২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ👇

👉Chat on WhatsApp

টীকা লেখো: মহারানির ঘোষণাপত্র

দশম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে মহারানির ঘোষণাপত্র সম্পর্কে টীকা দেওয়া হল।

Table of Contents

মহারানির ঘোষণাপত্র সম্পর্কে টীকা

প্রশ্ন:- টীকা লেখো: মহারানির ঘোষণাপত্র।

ভূমিকা:- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহ শেষপর্যন্ত ব্যর্থ হলেও এই বিদ্রোহ ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের ভিত কাঁপিয়ে দেয়।

ভারত শাসন আইন

মহাবিদ্রোহের পর ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ‘ভারত শাসন আইন’ দ্বারা ভারতে কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটায় এবং মহারানি ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে ভারতের শাসনভার তুলে নেন।

মহারানির ঘোষণাপত্র প্রকাশ

মহারানি ভিক্টোরিয়া ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১ নভেম্বর এক ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে ভারতীয় শাসনব্যবস্থায় নতুন নীতি ও আদর্শের কথা প্রকাশ করেন।

ঘোষণাপত্রের বিষয়বস্তু

মহারানির ঘোষণাপত্রের দ্বারা জানানো হয় যে, –

  • (১) ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের সামাজিক ও ধর্মীয় বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না।
  • (২) স্বত্ববিলোপ নীতি বাতিল করা হবে।
  • (৩) দেশীয় রাজাদের দত্তক গ্রহণের অধিকার দেওয়া হবে।
  • (৪) ব্রিটিশরা ভারতে আর সাম্রাজ্য বিস্তার করবে না।
  • (৫) জাতিধর্মবর্ণনির্বিশেষে প্রতিটি যোগ্য ভারতীয়কে সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত হওয়ার অধিকার প্রদান করা হবে।
  • (৬) সরকার দেশীয় রাজ্যগুলির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি ও সন্ধিগুলি মেনে চলবে।

উপসংহার:- মহারানির ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত প্রতিশ্রুতিগুলি ঘোষণাপত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। ফলে ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে ভারতবাসীর ক্ষোভ, হতাশা, ঘৃণা ক্রমে বাড়তেই থাকে।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (চতুর্থ অধ্যায়) সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

৪.১. ১৮৫৭-র বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি

(ওই বিদ্রোহের সঙ্গে জাতিয়তাবোধের সম্বন্ধ বিষয়ক বিতর্ক) – সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

প্রসঙ্গক্রমে ১৮৫৭-র বিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব, মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮) – এই বিষয় দুটিরও আলোচনা করতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৪.২. সভাসমিতির যুগ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.২.ক.) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা

(৪.২.খ.) জমিদার সভা

(৪.২.গ.) ভারত সভা

(৪.২.ঘ.) হিন্দুমেলা

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এই চারটি উদ্যোগের আলোচনায় জোর দিতে হবে।

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য সংগঠন ও অন্যান্য তুলনীয় সংগঠনগুলির উল্লেখ সহ সময়সারণী)

৪.৩. লেখায় ও রেখায় জাতীয়তাবোধের বিকাশ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

(৪.৩.ক.) আনন্দমঠ

(৪.৩.খ.) বর্তমান ভারত

(৪.৩.গ.) গোরা

(৪.৩.ঘ.) ভারতমাতা (চিত্র)

এই তিনটি রচনার ও ছবিটির মধ্যে কিভাবে জাতিয়তাবোধ ফুটে উঠেছে কেবল সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্রে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা বিষয়টিও আলোচ্য

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

Leave a Comment