উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস, চতুর্থ অধ্যায়, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া হতে ছোটো প্রশ্ন উত্তর (SAQ) হতে ছোটো প্রশ্ন উত্তর (SAQ) Short Question Answer গুলি নিম্নে দেওয়া হল।
দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস, চতুর্থ অধ্যায়: সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া হতে ছোটো প্রশ্ন উত্তর (SAQ)
১. মোগল সাম্রাজ্যের অবক্ষয়ের সময় ভারতের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা কয়েকটি আঞ্চলিক শক্তির নাম উল্লেখ করো।
উত্তর:- মোগল সাম্রাজ্যের অবক্ষয়ের সময় ভারতের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আঞ্চলিক শক্তি ছিল বাংলা, হায়দ্রাবাদ, মহীশূর, মারাঠা, পাঞ্জাব প্রভৃতি।
২. অষ্টাদশ শতকে ভারতে আগত কয়েকটি ইউরোপীয় বণিক জাতির নাম লেখো।
উত্তর:- অষ্টাদশ শতকে ভারতে আগত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ইউরোপীয় বণিক জাতি ছিল পোর্তুগিজ, ওলন্দাজ, ইংরেজ, ফরাসি, দিনেমার প্রভৃতি।
৩. মোগল আমলে ভারতে মধ্যবিত্ত শ্রেণির অস্তিত্ব ছিল বলে মনে করেন এমন একজনের বক্তব্য উল্লেখ করো।
উত্তর:- ইকতিদার আলম খান তাঁর ‘দ্য মিডল ক্লাসেস ইন দ্য মোগল এম্পায়ার’ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন যে, মোগল আমলে সরকারি কর্মচারী, উকিল, শিক্ষক, হাকিম, বৈদ্য প্রভৃতি মধ্যবিত্ত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত ছিল।
৪. নবাবি আমলে বাংলায় মধ্যবিত্ত শ্রেণির অস্তিত্ব ছিল বলে মনে করেন এমন একজনের বক্তব্য উল্লেখ করো।
উত্তর:- অধ্যাপক নরেন্দ্রকৃষ্ণ সিংহ মনে করেন যে, নবাবি আমলে বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণির অস্তিত্ব ছিল। বাংলায় ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা, শাসন পরিচালনা, পুলিশ বিভাগ, বিচার ব্যবস্থা প্রভৃতির সঙ্গে যুক্ত লোকজন ছাড়াও পেশাদার ব্যাংকের মালিক, বণিক, মহাজন, কবি, সাহিত্যিক, দরবেশ, হাকিম, বৈদ্য প্রমুখ এই মধ্যবিত্ত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত ছিল।
৫. কবে, কার উদ্যোগে কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়? অথবা, কার উদ্যোগে কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর:- ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে বড়োলাট লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংসের উদ্যোগে কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়।
৬. কবে, কার উদ্যোগে বারাণসীতে সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর:- ১৭৯১ খ্রি. (মতান্তরে ১৭৯২ খ্রি.) জোনাথান ডানকানের উদ্যোগে বারাণসীতে সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
৭. কে, কবে, কোথায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর:- বড়োলাট লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দের ১০ জুলাই কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
৮. কাদের উদ্যোগে শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর:- খ্রিস্টান মিশনারি মার্শম্যান, উইলিয়াম ওয়ার্ড ও উইলিয়াম কেরি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা করেন।
৯. শ্রীরামপুর ত্রয়ী’ কাদের বলা হয়?
উত্তর:- জোশুয়া মার্শম্যান, উইলিয়াম ওয়ার্ড ও উইলিয়াম কেরিকে ‘শ্রীরামপুর ত্রয়ী’ বলা হয়।
১০. জেসুইট মিশনারিদের উদ্যোগে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত দুটি কলেজের নাম লেখো।
উত্তর:- জেসুইট মিশনারিদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত দুটি কলেজ হল সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এবং লরেটো হাউস কলেজ।
১১. কবে, কাদের উদ্যোগে কলকাতায় হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর:- ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে ডেভিড হেয়ার, রাজা রামমোহন রায়, বর্ধমানের মহারাজা তেজচন্দ্র রায়, প্রসন্নকুমার ঠাকুর, রাজা রাধাকান্ত দেব, বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায়, স্যার এডওয়ার্ড হাইড ইস্ট প্রমুখের উদ্যোগে কলকাতায় হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। অবশ্য হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠায় রামমোহন রায়ের অবদানের কথা। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার অস্বীকার করেছেন।
১২. আলেকজান্ডার ডাফ কে ছিলেন?
উত্তর:- আলেকজান্ডার ডাফ ছিলেন একজন স্কটিশ মিশনারি। তিনি ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটাতে উদ্যোগ নেন এবং কলকাতায় স্কটিশ চার্চ কলেজ স্থাপন করেন।
১৩. কে, কবে পটলডাঙ্গা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর:- ডেভিড হেয়ার ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় পটলডাঙ্গা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন।
১৪. কার উদ্যোগে এবং কী উদ্দেশ্যে ‘ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি’ প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর:- ডেভিড হেয়ারের উদ্যোগে ‘ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি’ (১৮১৭ খ্রি.) প্রতিষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল ইংরেজি ভাষায় পাঠ্যপুস্তক রচনা করা।
১৫. কে, কবে ‘কলকাতা স্কুল সোসাইটি’ প্রতিষ্ঠ করেন?
উত্তর:- ডেভিড হেয়ার ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর ‘কলকাতা স্কুল সোসাইটি’ প্রতিষ্ঠা করেন।
১৬. ভারতের ব্রিটিশ সরকার কবে, কার উদ্যোগে এদেশে ইংরেজি শিক্ষার প্রসারকে সরকারি নীতি হিসেবে ঘোষণা করে?
উত্তর:- ভারতের ব্রিটিশ সরকার ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে বড়োলাট লর্ড উইলিয়াম বেন্টিষ্কের সহায়তায় এবং কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন-এর সভাপতি টমাস ব্যাবিংটন মেকলের উদ্যোগে এদেশে ইংরেজি শিক্ষার প্রসারকে সরকারি নীতি হিসেবে ঘোষণা করে।
১৭. চুঁইয়ে পড়া নীতি বা ‘ক্রমনিম্ন পরিশ্রুত নীতি বলতে কী বোঝায়? অথবা, ‘চুঁইয়ে পড়া’ নীতি বলতে কী বোঝ?
উত্তর:- কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন-এর সভাপতি মেকলে বলেন যে, ভারতে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটলে তা মধ্যবিত্তদের মাধ্যমে ক্রমে সাধারণ জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। মেকলের এই পরিকল্পিত নীতি ‘চুঁইয়ে পড়া নীতি’ বা ‘ক্রমনিম্ন পরিশ্রুত নীতি’ নামে পরিচিত।
১৮. উড-এর ডেসপ্যাচ কী?
উত্তর:- ভারতে ব্রিটিশ সরকারের বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি চার্লস উড ১৮৫৪ খ্রিস্টাবে শিক্ষা সংক্রান্ত এক নির্দেশনামা প্রকাশ করেন যা ‘উড-এর ডেসপ্যাচ’ নামে পরিচিত। এই নির্দেশনামা অনুসারে আধুনিক ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।
১৯. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতে কোন্ কোন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
উত্তর:- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজে মোট তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০. ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতের কয়েকজন সমাজ ও ধর্মসংস্কারকের নাম লেখো।
উত্তর:- ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতের কয়েকজন উল্লেখযোগ্য সমাজ ও ধর্মসংস্কারক ছিলেন রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, কেশবচন্দ্র সেন, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, জ্যোতিবা ফুলে, নারায়ণ গুরু, বীরসালিঙ্গম, স্যার সৈয়দ আহমেদ খান প্রমুখ।
২১. কে. কবে আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠা করেন? এই সভার উল্লেখযোগ্য সদস্য কারা ছিলেন?
