১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের সূত্রপাত ও প্রসার সম্পর্কে আলোচনা

দশম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের সূত্রপাত ও প্রসার সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

Table of Contents

১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের সূত্রপাত ও প্রসার

প্রশ্ন:- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের সূত্রপাত ও প্রসার সম্পর্কে আলোচনা করো।

ভূমিকা:- ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার ও শোষণ ভারতের সর্বস্তরের মানুষের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি করে। এই পরিস্থিতিতে এনফিল্ড রাইফেলের টোটার ব্যবহারকে কেন্দ্র করে ভারতীয় সিপাহিরা ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে।

বহরমপুরে বিক্ষোভ

১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৬ ফেব্রুয়ারি সর্বপ্রথম মুরশিদাবাদের বহরমপুর সেনানিবাসের ১১ নং নেটিভ ইনফ্যান্ট্রির সিপাহিরাবিক্ষোভ দেখায়।

মঙ্গল পান্ডের বিদ্রোহ ঘোষণা

এরপর ব্যারাকপুর সেনানিবাসের ৩৪ নং নেটিভ ইনফ্যান্ট্রির সিপাহিরা অভ্যুত্থান ঘটায়। এখানকার সিপাহি মঙ্গল পান্ডে২৯ মার্চ বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। সরকার মঙ্গল পান্ডেকে গ্রেফতার করে। বিচারে তাঁর ফাঁসি হয়। তিনি হলেন বিদ্রোহের প্রথম শহিদ।

সেনা বিদ্রোহের প্রসার

ব্যারাকপুরের সেনা অভ্যুত্থানের খবর শীঘ্রই দেশের অন্যান্য সেনানিবাসে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে বিদ্রোহ শুরু হয়। ১০ মে মিরাট এবং ১১ মে দিল্লি সেনানিবাসে বিদ্রোহ শুরু হয়।

জনগণের অংশগ্রহণ

সিপাহি বিদ্রোহ ক্রমে অযোধ্যা, কানপুর, লখনউ, এলাহাবাদ, মোরাদাবাদ, ফৈজাবাদ, ঝাঁসি, পাটনা প্রভৃতি স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।

উপসংহার :- ১৮৫৭-এর বিদ্রোহ মূলত উত্তর ভারত জুড়েই হয়েছিল, দক্ষিণ ভারতে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে এই বিদ্রোহ ব্রিটিশ সরকারকে ভীত সন্ত্রস্ত করে তুলেছিল।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (চতুর্থ অধ্যায়) সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

৪.১. ১৮৫৭-র বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি

(ওই বিদ্রোহের সঙ্গে জাতিয়তাবোধের সম্বন্ধ বিষয়ক বিতর্ক) – সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

প্রসঙ্গক্রমে ১৮৫৭-র বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব, মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮) – এই বিষয় দুটিরও আলোচনা করতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৪.২. সভাসমিতির যুগ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.২.ক.) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা

(৪.২.খ.) জমিদার সভা

(৪.২.গ.) ভারত সভা

(৪.২.ঘ.) হিন্দুমেলা

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এই চারটি উদ্যোগের আলোচনায় জোর দিতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য সংগঠন ও অন্যান্য তুলনীয় সংগঠনগুলির উল্লেখ সহ সময়সারণী)

৪.৩. লেখায় ও রেখায় জাতীয়তাবোধের বিকাশ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.৩.ক.) আনন্দমঠ

(৪.৩.খ.) বর্তমান ভারত

(৪.৩.গ.) গোরা

(৪.৩.ঘ.) ভারতমাতা (চিত্র)

এই তিনটি রচনার ও ছবিটির মধ্যে কিভাবে জাতিয়তাবোধ ফুটে উঠেছে কেবল সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা বিষয়টিও আলোচ্য

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

Leave a Comment