২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

নবম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় হতে বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন উত্তর

নবম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় হতে বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন উত্তর। নবম শ্রেণী (চতুর্থ অধ্যায়) শিল্পবিপ্লব, উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ থেকে বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন উত্তর। Class 9 History Chapter 4 Analytical (MARKS-4) Question Answer in Bengali.

Table of Contents

নবম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় হতে বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন উত্তর (শিল্পবিপ্লব, উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ)

নবম শ্রেণী (চতুর্থ অধ্যায়) শিল্পবিপ্লব, উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ থেকে বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন উত্তর

শ্রেণী নবম
অধ্যায়চতুর্থ অধ্যায়
Question Typeবিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন উত্তর
Marks4

নবম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন (MCQ প্রশ্ন উত্তর)

বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্নোত্তর

১। সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব সংঘটিত হওয়ার কারণগুলি কী ছিল?

উত্তর:- ভূমিকা :-অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে ইউরোপ মহাদেশে সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব শুরু হয়। ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম শিল্পবিপ্লব সংঘটিত হওয়ার বিভিন্ন কারণ ছিল।

প্রাকৃতিক পরিবেশ

ইংল্যান্ডের স্যাঁৎসেঁতে আবহাওয়া, খরস্রোতা নদীতে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধা, বায়ুশক্তি ব্যবহারের সুযোগ, কয়লা-লোহা প্রভৃতি খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য প্রভৃতি শিল্পায়নে সহায়তা করেছিল।

শ্রমিকের জোগান

ইংল্যান্ডের গ্রামাঞ্চল থেকে বহু বেকার মানুষ শহরে চলে এসে কলকারখানায় সুলভ শ্রমিক হিসেবে কাজে নিযুক্ত হলে শিল্পায়নের সুবিধা হয়।

কাঁচামালের জোগান

অষ্টাদশ শতকে ইংল্যান্ডে কৃষিবিপ্লবের ফলে শিল্পের প্রয়োজনীয় প্রচুর কাঁচামাল উৎপাদিত হতে থাকে। ইংল্যান্ড তার সুবিশাল ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য থেকে সস্তায় শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।

মূলধনের জোগান

ইংল্যান্ডে ব্যাংক ব্যবস্থার প্রসার, ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রগুলি থেকে অর্থসম্পদ শোষণ প্রভৃতির ফলে ইংল্যান্ডের শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধনের কোনো অভাব হয়নি।

বাজার

ইংল্যান্ডের কৃষকদের আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পেলে তাদের শিল্পপণ্য কেনার ক্ষমতা বাড়ে। আবার ইংল্যান্ড তার ঔপনিবেশিক দেশগুলিতে পণ্য বিক্রির সুযোগ পায়। ফলে শিল্পসামগ্রী বিক্রির সুবিশাল বাজার গড়ে ওঠে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

ইংল্যান্ডের সুবিস্তৃত সমুদ্র উপকূল, উন্নত নৌশক্তি ও বন্দর প্রভৃতির ফলে দূরদূরান্তের সঙ্গে ইংল্যান্ডের যোগাযোগ গড়ে ওঠে। দেশের অভ্যন্তরেও যোগাযোগ ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়।

উপসংহার :- সবশেষে বলা যায়, অষ্টাদশ শতকে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, যেমন – ফ্লাইং শাটল, স্পিনিং জেনি, ওয়াটার ফ্রেম, মিউল প্রভৃতি ইংল্যান্ডের শিল্পায়নের অগ্রগতিতে খুবই সহায়তা করে।

২। শিল্পবিপ্লবের ফলাফল আলোচনা করো।

উত্তর:- ভূমিকা :- ইংল্যান্ড তথা ইউরোপীয় অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজ প্রভৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিল্প বিপ্লবের ব্যাপক ও গভীর ফলাফল লক্ষ্য করা যায়।

সামাজিক ক্ষেত্রে ফল

শিল্পবিপ্লবের ফলে নতুন নতুন শিল্পনগরী গড়ে ওঠে। নগর-সভ্যতার দ্রুত প্রসার ঘটে। শোষক মালিকশ্রেণি এবং শোষিত শ্রমিকশ্রেণির উদ্ভব ঘটে। কৃষিনির্ভরতা হ্রাস পেয়ে শিল্প-বাণিজ্যভিত্তিক সমাজ গড়ে ওঠে।

রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ফল

শিল্পবিপ্লবের ফলে শোষিত শ্রমিকশ্রেণির শোষণ থেকে মুক্তি পাওয়ার উদ্দেশ্যে শ্রমিক আন্দোলন শুরু হয়। রাজনীতিতে পুঁজিপতি মালিকশ্রেণির আধিপত্য বৃদ্ধি পায় এবং ভূস্বামী ও অভিজাত শ্রেণির রাজনৈতিক আধিপত্য ধ্বংস হয়। শ্রমিকদের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক ভাবধারা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ফল

শিল্পবিপ্লবের ফলে কুটিরশিল্প ধ্বংস হয়। ‘ফ্যাক্টরি প্রথা অর্থাৎ বৃহৎ শিল্পকারখানা গড়ে ওঠে। মালিক ও শ্রমিকশ্রেণির অর্থনৈতিক বৈষম্য তীব্রতর হয়। বাণিজ্য-মূলধন শিল্প-মূলধনে পরিণত হয়। শিল্পোন্নত দেশগুলির মধ্যে উপনিবেশ দখলের লড়াই শুরু হয়।

উপসংহার :- ইউরোপ তথা বিশ্ব সভ্যতায় শিল্পবিপ্লবের ফলাফল বা তাৎপর্য এতটাই গভীর যে বর্তমান সভ্যতাকে অনেকেই শিল্পাশ্রয়ী সভ্যতা’ বলে চিহ্নিত করে থাকেন।

৩। টীকা লেখ: ঘেটো

উত্তর:- ভূমিকা :- ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শিল্পের প্রসারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যক্ষ ফল ছিল ‘ঘেটো’ নামে এক বিশেষ ধরনের বসতির প্রতিষ্ঠা ও প্রসার।

‘ঘেটো’ কী?

বিভিন্ন শিল্পশহরের বিশেষ অঞ্চল যেখানে সামাজিক, অর্থনৈতিক বা ধর্মীয় সংখ্যালঘু কিছু মানুষ বসবাস করে, তা ‘ঘেটো’ নামে পরিচিত।

প্রথম ধারণা

‘ঘেটো’ শব্দটি সর্বপ্রথম ইটালির ভেনিস শহরের একটি নির্দিষ্ট অংশকে বোঝানোর উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয় যেখানে ইহুদি জাতির মানুষ বসবাস করত। পরবর্তীতে বহিরাগত মানুষের বসবাসের নির্দিষ্ট অঞ্চলকে ‘ঘেটো’ নামে চিহ্নিত করা হয়।

ঘেটোর প্রসার

শিল্পবিপ্লবের পরবর্তীকালে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স-সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষ কাজের আশায় গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে আসতে থাকে। এইসব বহিরাগত মানুষের অনেকেই স্বল্প বেতনে শহরের কলকারখানায় কাজ করতে থাকে এবং ‘ঘেটো’ অর্থাৎ শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস শুরু করে।

উপসংহার :-‘ঘেটো’র বাসিন্দাদের হতদরিদ্র অবস্থার জন্য তারা শহরের প্রত্যন্ত ঘিঞ্জি বস্তি অঞ্চলে বাস করতে বাধ্য হয়। এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঘেটোর বাসিন্দারা জীর্ণ কুটিরে অনাদরে অবহেলায় বসবাস করে বহু কষ্টে দিন কাটায়।

৪। প্যারি কমিউন সম্পর্কে কি জান?

উত্তর:- ভূমিকা :- ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে ফ্রান্সে বারংবার বিপ্লব ও গণ জাগরণে ফ্রান্সের তৃতীয় সম্প্রদায়ের, বিশেষ করে প্যারিসের দরিদ্র শ্রমিকশ্রেণির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

গঠন

১৮৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৮ মার্চপ্যারিসের দরিদ্র শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘প্যারি কমিউন’ গঠিত হয়।

উদ্দেশ্য

প্যারি কমিউন গঠনের উদ্দেশ্য ছিল প্যারিস নগরীর বিপ্লবী পৌর প্রশাসন পরিচালনা করা, প্যারিসের গৌরব ও মর্যাদা বৃদ্ধি করা এবং ধীরে ধীরে সমগ্র ফ্রান্সের ওপর প্যারি কমিউনের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা।

