WBSSC History Honours (PG) Question Paper 2010 পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন ইতিহাস অনার্স (পি. জি.) প্রশ্নপত্র ২০১০ অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা পরিমার্জিত WBSSC / SLST History Pass / Hons Question Paper with Answer (পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন ইতিহাস পাস / অনার্স প্রশ্নপত্র ও উত্তর ) pdf Download Link নিম্নে দেওয়া হল।
Exam Name | WBSSC |
Exam Year | 2010 |
Total Question | 30 |
Question Pattern | SAQ (2 Marks) |
Total Marks | 2×30=60 |
Organization | West Bengal School Service Commission |
West Bengal School Service Commision History Honours (PG) Question Paper 2010 পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন ইতিহাস অনার্স (পি. জি.) প্রশ্নপত্র ২০১০
(পরীক্ষার্থীর স্মৃতি থেকে সংগৃহীত)
1. ভারতসভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর:- সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জুলাই কলকাতার এলবার্ট হলে প্রতিষ্ঠিত ভারত সভার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল- (ক) দেশ ব্যাপী শক্তিশালী জনমত গঠন করা, (খ) হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে সম্প্রীতি ও সহযোগিতা গড়ে তোলা, (গ) রাজনৈতিক প্রয়োজনে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা, (ঘ) রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলা।
2. কবে, কাদের মধ্যে টিলসিটের চুক্তি হয়েছিল।
উত্তর:- ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে রাশিয়ার জার প্রথম আলেকজান্ডার এবং ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট-এর মধ্যে টিলসিটের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।ফিডল্যান্ডের যুদ্ধে পরাজিত হয়ে রাশিয়ার জার এই চুক্তি স্বাক্ষরে বাধ্য হয়েছিলেন।
3. কার্লসবাড ডিক্রি কাকে বলে?
উত্তর:- জার্মানিতে উদারনৈতিক আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে মেটারনিক প্রবর্তিত এক কুখ্যাত দমন মুলক নির্দেশনামা হল কার্লসবাড ডিক্রি।এর দ্বারা জার্মানির সকল রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করা হয় এবং ছাত্র ও অধ্যাপকদের রাজনৈতিক কার্যকলাপ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য গোয়েন্দা নিয়োগ করা হয়। ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত জার্মানিতে এই দমন নীতি কার্যকর হয়েছিল।
4. আফ্রিকা বিভাজনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করুন।
উত্তর:- ইউরোপীয় শক্তিবর্গ কর্তৃক আফ্রিকা বিভাজন একাধিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। যেমন- (ক) আফ্রিকার বনজ সম্পদ ও প্রাকৃতিক সম্পদ ইউরোপীয়দের করায়ত্ত হয়। (খ) ইউরোপীয়রা আফ্রিকার মানব সম্পদ অর্থাৎ নিগ্রোদের নিয়ে দাস ব্যবসা শুরু করে। (গ) ইউরোপীয় শক্তিগুলির মধ্যে সাম্রাজ্যবাদী প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রকট হয়ে ওঠে। (ঘ) সর্বোপরি আফ্রিকা ব্যবচ্ছেদ আফ্রিকা ও ইউরোপের সংস্কৃতিকে বিকশিত করে।
5. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য তোষণ নীতি কতটা দায়ীছিল?
