পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের Madhyamik History Question Paper 2020, মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্নপত্র ২০২০ আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য তুলে ধরলাম। MP History Question Paper 2020
Madhyamik History Question Paper 2020 | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্নপত্র ২০২০
বিভাগ ‘ক’
১। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখ : ১×২০ = ২০
১.১ ‘বিশ্বপরিবেশ দিবস’ পালিত হয় –
(ক) ৮ই জানুয়ারি
(খ) ২৪শে ফেব্রুয়ারি
(গ) ৮ই মার্চ
(ঘ) ৫ই জুন
উত্তর:- (ঘ) ৫ই জুন।
১.২ ভারতীয়রা আলুর ব্যবহার শিখেছিল যাদের কাছ থেকে –
(ক) পর্তুগিজ
(গ) মুঘল
(খ) ইংরেজ
(ঘ) ওলন্দাজ
উত্তর:- (ক) পর্তুগিজ।
১.৩ প্রথম সরকারি শিক্ষা কমিশন (হান্টার কমিশন) গঠিত হয় –
(ক) ১৮৭২ খ্রিঃ
(খ) ১৮৭৮ খ্রিঃ
(গ) ১৮৮২ খ্রিঃ
(ঘ) ১৮৯০ খ্রিঃ
উত্তর:- (গ) ১৮৮২ খ্রিঃ।
১.৪ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রাহ্মসমাজে যোগ দেন –
(ক) ১৮৩০ খ্রিঃ
(খ) ১৮৩৩ খ্রিঃ
(গ) ১৮৪৩ খ্রিঃ
(ঘ) ১৮৫০ খ্রিঃ
উত্তর:- (গ) ১৮৪৩ খ্রিঃ।
১.৫ বাংলার নবজাগরণ ছিল –
(ক) ব্যক্তিকেন্দ্রিক
(খ) প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক
(গ) কলকাতাকেন্দ্রিক
(ঘ) গ্রামকেন্দ্রিক
উত্তর:- (গ) কলকাতাকেন্দ্রিক।
১.৬ দ্বিতীয় অরণ্য আইনে (১৮৭৮) লাভবান হয়েছিল –
(ক) আদিবাসী সম্প্রদায়
(খ) ব্রিটিশ সরকার
(গ) ব্যবসায়ী শ্রেণি
(ঘ) ব্রিটিশ সরকার ও আদিবাসীশ্রেণি উভয়েই
উত্তর:- (খ) ব্রিটিশ সরকার।
১.৭ ‘হুল’ কথাটির অর্থ হল –
(ক) ঈশ্বর
(খ) স্বাধীনতা
(গ) অস্ত্র
(ঘ) বিদ্রোহ
উত্তর:- (ঘ) বিদ্রোহ।
১.৮ মহারানির ঘোষণাপত্রের (১৮৫৮) প্রধান উদ্দেশ্য ছিল –
(ক) ভারতবাসীর আনুগত্য অর্জন
(খ) ভারতে ব্রিটিশদের একচেটিয়া ব্যবসার অধিকার লাভ
(গ) ভারতীয় প্রজাদের স্বায়ত্ত্বশাসনের অধিকার প্রদান
(ঘ) মহাবিদ্রোহে (১৮৫৭) বন্দী ভারতীয়দের মুক্তিদান
উত্তর:- (খ) ভারতে ব্রিটিশদের একচেটিয়া ব্যবসার অধিকার লাভ।
১.৯ ল্যান্ডহোল্ডার্স সোসাইটির সভাপতি ছিলেন –
(ক) রাজা রাধাকান্ত দেব
(খ) প্রসন্ন কুমার ঠাকুর
(গ) রাজা রামমোহন রায়
(ঘ) দ্বারকানাথ ঠাকুর
উত্তর:- (ক) রাজা রাধাকান্ত দেব।
১.১০ হিন্দুমেলার সম্পাদক ছিলেন –
(ক) নবগোপাল মিত্র
(খ) গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) রাজনারায়ণ বসু
(ঘ) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তর:- (খ) গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১.১১ বাংলা ভাষায় প্রথম বই ছাপা হয় –
(ক) ১৫৫৬ খ্রিঃ