উত্তর:- রাজা রামমোহন রায় ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠা করেন। আত্মীয় সভার সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন দ্বারকানাথ ঠাকুর, প্রসন্নকুমার ঠাকুর, নন্দকিশোর বসু, রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ প্রমুখ।
২২. কে, কবে ‘ব্রাহ্মসভা’ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর:- রাজা রামমোহন রায় ১৮২৮ (মতান্তরে ১৮২৯) খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্মসভা প্রতিষ্ঠা করেন।
২৩. ব্রাহ্মসভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর:- ব্রাহ্মসভা প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পৌত্তলিকতা ত্যাগ করে নিরাকার পরম ব্রহ্মের উপাসনা। ব্রাহ্মসভা ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে ‘ব্রাহ্মসমাজ’ নাম ধারণ করে
২৪. কে, কবে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ করেন?
উত্তর:- রাজা রামমোহন রায়ের সহায়তায় বড়োলাট লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দের ৪ ডিসেম্বর এক আইনের মাধ্যমে সতীদাহপ্রথা নিষিদ্ধ করেন।
২৫. রাজা রামমোহন রায় কর্তৃক প্রকাশিত দুটি সংবাদপত্রের নাম লেখো।
উত্তর:- রাজা রামমোহন রায় কর্তৃক প্রকাশিত দুটি সংবাদপত্র হল বাংলা ভাষায় ‘সম্বাদ কৌমুদী’ (১৮২১ খ্রি.) এবং ফারসি ভাষায় ‘মিরাৎ-উল-আখবর’ (১৮২২ খ্রি.)।
২৬. রামমোহনের পরবর্তীকালে ব্রাহ্ম আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য দুজন নেতার নাম লেখো।
উত্তর:- রামমোহনের পরবর্তীকালে ব্রাহ্ম আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য দুজন নেতা ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কেশবচন্দ্র সেন।
২৭. কেশবচন্দ্র সেন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি সংগঠনের নাম লেখো।
উত্তর – কেশবচন্দ্র সেন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি সংগঠন হল ‘ব্রাহ্মবন্ধু সভা’ (১৮৬০ খ্রি.), ‘সংগত সভা’ (১৮৬০ খ্রি.), ‘ক্যালকাটা কলেজ’ (১৮৬২ খ্রি.), ‘বামাবোধিনী সভা’ (১৮৬৩ খ্রি.), ‘ব্রাহ্মিকা সমাজ’ (১৮৬৫ খ্রি.) প্রভৃতি।
২৮. কবে, কাদের উদ্যোগে ‘ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ’ প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর – দেবেন্দ্রনাথ কর্তৃক বহিষ্কৃত হওয়ার পর কেশবচন্দ্র সেন ও তাঁর অনুগামী শিবনাথ শাস্ত্রী, রামকুমার বিদ্যারত্ন, দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়, শশীপদ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে ‘ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন।
২৯. কবে, কারা ‘সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর – শিবনাথ শাস্ত্রী, আনন্দমোহন বসু, দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়, দুর্গামোহন দাস প্রমুখ তরুণ ব্রাহ্ম ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দের ১৫ মে ‘সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন।
৩০. ‘নববিধান’ কী? কে, কবে এই নীতি ঘোষণা করেন?
উত্তর – সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ হল ‘নববিধান’। ব্রাহ্ম আন্দোলনের নেতা কেশবচন্দ্র সেন ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে ‘নববিধান’ ঘোষণা করেন।
৩১. নব্যবঙ্গ আন্দোলন বলতে কী বোঝায়? অথবা, নব্যবঙ্গীয় কারা? অথবা, ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলন বলতে কী বোঝ?
উত্তর – উনিশ শতকে ডিরোজিওর নেতৃত্বে একদল তরুণ পুরোনো যুক্তিহীন এবং প্রচলিত হিন্দুধর্মের কুসংস্কারগুলি অন্যায় সামাজিক প্রথাগুলিকে সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলে নতুন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন শুরু করেন। এই তরুণরা ইয়ং বেঙ্গল বা নব্যবঙ্গ এবং তাঁদের আন্দোলন ‘নব্যবঙ্গ আন্দোলন’ নামে পরিচিত।
৩২. কে, কবে ‘অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন’ প্রতিষ্ঠা করেন? এই প্রতিষ্ঠানের মুখপত্রের নাম কী ছিল?
উত্তর – ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনের নেতা হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের মুখপত্রের নাম ছিল ‘এথেনিয়াম’।
৩৩. কে, কবে ‘পার্থেনন’ পত্রিকাটি প্রকাশ করেন?
উত্তর – ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনের অন্যতম নেতা ডিরোজিও ও তাঁর ছাত্ররা মিলে ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে ‘পার্থেনন’ নামে পত্রিকাটি প্রকাশ করেন।
৩৪. ডিরোজিও-র উদ্যোগে প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদপত্রের নাম লেখো।
উত্তর – ডিরোজিও-র উদ্যোগে প্রকাশিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্র ছিল ‘এথেনিয়াম’, ‘পার্থেনন’, ‘ক্যালাইডোস্কোপ’, ‘হেসপেরাস’, ‘ক্যালকাটা লিটারারি গেজেট’ প্রভৃতি।
৩৫. ডিরোজিও-র অনুগামী এবং ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনের অন্যতম কয়েকজন সদস্যের নাম লেখো।
উত্তর – ডিরোজিও-র অনুগামী এবং ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনের কয়েকজন অন্যতম সদস্য ■ ছিলেন কৃল্লমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, রামগোপাল ঘোষ, প্যারীচাঁদ মিত্র, কিশোরীচাঁদ মিত্র, রামতনু লাহিড়ী, দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়, রসিককৃষ্ণ মল্লিক, তারাচাঁদ চক্রবর্তী, শিবচন্দ্র দেব প্রমুখ।
৩৬. ডিরোজিও-র অনুগামীদের প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদপত্রের নাম লেখো।
উত্তর – ডিরোজিও-র অনুগামীদের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পত্রিকা হল ‘জ্ঞানান্বেষণ ‘এনকোয়ারার’, ‘বেঙ্গল স্পেকটেটর’, ‘হিন্দু পাইওনিয়ার’ প্রভৃতি।
৩৭. ডিরোজিও-র অনুগামীদের প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি সংগঠনের নাম লেখো।
উত্তর – ডিরোজিও-র অনুগামীদের প্রতিষ্ঠিত সংগঠনগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল ‘সাধারণ জ্ঞানোপার্জনী সভা’ (১৮৩৬ খ্রি.) এবং ‘বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি’ (১৮৪৩ খ্রি.)।
৩৮. ভারতের কোন্ সন্ন্যাসী কবে শিকাগোর বিশ্বধর্ম সম্মেলনে অদ্বৈত বেদান্তবাদের জয় ঘোষণা করেন?
উত্তর – ভারতের স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে শিকাগোর বিশ্বধর্ম সম্মেলনে অদ্বৈত বেদান্তবাদের জয় ঘোষণা করেন।
৩৯. কে, কী উদ্দেশ্যে রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর – স্বামী বিবেকানন্দ মানবিক আদর্শ ও সমাজ কল্যাণের উদ্দেশ্যে ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ১ মে রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন।
৪০. স্বামী বিবেকানন্দের লেখা দুটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর – স্বামী বিবেকানন্দের লেখা দুটি গ্রন্থ হল ‘পরিব্রাজক’, এবং ‘বর্তমান ভারত’।
৪১. সংস্কৃত শিক্ষার উদ্দেশ্যে বিদ্যাসাগর কর্তৃক রচিত দুটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর – সংস্কৃত শিক্ষার উদ্দেশ্যে বিদ্যাসাগর কর্তৃক রচিত দুটি অন্যতম গ্রন্থ হল ‘সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্রমণিকা’ ও ‘ব্যাকরণ কৌমুদী’।
৪২. কে, কার পৃষ্ঠপোষকতায়, কবে ‘হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুনের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে ‘হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়’ (পরবর্তীকালে নাম হয় বেথুন স্কুল) প্রতিষ্ঠা করেন।
৪৩. কে. কবে মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউশন প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউশন প্রতিষ্ঠা করেন।
৪৪. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ হল ‘বর্ণমালা’, ‘কথামালা ‘বোধোদয়’, ‘নীতিবোধ’, ‘শকুন্তলা’, ‘সীতার বনবাস’ প্রভৃতি।
৪৫. কে, কবে বিধবাবিবাহ আইন পাস করেন? অথবা, হিন্দু বিধবা পুনর্বিবাহ আইন কোন্ সালে প্রবর্তিত হয়?