জনসমর্থন

প্যারি কমিউনের দেশপ্রেম এবং তীব্র জার্মান বিরোধিতা থেকেই দেশের সাধারণ মানুষ প্যারি কমিউনের আন্দোলনে শামিল হয়।

কার্যাবলী

প্যারি কমিউন রাষ্ট্র বা চার্চের নিয়ন্ত্রণ থেকে শিক্ষাব্যবস্থাকে মুক্ত করে এবং শ্রমিকদের কল্যাণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সংস্কার প্রবর্তন করে।

সরকার বিরোধিতা

১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত অস্থায়ী ফরাসি প্রজাতান্ত্রিক সরকার জার্মানির সঙ্গে অমর্যাদাকর ফ্রাঙ্কফোর্টের সন্ধি (১৮৭১ খ্রি.) স্বাক্ষর করলে প্যারি কমিউন প্রজাতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে।

উপসংহার :- প্যারি কমিউন দুই মাস শাসন চালানোর পর ভার্সাই-এর প্রজাতান্ত্রিক সরকার কমিউনের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেয়।

৫। সমাজতান্ত্রিক বা সাম্যবাদী ভাবধারার উদ্ভব ও প্রসার সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তর:- ভূমিকা :- সম্পত্তির ওপর ব্যক্তিগত মালিকানার পরিবর্তে সামাজিক মালিকানা এবং আয় বণ্টনে সাম্য প্রতিষ্ঠার ভাবধারা সাধারণভাবে সমাজতন্ত্র নামে পরিচিত। শিল্পবিপ্লবের পর শোষিত শ্রমিকশ্রেণির মধ্যে সমাজতান্ত্রিক বা সাম্যবাদী ভাবধারা ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

প্রেক্ষাপট

স্বল্প মজুরির বিনিময়ে শ্রমিকদের দিয়ে প্রচুর সময় কাজ করানো, শিল্পপতিদের হাতে বিপুল অর্থসম্পদ সঞ্চিত হওয়া, শ্রমিকদের জীবনে সীমাহীন অভাব-অনটন ও দুর্দশা প্রভৃতির অবসানের উদ্দেশ্যে কিছু চিন্তাবিদ অষ্টাদশ শতকের শেষ ও ঊনবিংশ শতকের শুরুতে সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শ প্রচার করতে শুরু করেন।

মূলনীতি

সমাজতন্ত্রবাদের মূলনীতি গুলি ছিল সম্পত্তিতে ব্যক্তিগত মালিকানার অবসান, উৎপাদনের উপাদানগুলির ওপর সমাজ ও রাষ্ট্রের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা, ধনবণ্টনে অসাম্যের অবসান, শ্রমিক তথা দরিদ্রশ্রেণির কল্যাণসাধন প্রভৃতি।

আদি সমাজতন্ত্রবাদীগণ

সমাজতন্ত্রবাদের সূচনালগ্নে রবার্ট আওয়েন, সাঁ সিমোঁ, শার্ল ফুরিয়ের, লুই ব্লাঁ, প্রুধোঁ প্রমুখ সামজতন্ত্রের মতাদর্শ প্রচার করেন। এই আদি সমাজতন্ত্রবাদীগণ ‘ইউটোপীয়ান’ বা কল্পনাবিলাসী সমাজতন্ত্রী নামে পরিচিত।

বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদীগণ

আদি সমাজতন্ত্রবাদীগণ অর্থনৈতিক বৈষম্যের অবসানের সঠিক দিশা দেখাতে পারেন নি। কার্ল মার্কস ও তাঁর বন্ধু ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস অর্থনৈতিক বৈষম্যের অবসানের বিজ্ঞানভিত্তিক উপায় ব্যাখ্যা করেন। তাঁরা এর নাম দেন ‘সাম্যবাদ’। তাঁরাই বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদী নামে পরিচিত।

উপসংহার :- শোষিত শ্রমিকশ্রেণির মধ্যে সমাজতান্ত্রিক বা সাম্যবাদী ভাবধারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শীঘ্রই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিংশ শতকে রাশিয়া ও চিনে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

৬। সমাজতন্ত্রবাদের প্রসারে কার্ল মার্কসের অবদান কি ছিল?

