২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

নেপোলিয়নের সামরিক অভিযান ও সাম্রাজ্য বিস্তার সম্পর্কে আলোচনা

নবম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন নেপোলিয়নের সামরিক অভিযান ও সাম্রাজ্য বিস্তার সম্পর্কে আলোচনা করা হল। নবম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়টি হল বিপ্লবী আদর্শ, নেপোলিয়নীয় সাম্রাজ্য ও জাতীয়তাবাদ।

Class 9 History Chapter 2 Long Question Answer (MARKS-8) in Bengali.

নবম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় হতে ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন নেপোলিয়নের সামরিক অভিযান ও সাম্রাজ্য বিস্তার সম্পর্কে আলোচনা করো (বিপ্লবী আদর্শ, নেপোলিয়নীয় সাম্রাজ্য ও জাতীয়তাবাদ)

নবম শ্রেণী (দ্বিতীয় অধ্যায়) বিপ্লবী আদর্শ, নেপোলিয়নীয় সাম্রাজ্য ও জাতীয়তাবাদ থেকে ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন

শ্রেণী নবম
অধ্যায়দ্বিতীয় অধ্যায়
Question Typeব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন
Marks8

নবম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন

প্রশ্ন:- নেপোলিয়নের সামরিক অভিযান ও সাম্রাজ্য বিস্তার সম্পর্কে আলোচনা করো।

ভূমিকা :- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট প্রথমদিকে ফ্রান্সের সেনাপ্রধান হিসেবে, পরে ফ্রান্সের কনসাল হিসেবে এবং সবশেষে ফ্রান্সের সম্রাট হিসেবে ইউরোপের বিস্তীর্ণ ভূখণ্ড দখল করে ফরাসি সাম্রাজ্যের প্রসার ঘটান।

(১) প্রথম শক্তিজোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ

নেপোলিয়ন ডাইরেক্টরির শাসনকালে (১৭৯৫-৯৯ খ্রি.) ফ্রান্স-বিরোধী প্রথম শক্তিজোটের (১৭৯২-৯৭ খ্রি.) বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করেন। –

(ক) ইতালি

নেপোলিয়ন ইতালির যুদ্ধে সার্ডিনিয়াকে পরাজিত করে স্যাভয় ও নিস দখল করেন। ইতালির পার্মা, মডেনা এবং নেপলসের শাসকরাও তাঁর প্রতি আনুগত্য জানাতে বাধ্য হয়। তিনি উত্তর ইতালির যুদ্ধে অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে ভেনিস, মিলান ও লম্বার্ডি দখল করেন। তিনি রোমের শাসক পোপকে পরাজিত করে টলেন্টিনো-এর সন্ধি স্বাক্ষরে বাধ্য করেন।

(খ) অস্ট্রিয়া

অস্ট্রিয়ায় অভিযান চালিয়ে তিনি অস্ট্রিয়াকে ‘ক্যাম্পো-ফার্মিও-র সন্ধি’ (১৭৯৭ খ্রি.) স্বাক্ষরে বাধ্য করেন।

(গ) ইংল্যান্ড

তিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মিশরে পিরামিডের যুদ্ধে (১৭৯৮ খ্রি.) জয় লাভ করলেও নীলনদের যুদ্ধে (১৭৯৮ খ্রি.) পরাজিত হন।

(২) দ্বিতীয় শক্তিজোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ

ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ব্রিটেন, অস্ট্রিয়া ও রাশিয়া দ্বিতীয় শক্তিজোট গঠন (১৭৯৮-১৮০২ খ্রি.) করে। নেপোলিয়ন কূটনীতির দ্বারা জোট থেকে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করেন এবং অস্ট্রিয়াকে ম্যারেঙ্গোর যুদ্ধে (১৮০০ খ্রি.) পরাজিত করে ইতালিতে ফ্রান্সের সব হারানো স্থান ফিরে পান। এরপর অস্ট্রিয়াকে তিনি হোহেনলিন্ডেন-এর যুদ্ধে পরাজিত করে (১৮০০ খ্রি.) লুনভিলের সন্ধি (১৮০১ খ্রি.) স্বাক্ষরে বাধ্য করেন। ইংল্যান্ড অ্যামিয়েন্সের সন্ধি (১৮০২ খ্রি.) দ্বারা বিভিন্ন উপনিবেশ ফিরিয়ে দেয়।

(৩) তৃতীয় শক্তিজোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ

ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, রাশিয়া ও সুইডেন তৃতীয় শক্তিজোট গঠন (১৮০৫-০৬ খ্রি.) করে। তৃতীয় শক্তিজোটের অন্যতম সদস্য অস্ট্রিয়াকে হঠাৎ আক্রমণ করে নেপোলিয়ন তাকে উলমের যুদ্ধে (১৮০৫ খ্রি.) পরাজিত করেন। নেপোলিয়ন ইংরেজ সেনপতি নেলসনের কাছে ট্রাফালগারের নৌযুদ্ধে (১৮০৫ খ্রি.) পরাজিত হলেও অস্ট্রিয়া ও রাশিয়ার যৌথ বাহিনীকে অস্টারলিংজের যুদ্ধে (১৮০৫ খ্রি.) পরাজিত করেন। অস্ট্রিয়া ফ্রান্সের সঙ্গে প্রেসবার্গের সন্ধি (১৮০৫ খ্রি.) স্বাক্ষরে বাধ্য হয়।

(৪) পরবর্তী যুদ্ধ

নেপোলিয়ন প্রাশিয়াকে জেনা ও অরস্ট্যাডাটের যুদ্ধে (১৮০৬ খ্রি.) পরাজিত করে স্কলব্রান-এর সন্ধির দ্বারা প্রাশিয়ার বৃহদংশ দখল করেন। তিনি ফ্রিডল্যান্ডের যুদ্ধে (১৮০৭ খ্রি.) রাশিয়াকে পরাজিত করে টিলসিটের সন্ধি (১৮০৭ খ্রি.) স্বাক্ষরে বাধ্য করেন।

উপসংহার :- টিলসিটের সন্ধি স্বাক্ষরের ফলে নেপোলিয়নের সাম্রাজ্য সর্বোচ্চ সীমায় উপনীত হয়। তিনি ইংল্যন্ড ব্যতীত সমগ্র ইউরোপের একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে ওঠেন।

Leave a Comment