স্পার্টার খেলাধূলা সম্পর্কে আলোচনা

প্রাচীন গ্রিসের নগররাষ্ট্র স্পার্টার খেলাধূলা সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে স্বাধীনতার পূজারী স্পার্টা, সামরিক শিবির স্পার্টা, স্পার্টার নারীদের সঙ্গীতের তালে তালে জিমনাস্টিক, দৌড়-ঝাঁপ, স্পার্টার বর্শা ও ডিসকাস নিক্ষেপ, অশ্বারোহণ, জিমনাস্টিক, এ্যাথলেটিকস এবং অন্যান্য খেলাধুলার চর্চা সম্পর্কে জানব।

নগররাষ্ট্র স্পার্টার খেলাধূলা সম্পর্কে আলোচনা

বিষয় ইতিহাস
বিশ্ববিদ্যালয় বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়
আর্টস বি.এ. জেনারেল
সেমিস্টার দ্বিতীয়
প্রশ্ন স্পার্টার খেলাধূলা আলোচনা করো।
প্রশ্নমান
স্পার্টার খেলাধূলা আলোচনা করো।

এক সময় স্বাধীনতার পূজারী স্পার্টা আনুমানিক খ্রিঃ পূঃ অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে ক্রমশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তিতে পরিণত হয় এবং তখন থেকেই গ্রিস-এর পলিস বা নগররাষ্ট্র স্পার্টা একটি সামরিক শিবিরে পরিণত হয়। এসময় সেখানে সৈনিক তৈরি করার জন্য জিমনাস্টিক, এ্যাথলেটিকস এবং অন্যান্য খেলাধুলার চর্চা শুরু হল। এটা বাধ্যতামূলক ছিল যে শিশু সাত বছর হলেই তাকে রাষ্ট্রীয় বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হবে। সেখানে আচ্ছাদনহীন খোলা মাঠে শিশুদের পায়ের পেশী শক্ত করার জন্য দৌড় ঝাঁপ শেখানো হত। তারা আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত বল খেলত। পরবর্তীকালে বর্শানিক্ষেপ, খালি হাতে মুষ্টি যুদ্ধ, কুস্তি, ‘পাইরিক’ নামক বর্শা ও ঢাল সহযোগে একপ্রকার সমর নৃত্য প্রভৃতি শেখানো হত। 

শিশু যখন আঠারো বছরের যুবক হত তখন তাকে সৈন্যদলে যোগদান করতে হত, যা ছিল বাধ্যতামূলক এবং তিরিশ বছর পর্যন্ত তাদের সামরিক শিক্ষা গ্রহণ করতে হত। আর এই সামরিক শিক্ষার অঙ্গ ছিল-চুরি করা, লুঠতরাজ করতে শেখানো ইত্যাদি। স্পার্টার নারীদের শিক্ষনীয় বিষয় ছিল সঙ্গীতের তালে তালে জিমনাস্টিক, দৌড়-ঝাঁপ, বর্শা ও ডিসকাস নিক্ষেপ, অশ্বারোহণ ইত্যাদি। তবে বিবাহিত নারীরা কোনরকম শরীর চর্চার অন্তর্ভুক্ত ছিল না। স্পার্টা খেলাধূলাকে যেদিন থেকে সামরিক শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ বলে গ্রহণ করল সেদিন থেকে খেলাধূলার নির্মল আনন্দ, পবিত্রতা হারিয়ে গেল।

(FAQ) স্পার্টার খেলাধূলা আলোচনা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. প্রাচীন গ্রিসের কোন নগররাষ্ট্র এক সময় স্বাধীনতার পূজারী ছিল?

স্পার্টা।

২. কত বছর বয়সে স্পার্টার যুবকদের সৈন্যদলে যোগদান করতে হত?

১৮ বছর বয়সে।

৩. স্পার্টায় কী কী খেলাধুলার চর্চা হত?

জিমনাস্টিক, এ্যাথলেটিকস এবং অন্যান্য খেলাধুলা।

Leave a Comment