(খ) ১৭৭৮ খ্রিঃ
(গ) ১৭৮৫ খ্রিঃ
(ঘ) ১৮০০ খ্রিঃ
উত্তর:- (খ) ১৭৭৮ খ্রিঃ।
১.১২ বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট -এর প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন
(ক) অরবিন্দ ঘোষ
(খ) সতীশচন্দ্র বসু
(গ) যোগেশচন্দ্র ঘোষ
(ঘ) প্রমথনাথ বসু
উত্তর:- (ঘ) প্রমথনাথ বসু।
১.১৩ ‘দেশপ্রাণ’ নামে পরিচিত ছিলেন –
(ক) সতীশচন্দ্র সামস্ত
(খ) অশ্বিনীকুমার দত্ত
(গ) বীরেন্দ্রনাথ শাসমল
(ঘ) যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত
উত্তর:- (গ) বীরেন্দ্রনাথ শাসমল।
১.১৪ মোপলা বিদ্রোহ (১৯২১) হয়েছিল –
(ক) মালাবার উপকূলে
(খ) কোঙ্কন উপকূলে
(গ) গোদাবরী উপত্যকায়
(ঘ) তেলেঙ্গানা অঞ্চলে
উত্তর:- (ক) মালাবার উপকূলে।
১.১৫ ‘মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা’ (১৯২৯) হয়েছিল –
(ক) জাতীয় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে
(খ) বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে
(গ) শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে
(ঘ) কৃষক নেতাদের বিরুদ্ধে
উত্তর:- (গ) শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে।
১.১৬ ‘নারী সত্যাগ্রহ সমিতি’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল –
(ক) বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময়ে
(খ) অসহযোগ আন্দোলনের সময়ে
(গ) আইন অমান্য আন্দোলনের সময়ে
(ঘ) ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময়ে
উত্তর:- (গ) আইন অমান্য আন্দোলনের সময়ে।
১.১৭ ‘মাস্টারদা’ নামে পরিচিত ছিলেন –
(ক) বেণীমাধব দাস
(খ) সূর্য সেন
(গ) কৃষ্ণকুমার মিত্র
(ঘ) হেমচন্দ্র ঘোষ
উত্তর:- (খ) সূর্য সেন।
১.১৮ মাদ্রাজে ‘আত্মসম্মান আন্দোলন’ শুরু করেন –
(ক) রামস্বামী নাইকার
(খ) নারায়ণ গুরু
(গ) ভীমরাও আম্বেদকর
(ঘ) গান্ধিজি
উত্তর:- (ক) রামস্বামী নাইকার।
১.১৯ স্বাধীনতার প্রাক্কালে ভারতের সবচেয়ে বড় দেশীয় রাজ্য ছিল –
(ক) কাশ্মীর
(খ) জুনাগড়
(গ) হায়দ্রাবাদ
(ঘ) জয়পুর
উত্তর:- (গ) হায়দ্রাবাদ।
১.২০ পুনর্গঠিত কেরল রাজ্যটি অবস্থিত ছিল –
(ক) গোদাবরী উপত্যকায়
(খ) দক্ষিণ উড়িষ্যায়
(গ) কাথিয়াবাড় উপদ্বীপে
(ঘ) মালাবার উপকূলে
উত্তর:- (ঘ) মালাবার উপকূলে।
বিভাগ ‘খ’
২। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ ১টি করে মোট ১৬টি প্রশ্নের উত্তর দাও) : ১×১৬=১৬
উপবিভাগ : ২.১
২.১ একটি বাক্যে উত্তর দাও:
(২.১.১) বিপিনচন্দ্র পালের আত্মজীবনী গ্রন্থের নাম কী ?
উত্তর:- সত্তর বৎসর।
(২.১.২) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য কে ছিলেন ?
