পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সিলেবাস অনুসারে দশম শ্রেণী (চতুর্থ অধ্যায়): সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে বিবৃতির সঙ্গে ব্যাখ্যা মেলাও দেওয়া হল।
দশম শ্রেণী (চতুর্থ অধ্যায়): সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে বিবৃতির সঙ্গে ব্যাখ্যা মেলাও
১. বিবৃতি : ব্রিটিশ বাহিনীতে ভারতীয় সিপাহিরা এনফিল্ড রাইফেল ব্যবহারে আপত্তি জানায়।
ব্যাখ্যা ১ : এনফিল্ড রাইফেলের গুণগত মান খারাপ ছিল।
ব্যাখ্যা ২ : এই রাইফেলের টোটার খোলসটি গোরু ও শূকরের চর্বি দিয়ে তৈরি ছিল বলে গুজব ছড়ায়।
ব্যাখ্যা ৩ : এনফিল্ড রাইফেল বিদেশে তৈরি হত।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ২ : এই রাইফেলের টোটার খোলসটি গোরু ও শূকরের চর্বি দিয়ে তৈরি ছিল বলে গুজব ছড়ায়।
২. বিবৃতি : মহারানি ভিক্টোরিয়া স্বত্ববিলোপ নীতি বাতিল করার কথা ঘোষণা করেন।
ব্যাখ্যা ১ : স্বত্ববিলোপ নীতি ব্রিটিশ পার্লামেন্ট পছন্দ করত না।
ব্যাখ্যা ২ : স্বত্ববিলোপ নীতির দ্বারা দেশীয় রাজাদের দত্তক পুত্র গ্রহণের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।
ব্যাখ্যা ৩ : মহারানি স্বত্ববিলোপ নীতি চালু রেখে ভারতীয় রাজন্যবর্গকে বিদ্রোহমুখী করতে চান নি।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ৩ : মহারানি স্বত্ববিলোপ নীতি চালু রেখে ভারতীয় রাজন্যবর্গকে বিদ্রোহমুখী করতে চান নি।
৩. বিবৃতি : ১৮৫৭-এর বিদ্রোহে বিদ্রোহীরা দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে ‘ভারতের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করে।
ব্যাখ্যা ১ : বিদ্রোহীরা ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দিতে চেয়েছিল।
ব্যাখ্যা ২ : দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ মুঘল সম্রাট হয়ে ১৮৫৭-এর সিপাহি বিদ্রোহে যোগ দিতে রাজি হয়েছিলেন।
ব্যাখ্যা ৩ : দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ-ই বিদ্রোহে সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারতেন।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ১: বিদ্রোহীরা ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দিতে চেয়েছিল।
৪. বিবৃতি : বাংলার জমিদাররা ‘জমিদার সভা’ গঠনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়।
ব্যাখ্যা ১ : জমিদাররা ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে চেয়েছিল।
ব্যাখ্যা ২ : জমিদাররা নিজেদের স্বার্থরক্ষার প্রয়োজন অনুভব করে।
ব্যাখ্যা ৩ : দরিদ্র কৃষকদের দুর্দশা দূর করার জন্য জমিদারদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন ছিল।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ২ : জমিদাররা নিজেদের স্বার্থরক্ষার প্রয়োজন অনুভব করে।
৫. বিবৃতি : ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতে কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটায়।
ব্যাখ্যা ১ : ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানির শাসনের মেয়াদ ফুরিয়েছিল।
ব্যাখ্যা ২ : মহাবিদ্রোহের পর পার্লামেন্ট মনে করেছিল যে, ভারতের শাসন একটি কোম্পানির হাতে সম্পূর্ণ ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়।
ব্যাখ্যা ৩ : কোম্পানি নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিল।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ২: মহাবিদ্রোহের পর পার্লামেন্ট মনে করেছিল যে, ভারতের শাসন একটি কোম্পানির হাতে সম্পূর্ণ ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়।
৬. বিবৃতি : ভারতের জাতীয়তাবাদী ঐতিহাসিকরা ১৮৫৭-এর বিদ্রোহকে মহাবিদ্রোহ বলে অভিহিত করেন।
ব্যাখ্যা ১ : ১৮৫৭-এর বিদ্রোহ ছিল ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ।
ব্যাখ্যা ২ : ১৮৫৭-এর বিদ্রোহ ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এবং সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে প্রসারিত হয়েছিল।
ব্যাখ্যা ৩ : ১৮৫৭-এর বিদ্রোহ সাফল্য লাভ করেছিল।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ২: ১৮৫৭-এর বিদ্রোহ ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এবং সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে প্রসারিত হয়েছিল।
