দশম শ্রেণীর ইতিহাস অষ্টম অধ্যায়-উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪) হতে উদ্বাস্তু সমস্যা বলতে কি বোঝ ও এই সমস্যা সমাধানে নেহেরু লিয়াকাত চুক্তির কি ভূমিকা ছিল তা আলোচনা করা হল। উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে নেহেরু লিয়াকাত চুক্তির ভূমিকা
উদ্বাস্তু সমস্যা বলতে কি বোঝ ও উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে নেহেরু লিয়াকাত চুক্তির ভূমিকা
প্রশ্ন:- উদ্বাস্তু সমস্যা বলতে কি বোঝ? এই সমস্যা সমাধানে নেহেরু লিয়াকাত চুক্তির কি ভূমিকা ছিল?
ভূমিকা :- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের পর পাকিস্তান থেকে আগত বিপুল পরিমাণ সংখ্যালঘু উদ্বাস্তু ভারতে আশ্রয় নিলে, সদ্য স্বাধীন ভারত নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়।
উদ্বাস্তু সমস্যা
১৯৪৭ সালে দেশভাগ ও ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর পাকিস্তানের অসংখ্য সংখ্যালঘু হিন্দু ও শিখ নিজেদের মাতৃভূমি ছেড়ে নিঃস্ব অবস্থায় ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। ফলে বিভিন্ন অঞ্চলে জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেলে কর্মসংস্থান, খাদ্যসংস্থান প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। সরকারও আগত উদ্বাস্তুদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হিমসিম খায়। এর ফলে যে সমস্যা সৃষ্টি হয় তা উদ্বাস্তু সমস্যা নামে পরিচিত।
নেহরু – লিয়াকত চুক্তি
এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খাঁ-র মধ্যে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা ‘নেহরু-লিয়াকত চুক্তি’ বা ‘দিল্লি চুক্তি’ নামে পরিচিত।
চুক্তির শর্ত
এই চুক্তির প্রধান শর্তগুলি নীচে উল্লেখ করা হল।–
(১) অনুসন্ধান কমিটি
ভারত ও পাকিস্তান উদ্বাস্তুদের দেশত্যাগের কারণ অনুসন্ধানের জন্য কমিটি এবং সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করবে।
(২) সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা
ভারত ও পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে দেশত্যাগ করতে বাধ্য না হন সেই উদ্দেশ্যে উভয় দেশের সরকার নিজ নিজ দেশের সংখ্যালঘুদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে।
(৩) স্থাবর সম্পত্তি ফেরত
কোনো একজন দেশত্যাগী ব্যক্তিআবার নিজের দেশে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মার্চের মধ্যে ফিরে এলে তিনি তাঁর স্থাবর সম্পত্তি ফিরে পাবেন।
(৪) মন্ত্রীর দায়িত্ব
উদ্বাস্তুরা যাতে আবার নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারে সেই অবস্থা তৈরি করার উদ্দেশ্যে দুই দেশের দুজন মন্ত্রী সেই এলাকায় থাকবেন।
(৫) সংখ্যালঘু প্রতিনিধি
পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রীসভায় সংখ্যালঘুপ্রতিনিধি থাকবে।
মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ
নেহরু-লিয়াকত চুক্তির শর্তাবলি যথেষ্ট কঠোর না হওয়ায় ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং ড. ক্ষিতিশচন্দ্র নিয়োগী নেহরুর মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
চুক্তির ব্যর্থতা
নেহরু-লিয়াকৎ চুক্তিবা ‘দিল্লি চুক্তি’ উদ্বাস্তু সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান করতে পারেনি।শরণার্থী আগমনের সংখ্যা কিছুটা কমলেও ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শরণার্থীরা ভারতে আসতে থাকে।
উপসংহার :- প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু দিল্লি চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত এবং পাকিস্তান থেকে ভারতে উদ্বাস্তু আগমন বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তাঁর উদ্যোগ খুব একটা ফলপ্রসু হয়নি।
দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস অষ্টম অধ্যায়: উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪)
৮.১. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারত-ভুক্তির উদ্যোগ ও বিতর্ক
(১৯৪৭ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃ ও বহির্সীমানা চিহ্নিত করতে হবে)
- দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির বিষয়ে লর্ড মাউন্টব্যাটেনের ভূমিকা কি ছিল?
- দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির বিষয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের কী ভূমিকা ছিল?
- স্বাধীনতার পর দেশীয় রাজ্যগুলি কীভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়?