উত্তর:- গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।
(২.১.৩) কত খ্রিষ্টাব্দে ‘নীল কমিশন’ গঠিত হয় ?
উত্তর:- ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে।
(২.১.৪) ‘বর্ণপরিচয়’ কে রচনা করেন ?
উত্তর:- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
উপবিভাগ : ২.২
২.২ ঠিক বা ভুল নির্ণয় কর : ১×৪=৪
(২.২.১) ‘নদীয়া কাহিনী’ গ্রন্থটি ‘শহরের ইতিহাস’-এর অন্তর্গত।
উত্তর:- ভুল, স্থানীয় বা আঞ্চলিক ইতিহাস।
(২.২.২) বাবা রামচন্দ্র ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের নেতা।
উত্তর:- ভুল, কৃষক বিদ্রোহের নেতা।
(২.২.৩) ফরোয়ার্ড ব্লক প্রতিষ্ঠা করেন সুভাষচন্দ্র বসু ।
উত্তর:- ঠিক।
(২.২.৪) লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রতিষ্ঠা করেন বাসন্তী দেবী।
উত্তর:- ভুল, সরলাদেবী চৌধুরানী।
উপবিভাগ : ২.৩
২.৩ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও:
‘ক’ স্তম্ভ | ‘খ’ স্তম্ভ |
---|---|
(২.৩.১) টমাস ব্যাবিংটন মেকলে | (১) ল্যান্ডহোল্ডার্স সোসাইটি |
(২.৩.২) কেশবচন্দ্র সেন | (২) বর্তমান ভারত |
(২.৩.৩) রাজা রাধাকান্ত দেব | (৩) পাশ্চাত্য শিক্ষা |
(২.৩.৪) স্বামী বিবেকানন্দ | (৪) নববিধান |
উত্তর:- ২.৩.১ – ৩, ২.৩.২ – ৪, ২.৩.৩ – ১, ২.৩.৪ – ২
উপবিভাগ : ২.৪
২.৪ প্রদত্ত ভারতবর্ষের রেখা মানচিত্রে নিম্নলিখিত স্থানগুলি চিহ্নিত কর ও নামাঙ্কিত কর :
(২.৪.১) বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের কেন্দ্র বারাসাত।
(২.৪.২) নীলবিদ্রোহের অন্যতম কেন্দ্র – যশোহর-নদিয়া ।
(২.৪.৩) মহাবিদ্রোহের (১৮৫৭) অন্যতম কেন্দ্র মিরাট।
(২.৪.৪) পুনর্গঠিত রাজ্য (১৯৬০) – মহারাষ্ট্র
অথবা
(কেবলমাত্র দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীদের জন্য)
২.৪ শূন্যস্থান পূরণ কর :
(২.৪.১) সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের একজন নেতা ছিলেন____________।
উত্তর:- সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের একজন নেতা ছিলেন ভবানী পাঠক।
(২.৪.২) নীলবিদ্রোহের একটি কেন্দ্র ছিল_____________।
উত্তর:- নীলবিদ্রোহের একটি কেন্দ্র ছিল নদীয়া।
(২.৪.৩) মহাবিদ্রোহের (১৮৫৭ খ্রিঃ) সময়ে ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন______________।
উত্তর:- মহাবিদ্রোহের (১৮৫৭ খ্রিঃ) সময়ে ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড ক্যানিং।
(২.৪.৪ ) হায়দ্রাবাদ রাজ্যটি স্বাধীন ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়_____________খ্রিষ্টাব্দে।
উত্তর:- হায়দ্রাবাদ রাজ্যটি স্বাধীন ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে।
উপবিভাগ : ২.৫
নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঙ্গে সঠিক ব্যাখ্যাটি নির্বাচন কর :
(২.৫.১ ) বিবৃতি : হ্যালহেড তাঁর বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থ লেখেন এদেশীয় ইংরেজ কর্মচারীদের বাংলা ভাষা শেখাবার জন্য।