উত্তর:- জার্মানি, ইতালি, জাপান যখন ভার্সাই সন্ধির একের পর এক শর্ত লংঘন করছিল তখন ইঙ্গ ফরাসি শক্তি তাদের বাধা না দিয়ে অহেতুক তোষণ নীতি গ্রহণ করে তাদের সাম্রাজ্যবাদী স্পৃহা আরোও বাড়িয়ে দেয়, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পথকে প্রশস্ত করে। জার্মানির অস্ত্রসজ্জা এবং রাইনল্যান্ড ও অস্ট্রিয়া দখল এই নীতির জ্বলন্ত উদাহরণ। প্রথমেই তাদের আগ্রাসী নীতিতে বাধা দিলে পরিস্থিতি ভিন্নতর হতে পারতো।
6. ইতালিতে ফ্যাসিবাদের জন্মের দুটি উল্লেখযোগ্য কারণ বর্ণনা করুন।
উত্তর:- ইতালিতে মুসোলিনি বা ফ্যাসিবাদের উত্থানের পেছনে তৎকালীন ইতালির আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির মধ্যে নিহিত কয়েকটি উপাদান দায়ী ছিল। যেমন- (ক) ইতালির অর্থনৈতিক অনগ্রসরতা, (খ) গণতন্ত্রের দুর্বলতা, (গ) শান্তি সম্মেলনে ইতালির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হওয়ায় সৃষ্ট হতাশা, (ঘ) সর্বোপরি তৎকালীন ইতালিতে রাজনৈতিক দলাদলি ও সংঘাত।
7. “কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো’ কাদের লেখা ও কবে প্রকাশিত হয়?
উত্তর:- বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদের প্রবক্তা কার্ল মার্কস ও তার সহযোগী ফ্রেডারিক এঙ্গেলস ‘কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো’ গ্রন্থটি রচনা করেন।১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়।
8. ‘নরমপন্থী’ কাদের বলা হত?
উত্তর:- ১৮৮৫ থেকে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে পর্যন্ত ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্ব দানকারী নেতারা নরমপন্থী নামে পরিচিত ছিলেন। তারা ব্রিটিশ সরকারের উদারতা ও ন্যয় নীতির উপর প্রবল শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।নিয়মতান্ত্রিকতা ও আবেদন নিবেদনের মধ্যেই তাদের কর্মপদ্ধতি সীমাবদ্ধ ছিল। তাদের এই আপোষধর্মী নীতির জন্য তারা নরমপন্থী নামে পরিচিত হন। উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, দাদাভাই নওরোজি, গোপালকৃষ্ণ গোখলে, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ছিলেন নরমপন্থী নেতা।
9. বিলগ্রামের যুদ্ধের ঐতিহাসিক তাৎপর্য কী ছিল?
উত্তর:- ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট হুমায়ুন এবং আফগান নেতা শেরশাহের মধ্যে সংঘটিত বিলগ্রাম বা কনৌজের যুদ্ধ ভারতের ইতিহাসে দুই দিক দিয়ে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। একদিকে এই যুদ্ধে পরাজিত হয়ে হুমায়ুন পারস্যে চলে যান এবং সাময়িকভাবে ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে। অপরদিকে যুদ্ধে জয়লাভের ফলে শেরশাহের নেতৃত্বে আফগান সাম্রাজ্যের পুনরুত্থান ঘটে বা দ্বিতীয় আফগান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
10. জিরোন্ডিন ও জ্যাকোবিন কাদের বলে?
উত্তর:- ফরাসি আইনসভার দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল ছিল জিরোণ্ডিন ও জেকোবিন। জিরন্ড প্রদেশ থেকে নির্বাচিত সদস্যরা জিরোণ্ডিন নামে পরিচিত ছিল। এরা রাজতন্ত্র বিরোধী ও প্রজাতন্ত্রের সমর্থক ছিল। এই দলের নেতারা হলেন ব্রিসো, ডুমারিয়েজ, কন্দরসে প্রমুখ। অন্যদিকে জেকোবিন ক্লাবের সদস্যরা জেকোবিন নামে পরিচিত।এরা ছিলেন রাজতন্ত্রের বিরোধী ও প্রজাতন্ত্রের সমর্থক। এই দলের নেতারা হলেন রোবসপিয়ার, দাঁতো, ম্যারা প্রমুখ। ফরাসি আইনসভায় জিরোণ্ডিনদের সংখ্যাধিক্য থাকলেও আইনসভার বাইরে প্যারিস কমিউন ও জনতার উপর জেকোবিনদের প্রভাব ছিল বেশি।
11. সুপ্রিমকোর্ট কবে স্থাপিত হয় এবং তার প্রধান বিচারপতি কে ছিলেন?
