২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

টীকা লেখো: সভাসমিতির যুগ

দশম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে সভাসমিতির যুগ সম্পর্কে দেওয়া হল।

Table of Contents

সভাসমিতির যুগ সম্পর্কে টীকা

প্রশ্ন:- ‘সভাসমিতির যুগ’ বলতে কী বোঝ?

অথবা, টীকা লেখো – সভাসমিতির যুগ।

ভূমিকা :- অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে উনিশ শতকের প্রথম থেকে একের পর এক আদিবাসী ও কৃষক আন্দোলন এবং মহাবিদ্রোহসংঘটিত হতে থাকে। এর পাশাপাশি উনিশ শতকে ভারতে বিভিন্ন সভাসমিতি প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে।

রাজনৈতিক আন্দোলনের তাগিদ

মহাবিদ্রোহের পর দ্রুত ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রসার ঘটতে থাকে। এই সময় ভারতীয়রা উপলব্ধি করতে শুরু করে যে, অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার।

সভাসমিতির প্রতিষ্ঠা

উনিশ শতকের চতুর্থ দশক থেকে এদেশে নানা সভাসমিতি গড়ে উঠতে থাকে। প্রথমে বাংলায় এবং পরে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলেও অনুরূপ সভাসমিতি গড়ে উঠতে থাকে।

প্রথম সভা

১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ভারতের প্রথম রাজনৈতিক সংগঠন বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে ঊনবিংশ শতক জুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে ওঠে।

নামকরণ

উনিশ শতকে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের উদ্যোগে একের পর এক সভাসমিতি গড়ে ওঠার জন্য কেম্ব্রিজ গোষ্ঠীর ঐতিহাসিক ড. অনিল শীল এই যুগকে ‘সভাসমিতির যুগ’বলে অভিহিত করেছেন।

বিভিন্ন সভাসমিতি

উনিশ শতকে ভারতে বিভিন্ন সভাসমিতি গড়ে ওঠে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা, জমিদার সভা, ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন, হিন্দুমেলা, ভারতসভা,জাতীয় কংগ্রেস প্রভৃতি।

উপসংহার:- উনিশ শতকে গড়ে ওঠা সভাসমিতিগুলি নিজেদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া আদায়ের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের পক্ষে নানান দাবিদাওয়া আদায়ে সচেষ্ট হয়। ফলে ভারতীয়দের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনা গড়ে উঠতে থাকে।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (চতুর্থ অধ্যায়) সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

৪.১. ১৮৫৭-র বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি

(ওই বিদ্রোহের সঙ্গে জাতিয়তাবোধের সম্বন্ধ বিষয়ক বিতর্ক) – সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

প্রসঙ্গক্রমে ১৮৫৭-র বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব, মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮) – এই বিষয় দুটিরও আলোচনা করতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৪.২. সভাসমিতির যুগ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.২.ক.) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা

(৪.২.খ.) জমিদার সভা

(৪.২.গ.) ভারত সভা

(৪.২.ঘ.) হিন্দুমেলা

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এই চারটি উদ্যোগের আলোচনায় জোর দিতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য সংগঠন ও অন্যান্য তুলনীয় সংগঠনগুলির উল্লেখ সহ সময়সারণী)

৪.৩. লেখায় ও রেখায় জাতীয়তাবোধের বিকাশ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.৩.ক.) আনন্দমঠ

(৪.৩.খ.) বর্তমান ভারত

(৪.৩.গ.) গোরা

(৪.৩.ঘ.) ভারতমাতা (চিত্র)

এই তিনটি রচনার ও ছবিটির মধ্যে কিভাবে জাতিয়তাবোধ ফুটে উঠেছে কেবল সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা বিষয়টিও আলোচ্য

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

Leave a Comment