ব্যাখ্যা ১ : কারণ, এ দেশের ইংরেজ কর্মচারীরা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অনুরাগী ছিলেন।
ব্যাখ্যা ২ : কারণ, বাংলা ভাষা না জানলে ইংরেজ কর্মচারীদের পদোন্নতি হত না।
ব্যাখ্যা ৩ : কারণ, এ দেশে বাণিজ্য ও প্রশাসন চালাবার জন্য ইংরেজ কর্মচারীদের বাংলা ভাষা আয়ত্ত করা প্রয়োজন ছিল।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ৩: কারণ, এ দেশে বাণিজ্য ও প্রশাসন চালাবার জন্য ইংরেজ কর্মচারীদের বাংলা ভাষা আয়ত্ত করা প্রয়োজন ছিল।
(২.৫.২) বিবৃতি : বারদৌলি সত্যাগ্রহ অনুষ্ঠিত হয় ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে।
ব্যাখ্যা ১ : এই আন্দোলন ছিল ভূ-স্বামী ধনী কৃষকদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ভূমিহীন দরিদ্র কৃষি-শ্রমিকদের আন্দোলন।
ব্যাখ্যা ২ : এই আন্দোলন ছিল, ভূমি রাজস্ব বৃদ্ধির প্রতিবাদে সরকারের বিরুদ্ধে ভূ-স্বামী ধনী কৃষকশ্রেণির আন্দোলন।
ব্যাখ্যা ৩ : এই আন্দোলন ছিল, ভূমি রাজস্ব বৃদ্ধির প্রতিবাদে ভূ-স্বামী ধনী কৃষকশ্রেণি এবং ভূমিহীন দরিদ্র কৃষক শ্রেণির মিলিত আন্দোলন।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ৩: এই আন্দোলন ছিল, ভূমি রাজস্ব বৃদ্ধির প্রতিবাদে ভূ-স্বামী ধনী কৃষকশ্রেণি এবং ভূমিহীন দরিদ্র কৃষক শ্রেণির মিলিত আন্দোলন।
(২.৫.৩) বিবৃতি : ভারতছাড়ো আন্দোলনের (১৯৪২) সময়ে ভোগেশ্বরী ফুকোননী পুলিশের গুলিতে মৃত্যুবরণ করেন।
ব্যাখ্যা ১ : ভোগেশ্বরী ফুকোননী পুলিশের সঙ্গে সশস্ত্র সংগ্রামে মারা যান।
ব্যাখ্যা ২ : পলাতকা বিপ্লবী ভোগেশ্বরী ফুকোননী আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকৃত হলে পুলিশ তাঁকে গুলি করে।
ব্যাখ্যা ৩ : ভোগেশ্বরী ফুকোননী অসমের নওগাঁ জেলার পুলিশ থানায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে মারা যান।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ৩: ভোগেশ্বরী ফুকোননী অসমের নওগাঁ জেলার পুলিশ থানায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে মারা যান।
(২.৫.৪) বিবৃতি : সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারার (১৯৩২) মাধ্যমে অনুন্নত শ্রেণিদের পৃথক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হলে গান্ধিজি তার প্রতিবাদে আমরণ অনশন শুরু করেন।
ব্যাখ্যা ১ : গান্ধিজি ছিলেন অনুন্নত শ্রেণিদের নির্বাচনী অধিকারের বিরোধী।
ব্যাখ্যা ২ : হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরীর প্রতিবাদে গান্ধিজি অনশন করেন।
ব্যাখ্যা ৩ : জাতীয় কংগ্রেসের নির্দেশে গান্ধিজি প্রতিবাদী অনশন করেছিলেন।
উত্তর:- ব্যাখ্যা ২: হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরীর প্রতিবাদে গান্ধিজি অনশন করেন।
বিভাগ ‘গ’
দু’টি অথবা তিনটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে কোনো ১১টি): ২×১১=২২
৩.১ আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান রূপে ‘সরকারি নথিপত্রে’র সীমাবদ্ধতা কী ?
