২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ👇

👉Chat on WhatsApp

১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহকে ‘ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ’ বলা যায় কি

দশম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহকে ‘ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ’ বলা যায় কি? যুক্তি দেওয়া হল।

Table of Contents

১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহকে ‘ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ’ বলা যায় কি

প্রশ্ন:- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহকে ‘ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ’ বলা যায় কি? যুক্তি দাও।

ভূমিকা:- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের প্রকৃতি বা স্বরূপ সম্পর্কে পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদের অন্ত নেই। বিপ্লবী বিনায়ক দামোদর সাভারকার তাঁর ‘দ্য ইন্ডিয়ান ওয়ার অব ইনডিপেন্ডেন্স’ (১৯০১ খ্রি) গ্রন্থে এই বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন। সাভারকরের মতের সপক্ষে ও বিপক্ষে বিভিন্ন অভিমত উঠে আসে।

সপক্ষে যুক্তি

সাভারকারের মতামতকে সমর্থন করে কোনো কোনো পণ্ডিত ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম বলে মেনে নিয়ে এর সপক্ষে বিভিন্ন যুক্তি দিয়েছেন।

(১) লন্ডনের স্মরণসভা

ভারতীয় বিপ্লবীরা লন্ডনে মহাবিদ্রোহের এক স্মরণসভায় এই বিদ্রোহকে ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন।

(২) বিশ্বখ্যাত বিপ্লবসমূহের সঙ্গে তুলনা

সুশোভন সরকারের মতে, ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ জাতীয় সংগ্রাম বলে স্বীকার না করলে ইতালির কার্বোনারি আন্দোলনকে ইতালির মুক্তিযুদ্ধ বা নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে রুশ কৃষকদের যুদ্ধকে জাতীয় সংগ্রাম বলা যায় না।

(৩) মার্কস ও এঙ্গেলসের অভিমত

কার্ল মার্কস ও ফ্রেডারিক এঙ্গেলস এই বিদ্রোহকে ভারতীয়দের জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম বলে মেনে নিয়েছেন।

(৪) জোশীর অভিমত

কমিউনিস্ট নেতা পি সি জোশী তাঁর 1857, in our History প্রবন্ধে ১৮৫৭-এর বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলে স্বীকার করে নিয়েছেন।

বিপক্ষে যুক্তি

কোনো কোনো পণ্ডিত ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম বলে মানতে অস্বীকার করে এর বিপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন।

(১) সুরেন্দ্রনাথ সেনের অভিমত

ঐতিহাসিক ড. সুরেন্দ্রনাথ সেন তাঁর ‘Eighteen Fifty Seven’ গ্রন্থে ১৮৫৭-র বিদ্রোহকে প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম বলে মেনে নিতে চান নি । তাঁর মতে, সিপাহি বিদ্রোহের নেতাদের লক্ষ্য ছিল ‘প্রতিবিপ্লব’।

(২) রমেশচন্দ্র মজুমদারের অভিমত

ঐতিহাসিক ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার দেখিয়েছেন যে, এই বিদ্রোহে ভারতের সকল অঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেনি, বরং শিখ ও গোরখা সৈনিকরা এবং কোনো কোনো দেশীয় রাজা ইংরেজদের পক্ষে ছিল। তাই তার বক্তব্য ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের তথাকথিত প্রথম জাতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম “প্রথম নয়, জাতীয় নয় এবং স্বাধীনতা সংগ্রামও নয়।”

উপসংহার:- কোনো কোনো পণ্ডিতের মতে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতে জাতীয়তাবাদ বা জাতীয় ঐক্যবোধ জাগ্রতই হয়নি। তাই ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে ‘ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ’ বলে মেনে নেওয়া যায় না। তবে এই বিদ্রোহই যে ভারতে ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে প্রথম বৃহত্তম অভ্যুত্থান ছিল এবং পরবর্তীকালে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রেরণা জুগিয়েছিল – সেকথা অস্বীকার করা যায় না।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (চতুর্থ অধ্যায়) সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

৪.১. ১৮৫৭-র বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি

(ওই বিদ্রোহের সঙ্গে জাতিয়তাবোধের সম্বন্ধ বিষয়ক বিতর্ক) – সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

প্রসঙ্গক্রমে ১৮৫৭-র বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব, মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮) – এই বিষয় দুটিরও আলোচনা করতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৪.২. সভাসমিতির যুগ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.২.ক.) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা

(৪.২.খ.) জমিদার সভা

(৪.২.গ.) ভারত সভা

(৪.২.ঘ.) হিন্দুমেলা

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এই চারটি উদ্যোগের আলোচনায় জোর দিতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য সংগঠন ও অন্যান্য তুলনীয় সংগঠনগুলির উল্লেখ সহ সময়সারণী)

৪.৩. লেখায় ও রেখায় জাতীয়তাবোধের বিকাশ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.৩.ক.) আনন্দমঠ

(৪.৩.খ.) বর্তমান ভারত

(৪.৩.গ.) গোরা

(৪.৩.ঘ.) ভারতমাতা (চিত্র)

এই তিনটি রচনার ও ছবিটির মধ্যে কিভাবে জাতিয়তাবোধ ফুটে উঠেছে কেবল সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা বিষয়টিও আলোচ্য

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

Leave a Comment