উত্তর:- ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দের রেগুলেটিং অ্যাক্ট অনুসারে একজন প্রধান বিচারপতি ও তিনজন সাধারণ বিচারপতি নিয়ে ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় সুপ্রিম কোর্ট স্থাপিত হয়।
সুপ্রিম কোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি ছিলেন স্যার এলিজা ইম্পে।
12. ‘লাখবক্স’ কাকে বলা হয় এবং কেন?
উত্তর:- ভারতে দিল্লি সুলতানের প্রতিষ্ঠাতা কুতুবুদ্দিন আইবক ছিলেন উদার ও দানশীল ব্যক্তি। তিনি ১২০৬-১২১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তার দানশীলতার জন্য তিনি লাখবক্স বা লক্ষ্য দাতা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
13. বৈদিক সাহিত্যের শ্রেণিবিভাজন ব্যাখ্যা করুন।
উত্তর:- বৈদিক সাহিত্যের মূলত দুটি ভাগ বেদ ও বেদাঙ্গ। বেদ চার প্রকার- ঋক, সাম যজুঃ ও অথর্ব। প্রতিটি বেদ চারটি ভাগে বিভক্ত – সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদ। সংহিতা পদ্যে ও ব্রাহ্মণ গদ্যে রচিত। এখানে বিভিন্ন স্তব-স্তুতি ও যজ্ঞানুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা আছে। আরণ্যকে ধর্মের আধ্যাত্মিকতা ব্যাখ্যা এবং উপনিষদে জ্ঞানের দ্বারা শ্রেয়ো লাভের ব্যাখ্যা মুখ্য স্থান পেয়েছে। বেদ পাঠ ও অর্থবোধক সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে পরিচিত বেদাঙ্গ বা সূত্র সাহিত্য ছয় প্রকার – শিক্ষা, কল্প, ব্যাকরণ, নিরুক্ত, ছন্দ ও জ্যোতিষ। কল্পসূত্র চার প্রকার – শ্রৌতসূত্র, গৃহ্যসূত্র, ধর্মসূত্র ও শুল্বসূত্র।
14. সিন্ধু সভ্যতা ও আর্য সভ্যতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্যগুলি কী?
উত্তর:- সিন্ধু সভ্যতা ও আর্য সভ্যতার মধ্যে বিদ্যমান উল্লেখযোগ্য পার্থক্য গুলি হল – (ক) সিন্ধু সভ্যতা ছিল নগরকেন্দ্রিক কিন্তু বৈদিক সভ্যতা ছিল গ্রামীন। (খ) সিন্ধু বা হরপ্পা সভ্যতা ছিল মাতৃতান্ত্রিক, কিন্তু আর্য সভ্যতা ছিল পিতৃতান্ত্রিক। (গ) সিন্ধু সভ্যতায় লোহা ও ঘোড়ার ব্যবহার অজ্ঞাত থাকলেও বৈদিক বা আর্য সভ্যতায় তা ছিল বহুল প্রচলিত। (ঘ) সিন্ধু সভ্যতায় স্ত্রী দেবতার প্রাধান্য ছিল, কিন্তু আর্য সভ্যতায় ছিল পুরুষ দেবতার প্রাধান্য।
15. ভারত ইতিহাস রচনায় মার্কোপোলোর গুরুত্ব কতখানি?
উত্তর:- ইতালীয় পর্যটক মার্কোপোলো ১২৯২- ৯৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ভারত ভ্রমণে আসেন।’দ্য বুক অফ স্যার মার্কোপোলো’ গ্রন্থে তিনি ভারতের অর্থনৈতিক ইতিহাস সম্পর্কে বিবরণ দিয়েছেন।
16. ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে সম্রাট অশোক কাকে ভারতের বাইরে পাঠিয়েছিল?
উত্তর:- মৌর্য সম্রাট অশোক ইতিহাসে রাজর্ষি হিসেবে খ্যাত হয়ে আছেন। তার সময় বৌদ্ধ ধর্ম বিশ্ব ধর্মে পরিণত হয়।বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে তিনি উত্তর কানাডায় রক্ষিত বনবাসী, ব্রহ্মদেশে শোন ও উত্তর কে এবং সিংহলে মহেন্দ্র ও সংঘমিত্রাকে পাঠিয়ে ছিলেন।
17. অশ্বঘোষ কী কারণে বিখ্যাত ছিলেন?
