বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার গঠন ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা

দশম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার গঠন ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

Table of Contents

বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার গঠন ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা

প্রশ্ন:- বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার গঠন ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা কর।

ভূমিকা :- উনিশ শতকে পাশ্চাত্য শিক্ষা ও রাজনৈতিক চেতনার প্রসারের ফলে ভারতীয়দের উদ্যোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে উঠতে থাকে। ‘বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা’ হল এই সংগঠনগুলির মধ্যে অন্যতম।

প্রতিষ্ঠা

টাকির জমিদার কালীনাথ রায় চৌধুরী, দ্বারকানাথ ঠাকুর, প্রসন্নকুমার ঠাকুর এবং রাজা রামমোহন রায়ের বেশ কয়েকজন অনুগামীর উদ্যোগে ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। যোগেশচন্দ্র বাগলের মতে, এটিই ছিল বাঙালি তথা ভারতীয়দের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ।

সভাপতি

বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার প্রথম অধিবেশন বসে ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দের ৮ ডিসেম্বর। সাংবাদিক ও লেখক গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।

 উদ্দেশ্য

বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার প্রধান উদ্দেশ্য গুলি ছিল –

(১) সরকারের সমালোচনা

ভারতে ব্রিটিশ সরকারের অপশাসনের সমালোচনা করা ছিল বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার অন্যতম উদ্দেশ্য।

(২) শোষণের প্রতিবাদ

সরকার এক আইনের দ্বারা নিষ্কর জমির ওপর কর আরোপ করে। এই কর প্রতিহত করা ছিল বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্দেশ্য।

(৩) জনস্বার্থ রক্ষা

ভারতের সাধারণ মানুষের স্বার্থরক্ষার উদ্দেশ্যে সরকারের কাছে বিভিন্ন আবেদনপত্র জমা দেওয়া বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল।

(৪) পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার

এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটানোর উদ্দেশ্যে কলকাতার প্রগতিশীল সমাজের একাংশ উদ্যোগী ছিলেন। তারা বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার মাধ্যমে সেই উদ্যোগ সফল করার চেষ্টা করেন।

উপসংহার :- রাজনৈতিক সচেতনতা নিয়ে যেসব চিন্তা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, ভারতে বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভাই প্রথম সেই সব বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করে। তাই এই প্রতিষ্ঠানকে ভারতের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বলা হয়।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (চতুর্থ অধ্যায়) সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

৪.১. ১৮৫৭-র বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি

(ওই বিদ্রোহের সঙ্গে জাতিয়তাবোধের সম্বন্ধ বিষয়ক বিতর্ক) – সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

প্রসঙ্গক্রমে ১৮৫৭-র বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব, মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮) – এই বিষয় দুটিরও আলোচনা করতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৪.২. সভাসমিতির যুগ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.২.ক.) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা

(৪.২.খ.) জমিদার সভা

(৪.২.গ.) ভারত সভা

(৪.২.ঘ.) হিন্দুমেলা

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এই চারটি উদ্যোগের আলোচনায় জোর দিতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য সংগঠন ও অন্যান্য তুলনীয় সংগঠনগুলির উল্লেখ সহ সময়সারণী)

৪.৩. লেখায় ও রেখায় জাতীয়তাবোধের বিকাশ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.৩.ক.) আনন্দমঠ

(৪.৩.খ.) বর্তমান ভারত

(৪.৩.গ.) গোরা

(৪.৩.ঘ.) ভারতমাতা (চিত্র)

এই তিনটি রচনার ও ছবিটির মধ্যে কিভাবে জাতিয়তাবোধ ফুটে উঠেছে কেবল সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা বিষয়টিও আলোচ্য

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

Leave a Comment