২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ👇

👉Chat on WhatsApp

টীকা লেখ: বসু বিজ্ঞান মন্দির

দশম শ্রেণীর ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে বসু বিজ্ঞান মন্দির সম্পর্কে টীকা অথবা, বিজ্ঞানের গবেষণার ক্ষেত্রে বসু বিজ্ঞান মন্দিরের অবদান আলোচনা করা হল।

Table of Contents

বসু বিজ্ঞান মন্দির সম্পর্কে টীকা

প্রশ্ন:- টীকা লেখ- বসু বিজ্ঞান মন্দির।

অথবা, বিজ্ঞানের গবেষণার ক্ষেত্রে বসু বিজ্ঞান মন্দিরের অবদান আলোচনা করো।

সূচনা:- আধুনিক বিজ্ঞানচর্চা এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণার উদ্দেশ্যে। ঔপনিবেশিক বাংলা তথা ভারতে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল, তার মধ্যে বসু বিজ্ঞান মন্দির ছিল অগ্রগণ্য।

প্রতিষ্ঠা

১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে খ্যাতনামা বিজ্ঞান সাধক জগদীশচন্দ্র বসু ইংল্যান্ডের রয়্যাল ইনস্টিটিউশনের আদলে কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন বসু বিজ্ঞান মন্দির।

উদ্দেশ্য

স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু তার পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থের বৃহদাংশ ব্যয় করে এই প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছিলেন মূলত ভারতবর্ষে বিশ্বমানের বিজ্ঞান চর্চার পরিকাঠামো গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে।টাকার অভাবে গবেষণার কাজে সমস্যা দেখা দিলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে অর্থ সাহায্য করেন।

বহুমুখী বিজ্ঞানচর্চা

বসু বিজ্ঞান মন্দিরে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োফিজিক্স, পরিবেশ বিজ্ঞান প্রভৃতি শাখায় বিশ্বমানের গবেষণার ব্যবস্থা আছে। তিনি এখানকার গবেষণাপত্র গুলি প্রকাশের জন্য পত্রিকায় প্রকাশের ব্যবস্থা করেন।

পরিচালক সমিতি

বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার পর তার পরিচালনার জন্য একটি তত্ত্বাবধায়ক সমিতি গঠিত হয়। এই সমিতির সদস্যদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নীলরতন সরকার, ভূপেন্দ্রনাথ বসু এবং স্বয়ং জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন উল্লেখযােগ্য।

উল্লেখ যােগ্য আবিষ্কার

বসু বিজ্ঞান মন্দিরে দীর্ঘ গবেষণার পর জগদীশচন্দ্র বসু ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্র আবিষ্কার করেপ্রমাণ করেন যে, উদ্ভিদেরও প্রাণ ও অনুভূতি শক্তি আছে।

মূল্যায়ণ:- বসু বিজ্ঞান মন্দিরের অবদান শুধুমাত্র বাংলাতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, এর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। বিজ্ঞানের গবেষণায় জগদীশচন্দ্র বসুর এই অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ব্রিটিশ সরকার ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে তাকে নাইট বা স্যার উপাধি প্রদান করেন।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (পঞ্চম অধ্যায়) বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ

(উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

৫.১. বাংলায় ছাপাখানার বিকাশ

(৫.১.ক.) ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের সম্বন্ধ
(৫.১.খ.) ছাপাখানার ব্যাবসায়িক উদ্যোগ
(৫.১.গ.) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও ইউ. এন. রায় অ্যান্ড সন্স

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)

৫.২. বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ

(৫.২.ক.) ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স
(৫.২.খ.) কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ
(৫.২.গ.) বসুবিজ্ঞান মন্দির
(৫.২.ঘ.) জাতীয় শিক্ষা পরিষদ
(৫.২.ঙ.) বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)

৫.৩. ঔপনিবেশিক শিক্ষার ধারণার সমালোচনা

(৫.৩.ক.) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শান্তিনিকেতন ভাবনা
(৫.৩.খ.) বিশ্বভারতীর উদ্যোগ
(৫.৩.গ.) প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তা

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখসহ সারণি)

Leave a Comment