নবম শ্রেণীর ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় হতে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

নবম শ্রেণীর ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় হতে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর। নবম শ্রেণী (সপ্তম অধ্যায়) জাতিসংঘ এবং সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর। Class 9 History Chapter 7 Short Question Answers. 

নবম শ্রেণীর ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় হতে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (জাতিসংঘ এবং সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ)

নবম শ্রেণী (সপ্তম অধ্যায়) জাতিসংঘ এবং সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

শ্রেণী নবম
অধ্যায়সপ্তম অধ্যায়
Question Typeসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
Marks2

নবম শ্রেণীর ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

১। লিগ কভেনান্ট কী?

উত্তর:- প্যারিসের শান্তি সম্মেলনে মার্কিন রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসনের সভপতিত্বে একটি কমিটি ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতিসংঘের খসড়া সংবিধান রচনা করে। এটি ‘লিগ কভেনান্ট’ বা ‘লিগের গঠনতন্ত্র’ বা ‘লিগের চুক্তিপত্র’ নামে পরিচিত।

২। জাতিসংঘের প্রধান উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য কী ছিল ?

উত্তর:- জাতিসংঘের প্রধান উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য ছিল সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিবাদের মীমাংসা করে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা এবং ন্যায় ও সততার ভিত্তিতে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ করা।

৩। লোকার্নো চুক্তি কী?

উত্তর:- জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে লোকার্নো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী ও পরাজিত দেশগুলির মধ্যে বিরোধ দূর করা।

৪। কবে, কাদের মধ্যে কেলগ-ব্রিয়াঁ চুক্তি হয় ? চুক্তির উদ্দেশ্য কী ছিল ?

উত্তর:- ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের ২৭ আগস্ট মার্কিন স্বরাষ্ট্রসচিব ফ্রাঙ্ক কেলগ ও ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরিস্তিদ ব্রিয়াঁ-র মধ্যে কেলগ-ব্রিয়াঁ চুক্তি বা প্যারিসের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

কেলগ-ব্রিয়াঁ চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধ প্রতিরোধ, শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধের মীমাংসা, যৌথ নিরাপত্তা করা প্রভৃতি।

৫। জাপান কবে, কেন জাতিসংঘ ত্যাগ করে ?

উত্তর:- ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে জাপান অন্যায়ভাবে চিনের মাঞ্চুরিয়া দখল করলে চিনের অভিযোগের ভিত্তিতে জাতিসংঘ জাপানের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লিটন কমিশন গঠন করে। এর প্রতিবাদে জাপান ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ ত্যাগ করে।

৬। সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রধান শাখাগুলির নাম লেখো।

উত্তর:- জাতিপুঞ্জের প্রধান শাখাগুলি হল সাধারণ সভা, নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, অছি পরিষদ, আন্তর্জাতিক বিচারালয় ও সচিবালয়।

৭। ‘আটলান্টিক সনদ’ কী?

উত্তর:- মার্কিন রাষ্ট্রপতি রুজভেল্ট ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৯ আগস্ট আটলান্টিক মহাসাগরে ‘প্রিন্স অব ওয়েলস’ নামে এক যুদ্ধজাহাজে গোপন বৈঠকে যোগ দেন এবং যুদ্ধশেষে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও জাতির আত্মত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার সম্পর্কে একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেন। এটি ‘আটলান্টিক সনদ’ নামে পরিচিত।

৮। সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল ?

উত্তর:- সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পৃথিবী থেকে যুদ্ধ দূর করে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা, প্রতিটির জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতি দান, বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা, বিশ্ববাসীর অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রভৃতি ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটানো।

৯। ‘ভিটো’ কী?

উত্তর:- জাতিপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র হল আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চিন। এদের এক বা একাধিক সদস্য নিরাপত্তা পরিষদের কোনো প্রস্তাব নাকচ করলে সেই প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়। স্থায়ী সদস্য-রাষ্ট্রগুলির এই ক্ষমতা ‘ভিটো’ নামে পরিচিত।

১০। কোন্ রাষ্ট্রগুলি জাতিপুঞ্জে ‘ভিটো’ প্রয়োগ করতে পারে?

উত্তর:- জাতিপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ৫ টি সদস্য রাষ্ট্র আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চিন ‘ভিটো’ প্রয়োগ করতে পারে।

১১। জাতিসংঘের কটি ও কী কী দপ্তর ছিল ?

উত্তর:- জাতিসংঘের প্রধান দপ্তর ছিল ৫টি। যথা – সাধারণ সভা, লিগ পরিষদ, সচিবালয়, আন্তর্জাতিক বিচারালয়, আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থা। এ ছাড়া সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা, স্থায়ী তত্ত্বাবধায়ক কমিশন, সংখ্যালঘু সমিতি প্রভৃতি সংস্থাও ছিল।

Leave a Comment