২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

বাংলায় ছাপাখানা বিস্তারের ইতিহাস সংক্ষেপে আলোচনা

দশম শ্রেণীর ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে বাংলায় ছাপাখানা বিস্তারের ইতিহাস সংক্ষেপে আলোচনা করা হল।

Table of Contents

বাংলায় ছাপাখানা বিস্তারের ইতিহাস সংক্ষেপে আলোচনা

প্রশ্ন:- বাংলায় ছাপাখানা বিস্তারের ইতিহাস সংক্ষেপে আলোচনা কর।

সূচনা :- ১৪৫৪ খ্রিস্টাব্দে জার্মানির গুটেনবার্গ আধুনিক মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কার করার পর এক শতাব্দীর মধ্যে ইউরোপে মুদ্রণ শিল্পের অভাবনীয় প্রসার ঘটে এবং সর্বপ্রথম ভারতের গোয়ায় পর্তুগীজদের হাত ধরে ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে মুদ্রণ যন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। অষ্টাদশ শতকের শেষভাগে পর্তুগিজ মিশনারীরা বাংলায় আধুনিক মুদ্রণ যন্ত্র নিয়ে আসে।

বাংলায় মুদ্রণ যন্ত্রের প্রতিষ্ঠা

পর্তুগীজদের হাত ধরে ভারত এবং বাংলায় আধুনিক মুদ্রণ যন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে জেমস অগাস্টাস হিকি কলকাতায় একটি মুদ্রণ যন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে চার্লস উইলকিনস চুঁচুড়ায় ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮০০খ্রিস্টাব্দেশ্রীরামপুরে খ্রিস্টান মিশনারীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ছাপাখানা শীঘ্রই এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ছাপাখানা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

বাংলা অক্ষরের সূচনা

বাংলায় ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হলে চার্লস উইলকিনস প্রথম বাংলা অক্ষর তৈরি করেন। পরবর্তীতে হুগলি জেলার সুদক্ষ স্বর্ণশিল্পী পঞ্চানন কর্মকার উন্নত মানের বাংলা অক্ষর টাইপ তৈরি করেন।

লাইনোটাইপ অক্ষর তৈরি

পরবর্তীকালে সুরেশ চন্দ্র মজুমদার লাইনোটাইপ নামে আরো উন্নত বাংলা অক্ষরে টাইপ তৈরি করেন। ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে এই অক্ষরে ন্যাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড রচিত “এ গ্রামার অফ দ্য বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ” নামে পূর্ণাঙ্গ বইটি প্রকাশের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষায় বই ছাপা শুরু হয়।

ছাপাখানা প্রসারে বাঙ্গালীদের উদ্যোগ

বাঙালি মালিকানায় গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের উদ্যোগে সর্বপ্রথম ১৮১৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে বহু বাঙালি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করে বইপত্র ও সংবাদপত্র প্রকাশনা জগতে প্রবেশ করে।

পূর্ববঙ্গের ছাপাখানা

পূর্ববঙ্গে ১৮৪৭ খ্রীস্টাব্দে সর্বপ্রথম রংপুরে “বার্তাবহ যন্ত্র” নামে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে আলেকজান্ডার ফারবেখের উদ্যোগে ঢাকা প্রেস প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ভাবে উনিশ শতকের শেষভাগে বাংলার নানা প্রান্তে ছাপাখানার প্রসার ঘটে।

উপসংহার :- বাংলায় আধুনিক ছাপাখানার বিস্তার এবং অগ্রগতিতে যেমন ইউরোপীয়রা ভূমিকা নিয়েছিল ঠিক তেমনি বাঙালিরা সমান ভূমিকা গ্রহণ করেছিল এবং পরবর্তীতে এই ছাপাখানা কে কেন্দ্র করে বাংলা তথা সমগ্র ভারতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (পঞ্চম অধ্যায়) বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ

(উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

৫.১. বাংলায় ছাপাখানার বিকাশ

(৫.১.ক.) ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের সম্বন্ধ
(৫.১.খ.) ছাপাখানার ব্যাবসায়িক উদ্যোগ
(৫.১.গ.) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও ইউ. এন. রায় অ্যান্ড সন্স

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)

৫.২. বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ

(৫.২.ক.) ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স
(৫.২.খ.) কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ
(৫.২.গ.) বসুবিজ্ঞান মন্দির
(৫.২.ঘ.) জাতীয় শিক্ষা পরিষদ
(৫.২.ঙ.) বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)

৫.৩. ঔপনিবেশিক শিক্ষার ধারণার সমালোচনা

(৫.৩.ক.) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শান্তিনিকেতন ভাবনা
(৫.৩.খ.) বিশ্বভারতীর উদ্যোগ
(৫.৩.গ.) প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তা

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখসহ সারণি)

Leave a Comment