ্টিগোচরে আসেনি।
ব্যাখ্যা ৩ : এগুলি সংরক্ষিত করা হয়নি।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ১ : সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকারি অর্থসাহায্য পাওয়া যায়নি।
১১. বিবৃতি : রাজা রামমোহন রায় লর্ড আমহার্স্টকে চিঠি লিখেছিলেন।
ব্যাখ্যা ১ : সতীদাহ প্রথা বন্ধ করার জন্য আবেদন হিসেবে।
ব্যাখ্যা ২ : ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে উদ্যোগী হওয়ার আবেদন হিসেবে।
ব্যাখ্যা ৩ : ভারতে সংস্কৃত শিক্ষার বিস্তারে উদ্যোগী হওয়ার আবেদন হিসেবে।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ২ : ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে উদ্যোগী হওয়ার আবেদন হিসেবে।
১২. বিবৃতি : ‘গ্রামবার্তাপ্রকাশিকা’ ছিল একটি বিখ্যাত পত্রিকা।
ব্যাখ্যা ১ : এই পত্রিকা নীলবিদ্রোহকে সমর্থন করে।
ব্যাখ্যা ২ : এর পূর্ববর্তী কোনো সংবাদপত্রে গ্রামের কথা বলা হয়নি।
ব্যাখ্যা ৩ : সম্পাদক হরিনাথ ছিলেন একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ২ : এর পূর্ববর্তী কোনো সংবাদপত্রে গ্রামের কথা বলা হয়নি।
১৩. বিবৃতি : রাজা রাধাকান্তদেব প্রাচ্য শিক্ষার মধ্যে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিকাশ চেয়েছিলেন।
ব্যাখ্যা ১ : তিনি প্রাচ্য শিক্ষার বিরোধী ছিলেন।
ব্যাখ্যা ২ : তিনি পাশ্চাত্য শিক্ষার বিরোধী ছিলেন।
ব্যাখ্যা ৩ : তিনি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য শিক্ষার মধ্যে সমন্বয় সাধন চেয়েছিলেন।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ৩ : তিনি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য শিক্ষার মধ্যে সমন্বয় সাধন চেয়েছিলেন।
১৪. বিবৃতি : রাজা রামমোহন রায় ‘ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ’ নামে পরিচিত।
ব্যাখ্যা ১ : অর্থনীতির ক্ষেত্রে তিনিই প্রথম আধুনিক তত্ত্বের প্রবর্তন করেন।
ব্যাখ্যা ২ : তিনিই প্রথম ধর্ম ও সমাজকে আধুনিক করতে পাশ্চাত্য শিক্ষাগ্রহণের উপযোগিতা উপলব্ধি করেন।
ব্যাখ্যা ৩ : তিনি আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার প্রবর্তন করেন।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ২ : তিনিই প্রথম ধর্ম ও সমাজকে আধুনিক করতে পাশ্চাত্য শিক্ষাগ্রহণের উপযোগিতা উপলব্ধি করেন।
১৫. বিবৃতি : জেমস লঙকে জেল ও জরিমানার শাস্তি ভোগ করতে হয়েছিল।
ব্যাখ্যা ১ : জেমস লঙ সরকারি অফিসে চুরি করেছিলেন।
ব্যাখ্যা ২ : তার নামে নীলদর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
ব্যাখ্যা ৩ : তিনি ব্রিটিশ কর্মচারীকে আঘাত করেছিলেন।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ২ : তার নামে নীলদর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
১৬. বিবৃতি : রামমোহনের প্রচেষ্টায় সতীদাহ-বিরোধী আইন পাস হয়।
ব্যাখ্যা ১ : রামমোহন নারীসমাজের উন্নতি চেয়েছিলেন।
ব্যাখ্যা ২ : রামমোহন কুসংস্কার-বিরোধী আন্দোলন সংগঠিত করেছিলেন।
ব্যাখ্যা ৩ : রামমোহনের পরিবারে সতীদাহ প্রথার ঘটনা ঘটেছিল।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ২ : রামমোহন কুসংস্কার-বিরোধী আন্দোলন সংগঠিত করেছিলেন।
১৭. বিবৃতি : বিদ্যাসাগরকে গতানুগতিক আধুনিক সংস্কারক বলা হয়।
ব্যাখ্যা ১ : তিনি দেশীয় ঐতিহ্যে আস্থাশীল ছিলেন।
ব্যাখ্যা ২ : তিনি আধুনিকতাকে বরণ করে নিয়েছিলেন।
ব্যাখ্যা ৩ : তিনি দেশীয় ঐতিহ্যকে বজায় রেখে আধুনিক ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ৩: তিনি দেশীয় ঐতিহ্যকে বজায় রেখে আধুনিক ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন।
