২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

জগদীশচন্দ্র বসুর বিজ্ঞান গবেষণা উল্লেখ করে ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ প্রতিষ্ঠা ব্যাখ্যা করো

দশম শ্রেণীর ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে জগদীশচন্দ্র বসুর বিজ্ঞান গবেষণা উল্লেখ করে ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ প্রতিষ্ঠা ব্যাখ্যা করা হল।

Table of Contents

জগদীশচন্দ্র বসুর বিজ্ঞান গবেষণা উল্লেখ করে ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ প্রতিষ্ঠা ব্যাখ্যা

প্রশ্ন:- জগদীশচন্দ্র বসুর বিজ্ঞান গবেষণা উল্লেখ করে ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ প্রতিষ্ঠা ব্যাখ্যা করো।

ভূমিকা :- বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী ও উদ্ভিদবিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন ঔপনিবেশিক ভারতের আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণার পুরোধা। পিতার নির্দেশে তিনি বিজ্ঞান সাধনায় মন দেন এবং পরবর্তীকালে একজন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী হয়ে ওঠেন।

চিকিৎসাশাস্ত্রে অধ্যয়ন

বিজ্ঞানের গবেষণা শুরু করে জগদীশচন্দ্র টানা এক বছর চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে অধ্যয়ন করেন।কিন্তুস্বাস্থ্যের সমস্যা দেখা দিলে তিনিচিকিৎসাশাস্ত্রের চর্চা ছেড়ে ক্রাইস্ট কলেজে ভরতি হয়ে যান।

পদার্থবিদ্যার প্রতি আগ্রহ

১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানবিভাগে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর তিনি পদার্থবিদ্যার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এই কাজে তাঁর প্রধান উৎসাহদাতা ছিলেন রেভারেন্ড ফাদার লাফোন্ট। পরে তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজে যোগ দেন। এই সময় থেকেই তাঁর প্রকৃত গবেষণা জীবনের সূচনা হয়।

পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা

জগদীশচন্দ্র পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর গবেষণা করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বিদ্যুৎতরঙ্গের আলোকধর্মী প্রবণতার মধ্যে প্রতিফলন, সমবর্তী বিচ্ছুরণ, সর্বমোট প্রতিফলন, প্রতিসরণ প্রভৃতি। তাঁর এই গবেষণাগুলি বিজ্ঞানের নতুন নতুন দিক উন্মোচিত করে।

বেতার বার্তা আবিষ্কার

জগদীশ চন্দ্র তার আকাশ-তরঙ্গ ও বৈদ্যুতিক চুম্বক তরঙ্গ গবেষণার সূত্র ধরে বেতার বার্তা আবিষ্কার করেন। তাঁর আবিষ্কৃত ‘ক্রিস্ট্যাল রিসিভার’ যন্ত্রের দ্বারা তিনি কোনোরকম তারের সংযোগ ছাড়াই শব্দ আদানপ্রদানের ব্যবস্থা করেন। নিজের বাসভবন থেকে এক কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অবস্থিত তাঁর কর্মস্থল প্রেসিডেন্সি কলেজে শব্দ প্রেরণের মধ্য দিয়ে তিনি তার এই যন্ত্রের কার্যকারিতা প্রমাণ করেন।

উদ্ভিদবিদ্যার গবেষণা

পদার্থবিদ্যার পাশাপাশি অধ্যাপক জগদীশচন্দ্র উদ্ভিদবিদ্যার ক্ষেত্রেও গবেষণার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। তাঁর আবিষ্কৃত ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্র প্রথম প্রমাণ করে যে উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে। তাঁর এই আবিষ্কার উদ্ভিদবিজ্ঞানের গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করে।

গবেষণামূলক রচনা

জগদীশচন্দ্র বসু বিজ্ঞান গবেষণামূলক অসংখ্য প্রবন্ধ ‘দ্য ফিলোসফিক্যালম্যাগাজিন’, ‘প্রসিডিংস অব দ্য রয়্যাল সোসাইটি’ সহ বিখ্যাতপত্রপত্রিকাগুলিতে প্রকাশিত হত।

বসু বিজ্ঞান মন্দির

১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে জগদীশচন্দ্র বসু প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপকের পদ থেকে ইস্তফা দেন।এরপর তিনি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণার উদ্দেশ্যে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ বা ‘বোস ইন্সটিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করেন।

উপসংহার :- পরাধীন ভারতের বিজ্ঞান গবেষণার অগ্রগতিতে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর অসামান্য অবদান ছিল। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনের ডেইলি এক্সপ্রেস পত্রিকা জগদীশচন্দ্র বসুকে গ্যালিলিয়ো-নিউটনের সমকক্ষ বিজ্ঞানী বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ তাঁর সম্পর্কে লিখেছেন,

“ভারতের কোনও বৃদ্ধ ঋষির তরুণ মূর্তি

তুমি হে আর্য, আচার্য জগদীশ।”

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (পঞ্চম অধ্যায়) বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ

(উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

৫.১. বাংলায় ছাপাখানার বিকাশ

(৫.১.ক.) ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের সম্বন্ধ
(৫.১.খ.) ছাপাখানার ব্যাবসায়িক উদ্যোগ
(৫.১.গ.) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও ইউ. এন. রায় অ্যান্ড সন্স

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)

৫.২. বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ

(৫.২.ক.) ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স
(৫.২.খ.) কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ
(৫.২.গ.) বসুবিজ্ঞান মন্দির
(৫.২.ঘ.) জাতীয় শিক্ষা পরিষদ
(৫.২.ঙ.) বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)

৫.৩. ঔপনিবেশিক শিক্ষার ধারণার সমালোচনা

(৫.৩.ক.) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শান্তিনিকেতন ভাবনা
(৫.৩.খ.) বিশ্বভারতীর উদ্যোগ
(৫.৩.গ.) প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তা

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখসহ সারণি)

Leave a Comment