২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ👇

👉Chat on WhatsApp

১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলা যায় কী

দশম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলা যায় কী তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলা যায় কী

প্রশ্ন:- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলা যায় কী?

ভূমিকা:- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুর সেনা ছাউনিতে সিপাহি মঞ্চল পান্ডে যে বিদ্রোহ শুরু করেন তা কিছুকালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতের ইতিহাসে এটি ১৮৫৭-র মহাবিদ্রোহ নামে পরিচিত। অনেকে এই বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন।

১৮৫৭-র বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলার পক্ষে যুক্তি

ঐতিহাসিক শশীভূষণ চৌধুরী, রবার্টসন, ডাফ, আউট্রাম, সমাজতন্ত্রবিদ কার্ল মার্কস, টোরি দলের নেতা ডিসরেলি-সহ অনেকেই ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। এক্ষেত্রে তাঁদের যুক্তিগুলি হল –

(১) সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা

১৮৫৭-র বিদ্রোহে সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা ছিল স্পষ্ট। সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে ভারতের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঝাপিয়ে পড়েছিল। শশীভূষণ চৌধুরী বলেছেন যে, এটি ছিল সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী জাতীয় যুদ্ধ।

(২) সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ

১৮৫৭ -র বিদ্রোহ সিপাহিরা শুরু করলেও কিছুদিনের মধ্যেই এই বিদ্রোহে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বহু অসামরিক সাধারণ জনগণ যোগ দেয়। সাধারণ কৃষক থেকে শুরু করে জমিদার শ্রেণি প্রত্যেকেই ভারতকে ইংরেজদের কবল থেকে মুক্ত করতে বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করে।

(৩) বাহাদুর শাহের নেতৃত্ব

১৮৫৭-র বিদ্রোহে বিদ্রোহীরা মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহকে ভারতের সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করলে দেশবাসীর মনে জাতীয়তাবাদী মনোভাব জেগে ওঠে। তাঁর নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে এই বিদ্রোহ এক জাতীয় রূপ পায়।

উপসংহার:- ১৮৫৭-র মহাবিদ্রোহে জাতীয়তাবাদী উপাদান নিশ্চয় ছিল। তাই বলে এই বিদ্রোহকে পুরোপুরি জাতীয় বিদ্রোহ বলা যুক্তিযুক্ত নয়। এর বাইরেও নানা ধারা বিদ্রোহের মধ্যে সক্রিয় ছিল।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (চতুর্থ অধ্যায়) সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

৪.১. ১৮৫৭-র বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি

(ওই বিদ্রোহের সঙ্গে জাতিয়তাবোধের সম্বন্ধ বিষয়ক বিতর্ক) – সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

প্রসঙ্গক্রমে ১৮৫৭-র বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব, মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮) – এই বিষয় দুটিরও আলোচনা করতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৪.২. সভাসমিতির যুগ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.২.ক.) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা

(৪.২.খ.) জমিদার সভা

(৪.২.গ.) ভারত সভা

(৪.২.ঘ.) হিন্দুমেলা

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এই চারটি উদ্যোগের আলোচনায় জোর দিতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য সংগঠন ও অন্যান্য তুলনীয় সংগঠনগুলির উল্লেখ সহ সময়সারণী)

৪.৩. লেখায় ও রেখায় জাতীয়তাবোধের বিকাশ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.৩.ক.) আনন্দমঠ

(৪.৩.খ.) বর্তমান ভারত

(৪.৩.গ.) গোরা

(৪.৩.ঘ.) ভারতমাতা (চিত্র)

এই তিনটি রচনার ও ছবিটির মধ্যে কিভাবে জাতিয়তাবোধ ফুটে উঠেছে কেবল সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা বিষয়টিও আলোচ্য

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

Leave a Comment