২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ👇

👉Chat on WhatsApp

বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভাকে ভারতের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বলার কারণ

দশম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভাকে ভারতের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বলার কারণ কী ছিল আলোচনা করা হল।

Table of Contents

বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভাকে ভারতের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বলার কারণ

প্রশ্ন:- বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভাকে ভারতের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বলার কারণ কী?

ভূমিকা :- উনিশ শতকের মধ্যভাগে ভারতে যেসব রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠ গড়ে উঠতে থাকে সেগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা। যোগেশচন্দ্র বাগল এই সভাকে ভারতের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অভিহিত করেছেন।

বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভাকে ভারতের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বলার কারণ

বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা কে ভারতের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বলার পিছনে বেশ কিছু কারণ ছিল। যেমন –

(১) যুক্তিতর্কের সুযোগ

ব্রিটিশদের রাজনৈতিক সংগঠনগুলিতে যেমন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে যুক্তিতর্ক চলত, তেমনই বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভাতেও যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে আলোচনা করা হত।

(২) ভারতীয়দের স্বার্থের অনুকূল বিষয়ের আলোচনা

ভারতে ব্রিটিশ শাসকদের যেসব কাজকর্মে ভারতীয়দের স্বার্থ জড়িত ছিল, সেই সব বিষয় নিয়ে এই সভায় আলোচনা করা হত।

(৩) করের বিরোধিতা

ব্রিটিশ সরকার ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে এক আইনের দ্বারা নিষ্কর জমির ওপর কর আরোপ করলে বঙ্গভাষ প্রকাশিকা সভা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।

উপসংহার :- রাজনৈতিক সচেতনতা নিয়ে যেসব চিন্তা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, ভারতে বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভাই প্রথম সেই সব বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করে। তাই এই প্রতিষ্ঠানকে ভারতের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বলা হয়।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (চতুর্থ অধ্যায়) সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

৪.১. ১৮৫৭-র বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি

(ওই বিদ্রোহের সঙ্গে জাতিয়তাবোধের সম্বন্ধ বিষয়ক বিতর্ক) – সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

প্রসঙ্গক্রমে ১৮৫৭-র বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব, মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮) – এই বিষয় দুটিরও আলোচনা করতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৪.২. সভাসমিতির যুগ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.২.ক.) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা

(৪.২.খ.) জমিদার সভা

(৪.২.গ.) ভারত সভা

(৪.২.ঘ.) হিন্দুমেলা

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এই চারটি উদ্যোগের আলোচনায় জোর দিতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য সংগঠন ও অন্যান্য তুলনীয় সংগঠনগুলির উল্লেখ সহ সময়সারণী)

৪.৩. লেখায় ও রেখায় জাতীয়তাবোধের বিকাশ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.৩.ক.) আনন্দমঠ

(৪.৩.খ.) বর্তমান ভারত

(৪.৩.গ.) গোরা

(৪.৩.ঘ.) ভারতমাতা (চিত্র)

এই তিনটি রচনার ও ছবিটির মধ্যে কিভাবে জাতিয়তাবোধ ফুটে উঠেছে কেবল সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা বিষয়টিও আলোচ্য

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

Leave a Comment