দশম শ্রেণীর ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে জগদীশচন্দ্র বসুর বিজ্ঞান গবেষণা উল্লেখ করে ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ প্রতিষ্ঠা ব্যাখ্যা করা হল।
জগদীশচন্দ্র বসুর বিজ্ঞান গবেষণা উল্লেখ করে ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ প্রতিষ্ঠা ব্যাখ্যা
প্রশ্ন:- জগদীশচন্দ্র বসুর বিজ্ঞান গবেষণা উল্লেখ করে ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ প্রতিষ্ঠা ব্যাখ্যা করো।
ভূমিকা :- বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী ও উদ্ভিদবিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন ঔপনিবেশিক ভারতের আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণার পুরোধা। পিতার নির্দেশে তিনি বিজ্ঞান সাধনায় মন দেন এবং পরবর্তীকালে একজন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী হয়ে ওঠেন।
চিকিৎসাশাস্ত্রে অধ্যয়ন
বিজ্ঞানের গবেষণা শুরু করে জগদীশচন্দ্র টানা এক বছর চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে অধ্যয়ন করেন।কিন্তুস্বাস্থ্যের সমস্যা দেখা দিলে তিনিচিকিৎসাশাস্ত্রের চর্চা ছেড়ে ক্রাইস্ট কলেজে ভরতি হয়ে যান।
পদার্থবিদ্যার প্রতি আগ্রহ
১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানবিভাগে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর তিনি পদার্থবিদ্যার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এই কাজে তাঁর প্রধান উৎসাহদাতা ছিলেন রেভারেন্ড ফাদার লাফোন্ট। পরে তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজে যোগ দেন। এই সময় থেকেই তাঁর প্রকৃত গবেষণা জীবনের সূচনা হয়।
পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা
জগদীশচন্দ্র পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর গবেষণা করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বিদ্যুৎতরঙ্গের আলোকধর্মী প্রবণতার মধ্যে প্রতিফলন, সমবর্তী বিচ্ছুরণ, সর্বমোট প্রতিফলন, প্রতিসরণ প্রভৃতি। তাঁর এই গবেষণাগুলি বিজ্ঞানের নতুন নতুন দিক উন্মোচিত করে।
বেতার বার্তা আবিষ্কার
জগদীশ চন্দ্র তার আকাশ-তরঙ্গ ও বৈদ্যুতিক চুম্বক তরঙ্গ গবেষণার সূত্র ধরে বেতার বার্তা আবিষ্কার করেন। তাঁর আবিষ্কৃত ‘ক্রিস্ট্যাল রিসিভার’ যন্ত্রের দ্বারা তিনি কোনোরকম তারের সংযোগ ছাড়াই শব্দ আদানপ্রদানের ব্যবস্থা করেন। নিজের বাসভবন থেকে এক কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অবস্থিত তাঁর কর্মস্থল প্রেসিডেন্সি কলেজে শব্দ প্রেরণের মধ্য দিয়ে তিনি তার এই যন্ত্রের কার্যকারিতা প্রমাণ করেন।
উদ্ভিদবিদ্যার গবেষণা
পদার্থবিদ্যার পাশাপাশি অধ্যাপক জগদীশচন্দ্র উদ্ভিদবিদ্যার ক্ষেত্রেও গবেষণার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। তাঁর আবিষ্কৃত ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্র প্রথম প্রমাণ করে যে উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে। তাঁর এই আবিষ্কার উদ্ভিদবিজ্ঞানের গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করে।
গবেষণামূলক রচনা
জগদীশচন্দ্র বসু বিজ্ঞান গবেষণামূলক অসংখ্য প্রবন্ধ ‘দ্য ফিলোসফিক্যালম্যাগাজিন’, ‘প্রসিডিংস অব দ্য রয়্যাল সোসাইটি’ সহ বিখ্যাতপত্রপত্রিকাগুলিতে প্রকাশিত হত।
বসু বিজ্ঞান মন্দির
১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে জগদীশচন্দ্র বসু প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপকের পদ থেকে ইস্তফা দেন।এরপর তিনি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণার উদ্দেশ্যে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ বা ‘বোস ইন্সটিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করেন।
উপসংহার :- পরাধীন ভারতের বিজ্ঞান গবেষণার অগ্রগতিতে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর অসামান্য অবদান ছিল। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনের ডেইলি এক্সপ্রেস পত্রিকা জগদীশচন্দ্র বসুকে গ্যালিলিয়ো-নিউটনের সমকক্ষ বিজ্ঞানী বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ তাঁর সম্পর্কে লিখেছেন,
“ভারতের কোনও বৃদ্ধ ঋষির তরুণ মূর্তি
তুমি হে আর্য, আচার্য জগদীশ।”
দশম শ্রেণীর ইতিহাস (পঞ্চম অধ্যায়) বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর
দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।
বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ
(উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা
৫.১. বাংলায় ছাপাখানার বিকাশ
- বাংলার ছাপাখানা ও মুদ্রণের ক্ষেত্রে বিদ্যাসাগরের অবদান ব্যাখ্যা করো।
- ছাপাখানার ফলাফল বা প্রভাবগুলিকে তুমি কীভাবে ব্যাখ্যা করবে?