উত্তর – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সহায়তায় বড়োলাট লর্ড ডালহৌসি ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জুলাই হিন্দু বিধবা পুনর্বিবাহ আইন বা বিধবাবিবাহ আইন পাস করেন।
৪৬. বাংলায় প্রথম কবে, কাদের মধ্যে বিধবাবিবাহ অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর – বাংলায় প্রথম ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে (৭ ডিসেম্বর) শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন ও কালীমতী দেবীর মধ্যে বিধবাবিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।
৪৭. কে, কাকে ‘একজন ঐতিহ্যবাহী আধুনিকতাবাদের প্রবক্তা’ বলে অভিহিত করেছেন?
উত্তর – ঐতিহাসিক ড. অমলেশ ত্রিপাঠী পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে ‘একজন ঐতিহ্যবাহী ‘আধুনিকতাবাদের প্রবস্তা’ বলে অভিহিত করেছেন।
৪৮. ঔপনিবেশিক আমলে বাংলার বাইরে সমাজসংস্কার আন্দোলনের কয়েকজন নেতার নাম লেখো।
উত্তর – ঔপনিবেশিক আমলে বাংলার বাইরে সমাজসংস্কার আন্দোলনের কয়েকজন উল্লেখযোগ্য নেতা ছিলেন জ্যোতিবা ফুলে, শ্রীনারায়ণ গুরু, বীরসালিঙ্গম, স্যার সৈয়দ আহমেদ খান প্রমুখ।
৪৯. প্রার্থনা সমাজ কে প্রতিষ্ঠা করেন? অথবা, প্রার্থনা সমাজ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়? এই সমাজের অন্য দুজন নেতার নাম লেখো।
উত্তর – মহারাষ্ট্রের সমাজসংস্কারক আত্মারাম পান্ডুরঙ্গ ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে মহারাষ্ট্রে ‘প্রার্থনা সমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই সমাজের অন্য দুজন নেতা ছিলেন বিচারপতি মহাদেব গোবিন্দ রানাডে ও ঐতিহাসিক রামকৃয় ভান্ডারকর।
৫০. কে, কবে দাক্ষিণাত্য শিক্ষাসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন? এই সমাজের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত দুটি কলেজের নাম লেখো।
উত্তর – প্রার্থনা সমাজের অন্যতম নেতা মহাদেব গোবিন্দ রানাডে ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে ‘দাক্ষিণাত্য শিক্ষাসমাজ’ বা ডেকান এডুকেশন সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই সমাজের উদ্যোগে পুনার ‘ফারগুসন কলেজ’ (১৮৮৫ খ্রি.) এবং সাংলি-র ‘উইলিংডন কলেজ’ (১৯১৯ খ্রি.) প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫১. কে, কবে, কোথায় ‘সর্বজনিক সভা’ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর – প্রার্থনা সমাজের অন্যতম নেতা মহাদেব গোবিন্দ রানাডে ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে পুনায় ‘সর্বজনিক সভা’ প্রতিষ্ঠা করেন।
৫২. দাদোবা পরমহংসমণ্ডলী সমাজ কে কোন্ সালে গঠন করেন?
উত্তর – দাদোবা পান্ডুরঙ্গ, মেহতাজি দুর্গারাম এবং তাঁদের কতিপয় সঙ্গী মিলে ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে সুরাটে দাদোবা পরমহংসমন্ডলী সমাজ গঠন করেন।
৫৩. কারা, কবে এবং কোথায় প্রথম থিওসফিক্যাল সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর – হেলেনা ব্লাভাটস্কি, কর্নেল এইচ. এস. ওলকট ও উইলিয়াম কোয়ান জাজ ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে ‘থিওসফিক্যাল সোসাইটি’ প্রতিষ্ঠা করেন।
৫৪. কে, কবে আর্যসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর – মহারাষ্ট্রের অন্যতম সমাজসংস্কারক স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে (৭ এপ্রিল) বোম্বাইতে ‘আর্যসমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন।
৫৫. কে, কবে এবং কোথায় দয়ানন্দ অ্যাংলো-বৈদিক কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর – লালা হংসরাজ ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে লাহোরে দয়ানন্দ অ্যাংলো-বৈদিক কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
৫৬. কে ‘গুরুকুল আশ্রম’ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর – স্বামী শ্রদ্ধানন্দ ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে হরিদ্বারে গুরুকুল আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।
৫৭. স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর পরবর্তীকালে আর্যসমাজের কয়েকজন নেতার নাম লেখো।
উত্তর – স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর পরবর্তীকালে আর্যসমাজের কয়েকজন উল্লেখযোগ্য নেতা ছিলেন লালা হংসরাজ, পণ্ডিত গুরু দত্ত, লালা লাজপত রায়, স্বামী শ্রদ্ধানন্দ।
৫৮. ‘Home for Prevention of Infanticide’ প্রতিষ্ঠান কে, কবে গঠন করে?
উত্তর – ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে জ্যোতিবা গোবিন্দরাও ফুলে এবং তাঁর স্ত্রী সাবিত্রীবাঈ ‘Home for Prevention of Infanticide’ গঠন করেন।
৫৯. কে, কবে ‘সত্যশোধক সমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই সমাজের মুখপত্রের নাম কী ছিল?
উত্তর – মহারাষ্ট্রের সমাজসংস্কারক জ্যোতিবা ফুলে ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে সত্যশোধক সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। এই সমাজের মুখপত্রের নাম ছিল ‘দীনমিত্র’।
৬০. জ্যোতিবা ফুলে রচিত কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর – জ্যোতিবা ফুলে রচিত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ হল ‘ব্রাহ্মণাচে কসাব’ (পুরোহিততন্ত্রের স্বরূপ প্রকাশ), ‘শ্বেতকার্যচ অসুদ’ (কৃষকদের চাবুক) এবং ‘গুলামগিরি’।
৬১. কে, কবে ‘শ্রীনারায়ণ ধর্ম প্রতিপালন যোগম’ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর – ‘ শ্রীনারায়ণ গুরু ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে ‘শ্রীনারায়ণ ধর্ম প্রতিপালন যোগম’ প্রতিষ্ঠা করেন।
৬২. বীরসালিঙ্গম কর্তৃক প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদপত্রের নাম লেখো।
উত্তর – বীরসালিঙ্গম কর্তৃক প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদপত্র ছিল ‘চিন্তামণি’, ‘সতীহিতবোধিনী’, ‘সত্যবাদী’ প্রভৃতি।
৬৩. কে, কবে অ্যাংলো-ওরিয়েন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন? অথবা, আলিগড় অ্যাংলো-ওরিয়েন্টাল কলেজ’ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর – স্যার সৈয়দ আহমেদ খান ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে আলিগড়ে ‘অ্যাংলো-ওরিয়েন্টাল কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করেন।
৬৪. আলিগড় আন্দোলন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর – বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে স্যার সৈয়দ আহমদ খান মুসলিম সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে তাদের মধ্যে নবজীবনের সঞ্চার করেন। তিনি যে আলিগড় কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন তাকে কেন্দ্র করে মুসলিম সমাজের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক চিন্তাধারা বিবর্তিত হয়। মুসলিম সমাজের এই জাগরণ ‘আলিগড় আন্দোলন’ নামে পরিচিত।
৬৫. আলিগড় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট কয়েকজন নেতার নাম লেখো।
উত্তর – আলিগড় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট কয়েকজন নেতা ছিলেন চিরাগ আলি আলতাফ হোসেন আলি, মৌলানা শিবলি নোমানি, নাজির আহম্মদ, কবি হালি শিক্ষাবিদ খুদাবক্স প্রমুখ।
৬৬. ‘তিন আইন’ কী? এটি কবে পাস হয়?
