২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

জাতীয় শিক্ষা পরিষদের প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে জাতীয় নেতৃবৃন্দের উদ্যোগ কীরূপ ছিল

দশম শ্রেণীর ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে জাতীয় শিক্ষা পরিষদের প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে জাতীয় নেতৃবৃন্দের উদ্যোগ কীরূপ ছিল তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

জাতীয় শিক্ষা পরিষদের প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে জাতীয় নেতৃবৃন্দের উদ্যোগ

প্রশ্ন:- জাতীয় শিক্ষা পরিষদের প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে জাতীয় নেতৃবৃন্দের উদ্যোগ কীরূপ ছিল?

ভূমিকা:- ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে স্বদেশি আন্দোলন শুরু হলে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে এদেশে স্বদেশি শিক্ষার প্রসারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই বিষয়ে জাতীয় নেতৃবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্ৰহণ করেন।

ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থার বিরোধিতা

দেশীয় নেতৃবৃন্দ বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থার বিরোধিতায় সরব হন ও বিকল্প স্বদেশি ধাঁচের জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য সচেষ্ট হন। সম্ভবত ‘জাতীয় শিক্ষা’ কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন প্রসন্নকুমার ঠাকুর।

বিকল্প সংগঠন

সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দের ১১ মার্চ ৯২ জন সদস্য নিয়ে ‘জাতীয় শিক্ষা পরিষদ’ গড়ে ওঠে।

উদ্দেশ্য

এই পরিষদের প্রধান উদ্দেশ্য হল জাতীয় আদর্শ অনুসারে সাহিত্য, বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষা দান করা, শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশসেবার মনোভাব জাগিয়ে তোলা, নৈতিক শিক্ষা দান করা, মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষার প্রসার ঘটানো প্রভৃতি।

আর্থিক সহায়তা লাভ

জাতীয় শিক্ষা ও জাতীয় শিক্ষা পরিষদের কাজকর্মের প্রসারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ব্যক্তি আর্থিক সহায়তা করেন। এই ব্যাপারে ব্রজেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ৫ লক্ষ টাকা, সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী ২.৫ লক্ষ টাকা এবং সুবোধচন্দ্র মল্লিক ১ লক্ষ টাকা দান করেন।

বেঙ্গল ন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা

জাতীয় শিক্ষা পরিষদের অধীনে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ।

খ্যাতনামা শিক্ষক

রাধাকুমুদ মুখোপাধ্যায়, বিনয়কুমার সরকার, হারানচন্দ্র চাকলাদার, সখারাম গণেশ দেউসকর, ধর্মানন্দ কোশাম্বী প্রমুখ খ্যাতনামা শিক্ষকগণ এখানে শিক্ষাদান করতেন।

জাতীয় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা

দেশীয় শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে জাতীয় শিক্ষা পরিষদের উদ্যোগে বাংলার বিভিন্ন স্থানে জাতীয় বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথাও বলা হয়।

উপসংহার :- বাংলার তৎকালীন জাতীয় নেতৃবৃন্দ একদিকে বিদেশি শিক্ষাব্যবস্থার বিরোধিতায় সরব ছিলেন, অন্যদিকে স্বদেশি শিক্ষার প্রচলনে ও অর্থনৈতিক তহবিল গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করেছিলেন।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (পঞ্চম অধ্যায়) বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ

(উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

৫.১. বাংলায় ছাপাখানার বিকাশ

(৫.১.ক.) ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের সম্বন্ধ
(৫.১.খ.) ছাপাখানার ব্যাবসায়িক উদ্যোগ
(৫.১.গ.) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও ইউ. এন. রায় অ্যান্ড সন্স

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)

৫.২. বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ

(৫.২.ক.) ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স
(৫.২.খ.) কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ
(৫.২.গ.) বসুবিজ্ঞান মন্দির
(৫.২.ঘ.) জাতীয় শিক্ষা পরিষদ
(৫.২.ঙ.) বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)

৫.৩. ঔপনিবেশিক শিক্ষার ধারণার সমালোচনা

(৫.৩.ক.) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শান্তিনিকেতন ভাবনা
(৫.৩.খ.) বিশ্বভারতীর উদ্যোগ
(৫.৩.গ.) প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তা

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখসহ সারণি)

Leave a Comment