২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ👇

👉Chat on WhatsApp

ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে স্বামী বিবেকানন্দের বর্তমান ভারত গ্রন্থটির কী ভূমিকা ছিল

দশম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে স্বামী বিবেকানন্দের বর্তমান ভারত গ্রন্থটির কী ভূমিকা ছিল তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে স্বামী বিবেকানন্দের বর্তমান ভারত গ্রন্থটির কী ভূমিকা ছিল

প্রশ্ন:- ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে স্বামী বিবেকানন্দের ‘বর্তমান ভারত’ গ্রন্থটির কী ভূমিকা ছিল?

ভূমিকা :- ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত স্বামী বিবেকানন্দের ‘বর্তমান ভারত’ গ্রন্থটি ঔপনিবেশিক আমলে ভারতীয়দের জাতীয়তাবোধের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ বলেছেন, “বিবেকানন্দই আমাদের জাতীয় জীবনের গঠনকর্তা।”

গৌরবোজ্জ্বল অতীতের বর্ণনা

স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর ‘বর্তমান ভারত’ গ্রন্থে বৈদিক যুগ থেকে ব্রিটিশ শাসনকাল পর্যন্ত ভারতের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস বর্ণনা ও ব্যাখ্যা করেছেন।

ঐক্য প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা

বিবেকানন্দ উপলব্ধি করেন যে, পরাধীন ভারতের মুক্তির জন্য প্রয়োজন ভারতীয়দের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা। তিনি ভারতীয় সমাজের বর্ণবৈষম্য ও দলিত বা শূদ্রদের প্রতি বঞ্চনার তীব্র নিন্দা করে সকল ভারতীয়ের ঐক্যের কথা বলেছেন।

শূদ্র জাগরণের প্রত্যাশা

বিবেকানন্দ বলেছেন যে, বৈদিক যুগ থেকে আজ পর্যন্ত শূদ্রদের দমিয়ে রাখা হয়েছে। তাই এবার ভারতে শূদ্র জাগরণ ঘটবে এবং শূদ্র-সহ সমাজের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। এভাবে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলেই প্রকৃত স্বাধীনতার মূল্য থাকবে।

দেশপ্রেমের আদর্শ

বিবেকানন্দ তাঁর গ্রন্থে ভারতবাসীকে দেশপ্রেমের মন্ত্রে দীক্ষিত করেন। তিনি বলেন, -“ভারতবাসী আমার ভাই, ভারতবাসী আমার প্রাণ, ভারতের দেবদেবী আমার ঈশ্বর, …. ভারতের মৃত্তিকা আমার স্বর্গ, ভারতের কল্যাণ আমার কল্যাণ।” তাঁর আকুল আহ্বানে যুবসমাজের মনে স্বদেশ প্রেমের ঝড় ওঠে।

দেশমাতার মুক্তি

‘বর্তমান ভারত’ গ্রন্থে বিবেকানন্দ বলেছেন যে, মানুষ জন্ম থেকেই মায়ের জন্য বলিপ্রদত্ত। পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণ ছেড়ে তিনি ভারতমাতার মুক্তির জন্য দেশবাসীকে ঝাঁপিয়ে পড়তে আহবান জানান। দেশমাতার কাছে তিনি আবেদন জানান, “আমায় মানুষ করো।”

উপসংহার :- বিবেকানন্দ তাঁর ‘বর্তমান ভারত’ গ্রন্থে স্বদেশপ্রেমের যে বিশ্বাস ও আদর্শ গড়ে তুলেছিলেন তা ভারতীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশে অন্য মাত্রা এনেছিল।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (চতুর্থ অধ্যায়) সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

৪.১. ১৮৫৭-র বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি

(ওই বিদ্রোহের সঙ্গে জাতিয়তাবোধের সম্বন্ধ বিষয়ক বিতর্ক) – সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

প্রসঙ্গক্রমে ১৮৫৭-র বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব, মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮) – এই বিষয় দুটিরও আলোচনা করতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৪.২. সভাসমিতির যুগ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.২.ক.) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা

(৪.২.খ.) জমিদার সভা

(৪.২.গ.) ভারত সভা

(৪.২.ঘ.) হিন্দুমেলা

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এই চারটি উদ্যোগের আলোচনায় জোর দিতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য সংগঠন ও অন্যান্য তুলনীয় সংগঠনগুলির উল্লেখ সহ সময়সারণী)

৪.৩. লেখায় ও রেখায় জাতীয়তাবোধের বিকাশ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.৩.ক.) আনন্দমঠ

(৪.৩.খ.) বর্তমান ভারত

(৪.৩.গ.) গোরা

(৪.৩.ঘ.) ভারতমাতা (চিত্র)

এই তিনটি রচনার ও ছবিটির মধ্যে কিভাবে জাতিয়তাবোধ ফুটে উঠেছে কেবল সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা বিষয়টিও আলোচ্য

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

Leave a Comment