৭. বিবৃতি : ‘সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলন’ (১৮৮৩ খ্রি.)-কে অমলেশ ত্রিপাঠী ‘জাতীয় কংগ্রেসের মহড়া’ বলে অভিহিত করেছেন।
ব্যাখ্যা ১ : এই সম্মেলনের ফলে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার পটভূমি তৈরি হয়।
ব্যাখ্যা ২ : এই সম্মেলনে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাখ্যা ৩ : এই সম্মেলনে কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ১ : এই সম্মেলনের ফলে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার পটভূমি তৈরি হয়।
৮. বিবৃতি : উনিশ শতককে ‘সভাসমিতির যুগ’ বলা হয়।
ব্যাখ্যা ১ : উনিশ শতকে ভারতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভাসমিতি গড়ে ওঠে।
ব্যাখ্যা ২ : ড. অনিল শীল উনিশ শতককে ‘সভাসমিতির যুগ’ বলে অভিহিত করেছেন।
ব্যাখ্যা ৩ : উনিশ শতকের সভাসমিতিগুলির মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য ছিল জাতীয় কংগ্রেস।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ১ : উনিশ শতকে ভারতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভাসমিতি গড়ে ওঠে।
৯. বিবৃতি : শিক্ষিত বাঙালি সমাজের একটি বড়ো অংশ ১৮৫৭-এর বিদ্রোহকে সমর্থন করে নি।
ব্যাখ্যা ১ : বিদ্রোহীরা বহু সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছিল।
ব্যাখ্যা ২ : এই বিদ্রোহ ছিল মূলত অশিক্ষিত মানুষের বিদ্রোহ।
ব্যাখ্যা ৩ : শিক্ষিত বাঙালিদের অনেকেই ব্রিটিশ শাসনকে ভারতের পক্ষে কল্যাণকর বলে মনে করত।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ৩ : শিক্ষিত বাঙালিদের অনেকেই ব্রিটিশ শাসনকে ভারতের পক্ষে কল্যাণকর বলে মনে করত।
১০. বিবৃতি : নবগোপাল মিত্র ‘হিন্দুমেলা’র প্রবর্তন করেন।
ব্যাখ্যা ১ : তিনি ভারতে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রসার রোধ করতে চেয়েছিলেন।
ব্যাখ্যা ২ : তিনি হিন্দুধর্মের প্রসার ঘটাতে চেয়েছিলেন।
ব্যাখ্যা ৩ : তিনি এই মেলার মাধ্যমে হিন্দুদের শিক্ষিত করতে চেয়েছিলেন।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ১ : তিনি ভারতে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রসার রোধ করতে চেয়েছিলেন।
১১. বিবৃতি : উনিশ শতকে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রসার সম্ভব হয়।
ব্যাখ্যা ১ : সরকার ভারতবাসীকে সচেতন করে তোলে।
ব্যাখ্যা ২ : ভারতে জাতীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
ব্যাখ্যা ৩ : ভারতে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটে।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ৩ : ভারতে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটে।
১২. বিবৃতি : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘গোরা’ উপন্যাস লিখেছিলেন।
ব্যাখ্যা ১ : পাশ্চাত্য শিক্ষার সমালোচনা করার জন্য।
ব্যাখ্যা ২ : ঔপনিবেশিক প্রশাসনকে সমালোচনা করার জন্য।
ব্যাখ্যা ৩ : সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদকে সমালোচনা করার জন্য।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ৩ : সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদকে সমালোচনা করার জন্য।
১৩. বিবৃতি : আধুনিক ভারতে ‘ভারতসভা’র অবদান অসামান্য।
ব্যাখ্যা ১ : ‘ভারতসভা’ নারীশিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটায়।
ব্যাখ্যা ২ : ‘ভারতসভা’ জমিদারদের স্বার্থরক্ষার চেষ্টা করে।
ব্যাখ্যা ৩ : ‘ভারতসভা’ ভারতীয়দের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার প্রসার ঘটানোর উদ্যোগ নেয়।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ৩ : ‘ভারতসভা’ ভারতীয়দের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার প্রসার ঘটানোর উদ্যোগ নেয়।
১৪. বিবৃতি : স্বামী বিবেকানন্দ ভারতে শূদ্র জাগরণকে অবশ্যম্ভাবী বলে মনে করেন।
ব্যাখ্যা ১ : শূদ্ররা ক্রমে শিক্ষিত হয়ে উঠছে।
ব্যাখ্যা ২ : চক্রাকার পথে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের আধিপত্যের পর ইতিহাসের নিয়মেই শূদ্রদের জাগরণ ঘটবে।
