দশম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে উনিশ শতকে ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তা আলোচনা করা হল।
উনিশ শতকে ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে
প্রশ্ন:- উনিশ শতকে ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে?
ভূমিকা:- উনিশ শতকে ভারতীয়দের মনে জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটে। এই জাতীয়তাবোধের বিকাশে বিভিন্ন বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।
সংবাদপত্র
উনিশ শতকে প্রথম বঙ্গদেশে এবং পরে অন্যান্য প্রদেশে সংবাদপত্রের প্রকাশ শুরু হয়। সমাচার দর্পণপত্রিকা, সংবাদ কৌমুদী পত্রিকা, সমাচার চন্দ্রিকা পত্রিকা, সংবাদ প্রভাকরপত্রিকা, হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা, সোমপ্রকাশপত্রিকা, বামাবোধিনীপত্রিকা, বঙ্গদর্শন পত্রিকা প্রভৃতি সংবাদপত্রে ঔপনিবেশিক শাসনের ত্রুটিবিচ্যুতি সম্পর্কে নিয়মিত সংবাদ প্রকাশিত হতে থাকে। এর ফলে ভারতবাসীর মনে জাতীয়তাবোধ জেগে ওঠে।
রাজনৈতিক সংগঠন
উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে ভারতেবিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে ওঠে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল জমিদার সভা, পুনা সার্বজনিক সভা, হিন্দুমেলা, ভারতসভা, জাতীয় কংগ্রেস প্রভৃতি। এইসব সংগঠন নিয়মিত প্রচারের মাধ্যমে দেশবাসীর মনে জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করে।
দেশাত্মবোধক সাহিত্য
ঔপনিবেশিক আমলে ভারতীয় সাহিত্যিকদের লেখা বিভিন্ন সাহিত্য ও গ্রন্থ দেশবাসীর মনে জাতীয়তাবোধের বিকাশে যথেষ্ট সহায়তা করে। এক্ষেত্রে দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘আনন্দমঠ’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গোরা, স্বামী বিবেকানন্দের ‘বর্তমান ভারত, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা ‘স্বাধীনতা হীনতায়’ প্রভৃতিবিশেষ উল্লেখযোগ্য।
দেশাত্মবোধক চিত্রকলা
ঔপনিবেশিক আমলের শেষ শতকে বিভিন্ন ভারতীয় চিত্রকর দেশাত্মবোধক বিভিন্ন ছবি আঁকেন। এগুলিও ভারতবাসীর মনে জাতীয়তাবোধের বিকাশে সহায়তা করে। এরূপ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চিত্র হল অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বঙ্গমাতা’, ‘ভারতমাতা’ প্রভৃতি।
উপসংহার :- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিষয়টিতেমন ভাবে সাড়া জাগাতে পারেনি।তবে উনিশ শতকের প্রথম দিকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, লেখনীর প্রভৃতি বিষয় গুলি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের উন্মেষে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
দশম শ্রেণীর ইতিহাস (চতুর্থ অধ্যায়) সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর
দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।
দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ
৪.১. ১৮৫৭-র বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি
- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে সামন্ত শ্রেণির বিদ্রোহ বলার ক্ষেত্রে কী যুক্তি দেওয়া হয়?
- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহকে ‘ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ’ বলা যায় কি? যুক্তি দাও।
- মহাবিদ্রোহের প্রকৃতি ও চরিত্র বিশ্লেষণ কর। অথবা,সংক্ষেপে মহাবিদ্রোহের চরিত্র বিশ্লেষণ কর।
- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলা যায় কী?
- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণগুলি কী ছিল?
- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের সূত্রপাত ও প্রসার সম্পর্কে আলোচনা করো।
- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহি বিদ্রোহের কারণগুলি কী ছিল?
- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহে কোথায়, কারা নেতৃত্ব দেন?
- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের সামাজিক কারণগুলি কী ছিল?
- মহাবিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ কী ছিল?
- ১৮৫৭-এর মহাবিদ্রোহের অর্থনৈতিক কারণগুলি কী ছিল?
- ১৮৫৭-এর মহাবিদ্রোহের রাজনৈতিক কারণগুলি কী ছিল?
(ওই বিদ্রোহের সঙ্গে জাতিয়তাবোধের সম্বন্ধ বিষয়ক বিতর্ক) – সংক্ষিপ্ত আলোচনা।
প্রসঙ্গক্রমে ১৮৫৭-র বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব, মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮) – এই বিষয় দুটিরও আলোচনা করতে হবে।
- টীকা লেখো: মহারানির ঘোষণাপত্র।
- মহারানীর ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক তাৎপর্য।
- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের কীরূপ মনোভাব ছিল? অথবা, শিক্ষিত বাঙালি সমাজ কেন ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে সমর্থন করেনি?
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)
৪.২. সভাসমিতির যুগ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ
- সভা সমিতির যুগের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।
- ‘সভাসমিতির যুগ’ বলতে কী বোঝ? অথবা, টীকা লেখো – সভাসমিতির যুগ।
(৪.২.ক.) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা
- বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার গঠন ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা কর।
- বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভাকে ভারতের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বলার কারণ কী?
(৪.২.খ.) জমিদার সভা
(৪.২.গ.) ভারত সভা
- টীকা লেখো: ইলবার্ট বিল
- ভারতসভা বা ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কার্যাবলী বা পদক্ষেপ গুলি উল্লেখ কর। অথবা, ভারতসভার প্রতিবাদ আন্দোলন গুলি উল্লেখ কর।
- ভারতসভার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কী ভূমিকা ছিল? অথবা, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কার্যকলাপগুলি সম্পর্কে আলোচনা কর। অথবা, রাজনৈতিক সমিতি হিসেবে ভারতসভার গুরুত্ব লেখ।
(৪.২.ঘ.) হিন্দুমেলা
- হিন্দুমেলার সীমাবদ্ধতাগুলি কী ছিল? অথবা, “হিন্দুমেলা’ কেন জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারেনি?
- হিন্দুমেলার উদ্দেশ্য কী ছিল?
- টীকা লেখো- হিন্দুমেলা।
উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এই চারটি উদ্যোগের আলোচনায় জোর দিতে হবে।
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য সংগঠন ও অন্যান্য তুলনীয় সংগঠনগুলির উল্লেখ সহ সময়সারণী)
৪.৩. লেখায় ও রেখায় জাতীয়তাবোধের বিকাশ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ
(৪.৩.ক.) আনন্দমঠ
(৪.৩.খ.) বর্তমান ভারত
- জাতীয়তাবোধের বিকাশে বিবেকানন্দের অবদান আলোচনা কর। অথবা, স্বামী বিবেকানন্দ কীভাবে স্বদেশবাসীকে স্বদেশ মন্ত্রে দীক্ষিত করতে চেয়েছিলেন?
- ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে স্বামী বিবেকানন্দের ‘বর্তমান ভারত’ গ্রন্থটির কী ভূমিকা ছিল?
(৪.৩.গ.) গোরা
(৪.৩.ঘ.) ভারতমাতা (চিত্র)
এই তিনটি রচনার ও ছবিটির মধ্যে কিভাবে জাতিয়তাবোধ ফুটে উঠেছে কেবল সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা বিষয়টিও আলোচ্য
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)