২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহি বিদ্রোহের কারণগুলি

দশম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহি বিদ্রোহের কারণগুলি আলোচনা করা হল।

Table of Contents

১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহি বিদ্রোহের কারণগুলি

প্রশ্ন:- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহি বিদ্রোহের কারণগুলি কী ছিল?

ভূমিকা :- ব্রিটিশ অপশাসনের বিরুদ্ধে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ব্যারাকপুর সেনাবাহিনীর সিপাহি মঙ্গল পান্ডে সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলে এই বিদ্রোহ দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এই বিদ্রোহের পিছনে বিভিন্ন কারণ বিদ্যমান ছিল।

স্বত্ববিলোপ নীতির প্রয়োগ

লর্ড ডালহৌসি স্বত্ববিলোপ নীতির দ্বারা ঝাঁসি, সাতারা, নাগপুর, সম্বলপুর, তাঞ্জোর, কর্ণাটক সহ বিভিন্ন দেশীয় রাজ্য দখল করলে সেই সব রাজ্যের রাজারা ব্রিটিশদের ওপর ক্ষুদ্ধ হয়।

অর্থনৈতিক শোষণ

ব্রিটিশ শাসনে ভারতে চরম অর্থনৈতিক শোষণ শুরু হয়। রাজস্ব বৃদ্ধির ফলে কৃষকদের দুর্দশা বৃদ্ধি পায়, কুটির শিল্প ধ্বংস হলে বেকারত্ব বাড়ে।

ভারতীয়দের প্রতি ঘৃণা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত সর্বত্র ইংরেজরা ভারতীয়দের ঘৃণার চোখে দেখত। বহু ইউরোপীয় ক্লাবের দরজায় লেখা থাকত ‘কুকুর এবং ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ’।

ভারতীয় কর্মচারীদের অবজ্ঞা

ব্রিটিশ রাজকর্মচারীরা ভারতীয় রাজকর্মচারীদের খুবই ঘৃণা ও হেনস্থা করত। ফলে ভারতবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।

ভারতীয়দের রক্ষণশীল মনোভাব

ভারতীয়রা এদেশে বিদেশি শ্বেতাঙ্গ শাসন কখনোই মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেনি। মুঘল শাসনের পতন ঘটানোর জন্য মুসলিমরা ব্রিটিশদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। আবার সতীদাহপ্রথা নিষিদ্ধ, বিধবাবিবাহ প্রচলন প্রভৃতিরজন্যও রক্ষণশীল হিন্দুরা ব্রিটিশদের ওপর ক্ষুদ্ধ ছিল।

ভারতীয় সৈন্যদের প্রতি বৈষম্য

ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে ভারতীয় সেনারা নানা বৈষম্যের শিকার হয়। ব্রিটিশ সেনারা ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে নানা দুর্ব্যবহার করত।

ধর্মীয় অসন্তোষ

খ্রিস্টান মিশনারিরা প্রকাশ্যে ভারতীয়দের ধর্মের নিন্দা করত এবং তাদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করার চেষ্টা চালাত।

প্রত্যক্ষ কারণ

সরকার সেনাবাহিনীতে এনফিল্ড নামক রাইফেল চালু করে। গোরু ও শূকরের চর্বি মিশিয়ে এর টোটা তৈরি হত বলে গুজব ছড়ায়। এই টোটা দাঁত দিয়ে কেটে ব্যবহার করতে হত। ফলে ধর্মনাশের আশঙ্কায় ভারতীয় সেনারা বিদ্রোহ শুরু করে।

উপসংহার :- ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ১০০ বছর পর অর্থাৎ পলাশির যুদ্ধের এক শতাব্দী পরে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সংঘটিত এই বিদ্রোহ ছিল এক গণ অভ্যুত্থান। তবে প্রথম দিকে এই বিদ্রোহ সাফল্য লাভ করলেও পরে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (চতুর্থ অধ্যায়) সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

৪.১. ১৮৫৭-র বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি

(ওই বিদ্রোহের সঙ্গে জাতিয়তাবোধের সম্বন্ধ বিষয়ক বিতর্ক) – সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

প্রসঙ্গক্রমে ১৮৫৭-র বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব, মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮) – এই বিষয় দুটিরও আলোচনা করতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৪.২. সভাসমিতির যুগ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.২.ক.) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা

(৪.২.খ.) জমিদার সভা

(৪.২.গ.) ভারত সভা

(৪.২.ঘ.) হিন্দুমেলা

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এই চারটি উদ্যোগের আলোচনায় জোর দিতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য সংগঠন ও অন্যান্য তুলনীয় সংগঠনগুলির উল্লেখ সহ সময়সারণী)

৪.৩. লেখায় ও রেখায় জাতীয়তাবোধের বিকাশ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.৩.ক.) আনন্দমঠ

(৪.৩.খ.) বর্তমান ভারত

(৪.৩.গ.) গোরা

(৪.৩.ঘ.) ভারতমাতা (চিত্র)

এই তিনটি রচনার ও ছবিটির মধ্যে কিভাবে জাতিয়তাবোধ ফুটে উঠেছে কেবল সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা বিষয়টিও আলোচ্য

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

Leave a Comment