২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ👇

👉Chat on WhatsApp

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় কৃষক আন্দোলনের অগ্রগতির পরিচয় দাও

দশম শ্রেণীর ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়-বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় কৃষক আন্দোলনের অগ্রগতির পরিচয় দেওয়া হল।

Table of Contents

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় কৃষক আন্দোলনের অগ্রগতির পরিচয়

প্রশ্ন:- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় কৃষক আন্দোলনের অগ্রগতির পরিচয় দাও।

ভূমিকা :- ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু হয়। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, বাংলা, গুজরাট, বোম্বাই, উড়িষ্যা, আসাম, মধ্যপ্রদেশ, মাদ্রাজ প্রভৃতি বিভিন্ন প্রদেশের কৃষকশ্রেণি সক্রিয়ভাবে এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে আন্দোলনকে শক্তিশালী করে তোলে।

উদ্দেশ্য

জমিদার ও অবস্থাপন্ন কৃষকরা কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে এবং জাতীয়তাবাদী লক্ষ্য নিয়ে আন্দোলনে যোগ দেয়। নিম্নবর্ণের দরিদ্র কৃষকরা স্বপ্ন দেখেছিল যে, তাদের আন্দোলন সফল হলে দেশে স্বাধীনতা আসবে এবং দরিদ্র কৃষকদের দুর্দশা দূর হবে।

বিহারে আন্দোলন

বিহারের মুঙ্গের, ভাগলপুর, মুজফ্ফরপুর,পূর্ণিয়া, সাঁওতাল পরগনা প্রভৃতি অঞ্চলের আদিবাসী কৃষকরা আন্দোলনে যোগ দেয়। বিহারের ৮০ শতাংশ থানাই আন্দোলনকারীদের দখলে চলে যায়। বিহারের দ্বারভাঙ্গার জমিদার আন্দোলনকারীদের শায়েস্তা করার সরকারি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। এমনকি বন্দি কৃষকদের মুক্তির জন্যও তিনি উদ্যোগ নেন।

বাংলায় আন্দোলন

বাংলার মেদিনীপুরের তমলুক মহকুমা, পটাশপুর থানা, খেজুরী থানা, দিনাজপুরের বালুরঘাট প্রভৃতি এলাকায় আন্দোলনরত কৃষকরা জমিদারদের খাজনা দেওয়া বন্ধ করে।

গুজরাটে আন্দোলন

গুজরাটের সুরাট, খান্দেশ, ব্রোচ প্রভৃতি জেলায় কৃষকরা গেরিলা আক্রমণ চালায়। সুরাটে কৃষকরা রেলপথ অবরোধ করে, রেল-যোগাযোগ ছিন্ন করে এবং সরকারি নথিপত্র পুড়িয়ে দেয়।

উড়িষ্যায় আন্দোলন

উড়িষ্যার তালচেরে আন্দোলনকারী কৃষকরা চাষি মল্লা-রাজ প্রতিষ্ঠা করে আন্দোলনকে শক্তিশালীকরে তোলে।

কৃষকদের উদ্দেশ্য

দেশীয় জমিদারদের বিরোধিতা নয়, সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতাই ছিল ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কৃষকশ্রেণির মূল উদ্দেশ্য। তবে যেসব জমিদার ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ইংরেজদের সহায়তা করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে কৃষকরা আন্দোলনে শামিল হয়। কৃষকরা সেসব জমিদারদের শস্য লুঠ করে এবং তাদের কর দেওয়া বন্ধ করে।

উপসংহার :- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় সারা ভারতে সংগঠিত কৃষক আন্দোলনগুলি ভারত ছাড়ো আন্দোলনকে যথেষ্ট শক্তিশালী করে। এই সময় জমিদারদের বিরোধিতা নয়, সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতাই কৃষক আন্দোলনের অন্যতম লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (ষষ্ঠ অধ্যায়) বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস ষষ্ঠ অধ্যায়- বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

৬.১. বিশ শতকের ভারতে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে জাতীয় কংগ্রেস ও বামপন্থী রাজনীতির সংযোগ :

(৬.১.ক.) বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন

(৬.১.খ.) অহিংস অসহযোগ আন্দোলন

(৬.১.গ.) আইন অমান্য আন্দোলন

(৬.১.ঘ.) ভারত ছাড়ো আন্দোলন

(৬.১.ঙ.) একা আন্দোলন

(৬.১.চ.) বারদৌলি সত্যাগ্রহ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য আন্দোলনগুলির সময়সারণি)

৬.২. বিশ শতকে ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে জাতীয় কংগ্রেস ও বামপন্থী রাজনীতির সংযোগ :

(৬.২.ক.) বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন

(৬.২.খ.) অহিংস অসহযোগ আন্দোলন

(৬.২.গ.) আইন অমান্য আন্দোলন

(৬.২.ঘ.) ভারত ছাড়ো আন্দোলন

(৬.২.ঙ.) ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস্ পার্টি

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য আন্দোলনগুলির সময়সারণি)

৬.৩. বিশ শতকের ভারতে উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনে বামপন্থী রাজনীতির অংশগ্রহণের চরিত্র, বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

টুকরো কথা

মানবেন্দ্রনাথ রায় ও ভারতের বামপন্থী আন্দোলন

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য আন্দোলনগুলির সময়সারণি)

1 thought on “ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় কৃষক আন্দোলনের অগ্রগতির পরিচয় দাও”

Leave a Comment