উত্তর:- কুষাণ আমলে, বিশেষ করে সম্রাট কনিষ্কের সমসাময়িক একজন বৌদ্ধ পন্ডিত, কবি, নাট্যকার ও বৌদ্ধ দার্শনিক ছিলেন অশ্বঘোষ। তিনি চতুর্থ বৌদ্ধ ধর্মসংগীতিতে সহ-সভাপতিত্ব করেন এবং বৌদ্ধ ধর্মের নতুন ব্যাখা হিসেবে বিভাষাশাস্ত্র রচনায় মুখ্য ভূমিকা নেন। তিনি বুদ্ধচরিত ও সৌন্দরানন্দ কাব্য; বজ্রসূচি, মহাযানশ্রদ্ধোৎপাদ ও গণ্ডীস্তোত্রগাথা নামে তিনটি দর্শন বিষয়ক গ্ৰন্থ এবং সারিপুত্র প্রকরণ, সূত্রালঙ্কার ও রাষ্ট্রপাল নামে তিনটি নাটক রচনা করেন।খ্রিস্টীয় প্রথম শতকে বৌদ্ধ ধর্ম ও বৌদ্ধ সাহিত্যকে সমৃদ্ধতর করার ক্ষেত্রে তার যথেষ্ট অবদান ছিল।
18. দিল্লির সুলতানি শাসন কী প্রকার ছিল?
উত্তর:- ডক্টর রমেশ চন্দ্র মজুমদার, এ এল শ্রীবাস্তব, ঈশ্বরীপ্রসাদ প্রমুখ ঐতিহাসিক মনে করেন যে, দিল্লি সুলতানি ছিল ধর্মাশ্রয়ী। কারণ, সুলতানি রাষ্ট্রে খলিফা, শরিয়তি আইন ও উলেমা শ্রেনীর প্রাধান্য ছিল। অন্যদিকে মহম্মদ ইরফান হাবিব, কে এ নিজামী, সতীশ চন্দ্র প্রমুখ ঐতিহাসিক মনে করেন যে, দিল্লি সুলতানি রাষ্ট্র ধর্মাশ্রয়ী ছিল না। কারণ, সুলতানি রাষ্ট্রে শরিয়তি আইন ও উলেমা শ্রেণীর প্রাধান্য ছিল বাহ্যিক ও নামমাত্র। প্রকৃতপক্ষে দিল্লি সুলতানি ছিল সামরিক শক্তি নির্ভর এক স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা।
19. নিম্নলিখিত শাসকদের শাসনকাল কালানুক্রম অনুযায়ী সাজান: সরফরাজ খান, মুর্শিদকুলি খান, আলিবর্দি খান, সুজাউদ্দিন।
উত্তর:- মুর্শিদকুলি খান, সুজাউদ্দিন, সরফরাজ খান, আলীবর্দী খান।
20. ‘সুলহ-ই-কুল’ কাকে বলে?
উত্তর:- মোগল সম্রাট আকবরের রাজতান্ত্রিক আদর্শের সারমর্ম ছিল ‘সুল-ই-কুল’।’সুল-ই-কুল’ কথার অর্থ হল সকল ধর্মের প্রতি সমভাব, শ্রদ্ধা এবং ধর্মসহিষ্ণুতা। বাল্যকাল থেকেই মোগল সম্রাট আকবর এই নীতিতে বিশ্বাস করতেন এবং সকল ধর্মীয় বিভেদ দূর করতে সচেষ্ট ছিলেন। দীন-ই-ইলাহী ছিল এই নীতিরই বাস্তব প্রতিফলন।
21. ঔরঙ্গজেব কোন শিখ গুরুকে হত্যা করিয়েছিলেন এবং কেন?