উত্তর:- আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদানরূপে সরকারি নথিপত্রের সীমাবদ্ধতা গুলি হল –
- (ক) এই নথিপত্রগুলি পুলিশ বা গোয়েন্দা বা সরকারি আধিকারিকদের দ্বারা রচিত হত বলে এই ধরনের লেখাগুলি সরকারি নীতির প্রতি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন জানাত।
- (খ) এই ধরনের নথিপত্রে সাধারণ মানুষ বা বিদ্রোহী জনগণের মনোভাব অনেকক্ষেত্রেই উপেক্ষিত হয়েছে।
৩.২ আত্মজীবনী এবং স্মৃতিকথা বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর:- নিজের জীবন ও সেই সংক্রান্ত ঘটনাবলি যখন কোনো ব্যক্তি নিজে লিপিবদ্ধ করেন, তখন সেই লিপিবদ্ধ কাহিনিকে আত্মজীবনী বলা হয়। আবার যখন কোনো ব্যক্তি অতীতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা দীর্ঘদিন পর স্মৃতি থেকে মনে করে লিপিবদ্ধ করেন তখন তা হয়ে ওঠে স্মৃতিকথা। এখানে উল্লেখ্য যে, সব আত্মজীবনীই স্মৃতিকথা; কিন্তু সব স্মৃতিকথাই আত্মজীবনী নয়।
৩.৩ এ দেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খ্রিষ্টান মিশনারীদের প্রধান উদ্দেশ্য কী ছিল ?
উত্তর:- ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারিদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল (১) এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে ভারতীয় সমাজ-সংস্কৃতির অগ্রগতি ঘটানো। (২) এদেশে পাশ্চাত্য সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রসার ঘটানো (৩) সর্বোপরি ভারতীয়দের মধ্যে খ্রিস্টান ধর্মের প্রসার ঘটানো।
৩.৪ ‘নববিধান’ কী ?
উত্তর:- ‘নববিধান’ কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল ‘নতুন বিধান’ বা ‘নতুন নিয়ম রীতি’। নববিধান হল ব্রাহ্মনেতা কেশবচন্দ্র সেন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্মসমাজের একটি শাখা। কেশবচন্দ্র সেন ও শিবনাথ শাস্ত্রীর মধ্যে বিরোধ শুরু হলে শিবনাথ শাস্ত্রী তাঁর অনুগত তরুণদের নিয়ে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং কেশবচন্দ্র ১৮৮০ সালে তার অনুগামীদের নিয়ে নববিধান প্রতিষ্ঠা করেন।
৩.৫ চুয়াড় বিদ্রোহের (১৭৯৮-১৭৯৯) গুরুত্ব কী ছিল ?
উত্তর:- চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্ব হল-
- (ক) এই বিদ্রোহের পর চুয়াড়দের ওপর পুলিশি দমন-পীড়ন বৃদ্ধি পায়।
- (খ) চুয়াড়দের কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্দেশ্যে তাদের জন্য দুর্গম অঞ্চল নিয়ে জঙ্গলমহল জেলা গঠন করা হয়৷
- (গ) এই বিদ্রোহ পরবর্তীকালে ব্রিটিশবিরোধী পথ দেখায়।
- (ঘ) বিদ্রোহে ইরেজদের বিরুদ্ধে চুয়াড় কৃষক ও জমিদাররা ঐক্যবদ্ধ হয়
৩.৬ ফরাজি আন্দোলন কী নিছক ধর্মীয় আন্দোলন ছিল ?