- বাংলায় মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের অবদান কী ছিল?
- শ্রীরামপুর মিশন কীভাবে একটি অগ্রণী মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়?
- বাংলায় ছাপাখানা বিস্তারের ইতিহাস সংক্ষেপে আলোচনা কর।
- বাংলা ছাপাখানার বিকাশে চার্লস উইলকিনসের ভূমিকা কি ছিল?
(৫.১.ক.) ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের সম্বন্ধ
- ছাপাখানায় মুদ্রিত বইপত্রের মাধ্যমে বাংলায় কীভাবে শিক্ষার প্রসার ঘটেছিল?
- বাংলায় গণশিক্ষার প্রসারের ক্ষেত্রে শ্রীরামপুর মিশনের ছাপাখানার কী ভূমিকা ছিল?
- বাংলা পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে ছাপাখানার উদ্যোগের পরিচয় দাও।
- ছাপাখানা স্থাপন ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে শ্রীরামপুর মিশনের অবদান লেখ।
- শিক্ষার প্রসারে উইলিয়াম কেরি ও শ্রীরামপুর মিশনের অবদান কী?
- ছাপার কাজে আধুনিক বাংলা অক্ষর বা হরফ নির্মাণের অগ্রগতির বিবরণ দাও।
- ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলায় শিক্ষার প্রসারে ছাপাখানার কীরূপ ভূমিকা ছিল?
- বাংলায় শিশুশিক্ষার প্রসারে ছাপাখানার কী ভূমিকা ছিল?
- ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করো।
(৫.১.খ.) ছাপাখানার ব্যাবসায়িক উদ্যোগ
- বাংলায় ছাপাখানার ব্যাবসায়িক উদ্যোগ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর।
- বাংলায় ছাপাখানার ব্যবসায়িক উদ্যোগ সম্পর্কে লেখ।
(৫.১.গ.) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও ইউ. এন. রায় অ্যান্ড সন্স
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)
৫.২. বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ
- বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার বিকাশে ড. মহেন্দ্রলাল সরকারের অবদান আলোচনা কর।
- বাংলায় কারিগরি শিক্ষার বিকাশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
- ঔপনিবেশিক আমলে বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করো।
- ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলির ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করো।
- বিজ্ঞান চর্চায় কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ ও বসু বিজ্ঞান মন্দিরের অবদান আলোচনা কর।
(৫.২.ক.) ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স
- ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স (আই এ সি এস)-এর প্রতিষ্ঠা এবং বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে এর ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করো। অথবা, বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স (IACS)-এর অবদান লেখো।
- ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স (আই এ সি এস)-এর প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা সম্পর্কে কী জান। অথবা, ড. মহেন্দ্রলাল সরকার স্মরণীয় কেন?
(৫.২.খ.) কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ
(৫.২.গ.) বসুবিজ্ঞান মন্দির
(৫.২.ঘ.) জাতীয় শিক্ষা পরিষদ
- জাতীয় শিক্ষা পরিষদের উদ্যোগ এবং জাতীয় শিক্ষার প্রসার কেন ব্যর্থ হয়?
- টীকা লেখ: জাতীয় শিক্ষা পরিষদ।
- জাতীয় শিক্ষার প্রসারে জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ভূমিকা কেমন ছিল?
- জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট আলোচনা করো।
- ‘জাতীয় শিক্ষা পরিষদ’ সম্পর্কে আলোচনা করো।
- জাতীয় শিক্ষা পরিষদের প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে জাতীয় নেতৃবৃন্দের উদ্যোগ কীরূপ ছিল?
(৫.২.ঙ.) বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)
৫.৩. ঔপনিবেশিক শিক্ষার ধারণার সমালোচনা
- শিক্ষা সংক্রান্ত ঔপনিবেশিক ধারণার বিরোধিতায় গৃহীত কয়েকটি উদ্যোগের উল্লেখ করো।
- ঔপনিবেশিক শিক্ষার ধারাটিকে কীভাবে সমালোচনা করা যেতে পারে? অথবা, ভারতের ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থাকে তুমি কীভাবে সমালোচনা করবে?
- রবীন্দ্রনাথ কিভাবে উপনিবেশিক শিক্ষা নীতির সমালোচনা করেছিলেন?
(৫.৩.ক.) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শান্তিনিকেতন ভাবনা
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন ভাবনা সম্পর্কে আলোচনা কর।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কি ছিল?
(৫.৩.খ.) বিশ্বভারতীর উদ্যোগ
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে একটি উৎকৃষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়?
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতীর উদ্যোগ সম্পর্কে আলোচনা করো। অথবা, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে টীকা লেখো।
- বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাচিন্তার পরিচয় দাও।
(৫.৩.গ.) প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তা
- প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। অথবা, প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয়ের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রচিন্তা ব্যাখ্যা করো।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাভাবনায় মানুষ সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি কি ছিল?
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখসহ সারণি)