উত্তর:- মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব ১৬৭৫ খ্রিস্টাব্দে শিখদের নবম গুরু তেগবাহাদুরকে হত্যা করিয়েছিলেন।কারণ, (ক) গুরু তেগবাহাদুর ঔরঙ্গজেবের ধর্মান্ধ নীতির সমালোচনা করেন, (খ) তিনি কাশ্মীরের ব্রাহ্মণদের ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করেন, (গ) সর্বোপরি তেগবাহাদুরের নেতৃত্বে শিখদের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও স্বাধীন চেতনা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়।
22. ‘হিন্দু পাদ পাদশাহী’ কাকে বলে?
উত্তর:- হিন্দু পাদ পাদশাহী কথাটির অর্থ হল এক অখন্ড ও ঐক্যবদ্ধ হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। মারাঠা পেশোয়া প্রথম বাজিরাও এই আদর্শ প্রচার করেন। তিনি মারাঠা শক্তির নেতৃত্বে সমগ্র ভারতে অখন্ড হিন্দু সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার কথা বলেন। ফলে রাজপুত, বুন্দেলা প্রভৃতি হিন্দু রাজশক্তি মুঘল সুবাদারদের কুশাসন থেকে মুক্তি ও হিন্দুরাজ্য স্থাপনের আকাঙ্ক্ষায় প্রথম বাজিরাও এর পক্ষ নেয়। এর ফলে মারাঠাদের নেতৃত্বে বৃহত্তম সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে।
23. ‘কর্নওয়ালিশ কোড’ কাকে বলে?
উত্তর:- লর্ড কর্নওয়ালিশ ভারতের প্রকৃত আমলাতন্ত্রের প্রবর্তন করেন।তিনি কোম্পানির কর্মচারীদের ব্যক্তিগত বাণিজ্য ও সব ধরনের অবৈধ আয়ের পথ বন্ধ করে তাদের উচ্চ বেতনের ব্যবস্থা করেন। কর্মচারীদের দুর্নীতি দমন ও দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তিনি ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে বিভিন্ন নীতি ও কর্মপদ্ধতির প্রবর্তন করেন। এই কর্ম পদ্ধতি কর্নওয়ালিশ কোড বা কোড কর্নওয়ালিশ নামে পরিচিত।
24. কবে এবং কী কারণে পলিগাররা ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল?
উত্তর:- দক্ষিণ ভারতের পলিগার জাতি ১৭৮৩ থেকে ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত যে বিদ্রোহ করে তা পলিগার বিদ্রোহ নামে পরিচিত।পলিগাররা জমিদারদের শোষণ এবং ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রবর্তিত ভূমিরাজস্ব নীতির প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্রোহ শুরু করেছিল।তবে শেষ পর্যন্ত তাদের বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়।
25. সম্পদের নির্গমন কাকে বলে?
উত্তর:- পলাশীর যুদ্ধের পর থেকে কোম্পানির বাণিজ্য নীতি ও বণিকদের ব্যবসায়িক কার্যকলাপের ফলশ্রুতি হিসেবে বাংলা তথা ভারতের বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সম্পদ ইংল্যান্ডের পাচার হতে থাকে। যদিও এর বিনিময়ে ভারত কোনো উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধা পায়নি।আধুনিক ঐতিহাসিক ও পন্ডিতরা এই বিষয়টিকে সম্পদের নির্গমন বা আর্থিক নিষ্ক্রমণ বা সম্পদ নিষ্কাশন বলে অভিহিত করেছেন।
26. কোন ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল পাঞ্জাবকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করেছিলেন এবং কী কারণে?
উত্তর:- ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসি ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে এক ঘোষণা দ্বারা পাঞ্জাবকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করেন।
পাঞ্জাবকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করার পিছনে লর্ড ডালহৌসির উদ্দেশ্য ছিল দেশীয় রাজ্যগুলির স্বাধীনতা হরণ সুনিশ্চিত করা এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সম্প্রসারণ ঘটান।
27. কবে এবং কী কারণে সাইমন কমিশন গঠন করা হয়েছিল? কিন্তু ভারতবাসী তা প্রত্যাখ্যান করেছিল কেন?