উত্তর:- ভূমিকা:- ঊনবিংশ শতকের প্রথমভাগে ইউরোপে আদি সমাজতন্ত্রবাদীদের মতাদর্শ সমাজ পরিবর্তনের সঠিক দিশা দেখাতে পারে নি। ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে ইউরোপে কার্ল হাইনরিখ মার্কস তাঁর বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের ধারণা জনপ্রিয় করে তোলেন।

কমিউনিস্ট লিগ প্রতিষ্ঠা

কার্ল মার্কস নিজ দেশ প্রাশিয়া থেকে বিতাড়িত হয়ে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে বন্ধু এঙ্গেলসের সঙ্গে যৌথভাবে কমিউনিস্ট লিগ’ নামে শ্রমিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।

কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো প্রকাশ

মার্কস ও এঙ্গেলস ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনে যৌথভাবে ‘কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো’ নামে একটি কমিউনিস্ট ইস্তাহার প্রকাশ করে আধুনিক সমাজতন্ত্রের বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা দেন। এতে বলা হয়, “মানবসমাজের ইতিহাস হল শ্রেণি- সংগ্রামের ইতিহাস।”

দাস ক্যাপিটাল রচনা

কার্ল মার্কস রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ ‘দাস ক্যাপিটাল’-এ পুঁজিবাদী ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করে শ্রেণি-সংগ্রামের তত্ত্ব তুলে ধরা হয়। এই গ্রন্থটি ‘সমাজতন্ত্রবাদের বাইবেল’ নামে পরিচিত।

মার্কসবাদ

কার্ল মার্কসের বিভিন্ন রচনায় উল্লিখিত তাঁর বৈজ্ঞানিক সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শ ‘মার্কসবাদ’ নামে পরিচিত।

উপসংহার :- মার্কসবাদের গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলি হল দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ, ঐতিহাসিক বস্তুবাদ, উদ্‌বৃত্ত মূল্যতত্ত্ব,শ্রেণিসংগ্রাম ও বিপ্লব।

৭। ফ্যাক্টরি প্রথা সম্পর্কে কী জান?

উত্তর:- অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ইংল্যান্ডে এবং কয়েক দশক পর ইউরোপের অন্যান্য দেশেও শিল্পায়নের প্রসার ঘটে। এই শিল্পায়নের ফলে ফ্যাক্টরি প্রথার উদ্ভব ঘটে।

পূর্বাবস্থা

শিল্পবিপ্লবের আগে গ্রামাঞ্চলে কুটিরশিল্পে একজন কারিগর একাই শিল্পের সমগ্র কাজটি সম্পন্ন করত।

ফ্যাক্টরি প্রথার উদ্ভব

ইউরোপে শিল্পবিপ্লব ঘটার পর শহরাঞ্চলে বড়ো বড়ো ফ্যাক্টরি বা কলকারখানা গড়ে ওঠে। গ্রামাঞ্চলের বহু মানুষ সেইসব কারখানায় শ্রমিক হিসেবে উৎপাদন কার্যে নিযুক্ত হলে ফ্যাক্টরি প্রথার উদ্ভব ঘটে।

শ্রমবিভাজন

ফ্যাক্টরি প্রথা অনুসারে, কারখানায় উৎপাদনের এক-একটি অংশের কাজ এক-একজন শ্রমিককে সম্পন্ন করতে দেওয়া হয়। পরে বিভিন্ন অংশগুলি একত্রিত করে সম্পূর্ণ উৎপাদনটি বাজারে আসে।

ফ্যাক্টরি আইন

ফ্যাক্টরি প্রথায় শ্রমিকরা শোষণে জর্জরিত হয়ে আন্দোলনের পথে পা বাড়ায়। আন্দোলনের চাপে বিভিন্ন দেশের সরকার শ্রমিক কল্যাণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ‘ফ্যাক্টরি আইন’ প্রবর্তন করে।

উপসংহার :- এই প্রথায় কোনো একজন শ্রমিক নিয়মিত একই কাজ করার ফলে সেই কাজটিতে তার দক্ষতা যথেষ্ট বৃদ্ধি পায়। ফলে শিল্পোৎপাদনে উৎকর্ষতা ও গতি উভয়ই বৃদ্ধি পায়।

Leave a Comment