২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ👇

👉Chat on WhatsApp

মহারানীর ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক তাৎপর্য

দশম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে মহারানীর ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক তাৎপর্য আলোচনা করা হল।

Table of Contents

মহারানীর ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক তাৎপর্য

প্রশ্ন:- মহারানীর ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক তাৎপর্য।

উত্তর:- ভূমিকা:- মহাবিদ্রোহের পর ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের মহারানী ভিক্টোরিয়া ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটান এবং নিজের হাতে ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেন। তারই প্রতিনিধিরূপে ভারতের প্রথম ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং আনুষ্ঠানিকভাবে যে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেন তা ‘মহারানীর ঘোষণাপত্র’ নামে পরিচিত।

মহারানীর ঘোষণাপত্রের তাৎপর্য

মহারানীর ঘোষণাপত্র ভারতীয় জনগণের ‘ম্যাগনা কার্টা’ বা মহাসনদ হিসেবে অভিহিত। এই ঘোষণাপত্রের বক্তব্য ছিল –

(১) দেশীয় রাজাদের মর্যাদা দান

এখন থেকে দেশীয় রাজ্যগুলির সঙ্গে পূর্ব সম্পাদিত সমস্ত সন্ধি-চুক্তিকে মান্য করা হবে এবং তাঁদের প্রাপ্য মর্যাদা ও অধিকারকে যথােচিত সম্মান প্রদর্শন করা হবে।

(২) স্বত্ববিলােপ নীতি প্রত্যাহার

দেশীয় রাজ্যগুলিতে প্রচলিত দেশীয় প্রথাগুলি স্বীকৃত হবে। দেশীয় রাজারা আগের মতােই দত্তকপুত্র গ্রহণ করতে পারবে এবং স্বত্ববিলােপ নীতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

(৩) রাজ্যবিস্তার স্থগিত

ব্রিটিশ সরকার ভারতে আর রাজ্যবিস্তার করবে না এবং প্রত্যক্ষভাবে ব্রিটিশ-হত্যার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ছাড়া সকল ভারতীয় বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে।

(৪) স্বাধীন ধর্মাচরণ

কারও কোনাে ধর্মাচরণে বাধা দেওয়া হবে না। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল ভারতীয়কে একমাত্র যােগ্যতার মাপকাঠিতে উচ্চ রাজপদে নিয়োগ করা হবে।

উপসংহার :- দেশীয় রাজ্যগুলি এই প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে নিজেদের নিরাপদ মনে করলেও শেষ পর্যন্ত এই প্রতিশ্রুতিগুলি মিথ্যায় পর্যবসিত হয়। প্রকৃতপক্ষে ‘মহারানির ঘােষণাপত্র’ ছিল একটি রাজনৈতিক কৌশল বা ধাপ্পা মাত্র।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (চতুর্থ অধ্যায়) সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

৪.১. ১৮৫৭-র বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি

(ওই বিদ্রোহের সঙ্গে জাতিয়তাবোধের সম্বন্ধ বিষয়ক বিতর্ক) – সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

প্রসঙ্গক্রমে ১৮৫৭-র বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব, মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮) – এই বিষয় দুটিরও আলোচনা করতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৪.২. সভাসমিতির যুগ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.২.ক.) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা

(৪.২.খ.) জমিদার সভা

(৪.২.গ.) ভারত সভা

(৪.২.ঘ.) হিন্দুমেলা

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এই চারটি উদ্যোগের আলোচনায় জোর দিতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য সংগঠন ও অন্যান্য তুলনীয় সংগঠনগুলির উল্লেখ সহ সময়সারণী)

৪.৩. লেখায় ও রেখায় জাতীয়তাবোধের বিকাশ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.৩.ক.) আনন্দমঠ

(৪.৩.খ.) বর্তমান ভারত

(৪.৩.গ.) গোরা

(৪.৩.ঘ.) ভারতমাতা (চিত্র)

এই তিনটি রচনার ও ছবিটির মধ্যে কিভাবে জাতিয়তাবোধ ফুটে উঠেছে কেবল সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা বিষয়টিও আলোচ্য

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

Leave a Comment