২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে সামন্ত শ্রেণির বিদ্রোহ বলার ক্ষেত্রে কী যুক্তি দেওয়া হয়

দশম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে সামন্ত শ্রেণির বিদ্রোহ বলার ক্ষেত্রে কী যুক্তি দেওয়া হয় তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে সামন্ত শ্রেণির বিদ্রোহ বলার ক্ষেত্রে কী যুক্তি দেওয়া হয়

প্রশ্ন:- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে সামন্ত শ্রেণির বিদ্রোহ বলার ক্ষেত্রে কী যুক্তি দেওয়া হয়?

ভূমিকা:-  ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুর সেনা ছাউনিতে সিপাহি মঞ্চল পান্ডে যে বিদ্রোহ শুরু করেন তা কিছুকালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতের ইতিহাসে এটি ১৮৫৭-র মহাবিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহের প্রকৃতি বা স্বরূপ নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক আছে। এই প্রসঙ্গে কেউ কেউ একে সামন্তশ্রেণির বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন।

সামন্ত বিদ্রোহ বলার পক্ষে যুক্তি

বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার, ড. সুরেন্দ্রনাথ সেন, রজনীপাম দত্ত প্রমুখ ১৮৫৭-র মহাবিদ্রোহকে সামন্তশ্রেণির বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। ড. মজুমদারের মতে, এই বিদ্রোহ ছিল অভিজাততন্ত্র ও সামন্ততন্ত্রের মৃত্যুকালীন আর্তনাদ। এই প্রসঙ্গে যুক্তি গুলি হল –

(১) সামন্তপ্রভুদের ব্যক্তিস্বার্থ

অধ্যাপক সুরেন্দ্রনাথ সেনের মতে, ১৮৫৭-র বিদ্রোহে জাতীয় স্তরের পরিকল্পনা গড়ে ওঠেনি। হতাশাগ্রস্ত সামন্তপ্রভুরা ক্ষমতার মধুভাণ্ড পাওয়ার লোভে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।

(২) প্রতিক্রিয়াশীল

১৮৫৭-র বিদ্রোহ ছিল প্রতিক্রিয়াশীল। ভারতে দ্রুত ইংরেজ শাসন বিস্তৃত হলে এদেশের সামন্তপ্রভুরা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বিদ্রোহের রাশ নিজেদের হাতে তুলে নেয়। ড. সেনের মতে, এই বিদ্রোহের নেতাদের লক্ষ্য ছিল প্রতিবিপ্লব।

(৩) ভৌমিক অধিকার ফিরে পাওয়ার আশা

১৮৫৭-র বিদ্রোহে যেসকল অসামরিক লোকজন অংশগ্রহণ করেন তাদের নেতৃত্বের রাশ ছিল জমিদার ও সামন্তপ্রভুদের হাতে। নানাসাহেব, লক্ষ্মীবাই, কুনওয়ার সিং প্রমুখ সামন্ত নেতা এই বিদ্রোহে যোগ দেন। আসলে ব্রিটিশদের সরকারি নীতির ফলে সামন্তরা যে চিরাচরিত ক্ষমতা হারান, তা পুনরায় ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যেই তারা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন।

উপসংহার:- ১৮৫৭-র মহাবিদ্রোহে সামন্ততান্ত্রিক উপাদান নিশ্চয় ছিল। তাই বলে এই বিদ্রোহকে পুরোপুরি সামন্ততান্ত্রিক বলা যুক্তিযুক্ত নয়। এই বিষয়ে এখনও গবেষণা চলছে।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (চতুর্থ অধ্যায়) সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

৪.১. ১৮৫৭-র বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি

(ওই বিদ্রোহের সঙ্গে জাতিয়তাবোধের সম্বন্ধ বিষয়ক বিতর্ক) – সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

প্রসঙ্গক্রমে ১৮৫৭-র বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব, মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮) – এই বিষয় দুটিরও আলোচনা করতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৪.২. সভাসমিতির যুগ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.২.ক.) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা

(৪.২.খ.) জমিদার সভা

(৪.২.গ.) ভারত সভা

(৪.২.ঘ.) হিন্দুমেলা

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এই চারটি উদ্যোগের আলোচনায় জোর দিতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য সংগঠন ও অন্যান্য তুলনীয় সংগঠনগুলির উল্লেখ সহ সময়সারণী)

৪.৩. লেখায় ও রেখায় জাতীয়তাবোধের বিকাশ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.৩.ক.) আনন্দমঠ

(৪.৩.খ.) বর্তমান ভারত

(৪.৩.গ.) গোরা

(৪.৩.ঘ.) ভারতমাতা (চিত্র)

এই তিনটি রচনার ও ছবিটির মধ্যে কিভাবে জাতিয়তাবোধ ফুটে উঠেছে কেবল সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা বিষয়টিও আলোচ্য

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

Leave a Comment