উত্তর – ব্রিটিশ সরকার ভারতে বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করা এবং অসবর্ণ বিবাহের স্বীকৃতি দিয়ে একটি আইন পাস করে। এটি ‘তিন আইন’ নামে পরিচিত। ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে তিন আইন পাস হয়।
৬৭. দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন কত খ্রিস্টাব্দে কোন্ বড়োলাট পাস করেন?
উত্তর – দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে বড়োলাট লর্ড লিটন পাস করেন।
৬৮. কবে, কাদের উদ্যোগে ‘শ্রীগুরু সিংহসভা’ স্থাপিত হয়?
উত্তর – ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে সর্দার ঠাকুর সিংহ, বাবা শ্রীখেম সিংহ বেদি ও বিক্রম সিংহ প্রমুখের উদ্যোগে পাঞ্জাবের অমৃতসরে ‘শ্রীগুরু সিংহসভা’ স্থাপিত হয়।
৬৯. কবে, কার উদ্যোগে লাহোরে সিংহসভা স্থাপিত হয়?
উত্তর – ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে অধ্যাপক গুরুমুখ সিংহের উদ্যোগে লাহোরে সিংহসভা স্থাপিত হয়।
৭০. কবে, কোথায় অকালি আন্দোলন শুরু হয়? এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর – ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাবে অকালি আন্দোলন শুরু হয়।
অকালি আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল শিখদের ধর্মীয় স্থান গুরুদ্বারগুলির দুর্নীতি দূর করে সৎ ধর্মীয় পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা।
৭১. কাঁদের উদ্যোগে ‘রেহনুমাই মাজদায়াসন সভা’ বা ধর্মসংস্কার সভা প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর – মহারাষ্ট্রের পারসি সমাজসংস্কারক নওরোজি ফার্দুনজি, দাদাভাই নওরোজি, এস. এস বেঙ্গলি প্রমুখের উদ্যোগে ‘রেহনুমাই মাজদায়াসন সভা’ বা কর্মসংস্কার সভা প্রতিষ্ঠিত হয়।
৭২. সরকার কবে, কার সহায়তায় বিবাহ সম্মতি আইন পাস করে?
উত্তর – সরকার ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে পারসি সংস্কারক বেহরামজি মেরওয়ানজি মালাবারির সহায়তায় বিবাহ সম্মতি আইন পাস করে।
৭৩. র্যালে কমিশন কত সালে গঠিত হয়? এর অপর নাম কী?
উত্তর – ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে র্যালে কমিশন গঠিত হয়। র্যালে কমিশনের অপর নাম ছিল ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন।
৭৪. কবে, কী উদ্দেশ্যে হুইটলি কমিশন নিয়োগ করা হয়?
উত্তর – ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে হুইটলি কমিশন নিয়োগ করা হয়। এই কমিশনের উদ্দেশ্য ছিল শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতি করা।
৭৫. প্রাচ্যবাদী বা ওরিয়েন্টালিস্ট নামে কারা পরিচিত? অথবা, প্রাচ্যবাদী কাদের বলা হয়?
উত্তর – ভারতে ব্রিটিশ শাসনকালে এইচ. টি. প্রিন্সেপ, কোলব্রুক, উইলিয়াম প্রমুখ উচ্চপদস্থ ইংরেজ কর্মচারী ভারতে প্রাচ্য রীতিতে শিক্ষাদানের পক্ষপাতী ছিলেন। এরা প্রাচ্যবাদী বা ওরিয়েন্টালিস্ট নামে পরিচিত।
৭৬. পাশ্চাত্যবাদী বা অ্যাংলিসিস্ট নামে কারা পরিচিত ছিল?
উত্তর – ভারতে ব্রিটিশ শাসনকালে মেকলে, আলেকজান্ডার ডাফ, স্যান্ডার্স, ক্যালভিন প্রমুখ উচ্চপদস্থ ইংরেজ কর্মচারী ভারতে পাশ্চাত্য রীতিতে শিক্ষাদানের পক্ষপাতী ছিলেন। এরা পাশ্চাত্যবাদী বা অ্যাংলিসিস্ট নামে পরিচিত।
৭৭. মেকলের ‘মিনিট’ কী?
উত্তর – বোর্ড অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশনের সভাপতি মেকলে ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে বড়োলাট লর্ড বেন্টিঙ্কের কাছে একটি প্রস্তাব পেশ করে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার সমর্থনে সরাসরি মত প্রকাশ করেন। মেকলের এই প্রস্তাব মেকলের ‘মিনিট’ নামে পরিচিত।
৭৮. প্রাচ্যবিদ্যার গবেষণার কয়েকজন পথপ্রদর্শকের নাম লেখো।
উত্তর – প্রাচ্যবিদ্যার গবেষণার কয়েকজন পথপ্রদর্শক ছিলেন স্যার উইলিয়াম জোনস, ম্যাক্সমুলার, কানিংহাম, প্রিন্সেপ, রাজেন্দ্রলাল মিত্র প্রমুখ।
৭৯. খালসা কলেজ কবে, কোথায় স্থাপিত হয়?
উত্তর – ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাবের অমৃতসরে খালসা কলেজ স্থাপিত হয়।
৮০. কোন্ গভর্নর জেনারেল ‘অ্যাংলিসিস্ট- ওরিয়েন্টালিস্ট বির্তক’-এর অবসান ঘটান?
উত্তর – গভর্নর জেনারেল উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ইংরেজি শিক্ষার প্রসারকে কেন্দ্র করে অ্যাংলিসিস্ট বা পাশ্চাত্যবাদী এবং ওরিয়েন্টালিস্ট অর্থাৎ প্রাচ্যবাদীদের মধ্যেকার বির্তকের অবসান ঘটান।
৮১. চালর্স উড কে ছিলেন?
উত্তর – ভারতে ব্রিটিশ সরকারের বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি ছিলেন চালর্স উড। তিনি এদেশের সরকারি শিক্ষা নীতির ওপর ‘উডের ডেসপ্যাচ’ নামক এক পরিকল্পনা পেশ করেছিলেন।
৮২. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য কে ছিলেন?
উত্তর – কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন জেমস উইলিয়াম কোলভিল।
৮৩. কবে এবং কেন স্যাডলার কমিশন গঠিত হয়?
উত্তর – ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার পরিকল্পনা রূপায়নের লক্ষ্যে ব্রিটিশ সরকার ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে স্যাডলার কমিশন গঠন করে।
৮৪. মানুষ গড়ার আদর্শে কে বিশ্বাসী ছিলেন?
উত্তর – মানবতাবাদী স্বামী বিবেকানন্দ মানুষ গড়ার আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। এই আদর্শ রূপায়নের জন্যই তিনি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
৮৫. কেরালায় কে অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন?
উত্তর – কেরালায় শ্রী নারায়ণ গুরু অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।
৮৬. কলকাতাতে বিদ্যালয় গড়ে তুলেছিলেন এমন কয়েকজন বিদেশির নাম লেখো।
উত্তর – কলকাতাতে বিদ্যালয় গড়ে তুলেছিলেন এমন কয়েকজন বিদেশির নাম হল- শেরবোর্ন, মার্টিন বো, আরটুন পিটার্স, ডেভিড ড্রামন্ড প্রমুখ।
৮৭. বাঙালিদেরকে ‘ভারতমাতার মুকুট’ বলে সম্মানিত করেছিলেন কোন্ রাজনীতিবিদ?
উত্তর – বাঙালিদেরকে ‘ভারতমাতার মুকুট’ বলে সম্মানিত করেছিলেন স্যার সৈয়দ আহমেদ খান।
৮৮. ‘আধুনিক অন্ধ্রের জনক’ এবং ‘অন্ধ্র নবজাগরণের অগ্রদূত’ নামে কে পরিচিত?
