দশম শ্রেণী (দ্বিতীয় অধ্যায়): সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে ঠিক বা ভুল নির্ধারণ

দশম শ্রেণী (দ্বিতীয় অধ্যায়): সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে ঠিক বা ভুল নির্ধারণ

দশম শ্রেণী (দ্বিতীয় অধ্যায়): সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে ঠিক বা ভুল নির্ধারণ

১. উনিশ শতকের একটি উল্লেখযোগ্য সাময়িকপত্র ছিল ‘বামাবোধিনী’ নামে মাসিক পত্রিকা।

উত্তর:- ঠিক

২. মেকলে, আলেকজান্ডার ডাফ, সন্ডার্স, কলভিন প্রমুখ ছিলেন পাশ্চাত্যবাদী।

উত্তর:- ঠিক

৩. ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ পত্রিকাটি প্রথমে সাপ্তাহিক ছিল, পরে এটি দৈনিকে রূপান্তরিত হয়।

উত্তর:- ঠিক

৪. ১৮৫৭ সালে কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়।

উত্তর:- ঠিক।

৫. গ্রামবার্তাপ্রকাশিকা পত্রিকা প্রকাশ করেন হরিনাথ মজুমদার।

উত্তর:- ঠিক।

৬. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতক ছিলেন চন্দ্রমুখী বসু।

উত্তর:- ভুল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতক ছিলেন যদুনাথ বোস ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

৭. হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়কে একবার জমিদারদের আক্রমণের হাত থেকে লালন ফকির তাঁর দলবল নিয়ে রক্ষা করেন।

উত্তর:- ভুল, হরিনাথ মজুমদারকে একবার জমিদারদের আক্রমণের হাত থেকে লালন ফকির তাঁর দলবল নিয়ে রক্ষা করেন।

৮. ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় বালিকা বিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮৮টি।

উত্তর:- ঠিক।

৯. ‘কাঙাল ফকির চাঁদ’ নামে হরিনাথ মজুমদার বাউলগান লেখেন।

উত্তর:- ঠিক।

১০. যাজকদের মধ্যে ভারতে ইংরেজি শিক্ষার পথিকৃৎ ছিলেন ডেভিড হেয়ার।

উত্তর:- ঠিক।

১১. জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইন্সটিটিউশনের বর্তমান নাম বেথুন কলেজ।

উত্তর:- ভুল, জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইন্সটিটিউশনের বর্তমান নাম স্কটিশ চার্চ কলেজ।

১২. ‘সোমপ্রকাশ’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ।

উত্তর:- ঠিক।

১৩. শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাচ্য-পাশ্চাত্যবাদী দ্বন্দ্বে শেষ পর্যন্ত প্রাচ্যবাদীরা জয়ী হয়।

উত্তর:- ভুল, শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাচ্য-পাশ্চাত্যবাদী দ্বন্দ্বে শেষ পর্যন্ত পাশ্চাত্যবাদীরা জয়ী হয়।

১৪. উমেশচন্দ্র দত্তর কাছ থেকে হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ পত্রিকার প্রেস ও কাগজ স্বত্ব কিনে নেন।

উত্তর:- ভুল, মধুসূদন রায়ের কাছ থেকে হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ পত্রিকার প্রেস ও কাগজ স্বত্ব কিনে নেন।

১৫. উনিশ শতকে ভারতে খ্রিস্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে খ্রিস্টান মিশনারিরা এদেশে ইংরেজি শিক্ষার প্রসারে সক্রিয় উদ্যোগ নেয়।

উত্তর:- ঠিক।

১৬. নীলচাষিদের ওপর শোষণের প্রতিকারের চিন্তা করে কাঙাল হরিনাথ ‘গ্রামবার্তাপ্রকাশিকা’ প্রকাশ করেন।

উত্তর:- ঠিক।

১৭. সরকারি উদ্যোগে ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এদেশে ১৫১টি ইংরেজি বিদ্যালয় গড়ে ওঠে।

উত্তর:- ঠিক।

১৮. ‘নীলদর্পণ’ নাটকের প্রেক্ষাপটে ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় নীলবিদ্রোহ সংঘটিত হয়।

উত্তর:- ভুল, ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় নীলবিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে দীনবন্ধু মিত্র ‘নীলদর্পণ’ (১৮৬০) নাটকটি রচনা করেন।

১৯. ব্যাপটিস্ট মিশনের উইলিয়াম কেরি, মার্শম্যান, ওয়ার্ড প্রমুখের উদ্যোগে ১২৬ টি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

উত্তর:- ঠিক।

২০. হেমাঙ্গ বিশ্বাস ছিলেন একজন গণসংগীত শিল্পী।

উত্তর:- ঠিক।

২১. ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ‘মেডিকেল কলেজ, বেঙ্গল’ নামে কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

উত্তর:- ঠিক।

২২. ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্মসমাজে দীক্ষাদান প্রথা চালু হয়।

