২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ👇

👉Chat on WhatsApp

ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে ‘গোরা’ উপন্যাসের কী ভূমিকা ছিল

দশম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা বিভিন্ন ব্যঙ্গচিত্রে কীভাবে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা ফুটে উঠেছে ও অথবা, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্যঙ্গচিত্রকে কীভাবে তুলে ধরেছিলেন তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে ‘গোরা’ উপন্যাসের কী ভূমিকা ছিল

প্রশ্ন:- ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে ‘গোরা’ উপন্যাসের কী ভূমিকা ছিল?

ভূমিকা :- ঔপনিবেশিক শাসনকালে ভারতবাসীর মধ্যে জাতীয়তাবোধ ও স্বদেশপ্রেমের ভাবধারা জাগ্ৰত করার ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘গোরা’ (১৯১০ খ্রি) উপন্যাসটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রকৃত ভারতের রূপ

‘গোরা’ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র গোরা বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের সুখ-দুঃখের খোঁজখবর নিতে গিয়ে ভারতবর্ষের প্রকৃত রূপটি চিনতে পারে।

গোরার উদ্দ্যোগ

গোরা উপলব্ধি করে যে, শহরের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের চেয়ে পল্লিগ্রামের মানুষ অনেক বেশি সহজসরল। কিন্তু যথাযথ শিক্ষার প্রসার না ঘটার ফলে এদের মধ্যে অনেকেই কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে থাকে। গোরা এই সমাজের ওপর তীব্র আঘাত হেনে তাকে উজ্জীবিত করতে চেয়েছে।

ধর্মীয় পরিচয়ের গুরুত্বহীনতা

ভারতীয় সভ্যতার প্রতি ব্রিটিশদের ঘৃণা ও বিদ্বেষ লক্ষ্য করে গোরা একসময় উগ্র হিন্দুত্ববাদী আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হয়। কিন্তু পরে তার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটে এবং সে উপলব্ধি করে, ধর্মীয় পরিচয় একমাত্র বা সবচেয়ে বড়ো পরিচয় নয়।

ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা

রবীন্দ্রনাথের গোরা সুপ্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার ঐতিহ্যে মুগ্ধ হয় এবং সংকল্প করে, স্বদেশের প্রতি স্বদেশবাসীর শ্রদ্ধা সে ফিরিয়ে আনবেই। হিন্দুসভ্যতার বিরোধী জনৈক মিশনারির বিরুদ্ধে সে সম্মুখ বিতর্কে অংশগ্রহণেরও সিদ্ধান্ত নেয়।

দেশাত্মবোধের প্রচার

মহিম বা কৃষ্ণদয়ালের মতো দু-একজন স্বার্থপর ব্যক্তি ছাড়া ‘গোরা’ উপন্যাসে উল্লেখিত ব্রাহ্মসমাজের অধিকাংশ সদস্যই ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বদেশপ্রেমে উদ্‌বুদ্ধ। “মা, তুমিই আমার মা”, “আমি ভারতীয়” – গোরার এই সব উক্তি ভারতবাসীর মনে জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করে।

উপসংহার :- রবীন্দ্রনাথের ‘গোরা’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র গোরা হলেন ভারতীয় জাতীয়তাবাদের মূর্ত প্রতীক। তার মাধ্যমেই রবীন্দ্রনাথ ভারতবাসীর মধ্যে প্রকৃত স্বদেশপ্রেমের আদর্শ ছড়িয়ে দিয়েছেন।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (চতুর্থ অধ্যায়) সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

৪.১. ১৮৫৭-র বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি

(ওই বিদ্রোহের সঙ্গে জাতিয়তাবোধের সম্বন্ধ বিষয়ক বিতর্ক) – সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

প্রসঙ্গক্রমে ১৮৫৭-র বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব, মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮) – এই বিষয় দুটিরও আলোচনা করতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৪.২. সভাসমিতির যুগ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.২.ক.) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা

(৪.২.খ.) জমিদার সভা

(৪.২.গ.) ভারত সভা

(৪.২.ঘ.) হিন্দুমেলা

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এই চারটি উদ্যোগের আলোচনায় জোর দিতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য সংগঠন ও অন্যান্য তুলনীয় সংগঠনগুলির উল্লেখ সহ সময়সারণী)

৪.৩. লেখায় ও রেখায় জাতীয়তাবোধের বিকাশ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.৩.ক.) আনন্দমঠ

(৪.৩.খ.) বর্তমান ভারত

(৪.৩.গ.) গোরা

(৪.৩.ঘ.) ভারতমাতা (চিত্র)

এই তিনটি রচনার ও ছবিটির মধ্যে কিভাবে জাতিয়তাবোধ ফুটে উঠেছে কেবল সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা বিষয়টিও আলোচ্য

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

Leave a Comment