২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ👇

👉Chat on WhatsApp

আইন অমান্য আন্দোলনের (১৯৩০ খ্রি.) সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও

দশম শ্রেণীর ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়-বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে আইন অমান্য আন্দোলনের (১৯৩০ খ্রি.) সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া হল।

Table of Contents

আইন অমান্য আন্দোলনের (১৯৩০ খ্রি.) সংক্ষিপ্ত পরিচয়

প্রশ্ন:- আইন অমান্য আন্দোলনের (১৯৩০ খ্রি.) সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

ভূমিকা :- মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে জাতীয় কংগ্রেস ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করে। ভারতবর্ষের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণের ফলে এই আন্দোলন অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

আন্দোলনের কারণ

আইন অমান্য আন্দোলন সংঘটিত হওয়ার পিছনে উল্লেখযোগ্য কারণগুলি হল দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্ব, বিশ্ব-অর্থনীতিতে মহামন্দা প্রভৃতির ফলে ভারতীয় অর্থনীতির দুর্দশা, সাধারণ ভারতীয়দের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক ভাবধারার প্রসার, বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডের সক্রিয়তা, ব্রিটিশ বাণিজ্যনীতির ফলে ভারতীয় বাণিজ্যের ক্ষতি প্রভৃতি।

আন্দোলনের সূচনা

গান্ধিজি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১২ মার্চ ৭৮ জন অনুগামী নিয়ে সমুদ্রের উপকূলে গুজরাটের ডান্ডি নামক স্থানে লবণ আইন অমান্য ভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ৬ এপ্রিল সমুদ্রের জল থেকে লবণ তৈরি করে সরকারি আইনভঙ্গের মাধ্যমে তিনি এই আন্দোলনের সূচনা করেন।

আন্দোলনের প্রসার

আন্দোলন শুরু হওয়ার পর শীঘ্রই তা বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা, যুক্তপ্রদেশ, দিল্লি, পাঞ্জাব, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, গুজরাট, বোম্বাই, মাদ্রাজ, কর্ণাটক প্রভৃতি অঞ্চলে প্রসার লাভ করে। উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে গান্ধিবাদী নেতা খান আবদুল গফ্ফর খান (সীমান্ত গান্ধি)-এর নেতৃত্বে আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে।

ব্যর্থতা

ইতিমধ্যে ব্রিটিশ সরকারের বিভেদনীতি, ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা’ নীতি ঘোষণা, বর্ণহিন্দু ও দলিত হিন্দুদের মধ্যে বিরোধ প্রভৃতির ফলে এই আন্দোলন দুর্বল হতে শুরু করে। শেষপর্যন্ত কংগ্রেস ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দেআনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়।

উপসংহার :- আইন অমান্য আন্দোলন শেষপর্যন্ত ব্যর্থ হলেও ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের সংগ্রাম একেবারে থেমে যায়নি। পরবর্তীকালে ১৯৪২-এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তার চূড়ান্ত প্রকাশ দেখা গিয়েছিল।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (ষষ্ঠ অধ্যায়) বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস ষষ্ঠ অধ্যায়- বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

৬.১. বিশ শতকের ভারতে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে জাতীয় কংগ্রেস ও বামপন্থী রাজনীতির সংযোগ :

(৬.১.ক.) বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন

(৬.১.খ.) অহিংস অসহযোগ আন্দোলন

(৬.১.গ.) আইন অমান্য আন্দোলন

(৬.১.ঘ.) ভারত ছাড়ো আন্দোলন

(৬.১.ঙ.) একা আন্দোলন

(৬.১.চ.) বারদৌলি সত্যাগ্রহ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য আন্দোলনগুলির সময়সারণি)

৬.২. বিশ শতকে ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে জাতীয় কংগ্রেস ও বামপন্থী রাজনীতির সংযোগ :

(৬.২.ক.) বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন

(৬.২.খ.) অহিংস অসহযোগ আন্দোলন

(৬.২.গ.) আইন অমান্য আন্দোলন

(৬.২.ঘ.) ভারত ছাড়ো আন্দোলন

(৬.২.ঙ.) ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস্ পার্টি

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য আন্দোলনগুলির সময়সারণি)

৬.৩. বিশ শতকের ভারতে উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনে বামপন্থী রাজনীতির অংশগ্রহণের চরিত্র, বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

টুকরো কথা

মানবেন্দ্রনাথ রায় ও ভারতের বামপন্থী আন্দোলন

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য আন্দোলনগুলির সময়সারণি)

Leave a Comment