দশম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহে কোথায়, কারা নেতৃত্ব দেন তা আলোচনা করা হল।
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহে কোথায়, কারা নেতৃত্ব দেন
প্রশ্ন:- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহে কোথায়, কারা নেতৃত্ব দেন?
ভূমিকা :- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুর সেনানিবাসের সিপাহি মঙ্গল পান্ডে প্রথম ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেন। এরপরবিভিন্ন ব্যক্তির নেতৃত্বে এই বিদ্রোহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।
দিল্লি
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ১১ মে বিদ্রোহী সিপাহিরা দিল্লি দখল করে নেয় এবং সিংহাসনচ্যুত মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে বিদ্রোহের নেতা বলে ঘোষণা করে। মুঘল শাসনের উত্তরাধিকারী এবং অখন্ড ভারতবর্ষের প্রতীক হিসেবে তাঁর নামে বিদ্রোহ পরিচালিত হয়। প্রকৃতপক্ষে ৮০ বছরের বৃদ্ধ বাহাদুর শাহ ছিলেন নামসর্বস্ব নেতা মাত্র।
কানপুর
কানপুরে মহাবিদ্রোহের নেতা ছিলেন পেশোয়া দ্বিতীয় বাজীরাও-এর দত্তক পুত্র নানা সাহেব, যার প্রকৃত নাম গোবিন্দ ধন্দ পন্থ। তিনি কানপুর থেকে ইংরেজদের বিতাড়িত করে নিজেকে পেশোয়া বলে ঘোষণা করেন। তাঁর বিশ্বস্ত অনুচর তাতিয়া টোপি, যার প্রকৃত নাম রামচন্দ্র পান্ডুরঙ্গ টোপিএবং হাকিম আজিমুল্লা-ও এই বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন।
অযোধ্যা
অযোধ্যার বিদ্রোহের অন্যতম নেত্রী ছিলেন বেগম হজরত মহল। তিনি লখনউয়ের সিপাহি এবং অযোধ্যার জমিদার ও কৃষকদের সহায়তায় এক সর্বাত্মক বিদ্রোহী সংগঠন গড়ে তোলেন।
ঝাঁসি
ঝাঁসিতে সিপাহি বিদ্রোহের নেত্রী ছিলেন বিধবা রানিলক্ষ্মীবাই। ইংরেজ সেনাপতি হিউ রোজ ঝাঁসি আক্রমণ করলে তিনি প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। শেষপর্যন্ত ইংরেজ বাহিনীর বিরুদ্ধে কাল্পির যুদ্ধে তিনি নিহত হন। তাঁর বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ নেতৃত্ব পরবর্তীকালে ভারতবাসীকে স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রেরণা দিয়েছিল।
রাণী লক্ষ্মীবাঈ
ইংরেজ সেনাপতি হিউ রোজ ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাইকে বিদ্রোহীদের মধ্যে সর্বোত্তমা ও সর্বাপেক্ষা সাহসিনী বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন লক্ষ্মীবাই ছিলেন ‘বিদ্রোহীদের মধ্যে একমাত্র পুরুষ’।
বিহার
বিহারে সিপাহি বিদ্রোহের অন্যতম নেতা ও সংগঠক ছিলেন রাজপুত বীর কুনওয়ার সিং। ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে তিনি গুরুতর আহত হন এবং পরবর্তীতে তিনি মারা যান।
ফৈজাবাদ
ফৈজাবাদের মৌলবি আহম্মদুল্লা সিপাহি বিদ্রোহের সময় ইংরেজদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তাঁকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে ব্রিটিশরা ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। অবশেষে তিনি ইংরেজদের অনুগত এক রাজার হাতে নিহত হন।
উপসংহার :- ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানের নেতৃবর্গ মহাবিদ্রোহে নেতৃত্ব দিলে সারা দেশে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের নেতৃত্বদানের মধ্য দিয়ে ১৮৫৭র মহাবিদ্রোহ সর্বভারতীয় চরিত্র নেয়।
দশম শ্রেণীর ইতিহাস (চতুর্থ অধ্যায়) সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর
দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।
দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ
৪.১. ১৮৫৭-র বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি
- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে সামন্ত শ্রেণির বিদ্রোহ বলার ক্ষেত্রে কী যুক্তি দেওয়া হয়?
- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহকে ‘ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ’ বলা যায় কি? যুক্তি দাও।
- মহাবিদ্রোহের প্রকৃতি ও চরিত্র বিশ্লেষণ কর। অথবা,সংক্ষেপে মহাবিদ্রোহের চরিত্র বিশ্লেষণ কর।
- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলা যায় কী?
- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণগুলি কী ছিল?
- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের সূত্রপাত ও প্রসার সম্পর্কে আলোচনা করো।
- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহি বিদ্রোহের কারণগুলি কী ছিল?
- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের সামাজিক কারণগুলি কী ছিল?
- মহাবিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ কী ছিল?
- ১৮৫৭-এর মহাবিদ্রোহের অর্থনৈতিক কারণগুলি কী ছিল?
- ১৮৫৭-এর মহাবিদ্রোহের রাজনৈতিক কারণগুলি কী ছিল?
(ওই বিদ্রোহের সঙ্গে জাতিয়তাবোধের সম্বন্ধ বিষয়ক বিতর্ক) – সংক্ষিপ্ত আলোচনা।
প্রসঙ্গক্রমে ১৮৫৭-র বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব, মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮) – এই বিষয় দুটিরও আলোচনা করতে হবে।
- টীকা লেখো: মহারানির ঘোষণাপত্র।
- মহারানীর ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক তাৎপর্য।
- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের কীরূপ মনোভাব ছিল? অথবা, শিক্ষিত বাঙালি সমাজ কেন ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে সমর্থন করেনি?
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)
৪.২. সভাসমিতির যুগ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ
- সভা সমিতির যুগের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।
- ‘সভাসমিতির যুগ’ বলতে কী বোঝ? অথবা, টীকা লেখো – সভাসমিতির যুগ।
(৪.২.ক.) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা
- বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার গঠন ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা কর।
- বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভাকে ভারতের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বলার কারণ কী?
(৪.২.খ.) জমিদার সভা
(৪.২.গ.) ভারত সভা
- টীকা লেখো: ইলবার্ট বিল
- ভারতসভা বা ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কার্যাবলী বা পদক্ষেপ গুলি উল্লেখ কর। অথবা, ভারতসভার প্রতিবাদ আন্দোলন গুলি উল্লেখ কর।
- ভারতসভার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কী ভূমিকা ছিল? অথবা, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কার্যকলাপগুলি সম্পর্কে আলোচনা কর। অথবা, রাজনৈতিক সমিতি হিসেবে ভারতসভার গুরুত্ব লেখ।
(৪.২.ঘ.) হিন্দুমেলা
- হিন্দুমেলার সীমাবদ্ধতাগুলি কী ছিল? অথবা, “হিন্দুমেলা’ কেন জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারেনি?
- হিন্দুমেলার উদ্দেশ্য কী ছিল?
- টীকা লেখো- হিন্দুমেলা।
উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এই চারটি উদ্যোগের আলোচনায় জোর দিতে হবে।
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য সংগঠন ও অন্যান্য তুলনীয় সংগঠনগুলির উল্লেখ সহ সময়সারণী)
৪.৩. লেখায় ও রেখায় জাতীয়তাবোধের বিকাশ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ
(৪.৩.ক.) আনন্দমঠ
(৪.৩.খ.) বর্তমান ভারত
- জাতীয়তাবোধের বিকাশে বিবেকানন্দের অবদান আলোচনা কর। অথবা, স্বামী বিবেকানন্দ কীভাবে স্বদেশবাসীকে স্বদেশ মন্ত্রে দীক্ষিত করতে চেয়েছিলেন?
- ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে স্বামী বিবেকানন্দের ‘বর্তমান ভারত’ গ্রন্থটির কী ভূমিকা ছিল?
(৪.৩.গ.) গোরা
(৪.৩.ঘ.) ভারতমাতা (চিত্র)
এই তিনটি রচনার ও ছবিটির মধ্যে কিভাবে জাতিয়তাবোধ ফুটে উঠেছে কেবল সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা বিষয়টিও আলোচ্য
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)