দশম শ্রেণীর ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাচিন্তার পরিচয় দেওয়া হল।
বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাচিন্তার পরিচয়
প্রশ্ন:- বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাচিন্তার পরিচয় দাও।
ভূমিকা :- রবীন্দ্রনাথ মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছিলেন যে, প্রকৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে মানুষের জীবন ও অস্তিত্ব ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।তাই তাঁর শিক্ষাভাবনায় প্রকৃতি ও পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়েছিল। বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তাঁর শিক্ষা ভাবনার এই বৈশিষ্ট্যটি বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল।
বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের কাছে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা (১৯২১ খ্রিস্টাব্দ) করেন। এখানে কলাবিদ্যা, অর্থশাস্ত্র, কৃষিতত্ত্ব, স্বাস্থ্যবিদ্যা, পল্লি উন্নয়ন সহ বিভিন্ন ব্যবহারিক শিক্ষার পাঠদান শুরু হয়।
বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহৎ উদ্দেশ্য সামনে রেখে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হয়েছিলেন। তিনি শান্তিনিকেতনে বিশ্বধর্ম ও বিশ্ব সংস্কৃতির মেলবন্ধন তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
বিশ্ববিদ্যার সাধনা
রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ববিদ্যাসাধনার ক্ষেত্র হিসেবে দেখেছেন। তাঁর মতে“বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিশেষ সাধনার ক্ষেত্র। সাধারণভাবে বলা চলে সে সাধনা বিদ্যার সাধনা।” তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য উদ্দেশ্য হল বিদ্যা উদ্ভাবন, গৌণ উদ্দেশ্য হল বিদ্যা দান।
শিক্ষার অবারিত দ্বার
রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার সকলেরজন্য উন্মুক্ত করার পক্ষপাতী ছিলেন।দেশবিদেশের সকল পণ্ডিতও শিক্ষার্থীরা যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যা সাধনার সুযোগ পায়তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেনতিনি।
পাঠক্রমের বৈচিত্র্য
রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে বৈচিত্র্য আনার পক্ষপাতী ছিলেন। এজন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দি ভবন, চিনা ভবন, কৃষি অর্থনৈতিক গবেষণাকেন্দ্র, পল্লি শিক্ষাভবন প্রভৃতির প্রতিষ্ঠা হয়। রবীন্দ্রনাথের আমন্ত্রণে দেশবিদেশের বহু খ্যাতনামা পণ্ডিত এখানে শিক্ষকতা করতে আসেন।
মানবসত্তার বিকাশ
রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার ক্ষেত্রেমানুষের মানবসত্তার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটিয়ে তাকে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণকামী সদস্য হিসেবে গড়ে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “মানুষের অভ্যন্তরের মানুষটিকে পরিচর্যা করে খাঁটি মানুষ বানানোর প্রচেষ্টাই শিক্ষা।”
কেন্দ্রীয় মর্যাদা
ভারতের স্বাধীনতা লাভের পরবর্তী সময়ে ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে।
উপসংহার :- রবীন্দ্রনাথ নিজে এমন এক বিশ্ববিদ্যালয় ভাবনা পোষণ করতেন যেখানে মুক্তচিন্তা, সত্যানুসন্ধান, স্বাধীনতা প্রভৃতির দ্বারা মানুষ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠবে। তাঁর এই ভাবনা বাস্তবায়িত হয়ে উঠেছিল তাঁর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে।
দশম শ্রেণীর ইতিহাস (পঞ্চম অধ্যায়) বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর
দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।
বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ
(উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা
৫.১. বাংলায় ছাপাখানার বিকাশ
- বাংলার ছাপাখানা ও মুদ্রণের ক্ষেত্রে বিদ্যাসাগরের অবদান ব্যাখ্যা করো।
- ছাপাখানার ফলাফল বা প্রভাবগুলিকে তুমি কীভাবে ব্যাখ্যা করবে?
- বাংলায় মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের অবদান কী ছিল?
- শ্রীরামপুর মিশন কীভাবে একটি অগ্রণী মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়?
- বাংলায় ছাপাখানা বিস্তারের ইতিহাস সংক্ষেপে আলোচনা কর।
- বাংলা ছাপাখানার বিকাশে চার্লস উইলকিনসের ভূমিকা কি ছিল?
(৫.১.ক.) ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের সম্বন্ধ
- ছাপাখানায় মুদ্রিত বইপত্রের মাধ্যমে বাংলায় কীভাবে শিক্ষার প্রসার ঘটেছিল?