উত্তর:- ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের ৮ নভেম্বর ভারত সচিব বার্কেন হেডের এক ঘোষণা দ্বারা ভারতবাসী স্বায়ত্তশাসনের কতটা উপযুক্ত হয়েছে তা পর্যালোচনা করার জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সাত জন সদস্যকে নিয়ে গঠিত হয় সাইমন কমিশন।
১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের ৩ ফেব্রুয়ারি সাইমন কমিশন ভারতের বোম্বাই শহরে পদার্পণ করে। কিন্তু এই কমিশনে কোনো ভারতীয় সদস্য ছিল না। তাছাড়া একটি ইংরেজ সর্বস্ব কমিশন পর্যালোচনা করবে ভারতবাসী দায়িত্বশীল সরকার গঠনে উপযুক্ত হয়েছে কিনা, যা ভারতবাসীর কাছে জাতীয় অপমান বলে প্রতিভাতা হয়। এই কারণে ভারতবাসী সাইমন কমিশন বয়কটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
28. ভারতবর্ষে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ১৮৫৭ সালের গুরুত্ব কী ছিল?
উত্তর:- ভারতবর্ষে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ১৮৫৭ সাল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, উডের ডেসপ্যাচ -এর সুপারিশের ভিত্তিতে ১৮৫৭ সালের ২৪ শে জানুয়ারি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৮ জুলাই বোম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫ সেপ্টেম্বর মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
29. কোন ভারতীয় নেতাকে ‘সীমান্ত গান্ধি’ বলা হত?
উত্তর:- উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের বিখ্যাত গান্ধীবাদী নেতা খান আব্দুল গফফার খান সীমান্ত গান্ধী নামে পরিচিত ছিলেন। তার নেতৃত্বে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে আইন অমান্য আন্দোলন প্রবল আকার ধারণ করে। এই অঞ্চলের দুর্ধর্ষ পাঠান উপজাতিদের মধ্যে গান্ধীজীর অহিংসা ও সমাজ সংস্কারের আদর্শ প্রচার করে তিনি তাদের স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষিত করেন। এই কারণে তাকে সীমান্ত গান্ধী বলা হয়।
30. বাংলার দুজন মহিলা বিপ্লবীর নাম করুন।
উত্তর:- বিংশ শতকে বাংলায় ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন জোরদার হয়ে ওঠে এই আন্দোলনে পুরুষদের পাশাপাশি নারী সমাজ ও সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে পড়েন।এই সময় বাংলার উল্লেখযোগ্য মহিলা বিপ্লবী ছিলেন কল্পনা দত্ত, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, বিনা দাস, শান্তি ঘোষ, সুনীতি চৌধুরী প্রমুখ।
আরোও পড়ুন
West Bengal School Service Commission এর History Previous Years Question Paper নিচে দেওয়া হল।
পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিগত সালের ইতিহাস পাস কোর্স প্রশ্নপত্র
- WBSSC History Pass Question Paper 1999
- WBSSC History Pass Question Paper 2001
- WBSSC History Pass Question Paper 2002
- WBSSC History Pass Question Paper 2004
- WBSSC History Pass Question Paper 2005
- WBSSC History Pass Question Paper 2006
- WBSSC History Pass Question Paper 2007
- WBSSC History Pass Question Paper 2008
- WBSSC History Pass Question Paper 2009
- WBSSC History Pass Question Paper 2010
- WBSSC History Pass Question Paper 2012
পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিগত সালের ইতিহাস অনার্স (পি. জি.) প্রশ্নপত্র
- WBSSC History Honours (PG) Question Paper 1999
- WBSSC History Honours (PG) Question Paper 2001
- WBSSC History Honours (PG) Question Paper 2002
- WBSSC History Honours (PG) Question Paper 2004
- WBSSC History Honours (PG) Question Paper 2005
- WBSSC History Honours (PG) Question Paper 2006
- WBSSC History Honours (PG) Question Paper 2007
- WBSSC History Honours (PG) Question Paper 2008
- WBSSC History Honours (PG) Question Paper 2009