২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলির ভূমিকা

দশম শ্রেণীর ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলির ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

Table of Contents

ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলির ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা

প্রশ্ন:- ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলির ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করো।

ভূমিকা :- ব্রিটিশ সরকার ভারতে পাশ্চাত্য ধাঁচের বিভিন্ন অফিসআদালত প্রতিষ্ঠা করলে এই সব স্থানে কাজের জন্য আধুনিক পাশ্চাত্য ও ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত কর্মচারীর প্রয়োজন হয়। তাই সরকার ভারতে পাশ্চাত্য ধাঁচের আধুনিক শিক্ষার সূচনা করে। আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার সূচনা হয় বাংলায়। এই সময় প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বাংলা তথা ভারতে আধুনিক বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স (আই এ সি এস)

বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হল আই এ সি এস। এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দিক গুলি হল –

(১) প্রতিষ্ঠা

পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় নিয়মিত গবেষণা, অধ্যয়ন, বিজ্ঞান বিষয়ক বক্তৃতার আয়োজন প্রভৃতির উদ্দেশ্যে বিখ্যাত চিকিৎসক ড. মহেন্দ্রলাল সরকার ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২১ জুলাই কলকাতায় ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স (আই এ সি এস) প্রতিষ্ঠা করেন।

(২) পত্রিকা

এই প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্ডিয়ান জার্নাল অব ফিজিক্স নামে বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল প্রকাশিত হয়। এই জার্নালে এখানকার বিজ্ঞানী ও গবেষকদের গবেষণাকর্ম নিয়মিত প্রকাশিত হত।

(৩) খ্যাতনামা গবেষকগণ

এখানকার গবেষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু, আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, চুনিলাল বসু, চন্দ্রশেখর ভেঙ্কটরমন, সুব্রহ্মণ্যম চন্দ্রশেখর, মেঘনাদ সাহা, কে এস কুয়ান প্রমুখ।

(৪) রমন ক্রিয়া

এখানে গবেষণা করে বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কটরমন তাঁর বিখ্যাত রমন ক্রিয়া বা রমন এফেক্ট আবিষ্কার করেন। এর জন্য তিনি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ

আধুনিক বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার প্রসারে কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।যেমন –

(১) প্রতিষ্ঠা

বিশিষ্ট আইনজীবী স্যার তারকনাথ পালিত ও স্যার রাসবিহারী ঘোষের উদ্যোগে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ বা ইউনিভার্সিটি কলেজ অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠিত হয়।

(২) খ্যাতনামা শিক্ষকগণ

সেই যুগের খ্যাতনামা শিক্ষক আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কটরমন, শিশির কুমার মিত্র প্রমুখ কলকাতা বিজ্ঞান কলেজে শিক্ষাদান করেন। তাঁদের প্রচেষ্টায় এখানে বিশ্বমানের শিক্ষাদান ব্যবস্থা গড়ে ওঠে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সঙ্গে এর যোগসূত্র স্থাপিত হয়।

(৩) খ্যাতনামা শিক্ষার্থীগণ

এখানে পড়াশোনা করে খ্যাতনামা বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু, মেঘনাদ সাহা, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ, জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করেন।

বসু বিজ্ঞান মন্দির

জগদীশ চন্দ্রের বসু বিজ্ঞান মন্দির বিজ্ঞান শিক্ষার একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান। এর বিভিন্ন অবদান হল –

(১) প্রতিষ্ঠা

ভারতে একটি আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে সেই যুগের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় বসু বিজ্ঞান মন্দির বা বোস ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি তাঁর মুন্সিগঞ্জের পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থের বৃহদংশ এই প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যয় করেন।

(২) বিষয়-বৈচিত্র্য

বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিশ্বমানের মৌলিক গবেষণা চালানোই ছিল বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য। জগদীশচন্দ্র বসুর উদ্যোগে এখানে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, পরিবেশ বিজ্ঞান প্রভৃতি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গবেষণার ব্যবস্থা করা হয়।

বেঙ্গল টেকনিকাল ইন্সটিটিউট

কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান হল বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট।এর বিভিন্ন গুরুত্ব হল –

(১) প্রতিষ্ঠা

তারকনাথ পালিতের প্রচেষ্টায় ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় বেঙ্গল টেকনিকাল ইন্সটিটিউট নামে একটি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়। বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজ ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে বেঙ্গল টেকনিকাল ইন্সটিটিউট এর সঙ্গে মিলে যায়।

(২) বিষয়-বৈচিত্র্য

কলাবিভাগের পাশাপাশি এখানে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, প্রযুক্তি, শিল্পপ্রযুক্তি প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা হয়। বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের গবেষণা কর্ম প্রকাশের জন্য এই প্রতিষ্ঠান থেকে ‘টেক’ নামে একটি জার্নাল প্রকাশের ব্যবস্থা করা হয়।

উপসংহার :- বাংলার বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলি পরবর্তীকালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়। বসু বিজ্ঞান মন্দিরে দীর্ঘ গবেষণার পর জগদীশচন্দ্র বসু ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্রটি আবিষ্কার করেন। কলকাতা বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষক আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় বেঙ্গল কেমিক্যালস প্রতিষ্ঠা করে দেশকে স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন দেখান। সত্যেন্দ্রনাথ বোস এবং মেঘনাদ সাহা স্বাধীন ভারতে জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনে যুক্ত থেকে দেশ গঠনের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (পঞ্চম অধ্যায়) বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

বিকল্প চিন্তা ও উদ্দোগ

(উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত): বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

৫.১. বাংলায় ছাপাখানার বিকাশ

(৫.১.ক.) ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের সম্বন্ধ
(৫.১.খ.) ছাপাখানার ব্যাবসায়িক উদ্যোগ
(৫.১.গ.) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও ইউ. এন. রায় অ্যান্ড সন্স

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)

৫.২. বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ

(৫.২.ক.) ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স
(৫.২.খ.) কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ
(৫.২.গ.) বসুবিজ্ঞান মন্দির
(৫.২.ঘ.) জাতীয় শিক্ষা পরিষদ
(৫.২.ঙ.) বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখ-সহ সারণি)

৫.৩. ঔপনিবেশিক শিক্ষার ধারণার সমালোচনা

(৫.৩.ক.) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শান্তিনিকেতন ভাবনা
(৫.৩.খ.) বিশ্বভারতীর উদ্যোগ
(৫.৩.গ.) প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তা

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাবলির সময়কাল উল্লেখসহ সারণি)

Leave a Comment