২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

নবম শ্রেণীর ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় হতে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

নবম শ্রেণীর ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় হতে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর। নবম শ্রেণী (ষষ্ঠ অধ্যায়) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর। Class 9 History Chapter 6 Short Question Answers.

নবম শ্রেণীর ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় হতে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর)

নবম শ্রেণী (ষষ্ঠ অধ্যায়) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

শ্রেণী নবম
অধ্যায়ষষ্ঠ অধ্যায়
Question Typeসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
Marks2

নবম শ্রেণীর ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

১। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রধান একনায়কতান্ত্রিক শাসকদের নাম উল্লেখ করো।

উত্তর:- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ইউরোপে ক্ষমতা দখলকারী একনায়ক শাসকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ইতালির মুসোলিনি, জার্মানির হিটলার, স্পেনের জেনারেল ফ্রাঙ্কো প্রমুখ।

২। করফু দ্বীপের ঘটনাটি কী?

উত্তর:- গ্রিস ও আলবেনিয়ার মধ্যে সীমানা নির্ধারণের কাজে নিযুক্ত কয়েকজন ইতালীয় প্রতিনিধি ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে নিহত হয়। এই ঘটনার জন্য ইতালির শাসক মুসোলিনি গ্রিসকে দায়ী করে গ্রিসের করফু দ্বীপটি দখল করে নেয়। অবশেষে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইতালিকে প্রচুর ক্ষতিপূরণ দিয়ে গ্রিস করফু দ্বীপটি ফিরে পায়।

৩। ‘তোষণনীতি’ বলতে কী বোঝ?

উত্তর:- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ইতালির মুসোলিনি এবং জার্মানির হিটলার আগ্রাসী নীতি গ্রহণ করে বিভিন্ন দেশ আক্রমণ করলেও ইঙ্গ-ফরাসি শক্তি তা প্রতিরোধের কোনো সক্রিয় উদ্যোগ না নিয়ে ইতালি ও জার্মানির প্রতি উদাসীন নীতি গ্রহণ করে। এটিই তোষণনীতি নামে পরিচিত।

৪। তোষণনীতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য কতটা দায়ী ছিল? 

উত্তর:- ইঙ্গ-ফরাসি শক্তির তোষণনীতির ফলে হিটলার ও মুসোলিনির আগ্রাসী মনোভাব আরও তীব্রতর হয়, ইঙ্গ-ফরাসি শক্তির প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে রাশিয়া ফ্যাসিস্ট শক্তির ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে। ফলস্বরূপ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ত্বরান্বিত হয়।

৫। কবে, কাদের মধ্যে মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?

উত্তর:- ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দের ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চেম্বারলেন, ফরাসি প্রধানমন্ত্রী দালাদিয়ের, জার্মান শাসক হিটলার এবং ইতালির শাসক মুসোলিনির মধ্যে মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

৬। মিউনিখ চুক্তিতে কি স্থির হয়?

মিউনিখ চুক্তিতে সিদ্ধান্ত হয় যে চেকোস্লোভাকিয়ার অধীনস্থ সুদেতান অঞ্চল হস্তান্তর করা হবে। অবশিষ্ট চেকোস্লোভাকিয়ার স্বাধীনতা হিটলার মেনে নেবেন।

৭। ‘আনস্লুস’ কী ?

উত্তর:- জার্মান শাসক হিটলারের নাৎসি বাহিনী ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়া আক্রমণ করে সেখানকার পার্লামেন্ট ভেঙে দেন এবং লোক-দেখানো গণভোটের দ্বারা অস্ট্রিয়াকে জার্মানির সঙ্গে যুক্ত করেন। অস্ট্রিয়ার বিষয়ে হিটলারের এই নীতি ‘আনস্লুস’ নামে পরিচিত।

৮। ‘ক্যাশ ক্যারি’ নীতি সম্পর্কে কী জান?

উত্তর:- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথমদিকে আমেরিকা সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে যোগ না দিলেও মিত্রপক্ষীয় দেশগুলির কাছে অস্ত্রশস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করে। অর্থের বিনিময়ে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির এই নীতি ‘ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি’ নামে পরিচিত।

৯। ‘ডি-ডে’ বা ‘মুক্তি দিবস’ কী ?

উত্তর:- ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ৬ জুন মিত্রপক্ষের চার হাজারেরও বেশি সংখ্যক জাহাজে দেড় লক্ষেরও বেশি সংখ্যক সেনা ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে ফ্রান্সের নর্মান্ডি উপকূলে অবতরণ করে এবং জার্মানির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। এই দিনটি ‘ডি-ডে’ (Deliverance Day) বা ‘মুক্তি দিবস’ নামে পরিচিত।

১০। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কোথায় পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ হয় ?

উত্তর:- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রশক্তিভুক্ত আমেরিকা ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ৬ আগস্ট অক্ষশক্তিভুক্ত জাপানের হিরোশিমা শহরে এবং ৯ আগস্ট নাগাসাকি শহরে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।

১১। ‘আনরা’ কী?

উত্তর:- যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলির মৃতপ্রায় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার উদ্দেশ্যে আমেরিকার নেতৃত্বে জাতিপুঞ্জ ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রশাসন’ (United Nations Relief and Rehabilitation Administration) নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে, যা সংক্ষেপে ‘আনরা’ (UNRRA) নামে পরিচিত।

১২। ‘ফুলটন বক্তৃতা’ কী ?

