২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্বাধীন ভারতে ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও

দশম শ্রেণীর ইতিহাস অষ্টম অধ্যায়-উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪) হতে ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্বাধীন ভারতে ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হল।

Table of Contents

১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্বাধীন ভারতে ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও

প্রশ্ন:- ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্বাধীন ভারতে ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

ভূমিকা :- স্বাধীন ভারতে অধিকাংশ দেশবাসী ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনের দাবি জানালেও ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে ভাষাভিত্তিক প্রদেশ কমিশন ও ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে জে ভি পি কমিটি ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনে আপত্তি জানায়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য পুনর্গঠনের নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা জটিল হয়ে ওঠে।

অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু রাজ্য গঠন

মাদ্রাজ প্রদেশের তেলুগু ভাষাভাষী অঞ্চল নিয়ে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবিতে গান্ধিবাদী নেতা পাত্তি শ্রীরামুলু দীর্ঘ অনশনের ফলে ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে প্রাণত্যাগ করলে সেখানে ব্যাপক দাঙ্গাহাঙ্গামা ও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার বাধ্য হয়ে তেলুগু ভাষাভাষী-অঞ্চল নিয়ে ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে পৃথক অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য গঠন করে আর তামিল ভাষাভাষী অঞ্চল নিয়ে সৃষ্টি হয় মাদ্রাজ রাজ্য, যা ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে তামিলনাড়ু নাম গ্রহণ করে।

রাজ্য পুনর্গঠন আইন (১৯৫৬ খ্রি.)

প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর উদ্যোগে ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠিত হয়। এই কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় আইনসভায় রাজ্য পুনর্গঠন আইন পাস হয়। এই আইনের দ্বারা ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১ নভেম্বর ভাষাভিত্তিক ১৪টি রাজ্য ও ৬টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়।

মহারাষ্ট্র ও গুজরাট রাজ্য গঠন

রাজ্য পুনর্গঠন আইনের দ্বারা বোম্বাই প্রদেশের বসবাসকারী মারাঠি ও গুজরাটি ভাষাভাষীদের জন্য পৃথক রাজ্য গঠিত না হওয়ায় সেখানকার মারাঠি ও গুজরাটি ভাষাভাষীরা আন্দোলন শুরু করে। সংযুক্ত মহারাষ্ট্র সমিতি মারাঠি অঞ্চলে এবং মহাগুজরাট জনতা পরিষদ গুজরাটি অঞ্চলে পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনকে প্রবল করে তোলে। পুলিশের গুলিতে ৮০ জন আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়। কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে বোম্বাই প্রদেশ ভেঙে পৃথক মহারাষ্ট্র ও গুজরাট রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে। মহারাষ্ট্রের রাজধানী হয় বোম্বাই এবং গুজরাটের রাজধানী হয় আমেদাবাদ ৷

উপসংহার :- ভারতের জাতীয় নেতৃবৃন্দের অনেকেই ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে ভারতে ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনের বিষয়টি দেশের সংহতি রক্ষায় যথেষ্ট সদর্থক ভূমিকা পালন করেছে। এর দ্বারা ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস অষ্টম অধ্যায়: উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪)

৮.১. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারত-ভুক্তির উদ্যোগ ও বিতর্ক

(১৯৪৭ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃ ও বহির্সীমানা চিহ্নিত করতে হবে)

টুকরো কথা

কাশ্মীর প্রসঙ্গ
হায়দ্রাবাদের অন্তর্ভুক্তি

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময় সারণি)

৮.২. ১৯৪৭ সালের পরবর্তী উদবাস্তু সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ ও বিতর্ক

(৮.২.ক.) উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান ও বিতর্ক
(৮.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)

৮.৩. ভাষার ভিত্তিতে ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের উদ্যোগ ও বিতর্ক

(১৯৪৮ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃমানচিত্র চিহ্নিত করতে হবে)

টুকরো কথা

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ও আইন (১৯৫৫-১৯৫৬)

সংবিধানে স্বীকৃত ভাষাসমূহ (১৯৬৪ পর্যন্ত)

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)

Leave a Comment