উত্তর – কান্দুকুরি বীরসালিঙ্গম পান্তুলুকে ‘আধুনিক অস্ত্রের জনক’ এবং ‘অন্ধ্র নবজাগরণের অগ্রদূত’ বলা হয়।
৮৯. সৈয়দ আহমেদ ছাড়া আলিগড় আন্দোলনের কয়েকজন নেতার নাম লেখো।
উত্তর – সৈয়দ আহমেদ ছাড়া আলিগড় আন্দোলনের কয়েকজন নেতা হলেন-আলি মৌলানা শিবলি নোমানি, কবি হালি, আলতাফ হোসেন, শিক্ষাবিদ খুদাবক্স, চিরাগ আলি, নাজির আহমেদ প্রমুখ।
৯০. একেশ্বরবাদকে সমর্থন জানিয়ে রামমোহন যে পুস্তিকাটি লেখেন তার নাম কী?
উত্তর – একেশ্বরবাদকে সমর্থন জানিয়ে রামমোহন যে পুস্তিকাটি লেখেন তার নাম হল ‘তুহুফৎ উল-মুয়াহিদ্দিন’।
৯১. ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জনক, আধুনিক ভারতের জনক, ভারত পথিক, ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ ইত্যাদি অভিধায় কোন্ ভারতীয়কে ভূষিত করা হয়েছে?
উত্তর – ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জনক, আধুনিক ভারতের জনক, ভারত পথিক, ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ ইত্যাদি অভিধায় রাজা রামমোহন রায়কে ভূষিত করা হয়েছে।
৯২. শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণের ধর্ম দর্শনের মূল কথা কী ছিল?
উত্তর – শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণের ধর্ম দর্শনের মূল কথা ছিল সকল ধর্মের উদ্দেশ্য ঈশ্বর লাভ, শুধু পথ আলাদা।
৯৩. কে বিবেকানন্দকে ‘চিরন্তন মহাপরিব্রাজক’ বলে অভিহিত করেছিলেন?
উত্তর – ঐতিহাসিক অমলেশ ত্রিপাঠি বিবেকানন্দকে ‘চিরন্তন মহাপরিব্রাজক’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
৯৪. নারীদের মধ্যে শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে ‘হিতকারিণী’ সংগঠন কে গড়ে তোলেন?
উত্তর – নারীদের মধ্যে শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে ‘হিতকারিণী’ সংগঠন গড়ে তোলেন কান্দুকুরি বীরসালিঙ্গম পান্তুলু।
৯৫. স্বামীজি কবে শিকাগো বিশ্বধর্ম মহাসম্মেলনে হিন্দু ধর্মের উপর আলোকপাত করেন?
উত্তর – স্বামীজি ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে ১১-২৭ সেপ্টেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে আয়োজিত বিশ্বধর্ম মহাসম্মেলনে হিন্দু ধর্মের উপর আলোকপাত করেন।
৯৬. স্বামীজির লেখা কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর – স্বামীজির লেখা কয়েকটি গ্রন্থের নাম হল-‘বর্তমান ভারত’, ‘পরিব্রাজক’, ‘জ্ঞানযোগ ‘রাজযোগ’ ইত্যাদি।
৯৭. কে, কবে, কোথায় বিধবাবিবাহ সমিতি গঠন করেন?
উত্তর – মহাদেব গোবিন্দ রানাডে মহারাষ্ট্রে ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে বিধবাবিবাহ সমিতি গঠন করেন।
৯৮. ‘থিওসফিক্যাল সোসাইটি’ কথাটির অর্থ কী?
উত্তর – ‘থিওসফিক্যাল সোসাইটি’ কথাটির অর্থ হল ব্রহ্মবিদ্যাচর্চার প্রতিষ্ঠান।
৯৯. কারা ভারতে থিওসফিক্যাল সোসাইটির শাখা প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর – মাদাম ব্লাভাটস্কি ও কর্নেল ওলকট ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে মাদ্রাজের আদিয়ার-এ থিওসফিক্যাল সোসাইটির শাখা প্রতিষ্ঠা করেন।
১০০. কে, কোথায় ‘বেনারস সেন্ট্রাল হিন্দু স্কুল’ স্থাপন করেন?
উত্তর – অ্যানি বেসান্ত নিজে বারাণসীতে ‘বেনারস সেন্ট্রাল হিন্দু স্কুল’ (পরবর্তীকালের বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি) স্থাপন করেন।
১০১. ব্রিটিশ আমলে ভারতীয় সমাজে কৃষিপ্রধান যে নতুন সামাজিক শ্রেণিগুলির উদ্ভব ঘটে তাদের পরিচয় দাও।
উত্তর – নতুন সামাজিক শ্রেণিগুলির মধ্যে ছিল গ্রামে জমিদার, বণিক, মহাজন শ্রেণি এবং শহরে পুঁজিপতি (শিল্প কলকারখানার মালিক, ব্যবসায়ী), রেলপরিবহণ ব্যবস্থা ও খনিতে নিযুক্ত কর্মচারী, চিকিৎসক, শিক্ষক, আইনজীবী, প্রযুক্তিবিদ, কেরানি প্রভৃতি।
১০২. দেবদাসী প্রথা কী?
উত্তর – ছোটোবেলা থেকে অবিবাহিত নারীদের মন্দিরে দেবতাদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হত এবং এরা নাচগানের মধ্য দিয়ে দেবতাদের তুষ্ট করত। মন্দিরে এভাবে নারীদের নিয়োজিত করার প্রথার নাম ছিল দেবদাসী প্রথা।
১০৩. কার আমলে চিনের মহাবিদ্যালয়টি পিকিং ইম্পিরিয়াল ইউনিভার্সিটিতে রূপান্তরিত হয়?
উত্তর – চিনা সম্রাট কোয়াংসু-র আমলে চিনের মহাবিদ্যালয়টি পিকিং ইম্পিরিয়াল ইউনিভার্সিটিতে রূপান্তরিত হয়।
১০৪. ‘সত্যার্থ প্রকাশ’ ও ‘বেদভাষ্য’ গ্রন্থ দুটি কে রচনা করেন?
উত্তর – ‘সত্যার্থ প্রকাশ’ ও ‘বেদভাষ্য’ গ্রন্থ দুটি স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী রচনা করেন।
১০৫. কার উদ্যোগে, কবে, কোথায় ‘দয়ানন্দ-ইঙ্গ- বৈদিক কলেজ’ প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর – লালা হংসরাজের উদ্যোগে ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে লাহোরে ‘দয়ানন্দ-ইঙ্গ-বৈদিক কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১০৬. কোথায়, কার উদ্যোগে একটি বেদচর্চার প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়?
উত্তর – স্বামী শ্রদ্ধানন্দের উদ্যোগে হরিদ্বারে ‘গুরুকুল বিদ্যালয়’ নামে একটি বেদচর্চার প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়।
১০৭. কত খ্রিস্টাব্দে কে ‘গৌ-রক্ষিণী সভা’ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর – ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী ‘গৌ-রক্ষিণী সভা’ প্রতিষ্ঠা করেন।
১০৮. গো হত্যার নিন্দা করে লেখা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর গ্রন্থটির নাম কী?
উত্তর – গো হত্যার নিন্দা করে লেখা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর গ্রন্থের নাম হল ‘গো- করুণানিধি’।
১০৯. ‘পণ্ডিত দয়ানন্দের উন্মোচন’ গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
উত্তর – ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে শিবনারায়ণ অগ্নিহোত্রী ‘পণ্ডিত দয়ানন্দের উন্মোচন’ গ্রন্থটি রচনা করেন।
১১০. কত খ্রিস্টাব্দে, কোথায় ‘হিন্দু মহাসভা’ রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে?
উত্তর – ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে হরিদ্বারের কুম্ভমেলায় ‘হিন্দু মহাসভা’ রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
১১১. ব্রহ্মানন্দ শিবযোগীর লেখা দুটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর – ব্রহ্মানন্দ শিবযোগীর লেখা দুটি গ্রন্থের নাম ‘মোক্ষপ্রদীপম্’, ‘আনন্দসূত্রম’ ইত্যাদি।
১১২. বীরসালিঙ্গম পান্তুলু-র সম্পাদিত পত্রপত্রিকাগুলির নাম উল্লেখ করো।
উত্তর – বীরসালিঙ্গম পান্তুলুর সম্পাদিত পত্রপত্রিকাগুলির নাম হল ‘বিবেকবধিনী’, ‘চিন্তামনি’, ‘সত্যবাদী’, ‘সতীহিতবোধিনী’ ইত্যাদি।
১১৩. পুরুষদের বহুবিবাহের প্রতিবাদে বীরসালিঙ্গম পান্তুলু-র লেখা নাটকটির নাম কী?