১৮. বিবৃতি : ঔপনিবেশিক ভারতে সর্বধর্মসমন্বয়ের আদর্শ প্রচারের বিশেষ প্রয়োজন ছিল।
ব্যাখ্যা ১ : ভারতে বসবাসকারী বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে সর্বধর্মসমন্বয়ের দ্বারাই ঐক্য গড়ে তোলা সম্ভব হত।
ব্যাখ্যা ২ : সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ধর্মের একাধিপত্য প্রতিরোধ করা সম্ভব হত সর্বধর্মসমন্বয়ের দ্বারা।
ব্যাখ্যা ৩ : সর্বধর্মসমন্বয় ইংরেজ শাসনের বিরোধী ছিল।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ১ : ভারতে বসবাসকারী বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে সর্বধর্মসমন্বয়ের দ্বারাই ঐক্য গড়ে তোলা সম্ভব হত।
১৯. বিবৃতি : উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণের ব্যাপ্তি ছিল খুবই সীমিত।
ব্যাখ্যা ১ : কারণ শুধুমাত্র গ্রাম বাংলায় নবজাগরণ হয়েছিল।
ব্যাখ্যা ২ : কারণ এই নবজাগরণ সীমিত ছিল শুধুমাত্র সাহিত্যের ক্ষেত্রে।
ব্যাখ্যা ৩ : কারণ এই নবজাগরণ শুধুমাত্র পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত প্রগতিশীল সমাজের মধ্যে সীমিত ছিল।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ৩ : কারণ এই নবজাগরণ শুধুমাত্র পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত প্রগতিশীল সমাজের মধ্যে সীমিত ছিল।
২০. বিবৃতি : রামমোহনের সমসাময়িক ও পরবর্তীকালের কয়েকজন লেখক বাংলা গদ্যসাহিত্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
ব্যাখ্যা ১ : এই সময় থেকেই বাংলা গদ্যসাহিত্যের প্রকৃত যাত্রা শুরু।
ব্যাখ্যা ২ : এই সময়ের বাংলা গদ্যসাহিত্য ছিল সুললিত।
ব্যাখ্যা ৩ : এই সময় নানা গদ্যসাহিত্যিকের আবির্ভাব ঘটে।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ১ : এই সময় থেকেই বাংলা গদ্যসাহিত্যের প্রকৃত যাত্রা শুরু।
২১. বিবৃতি : উনিশ শতকে বাংলায় যুক্তিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
ব্যাখ্যা ১ : বাংলার সাহিত্য, শিক্ষা, সমাজ ও ধর্মসংস্কারে নবযুগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
ব্যাখ্যা ২ : সমাজে কোনো উন্নতি হয় নি।
ব্যাখ্যা ৩ : শুধুমাত্র সাহিত্যে পরিবর্তন হয়েছিল।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ১: বাংলার সাহিত্য, শিক্ষা, সমাজ ও ধর্মসংস্কারে নবযুগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল
আরোও পড়ুন
- দশম শ্রেণী (প্রথম অধ্যায়): ইতিহাসের ধারণা হতে বিবৃতির সঙ্গে ব্যাখ্যা মেলাও
- দশম শ্রেণী (তৃতীয় অধ্যায়): প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ-বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে বিবৃতির সঙ্গে ব্যাখ্যা মেলাও
- দশম শ্রেণী (চতুর্থ অধ্যায়): সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে বিবৃতি ব্যাখ্যা
- দশম শ্রেণী (পঞ্চম অধ্যায়): বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে বিবৃতির সঙ্গে ব্যাখ্যা মেলাও
- দশম শ্রেণী (ষষ্ঠ অধ্যায়): কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন- বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে বিবৃতির সঙ্গে ব্যাখ্যা মেলাও
- দশম শ্রেণী (সপ্তম অধ্যায়): নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন হতে বিবৃতির সঙ্গে ব্যাখ্যা মেলাও
- দশম শ্রেণী (অষ্টম অধ্যায়): উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত হতে বিবৃতির সঙ্গে ব্যাখ্যা মেলাও