২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

ভারতের সঙ্গে দেশীয় রাজ্যগুলির সংযুক্তিকরণের ক্ষেত্রে কী পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়?

দশম শ্রেণীর ইতিহাস অষ্টম অধ্যায়-উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪) হতে ভারতের সঙ্গে দেশীয় রাজ্যগুলির সংযুক্তিকরণের ক্ষেত্রে কী পদ্ধতি গ্রহণ করা হয় তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

ভারতের সঙ্গে দেশীয় রাজ্যগুলির সংযুক্তিকরণের ক্ষেত্রে কী পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়

প্রশ্ন:- ভারতের সঙ্গে দেশীয় রাজ্যগুলির সংযুক্তিকরণের ক্ষেত্রে কী পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়?

ভূমিকা:- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত স্বাধীনতা লাভের পর ভারত সরকার দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত করার সক্রিয় উদ্যোগ নেয়। এই সংযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত কয়েকটি পদ্ধতি গ্রহণ করে।

প্রদেশগুলির সঙ্গে সংযুক্তি

কিছু কিছু দেশীয় রাজ্যকে তাদের সন্নিহিত ভারতীয় প্রদেশগুলির সঙ্গে যুক্ত করা হয়। মাদ্রাজের রাজ্যগুলিকে মাদ্রাজ প্রদেশের সঙ্গে, পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিকে উড়িষ্যা ও মধ্যপ্রদেশের সঙ্গে, দাক্ষিণাত্য ও গুজরাটের রাজ্যগুলিকে বোম্বাই প্রদেশের সঙ্গে, গাড়োয়াল, রামপুর ও বেনারসকে উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে, কোচবিহারকে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে, খাসি পার্বত্য অঞ্চলকে আসামের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এইভাবে ২১৬টি দেশীয় রাজ্য পার্শ্ববর্তী প্রদেশগুলির সঙ্গে যুক্ত হয়।

যুক্তরাজ্য গঠন

২৭৮ টি দেশীয় রাজ্যকে নিয়ে ৮টি প্রদেশ গঠন করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল জম্মু-কাশ্মীর, হায়দ্রাবাদ ও মহীশূর। অবশিষ্ট ২৭৫ টি দেশীয় রাজ্যকে অন্যান্য ৫টি প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করে বৃহৎ রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলা হয়। এই ৫টি প্রদেশ হল রাজস্থান, মধ্যভারত, সৌরাষ্ট্র, ত্রিবাঙ্কুর-কোচিন ও পেপসু।

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল

হিমাচল প্রদেশ, বিলাসপুর, ভূপাল, কচ্ছ, ত্রিপুরা, মণিপুর প্রভৃতি দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত করে সেগুলি কেন্দ্রীয় শাসনাধীনে রাখা হয়। এরূপ ৬১টি দেশীয় রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়।

উপসংহার:- দেশীয় রাজ্যগুলিকে স্বাধীন ভারতে সংযুক্তিকরণের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেন। এই কাজে তাঁকে যোগ্য সহায়তা প্রদান করেন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিব ভি পি মেনন।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস অষ্টম অধ্যায়: উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪)

৮.১. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারত-ভুক্তির উদ্যোগ ও বিতর্ক

(১৯৪৭ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃ ও বহির্সীমানা চিহ্নিত করতে হবে)

টুকরো কথা

কাশ্মীর প্রসঙ্গ
হায়দ্রাবাদের অন্তর্ভুক্তি

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময় সারণি)

৮.২. ১৯৪৭ সালের পরবর্তী উদবাস্তু সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ ও বিতর্ক

(৮.২.ক.) উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান ও বিতর্ক
(৮.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)

৮.৩. ভাষার ভিত্তিতে ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের উদ্যোগ ও বিতর্ক

(১৯৪৮ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃমানচিত্র চিহ্নিত করতে হবে)

টুকরো কথা

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ও আইন (১৯৫৫-১৯৫৬)

সংবিধানে স্বীকৃত ভাষাসমূহ (১৯৬৪ পর্যন্ত)

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)

Leave a Comment