উত্তর:- ঠিক।

২৩. প্রতিষ্ঠার প্রথম পর্বে লাহোর থেকে রেঙ্গুন এবং শ্রীলঙ্কা পর্যন্ত কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের পরিধি বিস্তৃত ছিল।

উত্তর:- ঠিক।

২৪. ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার কেশবচন্দ্রের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনকে প্রথম সর্বভারতীয় আন্দোলন বলে অভিহিত করেছেন।

উত্তর:- ঠিক।

২৫. ‘ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করেন ওয়ারেন হেস্টিংস।

উত্তর:- ভুল, ‘ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করেন লর্ড ওয়েলেসলি।

২৬. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নিজ পুত্র নারায়ণচন্দ্রকে ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে এক বিধবার সঙ্গে বিবাহ দেন।

উত্তর:- ঠিক।

২৭. কলকাতা মেডিকেল কলেজ (১৮৩৫ খ্রি.) প্রতিষ্ঠার পরও সরকার দেশীয় চিকিৎসাশাস্ত্র শিক্ষাদানের জন্য অর্থ ব্যয় করতে থাকে।

উত্তর:- ভুল, কলকাতা মেডিকেল কলেজ (১৮৩৫ খ্রি.) প্রতিষ্ঠার পর সরকার দেশীয় চিকিৎসাশাস্ত্র শিক্ষাদানের জন্য অর্থ ব্যয় বন্ধ করে দেয়।

২৮. দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্রাহ্মসমাজ ‘আদি ব্রাহ্মসমাজ’ নামে পরিচিতি লাভ করে।

উত্তর:- ঠিক।

২৯. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য ছিলেন স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়।

উত্তর:- ভুল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য ছিলেন স্যার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।

৩০. কেশবচন্দ্রের আন্দোলনের প্রভাবে সরকার ‘তিন আইন’ (১৮৭২খ্রি.) নামে একটি আইন পাস করে বাল্য ও বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করে এবং অসবর্ণ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়।

উত্তর:- ঠিক।

৩১. শ্রীরামকৃষ্ণ রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

উত্তর:- ভুল, স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

৩২. বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্মসমাজের আচার্য হয়ে পূর্ববঙ্গে আসেন এবং ঢাকায় কেশবচন্দ্র সেনের সঙ্গে কিছুদিন কাজ করেন।

উত্তর:- ঠিক।

৩৩. লালন ফকির তীর্থভ্রমণে বেরিয়ে রোগাক্রান্ত হয়ে মলম শাহ ও তাঁর স্ত্রী মতিজানের সেবায় সুস্থ হয়ে ওঠেন।

উত্তর:- ঠিক।

৩৪. শ্রীরামকৃষ্ণ কাজকর্ম ছেড়ে সংসার ত্যাগের কথা বলেছেন।

উত্তর:- ভুল, শ্রীরামকৃষ্ণ সংসারে থেকে নিষ্কাম কর্মের কথা বলেছিলেন।

৩৫. বোম্বাই-এ বিধবাবিবাহ আন্দোলনে উদ্যোগী হয় প্রার্থনা সমাজ।

উত্তর:- ঠিক।

৩৬. শ্রীরামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর বিজয়কৃষ্ণ ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে সন্ন্যাসধর্ম গ্রহণ করেন এবং নতুন নাম ধারণ করেন স্বামী বিবেকানন্দ।

উত্তর:- ভুল, নরেন্দ্রনাথ দত্ত ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে সন্ন্যাসধর্ম গ্রহণ করেন এবং নতুন নাম ধারণ করেন স্বামী বিবেকানন্দ।

৩৭. পঞ্চদশ আইন পাস করে সতীদাহপ্রথা রদ করা হয়েছিল।

উত্তর:- ভুল, ১৭ নং রেগুলেশন আইন পাস করে সতীদাহপ্রথা রদ করা হয়েছিল।

৩৮. লালন ফকিরের জীবনী প্রথম রচনা করেন বসন্তকুমার পাল।

উত্তর:- ঠিক।

৩৯. অশোক মিত্র উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের (১৭৯৩ খ্রি.) ফল বলে উল্লেখ করেছেন।

উত্তর:- ভুল, অশোক মিত্র উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণকে ‘তথাকথিত নবজাগরণ’ বলে উল্লেখ করেছেন।

৪০. নব্য বৈষ্ণবধর্মের প্রবক্তা হলেন বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী।

উত্তর:- ঠিক।

৪১. ‘নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী’র যুবকরা হিন্দু ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের দেখলে চেঁচিয়ে বলতেন, “আমরা গোরুর মাংস খাই”, কালীঘাটের মন্দিরে মা কালীকে উদ্দেশ্য করে বলতেন, “গুড মর্নিং, ম্যাডাম”।

উত্তর:- ঠিক।

৪২. উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণ ঘটার ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল পাশ্চাত্য শিক্ষা।

উত্তর:- ঠিক।

৪৩. গোঁসাইজি নামে পরিচিত ছিলেন বিজয়কৃয় গোস্বামী।

উত্তর:- ঠিক।

আরোও পড়ুন

Leave a Comment