২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

হিন্দুমেলার সীমাবদ্ধতাগুলি অথবা, ‘হিন্দুমেলা’ কেন জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারেনি

দশম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে হিন্দুমেলার সীমাবদ্ধতাগুলি অথবা, ‘হিন্দুমেলা’ কেন জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারেনি তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

হিন্দুমেলার সীমাবদ্ধতাগুলি অথবা, ‘হিন্দুমেলা’ কেন জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারেনি

প্রশ্ন:- হিন্দুমেলার সীমাবদ্ধতাগুলি কী ছিল?

অথবা, “হিন্দুমেলা’ কেন জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারেনি?

ভূমিকা :- উনিশ শতকে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সংগঠনগুলির মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিল ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে নবগোপাল মিত্র কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ‘হিন্দুমেলা’। তবে হিন্দুমেলার বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার জন্য এটি সাধারণ মানুষের মধ্যে খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি।

হিন্দুধর্মের প্রাধান্য

হিন্দুমেলায় হিন্দুধর্মকে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে নবগোপাল মিত্র হিন্দু-ভারতের পুনর্জাগরণের স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু নতুন প্রজন্মের বাঙালি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণি হিন্দুমেলার এই ভাবধারাকে সমর্থন করেনি।

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভাব

হিন্দুমেলা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে শুধু দেশাত্মবোধ প্রচারের উদ্যোগ নেয়। এই কারণে তা ফলপ্রসূ হয়নি।

ভারতসভার জনপ্রিয়তা

হিন্দুমেলার পরবর্তীকালে ‘ভারতসভা’ -র প্রতিষ্ঠার পর এই সভা সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ভারতসভার উপস্থিতিতে হিন্দুমেলা ক্রমে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে থাকে।

সক্রিয়তার অভাব

১৮৮০ ও ১৮৯০-এর দশকের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ বিরোধী যে সক্রিয়তার প্রয়োজন ছিল হিন্দুমেলা সেই সক্রিয়তা দেখাতে পারেনি। ফলে অধিকাংশ সাধারণ মানুষ হিন্দুমেলা থেকে দূরে সরে যায়।

উপসংহার :- বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ভারতীয়দের রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে ও জাতীয়তাবাদ প্রসারে হিন্দুমেলা বা চৈত্রমেলার অবদানকে অস্বীকার করা যায় না। এই সংগঠন ভারতের জাতীয় আন্দোলনের দ্বারা সবার জন্য উন্মুক্ত করার কাজে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালায়।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (চতুর্থ অধ্যায়) সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

৪.১. ১৮৫৭-র বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি

(ওই বিদ্রোহের সঙ্গে জাতিয়তাবোধের সম্বন্ধ বিষয়ক বিতর্ক) – সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

প্রসঙ্গক্রমে ১৮৫৭-র বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব, মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮) – এই বিষয় দুটিরও আলোচনা করতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৪.২. সভাসমিতির যুগ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.২.ক.) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা

(৪.২.খ.) জমিদার সভা

(৪.২.গ.) ভারত সভা

(৪.২.ঘ.) হিন্দুমেলা

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এই চারটি উদ্যোগের আলোচনায় জোর দিতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য সংগঠন ও অন্যান্য তুলনীয় সংগঠনগুলির উল্লেখ সহ সময়সারণী)

৪.৩. লেখায় ও রেখায় জাতীয়তাবোধের বিকাশ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.৩.ক.) আনন্দমঠ

(৪.৩.খ.) বর্তমান ভারত

(৪.৩.গ.) গোরা

(৪.৩.ঘ.) ভারতমাতা (চিত্র)

এই তিনটি রচনার ও ছবিটির মধ্যে কিভাবে জাতিয়তাবোধ ফুটে উঠেছে কেবল সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা বিষয়টিও আলোচ্য

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

Leave a Comment