২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

টীকা লেখো: ইলবার্ট বিল

দশম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়: সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা হতে ইলবার্ট বিল সম্পর্কে টীকা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

ইলবার্ট বিল সম্পর্কে টীকা লেখ

প্রশ্ন:- টীকা লেখো : ইলবার্ট বিল।

ভূমিকা :- ভারতের বড়োলাট লর্ড রিপনের (১৮৮০-৮৪ খ্রি.) শাসনকালের আগে এদেশে কোনো ভারতীয় বিচারক কোনো ইংরেজ তথা শ্বেতাঙ্গদের বিচার করার অধিকারী ছিলেন না। এতে ভারতীয়দের মনে তীব্র ক্ষোভ ছিল। ইলবার্ট বিলের দ্বারা এই ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করা হয়।

ইলবার্ট বিল

ভারতের বিচারব্যবস্থায় বর্ণবৈষম্য দূর করার উদ্দেশ্যে লর্ড রিপনের পরামর্শে তাঁর আইনসচিব ইলবার্ট একটি বিল রচনা করেন। এতে ভারতীয় বিচারকরা শ্বেতাঙ্গদের বিচার করার অধিকার পায়। এটি ইলবার্ট বিল নামে পরিচিত।

সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা

ইলবার্ট বিলের দ্বারা ভারতীয় বিচারকরা শ্বেতাঙ্গদেরও বিচার করার অধিকার পেলে ইউরোপীয় ও ভারতীয় বিচারকদের মধ্যে সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়।

শ্বেতাঙ্গদের ক্ষোভ ও আন্দোলন

লর্ড রিপন ইলবার্ট বিলের মাধ্যমে ভারতের কৃষাঙ্গ বিচারকদের শ্বেতাঙ্গদের বিচার করার অধিকার দিলে শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয়রা প্রচণ্ড ক্ষুদ্ধ হয়। ইলবার্ট বিলের বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গরা শীঘ্রই তীব্র আন্দোলন শুরু করে, যা ইলবার্ট বিল আন্দোলন নামে পরিচিত। বহু স্থানে আন্দোলন হিংসাত্মক রূপ নেয় এবং রিপনের প্রাণ সংশয়ের সম্ভাবনা দেখা দেয়।

ভারতসভার আন্দোলন

ইলবার্ট বিলের বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয়রা আন্দোলন শুরু করলে লালমোহন ঘোষ, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভারতসভা ইলবার্ট বিলের সমর্থনে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন।

লেখনীতে প্রতিবাদ

ইলবার্ট বিলের সমর্থনে অমৃতবাজার পত্রিকা এবং বেঙ্গলী পত্রিকায় প্রচার চলতে থাকে। কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ‘নেভার নেভার’ কবিতায় ইংরেজদের বিদ্রূপ করেন।

পরিণতি

সরকার শেষপর্যন্ত ইউরোপীয়দের কাছে নতি স্বীকার করে বিলটিতে প্রচুর সংশোধন করে। ফলে বিলটির আসল উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়।

উপসংহার :- ইলবার্ট বিলের প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যর্থ হলেও ঐতিহাসিক ড. রমেশচন্দ্র মনে করেন যে, বিলটিকে কেন্দ্র করে ভারতীয়দের আন্দোলন স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিলটির দ্বারা ভারতীয়রা ব্রিটিশদের প্রকৃত চেহারা চিনতে পারে।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (চতুর্থ অধ্যায়) সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

৪.১. ১৮৫৭-র বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি

(ওই বিদ্রোহের সঙ্গে জাতিয়তাবোধের সম্বন্ধ বিষয়ক বিতর্ক) – সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

প্রসঙ্গক্রমে ১৮৫৭-র বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব, মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮) – এই বিষয় দুটিরও আলোচনা করতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৪.২. সভাসমিতির যুগ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.২.ক.) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা

(৪.২.খ.) জমিদার সভা

(৪.২.গ.) ভারত সভা

(৪.২.ঘ.) হিন্দুমেলা

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এই চারটি উদ্যোগের আলোচনায় জোর দিতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য সংগঠন ও অন্যান্য তুলনীয় সংগঠনগুলির উল্লেখ সহ সময়সারণী)

৪.৩. লেখায় ও রেখায় জাতীয়তাবোধের বিকাশ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.৩.ক.) আনন্দমঠ

(৪.৩.খ.) বর্তমান ভারত

(৪.৩.গ.) গোরা

(৪.৩.ঘ.) ভারতমাতা (চিত্র)

এই তিনটি রচনার ও ছবিটির মধ্যে কিভাবে জাতিয়তাবোধ ফুটে উঠেছে কেবল সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা বিষয়টিও আলোচ্য

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

Leave a Comment