দশম শ্রেণীর ইতিহাস অষ্টম অধ্যায়-উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪) হতে স্বাধীন ভারত সরকার উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানের কী ধরনের উদ্যোগ নেয় তা আলোচনা করা হল।
স্বাধীন ভারত সরকার উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানের কী ধরনের উদ্যোগ নেয়
প্রশ্ন:- স্বাধীন ভারত সরকার উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানের কী ধরনের উদ্যোগ নেয়?
ভূমিকা :- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের পর পশ্চিম পাকিস্তান এবং পূর্ব পাকিস্তান বা পূর্ববঙ্গ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম-সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আশ্রয় নেয়। স্বাধীন ভারত সরকার উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানে নানা উদ্যোগ গ্ৰহণ করে।
উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দান
ভারতে আগত নিঃস্ব, রিক্ত উদ্বাস্তুদের মধ্যে অনেকেই প্রথমে বিভিন্ন রেলস্টেশন, ফুটপাত, পরিত্যক্ত ঘরবাড়ি বা খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নেয়। সরকার বিভিন্ন স্থানে উদ্বাস্তু শিবির প্রতিষ্ঠা করে আপাতত সেখানে উদ্বাস্তুদের বসবাসের ব্যবস্থা করে।
ত্রাণশিবিরের ব্যবস্থা
শিবিরগুলিতে বসবাসের সময় সরকার উদ্বাস্তুদের খাদ্য, পোশাক-পরিচ্ছদ, পানীয় জল, আলো, কিছু নগদ অর্থ, ওষুধপত্র প্রভৃতি সরবরাহ করে। উদ্বাস্তু পরিবারগুলির বালক-বালিকাদের জন্য শিক্ষাদানের ব্যবস্থাও করা হয়।
পুনর্বাসনের ব্যবস্থা
শিবির থেকে উদ্বাস্তু পরিবারগুলিকে বিভিন্ন স্থানে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। সেই সময় উদ্বাস্তুদের বাড়ি তৈরি, জীবিকানির্বাহ প্রভৃতির জন্য আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।
পি এল ক্যাম্প
উদ্বাস্তু শিবিরে বসবাসকারী যেসব উদ্বাস্তু মহিলার স্বামী বা কোনো প্রাপ্তবয়স্ক পুত্রের সন্তান ছিল না তাদের পুনর্বাসনে না পাঠিয়ে সরকার তাদের স্থায়ী দায়বদ্ধ শিবির বা পি এল ক্যাম্পে স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করে দেয়।
পাঞ্জাবে গৃহীত ত্রাণব্যবস্থা
পাঞ্জাবে আশ্রয় গ্রহণকারী উদ্বাস্তুদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার পর্যাপ্ত ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে। বিভিন্ন স্থানে নতুন নতুন উপনগরী গড়ে তুলে সেখানে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গে গৃহীত ত্রাণব্যবস্থা
পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় গ্রহণকারী উদ্বাস্তুরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ ও পুনর্বাসনের সহযোগিতা পায়নি বলে অনেকে সমালোচনা করেন। তাছাড়া বহু বাঙালি উদ্বাস্তুকে মধপ্রদেশ-উড়িষ্যা সংলগ্ন দণ্ডকারণ্য, আন্দামান প্রভৃতি দূরবর্তী স্থানে পুনর্বাসনে পাঠালে তারা বাংলার পরিবেশ ও সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
উপসংহার :- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং পাঞ্জাব প্রদেশে সবচেয়ে বেশি উদ্বাস্তু আশ্রয় নেয়। অভিযোগ ওঠে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু পাঞ্জাবের উদ্বাস্তুদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের বিষয়ে যতটা যত্নবান ছিলেন, বাঙালি উদবাস্তুদের বিষয়ে ততটা যত্নবান ছিলেন না।
দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস অষ্টম অধ্যায়: উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪)
৮.১. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারত-ভুক্তির উদ্যোগ ও বিতর্ক
(১৯৪৭ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃ ও বহির্সীমানা চিহ্নিত করতে হবে)
- দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির বিষয়ে লর্ড মাউন্টব্যাটেনের ভূমিকা কি ছিল?
- দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির বিষয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের কী ভূমিকা ছিল?
- স্বাধীনতার পর দেশীয় রাজ্যগুলি কীভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়?
- দেশীয় রাজ্য জুনাগড় কীভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়?