উত্তর:- ফরাজি আন্দোলন শুধুই ধর্মীয় ছিল কিনা তা নিয়ে বিতর্ক আছে। অনেকে মনে করেন যে, এটি নিছকই হিন্দুবিরোধী এবং ধর্মীয় আন্দোলন ছিল। নরহরি কবিরাজ, অভিজিৎ দত্ত প্রমুখ ধর্মীয় আন্দোলনের পাশাপাশি ফরাজি আন্দোলনে কৃষকশ্রেণির ব্যাপক অংশগ্রহণ, তীব্র ব্রিটিশ-বিরোধিতা প্রভৃতিও লক্ষ্য করেছেন।
৩.৭ ‘ল্যান্ডহোল্ডার্স সোসাইটি’ কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
উত্তর:- ল্যান্ডহোল্ডার্স সোসাইটি প্রতিষ্ঠার (১৮৩৮ খ্রি.) প্রধান উদ্দেশ্য হল – (১) চিরস্থায়ী ভূমিব্যবস্থার মধ্যে জমিদারদের নিজেদের স্বার্থরক্ষা করা। (২) খাজনা-মুক্ত ভূমিব্যবস্থা প্রণয়নের সরকারি উদ্যোগ প্রতিহত করা। (৩) ভারতীয়দের মধ্যে ব্রিটিশবিরোধী জাতীয় চেতনার বিকাশ ঘটানো।
৩.৮ উনিশ শতকে জাতীয়তাবাদের উন্মেষে ‘আনন্দ মঠ’ উপন্যাসটির কীরূপ অবদান ছিল ?
উত্তর:- উনিশ শতকে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের উন্মেষে বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। এই উপন্যাসটি যুবসমাজকে শেখায় যে, জন্মভূমি স্বদেশ হল মা। মায়ের মুক্তির উদ্দেশ্যে সন্তানের চুড়ান্ত আত্মত্যাগের প্রয়ােজন। দেশসেবায় আনন্দমঠের সন্তানদলের আত্মত্যাগ বিপ্লবীদের অনুপ্রাণিত করে।
৩.৯ বাংলার সাংস্কৃতিক জীবনে ছাপাখানার বিকাশের প্রভাব কতটা ?
উত্তর:- বাংলার সাংস্কৃতিক জীবনে ছাপাখানার বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। যেমন – (১) বাংলায় গণশিক্ষার প্রসার শুরু হয়। (২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সস্তায় বইপত্র শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছোতে থাকে। (৩) সাধারণ মানুষ সুলভে বইপত্র থেকে বিভিন্ন জ্ঞান আহরণের সুযোগ পায়। (৪) বইয়ের ব্যাবসার নতুন বাজার গড়ে ওঠে।
৩.১০ ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ ছিল কেন ?
উত্তর:- ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ ছিল। কারণ, ভারতের চিরাচরিত শিক্ষায় যা কিছু সদর্থক ছিল ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা তা ধ্বংস করে। ঔপনিবেশিক শিক্ষাকাঠামোয় ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে অবহেলা করা হয়। ইংরেজি ভাষার বাহন এই শিক্ষা ভারতে গণশিক্ষার প্রসারে ব্যর্থ হয়। এই শিক্ষার মাধ্যমে ইংরেজদের গোলাম করণিক তৈরি এবং খ্রিস্টান ধর্মের প্রসার ঘটানো সম্ভব হয়।
৩.১১ মোপলা বিদ্রোহের (১৯২১) কারণ কী ?
উত্তর:- ১৮৩৬ সাল থেকে ১৮৫৮ সালের মধ্যে কেরলের মালাবার অঞ্চলে দরিদ্র কৃষিজীবী সম্প্রদায় মোপলারা বার বার বিদ্রোহ করে। ইংরেজদের বলপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া বিপুল রাজস্বের বোঝা, স্থানীয় জমিদারের তীব্র শোষণ ও অত্যাচার এবং ঋণের জালে জর্জরিত করা ছিল মোপলাদের বারংবার বিদ্রোহের কারন।
৩.১২ কী উদ্দেশ্যে কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল প্রতিষ্ঠিত হয় ?
উত্তর:- কংগ্রেসের অভ্যন্তরে কংগ্রেস সমাজতান্ত্রিক দল (১৯৩৪ খ্রি.) প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য হল – (১) কংগ্রেসে সমাজতান্ত্রিক আদর্শগুলি গ্রহণ করার জন্য বর্ষীয়ান নেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। (২) দরিদ্র দেশবাসীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতার দাবিতে কাজ করা। (৩) পুঁজিপতি, জমিদার ও দেশীয় রাজাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া (৪) ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতার লক্ষ্যে কাজ করা।
৩.১৩ ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই অক্টোবর বাংলার নারী সমাজ কেন অরন্ধন পালন করে ?
