বাংলা সাহিত্যে দেশভাগ ও বিপন্ন মানুষের দেশত্যাগ কীভাবে উঠে এসেছে তার দৃষ্টান্ত তুলে ধরো

দশম শ্রেণীর ইতিহাস অষ্টম অধ্যায়-উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪) হতে বাংলা সাহিত্যে দেশভাগ ও বিপন্ন মানুষের দেশত্যাগ কীভাবে উঠে এসেছে তার দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হল।

Table of Contents

বাংলা সাহিত্যে দেশভাগ ও বিপন্ন মানুষের দেশত্যাগ কীভাবে উঠে এসেছে তার দৃষ্টান্ত তুলে ধরো

প্রশ্ন:- বাংলা সাহিত্যে দেশভাগ ও বিপন্ন মানুষের দেশত্যাগ কীভাবে উঠে এসেছে তার দৃষ্টান্ত তুলে ধরো।

ভূমিকা :- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত বিভাজনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাও বিভাজিত হয়। পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানের এবং পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। ফলে পূর্ববঙ্গের সংখ্যালঘু হিন্দুরা পশ্চিমবঙ্গে এবং পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিমরা পূর্ববঙ্গে উদ্বাস্তু হয়ে চলে যায়। দেশভাগ ও দেশত্যাগের এই কাহিনি বিভিন্ন বাংলা সাহিত্য ফুটে উঠেছে।

পারিবারিক জীবনে ডাঙন

রাজিয়া খানের ‘বটতলার উপন্যাস’-এ দেশভাগের প্রেক্ষাপটে স্বপ্ন, প্রেম ও পারিবারিক জীবনে ভাঙনের কাহিনি উঠে আসে। দেশভাগ সুমিতা ও মঈনের প্রেমের সম্পর্ক চিরতরে ভেঙে দেয়।

ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গা

দেশভাগের পর পূর্ববঙ্গে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে শহীদুল্লা কায়সার তাঁর ‘সংশপ্তক’ উপন্যাসে সেকান্দর মাস্টারের মুখে সংলাপ বসিয়েছেন – “ভুল করছ জাহেদ। ভুল করছ। প্রথমে মানুষ, তারপর ধর্ম। মানুষের জন্যই তো ধর্ম। ধর্মের জন্য মানুষ নয়।”

স্বপ্নভঙ্গ

দরিদ্র মানুষজন স্বপ্ন দেখেছিল যে, দেশ স্বাধীন হলে চালের দাম কমবে, তাদের দুর্দশা ঘুচবে। কিন্তু আবু ইসহাক তাঁর ‘সূর্য-দীঘল বাড়ী’ উপন্যাসে এই স্বপ্নভঙ্গের কাহিনি তুলে ধরেছেন।

স্মৃতি রোমন্থন

বিভিন্ন উপন্যাসে দেশভাগ, দেশত্যাগ ও উদ্বাস্তু জীবনের বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতি রোমন্থন লক্ষ্য করা যায়। এইসব উপন্যাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘পূর্ব-পশ্চিম’, ‘কেয়াপাতার নৌকো’, ‘নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে’ প্রভৃতি।

উদ্বাস্তুদের জীবন

বিভিন্ন বাংলা উপন্যাস, নাটক, কবিতা প্রভৃতিতে পশ্চিমবঙ্গের উদ্বাস্তুদের করুণ জীবনের কাহিনি ফুটে উঠেছে। মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায় তাঁর শুকনো মুখ উস্কোখুস্কো চুল’ কবিতায় লিখেছেন, “রোজই রাস্তায় দেখি ফুটপাথের হাঁড়িকুড়ি-ছড়ানো সংসারে / শুকনো মুখ উস্কোখুস্কো চুল।”

উপসংহার :- দেশভাগ ও পশ্চিমবঙ্গের উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়ে বাংলায় যে মাত্রার সাহিত্য রচিত হওয়া প্রয়োজন ছিল তা হয়নি বলে অনেকে মনে করেন। বরং সেই তুলনায় পাঞ্জাবের উদ্‌বাস্তু জীবন নিয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্য রচিত হয়েছে।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস অষ্টম অধ্যায়: উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪)

৮.১. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারত-ভুক্তির উদ্যোগ ও বিতর্ক

(১৯৪৭ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃ ও বহির্সীমানা চিহ্নিত করতে হবে)

টুকরো কথা

কাশ্মীর প্রসঙ্গ
হায়দ্রাবাদের অন্তর্ভুক্তি

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময় সারণি)

৮.২. ১৯৪৭ সালের পরবর্তী উদবাস্তু সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ ও বিতর্ক

(৮.২.ক.) উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান ও বিতর্ক
(৮.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)

৮.৩. ভাষার ভিত্তিতে ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের উদ্যোগ ও বিতর্ক

(১৯৪৮ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃমানচিত্র চিহ্নিত করতে হবে)

টুকরো কথা

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ও আইন (১৯৫৫-১৯৫৬)

সংবিধানে স্বীকৃত ভাষাসমূহ (১৯৬৪ পর্যন্ত)

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)

Leave a Comment