২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ👇

👉Chat on WhatsApp

শ্রীরামপুর মিশন কীভাবে একটি অগ্রণী মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়

দশম শ্রেণীর ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়- শ্রীরামপুর মিশন কীভাবে একটি অগ্রণী মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

শ্রীরামপুর মিশন কীভাবে একটি অগ্রণী মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়

প্রশ্ন:- শ্রীরামপুর মিশন কীভাবে একটি অগ্রণী মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়?

ভূমিকা :- উনিশ শতকের প্রথম দিকে শ্রীরামপুরে মুদ্রণযন্ত্র বা ছাপাখানার প্রতিষ্ঠা বহুমাত্রিক অভিধায় বাংলাকে প্রাণচঞ্চল করে তুলেছিল।

মুদ্রণ যন্ত্রের প্রতিষ্ঠা

১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর মিশন ও প্রেসের প্রতিষ্ঠা হলেও শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশনের প্রাণপুরুষ উইলিয়াম কেরি দুবছর আগে থেকেই কাঠের মুদ্রণযন্ত্র ও দেশীয় ভাষা অর্থাৎ বাংলা হরফ সংগ্রহের ব্যবস্থা করেছিলেন। ১৮১২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস সম্ভবত লােহার মুদ্রণযন্ত্রও প্রতিস্থাপিত করেছিল।

প্রকাশনা

শ্রীরামপুর ত্রয়ী’ নামে পরিচিত উইলিয়াম কেরি, জোশুয়া মার্শম্যান ও উইলিয়াম ওয়ার্ডের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় শ্রীরামপুর মিশন প্রেস অচিরেই বাংলার অগ্রণী মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। প্রথম দিকে এই মিশন মূলত ধর্মীয় বই অনুবাদ করতা। এখান থেকে প্রথম ছাপা বই ছিল বাইবেলের বঙ্গানুবাদ মঙ্গল মতিয়ের সমাচার। ক্রমে এখান থেকে ছাত্রদের জন্য অসংখ্য পাঠ্যপুস্তক, পত্র-পত্রিকা যেমন—মাসিক পত্র ‘দিগদর্শন’, সাপ্তাহিক পত্ৰ সমাচার দর্পণ প্রভৃতি ছাড়াও মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের ‘বত্রিশ সিংহাসন’, রাজাবলি; রামরাম বসু লিপিমালা’, কেরির ‘বাংলা ব্যাকরণ’ প্রভৃতি প্রকাশিত হয়।

বাণিজ্যিক বিকাশ

প্রথমে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ও কিছুটা পরে ক্যালকাটা স্কুল বুক সােসাইটির সহযােগি হিসাবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পাঠ্যপুস্তক প্রকাশনায় শ্রীরামপুর মিশন প্রেস উদ্যোগী হয়। ১৮২০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এখানে মুদ্রণযন্ত্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৮টি তে। ১৮০১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে চল্লিশটি ভাষায় দু-লক্ষ বারাে হাজার বই প্রকাশিত হয়েছিল।

উপসংহার :- ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় চার দশক ধরে বাংলা মুদ্রণ ও প্রকাশনার ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস। বাংলার নবজাগরণে তাদের পরােক্ষ অবদান কোনাে মতেই অস্বীকার করা যায় না।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (পঞ্চম অধ্যায়) বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ

(উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

৫.১. বাংলায় ছাপাখানার বিকাশ

(৫.১.ক.) ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের সম্বন্ধ
(৫.১.খ.) ছাপাখানার ব্যাবসায়িক উদ্যোগ
(৫.১.গ.) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও ইউ. এন. রায় অ্যান্ড সন্স

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)

৫.২. বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ

(৫.২.ক.) ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স
(৫.২.খ.) কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ
(৫.২.গ.) বসুবিজ্ঞান মন্দির
(৫.২.ঘ.) জাতীয় শিক্ষা পরিষদ
(৫.২.ঙ.) বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)

৫.৩. ঔপনিবেশিক শিক্ষার ধারণার সমালোচনা

(৫.৩.ক.) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শান্তিনিকেতন ভাবনা
(৫.৩.খ.) বিশ্বভারতীর উদ্যোগ
(৫.৩.গ.) প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তা

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখসহ সারণি)

Leave a Comment