উত্তর:- স্বদেশি আন্দোলনের সূচনালগ্নে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর আহ্বানে বাংলার নারী সমাজের অরন্ধন পালন করার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল (১) বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা, (২) হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে বাঙালি ঐক্যের স্বরূপ তুলে ধরা, (৩) নারীদের অংশগ্রহণে স্বদেশি আন্দোলনকে শক্তিশালী করা।
৩.১৪ ননীবালা দেবী স্মরণীয় কেন ?
উত্তর:- ননীবালা দেবী ছিলেন এক দুঃসাহসী বিপ্লবী। তিনি নিজের বাড়িতে বিপ্লবীদের গোপনে আশ্রয় দিয়ে গ্রেপ্তার হন। তাকে মাটির নীচে জানালাহীন কক্ষে আটক রাখা হয়। প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি অবস্থায় তিনি পুলিশ সুপার গোল্ডিকে কষিয়ে চড় মারেন। তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম রাজবন্দি।
৩.১৫ সর্দার প্যাটেলকে ‘ভারতের লৌহমানব’ বলা হয় কেন ?
উত্তর:- ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার প্যাটেলকে ভারতের লৌহমানব বলা হয়। কারণ, তিনি ছিলেন সর্বদা নীতি ও আদর্শে অটল। তিনি অনমনীয় দৃঢ়তার সঙ্গে স্বাধীন ভারতে অধিকাংশ দেশীয় রাজ্যের ভারতভুক্তি ঘটান।
৩.১৬ কী পরিস্থিতিতে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন (১৯৫৩) গঠিত হয়েছিল ?
উত্তর:- স্বাধীনতা লাভের পর ভারতের রাজ্য পুনর্গঠনের ভিত্তি নির্ধারণে ব্যাপক সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় কংগ্রেস ভাষাভিত্তিক পুনর্গঠনের বিরোধিতা করলে সারা দেশে বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে তেলুগু গান্ধিবাদী নেতা পত্তি শ্রীরামুলু পৃথক অপ্রদেশ গঠনের দাবিতে অনশন করে মৃত্যুবরণ করলে তেলুগুভাষী জেলাগুলিতে দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠিত হয়।
বিভাগ ‘ঘ’
৪। সাত বা আটটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও। প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্ততঃ ১টি করে মোট ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
উপবিভাগ : ঘ.১
৪.১ ‘উডের নির্দেশনামা’ (১৮৫৪) কে এদেশের শিক্ষা বিস্তারের ‘মহাসনদ’ বলা হয় কেন ?
৪.২ শ্রীরামকৃষ্ণের ‘সর্বধর্ম সমন্বয় -এর আদর্শ ব্যাখ্যা কর।
৪.৩ মহাবিদ্রোহের (১৮৫৭) প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব কীরূপ ছিল ?
৪.৪ ভারত সভার প্রতিষ্ঠা ও বিকাশে সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জির ভূমিকা বিশ্লেষণ কর।
উপবিভাগ : ঘ.২
৪.৫ বারদৌলি সত্যাগ্রহের প্রতি জাতীয় কংগ্রেসের কীরুপ মনোভাব ছিল ?
৪.৬ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময়ে শ্রমিক শ্রেণির ভূমিকা কীরূপ ছিল ?
উপবিভাগ : ঘ.৩
৪. জুনাগড় রাজ্যটি কী ভাবে ভারতভুক্ত হয় ?
৪.৮ উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে ভারত সরকার কী কী উদ্যোগ গ্রহণ করে ?
বিভাগ ‘ঙ’
৫। পনেরো বা ষোলটি বাক্যে যে কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও :
৫.১ উনিশ শতকের প্রথমার্ধে সতীদাহ প্রথা বিরোধী প্রচেষ্টাগুলির পরিচয় দাও। রামমোহন রায় কী ভাবে সতীদাহ প্রথা বিরোধী আন্দোলনকে সাফল্যমন্ডিত করেন ?
