২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

ঔপনিবেশিক শিক্ষার ধারাটিকে কীভাবে সমালোচনা করা যেতে পারে তা আলোচনা কর

দশম শ্রেণীর ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে ঔপনিবেশিক শিক্ষার ধারাটিকে কীভাবে সমালোচনা করা যেতে পারে তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

ঔপনিবেশিক শিক্ষার ধারাটিকে কীভাবে সমালোচনা করা যেতে পারে

প্রশ্ন:- ঔপনিবেশিক শিক্ষার ধারাটিকে কীভাবে সমালোচনা করা যেতে পারে?

অথবা, ভারতের ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থাকে তুমি কীভাবে সমালোচনা করবে?

ভূমিকা :- প্রাচীনকাল থেকেই ভারতে দেশীয় শিক্ষাব্যবস্থার প্রচলন ছিল। কিন্তু ঔপনিবেশিক আমলে ব্রিটিশরা ভারতবাসীর ওপর নিজেদের পাশ্চাত্য শিক্ষাব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়। তবে বিশ শতকের প্রথমার্ধ থেকেই ভারতে ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে নানা সমালোচনা শুরু হয়। এর পরিণতিতে জাতীয় নেতৃত্ব ও ভারতীয় শিক্ষাবিদরা পাশ্চাত্য শিক্ষার বিকল্প হিসেবে জাতীয় শিক্ষার বিকাশ ও বিস্তারে উদ্যোগী হয়েছিলেন।

অনুগত প্রজা তৈরি

মেকলের শিক্ষানীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশদের অনুগত এক ভারতীয় প্রজাসম্প্রদায় তৈরি করা। উডের ডেসপ্যাচের মূল লক্ষ্য ছিল পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষেরা আদতে ভারতীয় হলেও চিন্তাভাবনায় হবে পুরোদস্তুর ইংরেজ, যাদের ওপরে ভর করে এদের ঔপনিবেশিক শাসন স্থায়িত্ব অর্জন করতে পারবে।

প্রাণের ছোঁয়ার অভাব

ঔপনিবেশিক শিক্ষাপ্রণালীর মাধ্যমে পাশ্চাত্যের জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চার সঙ্গে এদেশের ছাত্রছাত্রীদের পরিচয় ঘটলেও, সেই যোগাযোগে প্রাণের ছোঁয়া ছিল না। তাছাড়া এই বিজ্ঞানশিক্ষার সঙ্গে ভারতীয় আধ্যাত্মিকতার এবং দর্শনের কোনো যোগাযোগ ছিল না। রবীন্দ্রনাথ চেয়েছিলেন প্রকৃত পাশ্চাত্য শিক্ষার সঙ্গে প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষার মেলবন্ধন ঘটাতে।

নান্দনিকতার অভাব

প্রশাসনিক কাজের উপযুক্ত কর্মচারী তৈরি করাই ছিল ইংরেজদের ভাষা শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য। সাহিত্য বা ভাষাশিক্ষার সাহায্যে একটা নান্দনিক মন গড়ে তোলার কোনো আগ্রহই তাদের ছিল না। ‘বিদেশি ভাষায় ব্যাকরণ’ এবং মুখস্থবিদ্যার শিলা ‘বর্ষণ’ ঔপনিবেশিক ভাষাশিক্ষাকে ব্যর্থ করে দেয়।

দেশীয় ভাষার প্রতি বঞ্চনা

শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ইংরেজরানিজেদের প্রয়োজনে ইংরেজিকেই বেছে নিয়েছিলেন। শাসকের ভাষায়, শাসকের দৃষ্টিতে ভারতে ইতিহাস থেকে বিজ্ঞান সবকিছু শেখানো হত বলে দেশীয় ভাষা-সংস্কৃতির চর্চা কমে যাচ্ছিল। ফলেশিক্ষা সর্বজনীন না হয়ে মুষ্টিমেয় মানুষের জীবন-জীবিকার উপকরণ হয়ে উঠেছিল।

উপসংহার :- ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা ছিল এক যান্ত্রিক ব্যবস্থা। এই শিক্ষাধারায় শিক্ষার্থীদের স্বাধীন কোনো চিন্তাভাবনার সুযোগ ছিল না। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই শিক্ষাব্যবস্থাকে ‘কেরানিগিরির কল’ বলেঅভিহিত করেছিলেন।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (পঞ্চম অধ্যায়) বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ

(উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

৫.১. বাংলায় ছাপাখানার বিকাশ

(৫.১.ক.) ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের সম্বন্ধ
(৫.১.খ.) ছাপাখানার ব্যাবসায়িক উদ্যোগ
(৫.১.গ.) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও ইউ. এন. রায় অ্যান্ড সন্স

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)

৫.২. বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ

(৫.২.ক.) ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স
(৫.২.খ.) কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ
(৫.২.গ.) বসুবিজ্ঞান মন্দির
(৫.২.ঘ.) জাতীয় শিক্ষা পরিষদ
(৫.২.ঙ.) বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)

৫.৩. ঔপনিবেশিক শিক্ষার ধারণার সমালোচনা

(৫.৩.ক.) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শান্তিনিকেতন ভাবনা
(৫.৩.খ.) বিশ্বভারতীর উদ্যোগ
(৫.৩.গ.) প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তা

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখসহ সারণি)

Leave a Comment