উত্তর – পুরুষদের বহুবিবাহের (Polygamy) প্রতিবাদে বীরসালিঙ্গম পান্তুলু-র লেখা নাটকটির নাম হল ‘সত্যরাজাচার্য পূর্বদেশ যাত্রালু’।
১১৪. ‘এজাভা শিবলিঙ্গম’ কী?
উত্তর – নারায়ণ গুরু কর্তৃক সংগঠিত এক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নাম হল ‘এজাভা শিবলিঙ্গম’।
১১৫. কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর – কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক।
১১৬. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর – কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন আলেকজান্ডার ডাফ (২৪ জানুয়ারি ১৮৫৭খ্রি.)।
১১৭. কে, কবে এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর – উইলিয়াম জোনস ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে ১৫ জানুয়ারি কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন।
১১৮. মেকলে কে ছিলেন?
উত্তর – টমাস ব্যাবিংটন মেকলে ছিলেন বড়োলাট উইলিয়াম বেন্টিষ্কের আইনসচিব। তিনি তাঁর বিখ্যাত ‘মিনিট’ বা ‘প্রস্তাব’-এ পাশ্চাত্য শিক্ষার পক্ষে অভিমত দেন।
১১৯. নববিধান ব্রাহ্ম সমাজ কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর – নববিধান ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন কেশবচন্দ্র সেন (১৮৮০ খ্রি.)।
১২০. প্রার্থনা সমাজের কর্মসূচি কী ছিল?
উত্তর – প্রার্থনা সমাজের মূলকর্মসূচিগুলি ছিল অস্পৃশ্যতা বর্জন, পর্দাপ্রথা বর্জন, বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ রদ, মদ্যপান নিবারণ, সমাজের দুস্থদের উন্নয়ন, স্ত্রীশিক্ষার প্রসার, নারীমুক্তির আদর্শ প্রচার এবং শিশু সদন, অনাথ আশ্রম, বিধবা আশ্রম, চিকিৎসালয় স্থাপন প্রভৃতি।
১২১. কাকে ‘বাংলা গদ্যসাহিত্যের জনক’ বলা হয়?
উত্তর – রাজা রামমোহন রায়কে ‘বাংলা গদ্যসাহিত্যের জনক’ বলা হয়। কারণ, তিনি একেশ্বরবাদের প্রস্তাবের জন্য বাংলা পুস্তিকা রচনা, উপনিবেশের বাংলা অনুবাদ প্রভৃতির মাধ্যমে বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশ ঘটান।
১২২. দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কাকে ‘ব্রহ্মানন্দ’ উপাধি দিয়েছিলেন?
উত্তর – দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কেশবচন্দ্র সেনকে ‘ব্রহ্মানন্দ’ উপাধি দিয়েছিলেন (১৮৬২ খ্রি.)।
১২৩. কে, কাকে ভারতের রাজনৈতিক ‘পুনরুজ্জীবনের জনক’ বলে অভিহিত করেছেন?
উত্তর – বিপিনচন্দ্র পাল রামমোহন রায়কে ভারতের রাজনৈতিক ‘পুনরুজ্জীবনের জনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
১২৪. বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র কোনটি?
উত্তর – বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র সমাচার দর্পণ।
১২৫. আর্যসমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর – আর্যসমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল হিন্দুধর্মের ওপর অন্য ধর্মের আক্রমণ প্রতিরোধ করা এবং হিন্দুধর্মের অভ্যন্তরীণ সংস্কার ঘটানো।
১২৬. আলিগড় কলেজের বিভেদপন্থী অধ্যক্ষ কে ছিলেন?
উত্তর – আলিগড় কলেজের বিভেদপন্থী অধ্যক্ষ ছিলেন থিয়োডর বেক।
১২৭. ‘নীলদর্পণ’ নাটকটি কে রচনা করেন?
উত্তর – ‘নীলদর্পণ’ নাটকটি দীনবন্ধু মিত্র রচনা করেন।
১২৮. মহাজনরা গ্রামীণ জীবনে কী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে?
উত্তর – উনবিংশ শতকে ক্রমশ ভারতীয় সমাজজীবনে মহাজনদের প্রভাব বাড়তে থাকে। ফলে তারা গ্রামজীবনে উচ্চশ্রেণি বা এলিট শ্রেণি রূপে আত্মপ্রকাশ করে। মহাজন শ্রেণির ব্যাপক উত্থানের ফলে গ্রামীণ অর্থনৈতিক কাঠামোয় যে পরিবর্তন ঘটে তা গ্রাম সমাজের প্রচলিত কাঠামোয় ফাটল সৃষ্টি করে।
১২৯. পতিদার কাদের বলা হত?
উত্তর – গুজরাটের একটি স্থানীয় মোড়ল বা আধিপত্যকারী সম্প্রদায় ছিল পতিদার। এখানে গ্রামের যৌথ ভূমি ‘পতি’ নামে পরিচিত ছিল। আর ভূমিরাজস্ব আদায়কারীরা পরিচিত হত ‘পতিদার’ নামে। গুজরাটে কুনবিরা সাধারণত পতিদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করত।
১৩০. জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার ফলে পতিদার-বিরোধী আন্দোলনের কী অবস্থা হয়েছিল?
উত্তর – ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পরবর্তীকালে গুজরাটের পতিদার বিরোধী সম্প্রদায়গুলি উপলব্ধি করেছিল যে, পতিদাররাই হল সেখানকার কংগ্রেসের ভিত্তি। পতিদারদের কংগ্রেস-ঘনিষ্ঠতার ফলে পতিদার-বিরোধী সম্প্রদায় ‘স্বতন্ত্র পার্টি’র সমর্থকে পরিণত হয়েছিল।
১৩১. কয়েকটি মহাজনি সম্প্রদায়ের উল্লেখ করো।
উত্তর – ভারতবর্ষের নানা অঞ্চলে মহাজনি সম্প্রদায় বাস করত। উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবে ক্ষত্রী, গুজরাটে বানিয়া, রাজস্থানে মাড়োয়ারি, তামিলনাডুতে চেট্টিয়ার, বাংলায় সাহা ও বণিক প্রভৃতি সম্প্রদায় মহাজনি সম্প্রদায় নামে পরিচিত।
১৩২. কারা ভাগচাষি নামে পরিচিত?
উত্তর – কৃষক সমাজের দ্বিতীয় স্তরে অবস্থান করত বর্গাদার বা ভাগচাষিরা। ধনী কৃষকরা সরাসরি জমি চাষ না করে এদের চাষের দায়িত্ব দিতেন। আসলে, এরা ছিল দরিদ্র কৃষক। মহাজনের ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে মহাজনরা তাদের জমিজমা কেড়ে নেয়। ফলে তারা ভাগচাষিতে পরিণত হয়।
১৩৩. সাউকার কাদের বলা হয়?
উত্তর – দাক্ষিণাত্যের বোম্বাই প্রেসিডেন্সিতে সুদখোর মহাজন শ্রেণি সাউকার নামে পরিচিত ছিল।
১৩৪. কে, কবে ভারতের প্রথম ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর – ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে বি. পি. ওয়াদিয়া ভারতের প্রথম ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করেন।
১৩৫. ব্রিটিশ আমলে শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন বামপন্থী নেতার নাম লেখো।
উত্তর – ব্রিটিশ আমলে শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন বামপন্থী নেতা ছিলেন মুজাফ্ফর আহমেদ, শ্রীপাদ অমৃত ডাঙ্গে, পি. সি. যোশি, হেমন্তকুমার সরকার, কবি নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
১৩৬. কবে, কাদের মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসানো হয়?
