২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ👇

👉Chat on WhatsApp

ছাপাখানা স্থাপন ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে শ্রীরামপুর মিশনের অবদান

দশম শ্রেণীর ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে ছাপাখানা স্থাপন ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে শ্রীরামপুর মিশনের অবদান আলোচনা করা হল।

Table of Contents

ছাপাখানা স্থাপন ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে শ্রীরামপুর মিশনের অবদান

প্রশ্ন:- ছাপাখানা স্থাপন ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে শ্রীরামপুর মিশনের অবদান লেখ।

ভূমিকা :- ডেনমার্ক থেকে আগত শ্রীরামপুরের খ্রিস্টান মিশনারিরা নিজেদের ধর্মীয় প্রচারসহ বেশকিছু জনকল্যাণমূলক উদ্দেশ্যে সেখানে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। এই ছাপাখানা প্রাচ্যের মুদ্রণশিল্পে গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা করে।

ছাপাখানা স্থাপন

শ্রীরামপুর মিশনের খ্রিস্টান মিশনারি উইলিয়ম কেরি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুরে একটি ছাপাখানা স্থাপন করেন, যা এশিয়ার সর্ববৃহৎ এবং বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছাপাখানা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

শ্রীরামপুর ত্রয়ীর উদ্যোগ

শ্রীরামপুর মিশনের উইলিয়াম কেরি, জোশুয়া মার্শম্যান এবং উইলিয়াম ওয়ার্ড (শ্রীরামপুর ত্রয়ী)-এর উদ্যোগে বাংলায় গণশিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটে। ১৮০১-১৮৩২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে শ্রীরামপুরের ছাপাখানা থেকে ৪০টি ভাষায় ২ লক্ষেরও বেশি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।

অনুবাদ প্রকাশ

শ্রীরামপুরের ছাপাখানা থেকে বাংলা, হিন্দি, অসমিয়া, উড়িয়া, মারাঠি, সংস্কৃত প্রভৃতি ভারতীয় ভাষায় বাইবেল, রামায়ণ, মহাভারত প্রভৃতির অনুবাদ ছাপা হয়।

অন্যান্য ছাপার কাজ

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের জন্য পাঠ্যপুস্তক, রামরাম বসুর ‘প্রতাপাদিত্য চরিত্র’, বিভিন্ন ছাত্রদের সংবাদপত্র প্রভৃতিও শ্রীরামপুরের ছাপাখানা থেকে ছাপা হয় ৷

দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সুবিধা

শ্রীরামপুর মিশনের ছাপাখানা থেকে প্রচুর বাংলা পাঠ্যপুস্তক প্রকাশের ফলে সাধারণ মানুষের হাতে খুব কম দামে বা বিনামূল্যে বই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। ফলে গ্রাম-বাংলার দরিদ্র শিক্ষার্থীরা শিক্ষালাভের সুযোগ পায়।

উপসংহার :- শ্রীরামপুরের ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার ফলে মুদ্রিত বইয়ের দাম ছে জনসাধারণের নাগালে চলে আসে। এর ফলে যে শিক্ষা শুধুমাত্র সমাজের উচ্চবর্গের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল তা ক্রমে সর্বসাধারণের মধ্যে ছড়িয়েপড়ে।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (পঞ্চম অধ্যায়) বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ

(উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

৫.১. বাংলায় ছাপাখানার বিকাশ

(৫.১.ক.) ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের সম্বন্ধ
(৫.১.খ.) ছাপাখানার ব্যাবসায়িক উদ্যোগ
(৫.১.গ.) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও ইউ. এন. রায় অ্যান্ড সন্স

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)

৫.২. বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ

(৫.২.ক.) ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স
(৫.২.খ.) কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ
(৫.২.গ.) বসুবিজ্ঞান মন্দির
(৫.২.ঘ.) জাতীয় শিক্ষা পরিষদ
(৫.২.ঙ.) বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)

৫.৩. ঔপনিবেশিক শিক্ষার ধারণার সমালোচনা

(৫.৩.ক.) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শান্তিনিকেতন ভাবনা
(৫.৩.খ.) বিশ্বভারতীর উদ্যোগ
(৫.৩.গ.) প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তা

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখসহ সারণি)

Leave a Comment