২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ👇

👉Chat on WhatsApp

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের (১৯৪২ খ্রি.) সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও

দশম শ্রেণীর ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়-বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের (১৯৪২ খ্রি.) সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া হল।

Table of Contents

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের (১৯৪২ খ্রি.) সংক্ষিপ্ত পরিচয়

প্রশ্ন:- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের (১৯৪২ খ্রি.) সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

ভূমিকা :- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতবর্ষে আগত ক্রিপস মিশন (১৯৪২ খ্রি.) ভারতীয়দের স্বাধীনতা দানের প্রতিশ্রুতি না দেওয়ায় ভারতীয় নেতৃবৃন্দ চরম হতাশ হন। তাই ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলন আরও তীব্র হতে থাকে।

আন্দোলনের প্রস্তাব গ্রহণ

জাতীয় কংগ্রেস ৭ আগস্ট বোম্বাই অধিবেশনে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রস্তাব গ্রহণ করে। পরের দিনই জাতীয় স্তরের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে ব্রিটিশ পুলিশ গ্রেফতার করে।

গণ আন্দোলন

নেতৃবৃন্দের গ্রেফতারের পর দেশবাসী শীর্ষ নেতাদের ছাড়াই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মাদ্রাজ, আসামপ্রভৃতি রাজ্যের কৃষক, নারী, ছাত্র – সর্বস্তরের ভারতবাসী এই আন্দোলনে শামিল হয়। ফলে ভারত ছাড়ো আন্দোলন শীঘ্রইগণ আন্দোলনে পরিণত হয়।

আন্দোলনের ব্যাপকতা

আন্দোলনকারীরা সরকারি দমননীতি উপেক্ষা করে বিলাতি পণ্য ও ব্রিটিশ স্কুলকলেজ বৰ্জন, মিছিল মিটিং, বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করা, রেল-টেলিগ্রাফ টেলিফোনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা, থানা আক্রমণ প্রভৃতি কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

বাংলায় আন্দোলন

বাংলায় মেদিনীপুরের তমলুক, কাথি, পটাশপুর, খেজুরী, বালুরঘাট প্রভৃতি স্থানে ভারত ছাড়ো আন্দোলন প্রবল আকার ধারণ করে। তমলুকে ব্রিটিশ সরকারের বিকল্প তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। সতীশচন্দ্র সামন্ত ছিলেন এই সরকারের প্রধান। তাঁর অনুগামীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অজয় মুখোপাধ্যায় ও সুশীলচন্দ্র ধাড়া। মেদিনীপুরের ৭৩ বছরের বৃদ্ধা মাতঙ্গিনী হাজরা আন্দোলনে যোগ দিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান।

জাতীয় নেতৃবৃন্দ

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বিভিন্ন নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন জয়প্রকাশ নারায়ণ, রাম মনোহর লোহিয়া, নরেন্দ্র দেব, যোগেশ চ্যাটার্জি, অরুণা আসফ আলি, সুচেতা কৃপালনি, ঊষা মেটা, অচ্যুৎ পটবর্ধন প্রমুখ।

উপসংহার :- ধনী, দরিদ্র, শিক্ষিত, অশিক্ষিত জাতিধর্মনির্বিশেষে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণের ফলে ভারত ছাড়ো আন্দোলন প্রকৃত গণ আন্দোলনে পরিণত হয়। ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার এই আন্দোলন সম্পর্কে বলেছেন—“বিয়াল্লিশের বিদ্রোহ ছিল মূলত সৈনিকের যুদ্ধ। তাঁরা স্বাধীনতার শহীদের মতো জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।”

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (ষষ্ঠ অধ্যায়) বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস ষষ্ঠ অধ্যায়- বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

৬.১. বিশ শতকের ভারতে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে জাতীয় কংগ্রেস ও বামপন্থী রাজনীতির সংযোগ :

(৬.১.ক.) বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন

(৬.১.খ.) অহিংস অসহযোগ আন্দোলন

(৬.১.গ.) আইন অমান্য আন্দোলন

(৬.১.ঘ.) ভারত ছাড়ো আন্দোলন

(৬.১.ঙ.) একা আন্দোলন

(৬.১.চ.) বারদৌলি সত্যাগ্রহ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য আন্দোলনগুলির সময়সারণি)

৬.২. বিশ শতকে ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে জাতীয় কংগ্রেস ও বামপন্থী রাজনীতির সংযোগ :

(৬.২.ক.) বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন

(৬.২.খ.) অহিংস অসহযোগ আন্দোলন

(৬.২.গ.) আইন অমান্য আন্দোলন

(৬.২.ঘ.) ভারত ছাড়ো আন্দোলন

(৬.২.ঙ.) ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস্ পার্টি

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য আন্দোলনগুলির সময়সারণি)

৬.৩. বিশ শতকের ভারতে উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনে বামপন্থী রাজনীতির অংশগ্রহণের চরিত্র, বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

টুকরো কথা

মানবেন্দ্রনাথ রায় ও ভারতের বামপন্থী আন্দোলন

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য আন্দোলনগুলির সময়সারণি)

Leave a Comment