৫.২ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাচিন্তা ও শান্তিনিকেতন ভাবনার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ।
৫.৩ বাংলায় নমঃশূদ্র আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও ।
(কেবলমাত্র বহিরাগত পরীক্ষার্থীদের জন্য)
বিভাগ ‘চ’
৬। ৬.১ একটি পূর্ণ বাক্যে উত্তর দাও (যে কোনো ৪টি) :
৬.১.১ ‘সোমপ্রকাশ’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন ?
উত্তর:- দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ।
৬.১.২ ‘নীলদর্পণ’ নাটকটি ইংরাজিতে কে অনুবাদ করেন ?
উত্তর:- মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
৬.১.৩ এশিয়াটিক সোসাইটি কোন বছর প্রতিষ্ঠিত হয় ?
উত্তর:- ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে।
৬.১.৪ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য কে ছিলেন ?
উত্তর:- রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৬.১.৫ দীপালি সংঘ কে প্রতিষ্ঠা করেন ?
উত্তর:- লীলা নাগ।
৬.১.৬ পুনা চুক্তি (১৯৩২) কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল ?
উত্তর:- মহাত্মা গান্ধী ও বাবাসাহেব আম্বেদকর।
৬.২ দুটি বা তিনটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে কোনো তিনটি) : ২×৩=৬
৬.২.১ মেকলে মিনিট’ কী ?
উত্তর:- জনশিক্ষা কমিটির সভাপতি টমাস ব্যাবিংটন মেকলে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের দাবি জানিয়ে ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে ২ ফেব্রুয়ারি বড়োলাট লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের কাছে একটি প্রস্তাব রাখেন, যা ‘মেকলে মিনিট’ নামে পরিচিত। এই প্রস্তাবে মেকলে বলেন যে, প্রাচ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই পশ্চাৎপদ। এজন্য এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তিত হওয়া উচিত।
৬.২.২ তিতুমির স্মরণীয় কেন ?
উত্তর:- তিতুমির ছিলেন বাংলার ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রধান নেতা। তিনি দরিদ্র ও নির্যাতিত মুসলিমদের নিয়ে অত্যাচারী জমিদার, মহাজন ও নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন এবং বারাসাত বসিরহাটের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘোষণা করেন। শেষপর্যন্ত ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে তিনি নিহত হন।
৬.২.৩ পঞ্চানন কর্মকার কে ছিলেন ?
উত্তর:- বাংলার ছাপাখানার বিকাশে পঞ্চানন কর্মকারের ভূমিকা ছিল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তিনি ছিলেন বাংলা ভাষার ছাপাখানার হরফ নির্মাণের অন্যতম রূপকার। তিনি বাংলা ছাপাখানায় সচল ধাতু হরফের প্রচলন করেছিলেন।
৬.২.৪ ‘ভারতমাতা’ চিত্রটির গুরুত্ব কী ?
উত্তর:- ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী স্বদেশি আন্দোলনের সময় হিন্দুদের ধনসম্পদের দেবী লক্ষ্মীর অনুকরণে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ‘ভারতমাতা’ চিত্রটি শিক্ষিত ও প্রগতিশীল ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবাদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
৬.২.৫ নেহরু-লিয়াকত চুক্তি’ (১৯৫০) কেন স্বাক্ষরিত হয় ?
উত্তর:- ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন, উভয় দেশের উদ্বাস্তুদের তাদের মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে দেওয়া, ফিরে যাওয়া উদ্বাস্তুদের পৈতৃক সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়া, অপহৃতা উদ্বাস্তু নারীদের ফিরিয়ে দেওয়া, সংখ্যালঘুদের অধিকার সুনিশ্চিত করা প্রভৃতি উদ্দেশ্যে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নেহরু-লিয়াকৎ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।