খ্রিস্টপূর্ব যুগে গ্রীক স্থাপত্য প্রসঙ্গে গ্রীক স্থাপত্যের সূচনা, সামাজিক শিল্প রূপে গ্রীক স্থাপত্য, গ্রীক স্থাপত্যের অন্তর্গত মন্দির, কোষাগার, প্রপিলন, ফাউন্টেন হাউস, কায়ামাসার, প্রেক্ষাগৃহ সম্পর্কে জানব।
প্রাচীন গ্রীক স্থাপত্য সম্পর্কে টীকা
বিষয় | ইতিহাস |
বিশ্ববিদ্যালয় | বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় |
আর্টস | বি.এ. জেনারেল |
সেমিস্টার | দ্বিতীয় |
প্রশ্ন | গ্রীক স্থাপত্য সম্পর্কে টীকা লেখো। |
প্রশ্নমান | ৫ |
পণ্ডিতদের মতে খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীর শেষ দিকে গ্রীক স্থাপত্যের সূচনা হয়। এর পূর্বে গ্রীক স্থাপত্য ছিল অজানা। সেই সময় এথেন্সে এবং অন্যান্য গ্রীক রাষ্ট্রগুলির মধ্যে একাত্মবোধ ছিল। তারা নগরীর গৌরবের সঙ্গে নিজেদের মিশিয়ে দেয়। তাই রাষ্ট্রীয় কাজে নিযুক্ত বহু শিল্পী ছিল যারা বিভিন্ন উৎসবগুলিকে মহিমান্বিত করতো কিন্তু তাদের কর্ম গড়ে উঠেছিল জনগণের স্বার্থকে লক্ষ্য রেখে। মূলত গ্রীক স্থাপত্যকে একটা সামাজিক শিল্প বলা যেতে পারে। এথেন্সের এই চরম শিল্পোন্নতি যুগ বিকশিত হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০-৪০০ অব্দে। গ্রীক স্থাপত্যের অন্তর্গত ছিল মন্দির, কোষাগার, প্রপিলন, ফাউন্টেন হাউস, কায়ামাসার, প্রেক্ষাগৃহ ইত্যাদি। গ্রীক স্থাপত্যে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে ছিল এগুলি। জাদুঘর-এ সংরক্ষিত হওয়ার জন্য গড়ে ওঠে নি, গড়ে উঠেছিল জনস্বার্থের দিকে লক্ষ্য রেখে।
ব্যক্তি প্রতিভাই ছিল এই স্থাপত্যের মূল অবলম্বন। ভারতীয় শিল্প যেমন গোষ্ঠী প্রয়াসের মাধ্যমে গড়ে উঠেছিল এখানে তা ছিল উল্টো। মূলত বাস্তবধর্মী ভঙ্গীতে গ্রীক স্থাপত্য বিকশিত হয়। লোকায়ত ক্ষেত্রে এর বিচরণ ছিল সামান্য। বিষয়বস্তুর সারল্য এবং গঠনের সুবিন্যাস ছিল স্থাপত্যের মূল বিষয়। গ্রীক স্থাপত্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল Trabte স্থপতি। এর অনুসরণ করতে গিয়ে গ্রীক স্থাপত্যে স্তম্ভ ও কড়ির ব্যাপক ব্যবহার হয়েছিল।
গ্রীক স্থাপত্যে ভাস্কর্যের ব্যবহার লক্ষণীয়। প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভাস্কর্য স্থাপত্যকে অতিক্রম করে পৃথক সত্তার রূপ নেয় নি বরং ভাস্কর্যগুলি স্থাপত্যের অঙ্গীভূত হয়ে যেত। মূলত মন্দিরকে কেন্দ্র করেই গ্রীক স্থাপত্য বিকশিত হয়। চারদিক প্রাকার বেষ্ঠিত প্রাঙ্গণের মধ্যে ত্রিস্তর উন্নীত পাদপীঠের উপর মন্দিরগুলি নির্মাণ করা হত। প্রায় সব মন্দিরগুলি ছিল পূর্বমুখী যাতে সকালের সূর্য আলোয় মন্দির আলোকিত হয়।
গ্রীক স্থাপত্যের নতুন রূপ দান করেন গ্রীক স্থপতিগণ। পর্যায়ক্রমে ডোরিক, আইওনিক ও করিন্থিয়ান স্তম্ভের রূপায়নে এদের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। গ্রীক স্থাপত্যের একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল তোরণদ্বার। ডোরিক ও আইওনিক উভয় রীতির স্তম্ভ ব্যবহৃত এথেন্সের এ্যাক্রোপোলিশের সামনে অবস্থিত তোরণ দ্বারটি সর্বাপেক্ষা বিখ্যাত।
(FAQ) গ্রীক স্থাপত্য সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
১. গ্রীক স্থাপত্যের সূচনা হয় কখন?
খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীর শেষ দিকে।
২. গ্রীক স্থাপত্যের কয়েকটি উদাহরণ দাও?
মন্দির, কোষাগার, প্রপিলন, ফাউন্টেন হাউস, কায়ামাসার, প্রেক্ষাগৃহ ইত্যাদি।
৩. গ্রীক স্থাপত্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য কী ছিল?
Trabte স্থপতি।