উত্তর:- সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে (২০ মার্চ) ৩৩ জন শ্রমিক নেতাকে গ্রেপ্তার করে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসানো হয়। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন মুজাফ্ফর আহমেদ, এস. এ. ডাঙ্গে, পি. সি. যোশি, মীরাজকর, গঙ্গাধর অধিকারী, শিবনাথ ব্যানার্জি, ধরণী গোস্বামী, বেঞ্জামিন ব্রাডলি, ফিলিপ স্প্র্যাট প্রমুখ।
১৩৭. ভারতে কীভাবে আধুনিক শিল্পের সূচনা ঘটে?
উত্তর:- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে বিভিন্ন উদ্যোগে ভারতে আধুনিক শিল্পের সূচনা ঘটে। প্রথমদিকে ব্রিটিশ পুঁজিপতিদের উদ্যোগে এবং পরে ভারতীয় পুঁজিপতিদের উদ্যোগে ভারতে লৌহ-ইস্পাত, কাগজ, চা, পাট, কয়লা, সুতিবস্ত্র, সিমেন্ট, কাচ, দেশলাই, রাসায়নিক শিল্পের বিকাশ ঘটে।
১৩৮. শ্রমিকদের অর্থনৈতিক দুরবস্থার ফল কী হয়েছিল?
উত্তর:- শ্রমিকদের কম মজুরি, তাদের ওপর বিপুল করের বোঝা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রভৃতি তাদের অর্থনৈতিক সংকটের পথে ঠেলে দেয়। ফলে শ্রমিকরা ক্ষুদ্ধ হয়। শ্রমিক অসন্তোষের ফলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিকরা আন্দোলনের পথে পা বাড়ায়।
১৩৯. মীরাট ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত দুজন (বিদেশী) ব্রিটিশ কমিউনিস্টের নাম লেখ।
উত্তর:- মীরাট ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত দুজন বিদেশী হলেন বেঞ্জামিন ব্রাডলি ও ফিলিপ স্প্র্যাট।
১৪০. দলিত কাদের বলা হয়?
উত্তর:- ভারতে ব্রাহ্মণসহ উচ্চবর্ণের শোষণে শোষিত মাহার, নাদার, চামার, হরিজন, নমঃশূদ্র, ইঝাভা প্রভৃতি নিম্নবর্ণের লোকেরা দলিত নামে পরিচিত।
১৪১. ভাইকম সত্যাগ্রহ বলতে কী বোঝ?
উত্তর:- বিংশ শতকের শুরুতেও দক্ষিণ ভারতের ভাইকমে বর্ণহিন্দুদের একটি মন্দিরের নিকটবর্তী রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। নিম্নবর্ণের মানুষের জন্য এই রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রীনারায়ণ গুরু তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন (১৯২৪ খ্রি.) যা ‘ভাইকম সত্যাগ্রহ’ নামে পরিচিত।
১৪২. কাদের মধ্যে পুনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?
উত্তর:- ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে (২৪ সেপ্টেম্বর) কংগ্রেস নেতা মহাত্মা গান্ধি ও তফশিলি নেতা ড. বি. আর. আম্বেদকরের মধ্যে পুনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৪৩. ড. বি. আর. আম্বেদকর কবে কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:- ড. বি. আর আম্বেদকর ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে মধ্যপ্রদেশের মাহার সম্প্রদায়ে জন্মগ্রহণ করেন।
১৪৪. ড. আম্বেদকর কবে কোথায় কোন্ মন্দিরে প্রবেশের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন?
উত্তর:- ড. আম্বেদকর ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে নাসিকের কলারাম মন্দিরে প্রবেশের দাবিতে সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করেন।
১৪৫. কারা, কবে ‘মন্দিরে প্রবেশ-সংক্রান্ত বিল’ পাস করে?
উত্তর:- বোম্বাই-এর প্রাদেশিক কংগ্রেস সরকার ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে ‘মন্দিরে প্রবেশ-সংক্রান্ত বিল’ পাস করে।
১৪৬. দক্ষিণ ভারতে দলিত শ্রেণির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন নেতার নাম লেখো।
উত্তর:- দক্ষিণ ভারতে দলিত শ্রেণির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন নেতা ছিলেন শ্রীনারায়ণ গুরু, এন. কুমারন আসান এবং টি. কে. মাধবন।
১৪৭. বর্ণহিন্দুদের কোন্ কোন্ সংগঠন ভাইকম সত্যাগ্রহকে সমর্থন করে?
উত্তর:- ‘নায়ার সার্ভিস সোসাইটি’, ‘নায়ার সমাজম্’, ‘কেরালা হিন্দুসভা’, ‘যোগক্ষমা সভা’ প্রভৃতি বর্ণহিন্দু সংগঠন ভাইকম সত্যাগ্রহ আন্দোলনকে সমর্থন করে।
১৪৮. কেরালায় কে অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন?
উত্তর:- শ্রীনারায়ণ গুরু কেরালায় অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর সংস্কার আন্দোলনের মূলমন্ত্র ছিল “এক জাতি, এক ধর্ম ও এক ঈশ্বর”।
১৪৯. গুরুবায়ুর মন্দিরের প্রবেশ-সংক্রান্ত কাদের প্রচণ্ড মারধর করা হয়?
উত্তর:- গুরুবায়ুর মন্দিরের প্রবেশ-সংক্রান্ত আন্দোলনে পি. কৃষ্ণ পিল্লাই ও এ. কে. গোপালনকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়।
১৫০. কেলাপ্পান কবে কেন অনশন আন্দোলন করেন?
উত্তর:- কে. কেলাপ্পান সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য গুরুবায়ু মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে (২১ সেপ্টেম্বর) অনশন আন্দোলন শুরু করেন।
১৫১. দিকু কাদের বলা হত?
উত্তর:- ব্রিটিশ শাসনকালে বহিরাগত জমিদার, জোতদার, বণিক, মহাজন, ঠিকাদার, দালাল প্রভৃতি বিভিন্ন স্তরের মধ্যস্বত্বভোগী ব্রিটিশ সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে ভারতের বিভিন্ন আদিবাসী এলাকায় ঢুকে পড়ে। আদিবাসীরা এই বহিরাগতদের ‘দিকু’ বলত।
১৫২. সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম করো।
উত্তর:- সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন নেতা হলেন সিধু ও কান্নু মুর্মু।
১৫৩. বাংলায় নমঃশূদ্রদের দুজন উল্লেখযোগ্য নেতার নাম লেখো।
উত্তর:- বাংলার দুজন গুরুত্বপূর্ণ নমঃশূদ্র নেতা ছিলেন প্রমথরঞ্জন ঠাকুর ও যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
১৫৪. পুনা চুক্তিতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়?
উত্তর – পুনা চুক্তির দ্বারা আম্বেদকর দলিতদের পৃথক নির্বাচনের অধিকারের দাবি থেকে সরে আসেন এবং গান্ধিজিও দলিতদের আরও বেশি সংখ্যক আসন সংরক্ষণের দাবি মেনে নেন।
১৫৫. মাহাদ মার্চ কী?
উত্তর:- সর্বসাধারণের জলাশয় থেকে অস্পৃশ্যরা যাতে জল নেওয়ার অধিকার পায় সেই দাবি আদায়ের উদ্দেশ্যে দলিত নেতা ড. ভীমরাও আম্বেদকরের নেতৃত্বে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে (২০ মার্চ) বোম্বাইয়ের কোলাবা জেলায় চৌদার জলাশয়কে কেন্দ্র একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এটি ‘মাহাদ মার্চ’ নামে পরিচিত।
১৫৬. কে, কবে সর্বভারতীয় নিপীড়িত শ্রেণির কংগ্রেস (All India Depressed Classes Congress) প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর:- ড. বি. আর. আম্বেদকর ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে সর্বভারতীয় নিপীড়িত শ্রেণির কংগ্রেস (All India Depressed Classes Congress) প্রতিষ্ঠা করেন।
১৫৭. সংস্কৃতায়ন আন্দোলন বলতে কী বোঝ?
