সাম্প্রতিককালে শিল্পচর্চার কোন শাখাগুলি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম অধ্যায়: ইতিহাসের ধারণা হতে সাম্প্রতিককালে শিল্পচর্চার কোন শাখাগুলি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে ও শিল্পের ইতিহাসচর্চায় সংগীত কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

সাম্প্রতিককালে শিল্পচর্চার কোন শাখাগুলি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে? শিল্পের ইতিহাসচর্চায় সংগীত কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে?

প্রশ্ন:- সাম্প্রতিককালে শিল্পচর্চার কোন শাখাগুলি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে? শিল্পের ইতিহাসচর্চায় সংগীত কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে?

ভূমিকা :- কোনো মানবগোষ্ঠীর শিল্পচর্চার ইতিহাস থেকে তার সাংস্কৃতিক অগ্রগতির আভাস পাওয়া যায়। এই শিল্পচর্চার প্রধান ধারাগুলি হলসংগীত, নৃত্য, নাটক ও চলচ্চিত্র।

শিল্প ইতিহাসচর্চায় সংগীত

মানব ইতিহাসে শিল্পচর্চা সুপ্রাচীন। এই শিল্পচর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হল সংগীতের চর্চা। সাম্প্রতিককালে সংগীতের ইতিহাসচর্চা ক্রমে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

উচ্চবর্ণের সংগীতচর্চা

প্রাচীনকালে রাজদরবার বা মন্দিরে যেসংগীতের চর্চা হত তা মূলত সমাজের উচ্চবর্ণের মানুষের সাথে যুক্ত ছিল। সমাজের সাধারণ নিম্নস্তরের মানুষের সঙ্গে এর বিশেষ সংযোগ ছিল না। প্রাচীন সমাজের সংগীত চর্চা থেকে সেই সময়ে সমাজে বিদ্যমান শ্রেণি বা বর্ণ বৈষম্যের বিষয়ে স্পষ্ট আভাস পাওয়া।

প্রভাব

সংগীতের ইতিহাসচর্চা থেকে কোনো জাতি বা সমাজের সংগীত অন্য কোনো জাতি বা সমাজের সংগীতের দ্বারা প্রভাবিত কি না তা জানা সম্ভব। কোনো জাতি বা সমাজের সংস্কৃতি কতটা সমৃদ্ধ তার আভাস পাওয়া যায় অন্য জাতি বা সমাজের ওপর পূর্বোক্ত জাতির সংগীতের প্রভাব বিচার করে।

বিবর্তন

ভারতীয় সমাজে একসময় ধর্মীয় সংগীতের প্রাধান্য ছিল। কিন্তু ধারাবাহিক বিবর্তনের ফলে বিংশ শতকে ভারতীয় সংগীতের ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যায়। বাংলা সংগীতের বিবর্তনের ধারায় বিংশ শতকে রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, রজনীকান্তের গান প্রভৃতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

বৈচিত্র্য

ধারাবাহিক বিবর্তন ও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রতিটি জনগোষ্ঠীর সংগীতের ভাণ্ডারে বিভিন্ন ধরনের সংগীত জায়গা করে নেয়। বর্তমানকালে ধর্মীয় সংগীতের পাশাপাশি পল্লিগীতি, লোকগীতি, বাউল গান, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, আধুনিক গান, চলচ্চিত্রের গান, ব্যান্ডের গান প্রভৃতির সমন্বয়ে বাংলা সংগীতের ভাণ্ডার বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

গবেষকগণ

সাম্প্রতিককালে দেশবিদেশের বিভিন্ন গবেষক ও পণ্ডিত সংগীতের ইতিহাস নিয়ে চর্চা করছেন।  উমেশ জোশী, রাজকুমার, করুণাময় গোস্বামী, সুধীর চক্রবর্তী, মৃদুলকান্তি চক্রবর্তী, জয়শ্রী ব্যানার্জী প্রমুখ ভারতীয় সংগীতের ইতিহাসচর্চায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।

উপসংহার :- সংগীতের মধ্য দিয়ে মানুষের নানান উপলব্ধির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তাই শিল্পচর্চার ইতিহাসে মানুষের রুচি, সংস্কৃতি ইত্যাদির প্রভাব জানার পাশাপাশি মানবসভ্যতার অগ্রগতি বোঝার ক্ষেত্রেও সংগীতের ইতিহাসচর্চা ক্রমশ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

১.১. আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈচিত্র্য

(১.১.ক.) নতুন সামাজিক ইতিহাস

(১.১.খ.) খেলার ইতিহাস

(১.১.গ.) খাদ্যাভাসের ইতিহাস

(১.১.ঘ.) শিল্পচর্চার ইতিহাস (সংগীত, নৃত্য, নাটক, চলচ্চিত্র)

(১.১.ঙ.) পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস

(১.১.চ.) যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস

(১.১.ছ.) দৃশ্য শিল্পের ইতিহাস (ছবি আঁকা, ফোটোগ্রাফি)

(১.১.জ.) স্থাপত্যের ইতিহাস

(১.১.ঝ.) স্থানীয় ইতিহাস

(১.১.ঞ.) শহরের ইতিহাস

(১.১.ট.) সামরিক ইতিহাস

(১.১.ঠ.) পরিবেশের ইতিহাস

(১.১.ড.) বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাস

(১.১.ঢ.) নারী ইতিহাস

এইসব ইতিহাসচর্চার ধারার মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ অতিসংক্ষিপ্ত আলোচনা করে ইতিহাসের বিভিন্ন দিকের ধারণা।(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

১.২. আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদান ব্যবহারের পদ্ধতি

(১.২.ক.) সরকারি নথিপত্র (পুলিশ/গোয়েন্দা/সরকারি আধিকারিকদের প্রতিবেদন/ বিবরণ/চিঠিপত্র)

(১.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা {সত্তর বৎসর (বিপিনচন্দ্র পাল), জীবনস্মৃতি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর), জীবনের ঝরাপাতা (সরলা দেবী চৌধুরাণী)}

(১.২.গ.) চিঠিপত্র {ইন্দিরা গান্ধিকে লেখা জওহরলাল নেহরুর চিঠি (Letters from a Father to His Daughter)}

(১.২.ঘ.) সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র (বঙ্গদর্শন এবং সোমপ্রকাশ)

টুকরো কথা

আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চায় ফোটোগ্রাফের ব্যবহার। ইতিহাসের তথ্যসংগ্রহে ইনটারনেট ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা।

উপরের উপাদানগুলি ব্যবহারের পদ্ধতি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত আলোচনা (আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

Leave a Comment