- দেশীয় রাজ্য জুনাগড় কীভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়?
- ভারতের স্বাধীন দেশীয় রাজ্যগুলি সম্পর্কে জাতীয় কংগ্রেসের কী মনোভাব ছিল?
- ভারতে যোগদানের আগে দেশীয় রাজ্যগুলি সম্পর্কে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল?
- ভারত সরকার কী কারণে দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়? অথবা,দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ভারতের উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল?
- ভারতের দেশীয় রাজ্যগুলির বৈশিষ্ট্য কী ছিল?
- ভারতের সঙ্গে দেশীয় রাজ্যগুলির সংযুক্তিকরণের ক্ষেত্রে কী পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়?
- ভারত কবে স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষিত হয়? এই সময় ভারতের অঙ্গরাজ্যগুলিকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়?
- স্বাধীন ভারত সরকার দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির বিষয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে?
- ভারতীয় ভূখণ্ডে অবস্থিত পোর্তুগিজ উপনিবেশগুলি কীভাবে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়?
- ভারতীয় ফরাসি ও পোর্তুগিজ উপনিবেশগুলির ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করো।
- ভারত সরকার কীভাবে দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতীয় ইউনিয়নে সংযুক্ত করার প্রশ্নটি সমাধান করেছিল?
টুকরো কথা
কাশ্মীর প্রসঙ্গ
হায়দ্রাবাদের অন্তর্ভুক্তি
- হায়দ্রাবাদ রাজ্যটি কীভাবে ভারতভুক্ত হয়?
- ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর হায়দ্রাবাদ রাজ্যের পরিচয় দাও।
- ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগে হায়দ্রাবাদ রাজ্যের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি উল্লেখ করো।
- ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর হায়দ্রাবাদ সম্পর্কে ভারত সরকার ও হায়দ্রাবাদের নিজামের মধ্যে কী ধরনে নীতিগত সম্পর্ক দেখা যায়?
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময় সারণি)
৮.২. ১৯৪৭ সালের পরবর্তী উদবাস্তু সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ ও বিতর্ক
(৮.২.ক.) উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান ও বিতর্ক
- টীকা লেখো: দেশবিভাগ (১৯৪৭) জনিত উদ্বাস্তু সমস্যা।
- উদবাস্তু সমস্যার সমাধানে স্বাধীন ভারত সরকার যে উদ্যোগ নেয় তাতে কেন বিতর্কের সৃষ্টি হয়?
- স্বাধীন ভারত সরকার উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানের কী ধরনের উদ্যোগ নেয়?
- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের পরবর্তীকালে ভারতে উদ্বাস্তু আগমন সম্পর্কে আলোচনা করো।
(৮.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগ
- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত বিভাজনের দিকে যাত্রার কয়েকটি পদক্ষেপ উল্লেখ কর।
- আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগ বিষয়টি সংক্ষেপে আলোচনা কর।
- বাংলা সাহিত্যে দেশভাগ ও বিপন্ন মানুষের দেশত্যাগ কীভাবে উঠে এসেছে তার দৃষ্টান্ত তুলে ধরো।
- এপার বাংলার চলচ্চিত্রে কীভাবে দেশভাগ ও উদ্বাস্তু জীবনের যন্ত্রণা ফুটে উঠেছে?
- একটি বাংলা উপন্যাস বা আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা থেকে দেশভাগ ও উদ্বাস্তু জীবনের যন্ত্রণার চিত্র তুলে ধরো।
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)
৮.৩. ভাষার ভিত্তিতে ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের উদ্যোগ ও বিতর্ক
- স্বাধীন ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনে কী ধরনের বিতর্ক বা সমস্যা দেখা দিয়েছিল?
- ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্বাধীন ভারতে ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
- স্বাধীনতার পরে ভাষার ভিত্তিতে ভারত কীভাবে পুনর্গঠিত হয়েছিল?
- ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনে অন্ধ্রপ্রদেশ কে নিয়ে কি সমস্যা হয়েছিল?
- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের সঙ্গে বাংলার বিভাজনে পশ্চিমবঙ্গে কীরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল?
- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করো।
- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগ ভারতে কী ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করেছিল?
(১৯৪৮ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃমানচিত্র চিহ্নিত করতে হবে)
টুকরো কথা
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ও আইন (১৯৫৫-১৯৫৬)
সংবিধানে স্বীকৃত ভাষাসমূহ (১৯৬৪ পর্যন্ত)
(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)