ব্যাখ্যা ৩ : শূদ্ররা সংখ্যায় বেশি।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ২ : চক্রাকার পথে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের আধিপত্যের পর ইতিহাসের নিয়মেই শূদ্রদের জাগরণ ঘটবে।
১৫. বিবৃতি : ব্রিটিশ সরকার ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসটি নিষিদ্ধ করে।
ব্যাখ্যা ১ : ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসে ‘বন্দেমাতরম’ সংগীতটি আছে।
ব্যাখ্যা ২ : ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসটি শিক্ষিতদের স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।
ব্যাখ্যা ৩ : ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসটি সাম্প্রদায়িকতার প্রসার ঘটায়।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ২ : ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসটি শিক্ষিতদের স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।
১৬. বিবৃতি : অবনীন্দ্রনাথ তাঁর আঁকা ‘ভারতমাতা’র চিত্রে অস্ত্র রাখেন নি।
ব্যাখ্যা ১ : হিন্দুদেবী লক্ষ্মীর হাতে অস্ত্র ছিল না।
ব্যাখ্যা ২ : অবনীন্দ্রনাথ স্বদেশ প্রেমের ভাবনা থেকে সন্ত্রাসবাদকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন।
ব্যাখ্যা ৩ : ‘ভারতমাতা’ চিত্রটি ছিল স্বদেশপ্রেমের প্রতীক।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ২ : অবনীন্দ্রনাথ স্বদেশপ্রেমের ভাবনা থেকে সন্ত্রাসবাদকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন।
১৭. বিবৃতি : স্বামী বিবেকানন্দ ‘বর্তমান ভারত’ গ্রন্থটি রচনা করেন।
ব্যাখ্যা ১ : তাঁর উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক ভারতের ইতিহাস প্রণয়ন করা।
ব্যাখ্যা ২ : তাঁর উদ্দেশ্য ছিল নব্য হিন্দুধর্ম প্রচার করা।
ব্যাখ্যা ৩ : তাঁর উদ্দেশ্য ছিল স্বাদেশিকতা প্রচার করা।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ৩ : তাঁর উদ্দেশ্য ছিল স্বাদেশিকতা প্রচার করা।
১৮. বিবৃতি : গগনেন্দ্রনাথ তাঁর ব্যঙ্গচিত্রগুলিতে বাঙালি বাবুদের সমালোচনা করেছেন।
ব্যাখ্যা ১ : বাঙালি বাবুরা পাশ্চাত্য সভ্যতার অনুরাগী ছিলেন।
ব্যাখ্যা ২ : বাঙালি বাবুরা শিক্ষিত ছিলেন।
ব্যাখ্যা ৩ : বাঙালি বাবুরা ধনী ছিলেন।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ১ : বাঙালি বাবুরা পাশ্চাত্য সভ্যতার অনুরাগী ছিলেন।
১৯. বিবৃতি : রবীন্দ্রনাথের সৃষ্ট চরিত্র গোরা ভারতবর্ষের সত্যিকারের দুঃখদুর্দশার রূপটি দেখতে পেয়েছেন।
ব্যাখ্যা ১ : গোরা কলকাতার নিকটবর্তী বিভিন্ন পল্লিগ্রামে ঘুরে গ্রামবাসীদের দুঃখদুর্দশা দেখতে পেয়েছেন।
ব্যাখ্যা ২ : গোরা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে ভ্রমণ করেছেন।
ব্যাখ্যা ৩ : গোরা ভারতের সত্যিকারের রূপটি জানার জন্য প্রচুর পড়াশোনা করেছেন।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ১ : গোরা কলকাতার নিকটবর্তী বিভিন্ন পল্লিগ্রামে ঘুরে গ্রামবাসীদের দুঃখদুর্দশা দেখতে পেয়েছেন।
আরোও পড়ুন
- দশম শ্রেণী (প্রথম অধ্যায়): ইতিহাসের ধারণা হতে বিবৃতির সঙ্গে ব্যাখ্যা মেলাও
- দশম শ্রেণী (দ্বিতীয় অধ্যায়): সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে বিবৃতির সঙ্গে ব্যাখ্যা মেলাও
- দশম শ্রেণী (তৃতীয় অধ্যায়): প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ-বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে বিবৃতির সঙ্গে ব্যাখ্যা মেলাও
- দশম শ্রেণী (পঞ্চম অধ্যায়): বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে বিবৃতির সঙ্গে ব্যাখ্যা মেলাও
- দশম শ্রেণী (ষষ্ঠ অধ্যায়): কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন- বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে বিবৃতির সঙ্গে ব্যাখ্যা মেলাও
- দশম শ্রেণী (সপ্তম অধ্যায়): নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন হতে বিবৃতির সঙ্গে ব্যাখ্যা মেলাও
- দশম শ্রেণী (অষ্টম অধ্যায়): উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত হতে বিবৃতির সঙ্গে ব্যাখ্যা মেলাও