উত্তর:- উনিশ শতকে একাধিক অস্পৃশ্য ও দলিত সম্প্রদায় সমাজে নিজেদের অবস্থানকে উন্নিত করার লক্ষ্যে বারেবারে যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল তা সংস্কৃতায়ন আন্দোলন নামে পরিচিত।
১৫৮. বাংলার নবজাগরণের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন মনীষীর নাম লেখো।
উত্তর:- বাংলার নবজাগরণের সঙ্গে যুক্ত উল্লেখযোগ্য কয়েকজন মনীষী ছিলেন রাজা রামমোহন রায়, ডিরোজিও, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কেশবচন্দ্র সেন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, স্বামী বিবেকানন্দ প্রমুখ।
১৫৯. বাংলার নবজাগরণের যুগে কয়েকজন বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম লেখো।
উত্তর:- বাংলার নবজাগরণের যুগে কয়েকজন বাঙালি বিজ্ঞানী ছিলেন জগদীশচন্দ্র বসু প্রফুল্লচন্দ্র রায়, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী, মেঘনাদ সাহা প্রমুখ।
১৬০. ভারতে কাদের প্রভাবে এবং কীভাবে ঘড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি পায়?
উত্তর:- ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতে পাশ্চাত্যের অনুকরণে স্কুল-কলেজ ও অফিস-আদালত প্রতিষ্ঠিত হলে এগুলিতে কাজ চলত সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এই সময় অনুসারে কাজের জন্য ঘড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি পায়।
১৬১. বিদেশি ভাষা শিক্ষার উদ্দেশ্যে চিনে কবে, কী নামে কলেজ স্থাপিত হয়?
উত্তর:- বিদেশি ভাষা শিক্ষার উদ্দেশ্যে চিনে ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে তুং ওয়েন কুয়ান নামে কলেজ স্থাপিত হয়।
১৬২. চিনে পাশ্চাত্য ভাবধারার প্রসারে ভূমিকা ছিল এমন কয়েকজন মিশনারির নাম লেখো।
উত্তর:- চিনের পাশ্চাত্য ভাবধারার প্রসারে ভূমিকা ছিল এমন কয়েকজন মিশনারি ছিলেন ব্রিটেনের আলেকজান্ডার উইলিয়ামসন, টি. রিচার্ড এবং আমেরিকার ইয়ং জে. অ্যালেন, এ. পি. মার্টিন প্রমুখ।
১৬৩. চিনের আধুনিক ভাবধারার প্রসারে ভূমিকা ছিল এমন কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর নাম লেখো।
উত্তর:- চিনের আধুনিক ভাবধারার প্রসারে ভূমিকা ছিল এমন কয়েকজন বুদ্ধিজীবী ছিলেন কাং- ইউ-ওয়ে, লিয়াং-চি-চাও, সাই-উয়ান-পেই, চেন-তু-শিউ, হু শী প্রমুখ।
১৬৪. ‘শতদিবসের সংস্কার’ কী? অথবা, একশো দিনের সংস্কার কী ছিল?
উত্তর:- চিনের সম্রাট কোয়াং সু দেশের সংস্কারকদের দাবি মেনে ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে এক সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই সংস্কারকার্য ১০০ দিন ধরে চলে বলে তা ‘শতদিবসের সংস্কার’ নামে পরিচিত।
১৬৫. আধুনিক ভাবধারার প্রসারে প্রকাশিত চিনের কয়েকটি সংবাদপত্রের নাম লেখো।
উত্তর:- আধুনিক ভাবধারার প্রসারে প্রকাশিত চিনের কয়েকটি সংবাদপত্র ছিল ‘জাগরণ’, ‘জ্ঞানের আলো’, ‘নব তারুণ্য’, ‘নতুন জোয়ার’ প্রভৃতি।
১৬৬. কে, কবে, কাদের কাছে একুশ দফা দাবি পেশ করে?
উত্তর:- জাপান ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জানুয়ারি চিনের কাছে একুশ দফা দাবি পেশ করে।
১৬৭. সান-ইয়াৎ-সেন প্রস্তাবিত তিনটি নীতি কী কী ছিল? অথবা, “সান-মিন-চু-আই” বলতে কী বোঝ?
উত্তর:- চিনের সান-ইয়াৎ-সেন ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে ‘চিনা জনগণের জন্য তিনটি নীতি’ অর্থাৎ ‘সান মিন-চু-আই’ ঘোষণা করেন। এই তিনটি নীতি হল – জন-জাতীয়তাবাদ, জন-গণতন্ত্রবাদ ও জন-জীবিকাবাদ বা জন-সমাজবাদ।
১৬৮. কুয়োমিনতাং দলের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তর:- কুয়োমিনতাং দলের প্রতিষ্ঠাতা হলেন সান-ইয়াৎ-সেন (১৯১২ খ্রি.)।
১৬৯. কে, কবে এবং কার বিরুদ্ধে ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’-এর ডাক দেন?
উত্তর:- চিনের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সান-ইয়াৎ-সেন ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে ইউয়ান-সি-কাই-এর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিপ্লব-এর ডাক দেন।
১৭০. কবে, কার নেতৃত্বে ‘তুং-মেং-তুই’ গঠিত হয়?
উত্তর:- ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে চিনের নেতা ড. সান-ইয়াৎ-সেন-এর নেতৃত্বে ‘তুং-মেং-হুই’ গঠিত হয়।
১৭১. চিনে কোন্ বছর মে ফোর্থ আন্দোলন শুরু হয়েছিল? অথবা, ৪ মে আন্দোলন কত খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর:- ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ৪ মে চিনে মে ফোর্থ মুভমেন্ট বা ৪ মে-র আন্দোলন শুরু হয়েছিল।
১৭২. তাইপিং বিদ্রোহ কবে এবং কোথায় হয়েছিল?
উত্তর:- ১৮৫০-৬৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে চিনে তাইপিং বিদ্রোহ হয়েছিল।
১৭৩. কবে, কোথায় ৪মে আন্দোলন শুরু হয়েছিল?
উত্তর:- ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ৪মে পিকিং-এর তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ারে ৪ মে আন্দোলন শুরু হয়েছিল।
১৭৪. চিনে ৪ মে আন্দোলনকে নেতৃত্ব কে দেন?
উত্তর:- চিনে ৪ মে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন চেন-তু শিউ।
১৭৫. ৪ মে আন্দোলনে কোন্ বিশ্ববিদ্যালয় জড়িত ছিল?
উত্তর:- ৪ মে আন্দোলনে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় জড়িত ছিল।
১৭৬. চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক বলতে কী বোঝ?
উত্তর:- কোনো নিয়োগকর্তার অধীনে নির্দিষ্ট বেতনের বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করার চুক্তিতে আবদ্ধ শ্রমিকশ্রেণিকে চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক বলা হয়। উনিশ শতকে ভারত ও চিনের বহু চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক বিদেশে কাজ করতে যায়।
১৭৭. ইংরেজরা এশিয়ার কোন্ কোন্ দেশ থেকে চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক রপ্তানি করত এবং তাদের কোন্ কোন্ কাজে নিয়োগ করত?
উত্তর:- ইংরেজরা এশিয়ার ভারত ও চিন থেকে চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক আফ্রিকার বিভিন্ন উপনিবেশে রপ্তানি করত। সেখানে এই শ্রমিকরা আখ চাষ, চিনি উৎপাদন প্রভৃতি কাজ করত।
১৭৮. ভারতের চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের নিয়ে সর্বপ্রথম জাহাজটি কবে, কোন্ স্থানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়?
উত্তর:- ভারতের চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের নিয়ে সর্বপ্রথম জাহাজটি ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে আফ্রিকার মরিশাসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
১৭৯. বিদেশের কোন্ কোন্ স্থানে ভারতের চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের প্রেরণ করা হত?
উত্তর:- বিদেশের মরিশাস, জামাইকা, ব্রিটিশ গুয়েনা, ট্রিনিদাদ, গ্রানাডা, সেন্ট লুসিয়া, নাটাল প্রভৃতি স্থানে ভারতের চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের প্রেরণ করা হত।
১৮০. বিদেশের কোন্ কোন্ স্থানে চিনা চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের প্রেরণ করা হত?
উত্তর:- বিদেশের ট্রিনিদাদ, আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল, আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, কিউবা প্রভৃতি অঞ্চলে চিনা চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের প্রেরণ করা হত।