- ভারতের স্বাধীন দেশীয় রাজ্যগুলি সম্পর্কে জাতীয় কংগ্রেসের কী মনোভাব ছিল?
- ভারতে যোগদানের আগে দেশীয় রাজ্যগুলি সম্পর্কে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল?
- ভারত সরকার কী কারণে দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়? অথবা,দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ভারতের উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল?
- ভারতের দেশীয় রাজ্যগুলির বৈশিষ্ট্য কী ছিল?
- ভারতের সঙ্গে দেশীয় রাজ্যগুলির সংযুক্তিকরণের ক্ষেত্রে কী পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়?
- ভারত কবে স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষিত হয়? এই সময় ভারতের অঙ্গরাজ্যগুলিকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়?
- স্বাধীন ভারত সরকার দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির বিষয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে?
- ভারতীয় ভূখণ্ডে অবস্থিত পোর্তুগিজ উপনিবেশগুলি কীভাবে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়?
- ভারতীয় ফরাসি ও পোর্তুগিজ উপনিবেশগুলির ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করো।
- ভারত সরকার কীভাবে দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতীয় ইউনিয়নে সংযুক্ত করার প্রশ্নটি সমাধান করেছিল?
টুকরো কথা
কাশ্মীর প্রসঙ্গ
হায়দ্রাবাদের অন্তর্ভুক্তি
- হায়দ্রাবাদ রাজ্যটি কীভাবে ভারতভুক্ত হয়?
- ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর হায়দ্রাবাদ রাজ্যের পরিচয় দাও।
- ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগে হায়দ্রাবাদ রাজ্যের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি উল্লেখ করো।
- ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর হায়দ্রাবাদ সম্পর্কে ভারত সরকার ও হায়দ্রাবাদের নিজামের মধ্যে কী ধরনে নীতিগত সম্পর্ক দেখা যায়?
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময় সারণি)
৮.২. ১৯৪৭ সালের পরবর্তী উদবাস্তু সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ ও বিতর্ক
(৮.২.ক.) উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান ও বিতর্ক
- টীকা লেখো: দেশবিভাগ (১৯৪৭) জনিত উদ্বাস্তু সমস্যা।
- উদ্বাস্তু সমস্যা বলতে কি বোঝ? এই সমস্যা সমাধানে নেহেরু লিয়াকাত চুক্তির কি ভূমিকা ছিল?
- উদবাস্তু সমস্যার সমাধানে স্বাধীন ভারত সরকার যে উদ্যোগ নেয় তাতে কেন বিতর্কের সৃষ্টি হয়?
- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের পরবর্তীকালে ভারতে উদ্বাস্তু আগমন সম্পর্কে আলোচনা করো।
(৮.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগ
- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত বিভাজনের দিকে যাত্রার কয়েকটি পদক্ষেপ উল্লেখ কর।
- আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগ বিষয়টি সংক্ষেপে আলোচনা কর।
- বাংলা সাহিত্যে দেশভাগ ও বিপন্ন মানুষের দেশত্যাগ কীভাবে উঠে এসেছে তার দৃষ্টান্ত তুলে ধরো।
- এপার বাংলার চলচ্চিত্রে কীভাবে দেশভাগ ও উদ্বাস্তু জীবনের যন্ত্রণা ফুটে উঠেছে?
- একটি বাংলা উপন্যাস বা আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা থেকে দেশভাগ ও উদ্বাস্তু জীবনের যন্ত্রণার চিত্র তুলে ধরো।
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)
৮.৩. ভাষার ভিত্তিতে ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের উদ্যোগ ও বিতর্ক
- স্বাধীন ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনে কী ধরনের বিতর্ক বা সমস্যা দেখা দিয়েছিল?
- ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্বাধীন ভারতে ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
- স্বাধীনতার পরে ভাষার ভিত্তিতে ভারত কীভাবে পুনর্গঠিত হয়েছিল?
- ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনে অন্ধ্রপ্রদেশ কে নিয়ে কি সমস্যা হয়েছিল?
- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের সঙ্গে বাংলার বিভাজনে পশ্চিমবঙ্গে কীরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল?
- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করো।
- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগ ভারতে কী ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করেছিল?
(১৯৪৮ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃমানচিত্র চিহ্নিত করতে হবে)
টুকরো কথা
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ও আইন (১৯৫৫-১৯৫৬)
সংবিধানে স্বীকৃত ভাষাসমূহ (১৯৬৪ পর্যন্ত)
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)