উত্তর:- ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে আমেরিকার ফুলটন শহরে এক বক্তৃতায় পূর্ব ইউরোপে রুশ প্রভাব বিস্তারের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে আমেরিকাবাসীকে সচেতন করেন। এটিই ‘ফুলটন বক্তৃতা’ নামে পরিচিত।

১৩। ট্রুম্যান নীতি কী?

উত্তর:- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর কমিউনিস্ট রাশিয়ার আধিপত্য প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে মার্কিন রাষ্ট্রপতি হ্যারি ট্রুম্যান ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১২ মার্চ মার্কিন কংগ্রেসে এক বক্তৃতায় ঘোষণা করেন যে, বিশ্বের যে-কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সশস্ত্র সংখ্যালঘু গোষ্ঠী (সমাজতান্ত্রিক গোষ্ঠী) বা বিদেশি রাষ্ট্র (সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র) দ্বারা আক্রান্ত হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আক্রান্ত রাষ্ট্রকে সব রকম সাহায্য করবে। এই ঘোষণা ‘ট্রুম্যান নীতি’ নামে পরিচিত।

১৪। মার্শাল পরিকল্পনা কী?

উত্তর:- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর পশ্চিম ইউরোপে রুশ প্রভাব প্রতিরোধ, মার্কিন অনুগত একটি রাষ্ট্রজোট গঠন ও মার্কিন বাণিজ্যের প্রসার ঘটানো প্রভৃতি উদ্দেশ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জর্জ সি মার্শাল ‘ইউরোপীয় পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা’ (European Recovery Programme বা ERP) ঘোষণা করেন। এটি ‘মার্শাল পরিকল্পনা’ নামে পরিচিত।

১৫। ‘ন্যাটো’ কী?

উত্তর:- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে আমেরিকার নেতৃত্বে তার অনুগামী রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ৪ এপ্রিল এক সামরিক জোট গড়ে ওঠে যা ‘উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা’ (North Atlantic Treaty Organization) বা ‘ন্যাটো’ (NATO) নামে পরিচিত।

১৬। ঠান্ডা লড়াই কী ?

উত্তর:- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে বিশ্বের প্রধান দুই শক্তিধর রাষ্ট্র আমেরিকা ও রাশিয়ার নেতৃত্বে পরস্পর-বিরোধী কয়েকটি শক্তিজোট গড়ে ওঠে। এই শক্তিজোটের মধ্যে প্রকাশ্য যুদ্ধ না হলেও সর্বদা একটি যুদ্ধের পরিবেশ বজায় থাকে। এই ঘটনা ‘ঠাণ্ডা লড়াই’ নামে পরিচিত।

১৭। জাতীয়তাবাদ কাকে বলে?

উত্তর:- জাতি, ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি প্রভৃতি এক বা একাধিক কারণে যখন কোনো জনগোষ্ঠীর মনে গভীর একাত্মবোধ জেগে ওঠে এবং সেই একাত্মবোধের ফলে মানুষ সুখ-দুঃখ, ন্যায়-অন্যায়ের সমান অংশীদার বলে নিজেদেরকে মনে করে তখন সেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে জাতীয়তাবোধের সৃষ্টি হয়। এই জাতীয়তাবোধের সঙ্গে দেশপ্রেম যুক্ত হয়ে যে রাষ্ট্রনৈতিক আদর্শ গড়ে ওঠে তাকে জাতীয়তাবাদ বলে।

১৮। উগ্র জাতীয়তাবাদ কাকে বলে?

উত্তর:- মে জাতীয়তাবাদ বিভিন্ন জাতির মধ্যে সম্প্রীতি ও সহযোগিতার সম্পর্ক ধ্বংস করে জাতি বিদ্বেষ প্রচার করে এবং সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ প্রভৃতি শোষণমূলক ধারণাকে সমর্থন করে তাকে উগ্র জাতীয়তাবাদ বলে।

১৯। আন্তর্জাতিকতাবাদ কাকে বলে?

উত্তর:- যে মানসিকতার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন জাতি নিজেদের দেশ ও সংকীর্ণ গণ্ডি অতিক্রম করে বিশ্বমানবতার সঙ্গে একাত্ম হতে পারে সেই মানসিকতাকে আন্তর্জাতিকতাবাদ বলে।

২০। উগ্র জাতীয়তাবাদ ও আন্তর্জাতিকতাবাদের মধ্যে দুটি পার্থক্য উল্লেখ করো ।

উত্তর:- উগ্র জাতীয়তাবাদ ও আন্তর্জাতিকতাবাদের মধ্যে দুটি প্রধান পার্থক্য হল –

  • (ক) উগ্র জাতীয়তাবাদ বিভিন্ন জাতির মধ্যে বিদ্বেষে উস্কানি দেয়। কিন্তু আন্তর্জাতিকতাবাদ জাতি বিদ্বেষের বিরোধিতা করে।
  • (খ) উগ্র জাতীয়তাবাদ যুদ্ধে উস্কানি দেয়। অন্যদিকে আন্তর্জাতিকতাবাদ যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলে।

Leave a Comment