২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় বাংলায় কৃষক আন্দোলনের পরিচয়

দশম শ্রেণীর ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়-বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় বাংলায় কৃষক আন্দোলনের পরিচয় দেওয়া হল।

Table of Contents

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় বাংলায় কৃষক আন্দোলনের পরিচয়

প্রশ্ন:- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় বাংলায় কৃষক আন্দোলনের পরিচয় দাও।

ভূমিকা :- ১৯৪২খ্রিস্টাব্দে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে বাংলার বিভিন্ন জেলার কৃষকদের অংশগ্রহণের ফলে বাংলায় এই আন্দোলন যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ভারত ছাড়ো আন্দোলনে কৃষকরা ছিল অনেক বেশি প্রত্যয়ী এবং ঐক্যবদ্ধ।

বাংলায় কৃষক আন্দোলনের কেন্দ্র

ভারত ছাড়ো আন্দোলন বাংলায় দিনাজপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল।তবে মূল কেন্দ্র ছিল মেদিনীপুর।

আন্দোলনমুখী সাধারণ কৃষক

এই সময় প্রবল জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। অথচ সরকারি উদাসীনতায় সাধারণ মানুষ এবং কৃষকরা তীব্রভাবে আন্দোলনমুখী হয়ে ওঠেন।

সত্যাগ্রহ আন্দোলন

সুতাহাটা, নন্দবাজার, গেঁওখালি, চৈতন্যপুর ইত্যাদি স্থানে কৃষকরা সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করেছিল।

লক্ষ্য

ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগদানকারী বাংলার কৃষকদের প্রধান লক্ষ্য ছিল ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতের স্বাধীনতা লাভ এবং শোষণমুক্তির মাধ্যমে কৃষকদের অবস্থার উন্নতি ঘটানো।

আন্দোলনের প্রসার

বাংলার মেদিনীপুর জেলার তমলুক মহকুমা, পটাশপুর থানা, খেজুরী থানা, দিনাজপুর জেলারবালুরঘাট প্রভৃতি এলাকার কৃষকরা এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবেঅংশগ্রহণ করে ও জমিদারদের খাজনা দেওয়া বন্ধ করে।

আন্দোলনকারী কৃষক

ভারত ছাড়ো আন্দোলনে বাংলার রাজবংশী, আদিবাসী, নমঃশূদ্র প্রভৃতি সম্প্রদায়ের চাষিরা আন্তরিকভাবে শামিল হয়। পূর্ববঙ্গের মুসলিম কৃষকদের একটি বড়ো অংশ আন্দোলন থেকে দূরে ছিল। তারা সাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে বাংলার উচ্চবর্ণের হিন্দুদের নিজেদের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।

কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা

কমিউনিস্ট পার্টি ভারত ছাড়ো আন্দোলন থেকে কৃষকদের দূরে সরে থাকার নির্দেশ দেয়। তবে এই পার্টির নির্দেশ বহু কৃষক অমান্য করে।

মূল্যায়ণ

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় বাংলায় সংগঠিত কৃষক আন্দোলন ব্রিটিশ সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। বাংলার বিভিন্ন স্থানে পার্টির নির্দেশ অমান্য করে কমিউনিস্টদের আন্দোলনে যোগদান আন্দোলনগুলিকে বিশেষ তাৎপর্যমণ্ডিত করেছে।

উপসংহার :- মেদিনীপুরে জাতীয় সরকার গঠিত হলে তাতে বহু কৃষক অংশ নিয়েছিল। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রসার বাংলায় কৃষক আন্দোলনের গতি পরিবর্তন করে দিয়েছিল।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (ষষ্ঠ অধ্যায়) বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস ষষ্ঠ অধ্যায়- বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

৬.১. বিশ শতকের ভারতে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে জাতীয় কংগ্রেস ও বামপন্থী রাজনীতির সংযোগ :

(৬.১.ক.) বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন

(৬.১.খ.) অহিংস অসহযোগ আন্দোলন

(৬.১.গ.) আইন অমান্য আন্দোলন

(৬.১.ঘ.) ভারত ছাড়ো আন্দোলন

(৬.১.ঙ.) একা আন্দোলন

(৬.১.চ.) বারদৌলি সত্যাগ্রহ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য আন্দোলনগুলির সময়সারণি)

৬.২. বিশ শতকে ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে জাতীয় কংগ্রেস ও বামপন্থী রাজনীতির সংযোগ :

(৬.২.ক.) বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন

(৬.২.খ.) অহিংস অসহযোগ আন্দোলন

(৬.২.গ.) আইন অমান্য আন্দোলন

(৬.২.ঘ.) ভারত ছাড়ো আন্দোলন

(৬.২.ঙ.) ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস্ পার্টি

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য আন্দোলনগুলির সময়সারণি)

৬.৩. বিশ শতকের ভারতে উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনে বামপন্থী রাজনীতির অংশগ্রহণের চরিত্র, বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

টুকরো কথা

মানবেন্দ্রনাথ রায় ও ভারতের বামপন্থী আন্দোলন

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য আন্দোলনগুলির সময়সারণি)

Leave a Comment