- বাংলায় গণশিক্ষার প্রসারের ক্ষেত্রে শ্রীরামপুর মিশনের ছাপাখানার কী ভূমিকা ছিল?
- বাংলা পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে ছাপাখানার উদ্যোগের পরিচয় দাও।
- ছাপাখানা স্থাপন ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে শ্রীরামপুর মিশনের অবদান লেখ।
- শিক্ষার প্রসারে উইলিয়াম কেরি ও শ্রীরামপুর মিশনের অবদান কী?
- ছাপার কাজে আধুনিক বাংলা অক্ষর বা হরফ নির্মাণের অগ্রগতির বিবরণ দাও।
- ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলায় শিক্ষার প্রসারে ছাপাখানার কীরূপ ভূমিকা ছিল?
- বাংলায় শিশুশিক্ষার প্রসারে ছাপাখানার কী ভূমিকা ছিল?
- ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করো।
(৫.১.খ.) ছাপাখানার ব্যাবসায়িক উদ্যোগ
- বাংলায় ছাপাখানার ব্যাবসায়িক উদ্যোগ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর।
- বাংলায় ছাপাখানার ব্যবসায়িক উদ্যোগ সম্পর্কে লেখ।
(৫.১.গ.) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও ইউ. এন. রায় অ্যান্ড সন্স
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)
৫.২. বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ
- বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার বিকাশে ড. মহেন্দ্রলাল সরকারের অবদান আলোচনা কর।
- বাংলায় কারিগরি শিক্ষার বিকাশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
- ঔপনিবেশিক আমলে বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করো।
- ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলির ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করো।
- বিজ্ঞান চর্চায় কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ ও বসু বিজ্ঞান মন্দিরের অবদান আলোচনা কর।
(৫.২.ক.) ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স
- ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স (আই এ সি এস)-এর প্রতিষ্ঠা এবং বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে এর ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করো। অথবা, বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স (IACS)-এর অবদান লেখো।
- ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স (আই এ সি এস)-এর প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা সম্পর্কে কী জান। অথবা, ড. মহেন্দ্রলাল সরকার স্মরণীয় কেন?
(৫.২.খ.) কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ
(৫.২.গ.) বসুবিজ্ঞান মন্দির
- টীকা লেখ- বসু বিজ্ঞান মন্দির। অথবা, বিজ্ঞানের গবেষণার ক্ষেত্রে বসু বিজ্ঞান মন্দিরের অবদান আলোচনা করো।
- জগদীশচন্দ্র বসুর বিজ্ঞান গবেষণা উল্লেখ করে ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ প্রতিষ্ঠা ব্যাখ্যা করো।
(৫.২.ঘ.) জাতীয় শিক্ষা পরিষদ
- জাতীয় শিক্ষা পরিষদের উদ্যোগ এবং জাতীয় শিক্ষার প্রসার কেন ব্যর্থ হয়?
- টীকা লেখ: জাতীয় শিক্ষা পরিষদ।
- জাতীয় শিক্ষার প্রসারে জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ভূমিকা কেমন ছিল?
- জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট আলোচনা করো।
- ‘জাতীয় শিক্ষা পরিষদ’ সম্পর্কে আলোচনা করো।
- জাতীয় শিক্ষা পরিষদের প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে জাতীয় নেতৃবৃন্দের উদ্যোগ কীরূপ ছিল?
(৫.২.ঙ.) বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)
৫.৩. ঔপনিবেশিক শিক্ষার ধারণার সমালোচনা
- শিক্ষা সংক্রান্ত ঔপনিবেশিক ধারণার বিরোধিতায় গৃহীত কয়েকটি উদ্যোগের উল্লেখ করো।
- ঔপনিবেশিক শিক্ষার ধারাটিকে কীভাবে সমালোচনা করা যেতে পারে? অথবা, ভারতের ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থাকে তুমি কীভাবে সমালোচনা করবে?
- রবীন্দ্রনাথ কিভাবে উপনিবেশিক শিক্ষা নীতির সমালোচনা করেছিলেন?
(৫.৩.ক.) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শান্তিনিকেতন ভাবনা
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন ভাবনা সম্পর্কে আলোচনা কর।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কি ছিল?
(৫.৩.খ.) বিশ্বভারতীর উদ্যোগ
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে একটি উৎকৃষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়?
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতীর উদ্যোগ সম্পর্কে আলোচনা করো। অথবা, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে টীকা লেখো।
(৫.৩.গ.) প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তা
- প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। অথবা, প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয়ের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রচিন্তা ব্যাখ্যা করো।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাভাবনায় মানুষ সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি কি ছিল?
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখসহ সারণি)