২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

স্বাধীন ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনে কী ধরনের বিতর্ক বা সমস্যা দেখা দিয়েছিল?

দশম শ্রেণীর ইতিহাস অষ্টম অধ্যায়-উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪) হতে স্বাধীন ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনে কী ধরনের বিতর্ক বা সমস্যা দেখা দিয়েছিল তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

স্বাধীন ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনে কী ধরনের বিতর্ক বা সমস্যা দেখা দিয়েছিল

প্রশ্ন:- স্বাধীন ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনে কী ধরনের বিতর্ক বা সমস্যা দেখা দিয়েছিল?

ভূমিকা :- স্বাধীনতা লাভের পরবর্তীকালে ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে প্রথমদিকে ভাষাগত বিষয়টিকে জাতীয় নেতৃবৃন্দ বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। ফলে স্বাধীন ভারতে রাজ্য পুনর্গঠন নিয়ে নানা বিতর্ক ও সমস্য দেখা দেয়।

বিতর্কের সূত্রপাত

স্বাধীন ভারতের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের সীমানা কোন নীতি বা পদ্ধতির ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক শুরু হয়। এর সমাধান করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যথেষ্ট সমস্যার মুখে পড়ে।

দেশীয় রাজ্যের সংযুক্তি

স্বাধীনতা লাভের পর বিভিন্ন দেশীয় রাজ্য ভারত রাষ্ট্রে যোগদান করলে এই রাজ্যগুলির সীমানা কী হবে, তাদের নিয়ে পৃথক রাজ্য গঠন করা হবে, নাকি প্রতিবেশী অন্য কোনো রাজ্যের সঙ্গে দেশীয় রাজ্যের ভূখণ্ড যুক্ত করা হবে তা নিয়েও নানা সমস্যা শুরু হয়।

ভাষাভিত্তিক প্রদেশ কমিশন গঠন

ভারতীয় গণপরিষদ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে বিচারক এস কে ধর-এর নেতৃত্বে ‘ভাষাভিত্তিক প্রদেশ কমিশন’ গঠন করে। এই কমিশন ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট আপত্তি জানায়। কারণ, ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য গঠিত হলে ভারতের জাতীয় ঐক্য ও প্রশাসনিক কাজকর্মের ক্ষেত্রে যথেষ্ট বাধার সৃষ্টি হতে পারে।

আন্দোলনের ব্যাপকতা

এই সময় ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনের দাবিতে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। দক্ষিণ ভারতে এই আন্দোলন ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। আন্দোলন প্রশমনের উদ্দেশ্যে সরকার একটি কমিটি নিয়োগ করলে এই কমিটিও ভাষাভিত্তিক রাজ্যগঠনের বিপক্ষে মত দেয়।

অনশন আন্দোলন

মাদ্রাজ প্রদেশের তেলুগু ভাষা অঞ্চল নিয়ে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবিতে স্বাধীনতা সংগ্রামী পিত্তি শ্রীরামালু ৫৮ দিন অনশনের পর ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করলে সেখানে দাঙ্গাহাঙ্গামা ছড়িয়ে পড়ে।

ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠন

কেন্দ্রীয় সরকার বাধ্য হয়ে ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে মাদ্রাজ প্রদেশের তেলুগু ভাষাভাষী অঞ্চল নিয়ে পৃথক অস্ত্রপ্রদেশ রাজ্য গঠন করে। আর তামিলভাষীদের নিয়ে তামিলনাড়ু রাজ্য গঠিত হয়। এভাবে ভারতে ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

কমিটি গঠন

ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবিতে ভারতে আন্দোলন শুরু হলে তা প্রশমনের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে জওহরলাল নেহরু, বল্লভভাই প্যাটেল ও পট্টভি সীতারামাইয়া-কে নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। এটি জে ভি পি কমিটি নামে পরিচিত।

উপসংহার :- স্বাধীন ভারতে রাজ্য পুনর্গঠন নিয়ে দীর্ঘ সমস্যা ও বিতর্ক চলার পর শেষপর্যন্ত ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে ‘রাজ্য পুনর্গঠন আইন’ পাস হওয়ার পর ভাষাভিত্তিক ১৪টি রাজ্য এবং ৬টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস অষ্টম অধ্যায়: উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪)

৮.১. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারত-ভুক্তির উদ্যোগ ও বিতর্ক

(১৯৪৭ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃ ও বহির্সীমানা চিহ্নিত করতে হবে)

টুকরো কথা

কাশ্মীর প্রসঙ্গ
হায়দ্রাবাদের অন্তর্ভুক্তি

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময় সারণি)

৮.২. ১৯৪৭ সালের পরবর্তী উদবাস্তু সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ ও বিতর্ক

(৮.২.ক.) উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান ও বিতর্ক
(৮.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)

৮.৩. ভাষার ভিত্তিতে ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের উদ্যোগ ও বিতর্ক

(১৯৪৮ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃমানচিত্র চিহ্নিত করতে হবে)

টুকরো কথা

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ও আইন (১৯৫৫-১৯৫৬)

সংবিধানে স্বীকৃত ভাষাসমূহ (১৯৬৪ পর্যন্ত)

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)

Leave a Comment