সাম্প্রতিককালে পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চার প্রয়োজনীয়তা

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম অধ্যায়: ইতিহাসের ধারণা হতে সাম্প্রতিককালে পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চার প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

সাম্প্রতিককালে পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চার প্রয়োজনীয়তা

প্রশ্ন:- সাম্প্রতিককালে পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চার প্রয়োজনীয়তা কী?

ভূমিকা :- প্রতিটি সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে শুরু করে বর্তমানকাল পর্যন্ত মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদে নানা বিবর্তন ও পরিবর্তন দেখা যায়। সামগ্রিক ইতিহাসচর্চার প্রয়োজনে পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চারও বিভিন্ন প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, পোশাক-পরিচ্ছদ কোনো জনগোষ্ঠীর বা ব্যক্তি-মানুষের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক পরিচয় বহন করে।

অর্থনৈতিক পরিস্থিতি

অভিজাত, ধনী, গরিব কৃষক ও শ্রমিক প্রভৃতি বিভিন্ন মানুষের পোশাকের মান পৃথক হয়। তাই পোশাক পরিচ্ছদ থেকে সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর অর্থনীতির পরিচয় পাওয়া যায়।

সামাজিক পরিস্থিতি

কোনো সমাজের সামাজিক বিধিনিষেধ কেমন ছিল, সেই সমাজ কতটা প্রগতিশীল বা রক্ষণশীল ছিল, সমাজে লিঙ্গবৈষম্য ছিল কি না—এইসব বিষয় ওই সমাজের মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে জানা সহজ হয়।

অপরাপর সমাজের প্রভাব

কোনো সংস্কৃতি অন্য কোনো সমাজের সংস্কৃতির দ্বারা প্রভাবিত ছিল কি না বা কতটা প্রভাবিত ছিল, তা সেই সমাজের মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে ধারণা করা যায়। যেমন – ঔপনিবেশিক শাসনকালে ভারতীয়দের পোশাক পরিচ্ছদের ওপর পাশ্চাত্যের পোশাক-পরিচ্ছদের ব্যাপক প্রভাব পড়ে।

সাংস্কৃতিক পরিচয়

কোনো জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পরিচয়েরচিহ্ন হল তার পোশাক-পরিচ্ছদ। যেমন – আদিবাসী কৃষক এবং শহুরে বাবুদের পোশাক-পরিচ্ছদের পার্থক্য উভয় গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্রের পরিচয় বহন করে।

প্রযুক্তির অগ্রগতি

উন্নত পোশাক-পরিচ্ছদ তৈরির জন্য উন্নতমানের প্রযুক্তির প্রয়োজন হয়। তাই কোনো জনগোষ্ঠীর পোশাক-পরিচ্ছদের উৎকর্ষ দেখে সেই জনগোষ্ঠীর প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সম্পর্কে কিছুটা আভাস পাওয়া সম্ভব।

উপসংহার :- সুতরাং বলা যায় যে, পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চার সঙ্গে কোনো গোষ্ঠীর সামাজিক, ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক ইতিহাসও যুক্ত। তাই ইতিহাসের মূল ধারায় পোশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাসচর্চা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

১.১. আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈচিত্র্য

(১.১.ক.) নতুন সামাজিক ইতিহাস

(১.১.খ.) খেলার ইতিহাস

(১.১.গ.) খাদ্যাভাসের ইতিহাস

(১.১.ঘ.) শিল্পচর্চার ইতিহাস (সংগীত, নৃত্য, নাটক, চলচ্চিত্র)

(১.১.ঙ.) পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস

(১.১.চ.) যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস

(১.১.ছ.) দৃশ্য শিল্পের ইতিহাস (ছবি আঁকা, ফোটোগ্রাফি)

(১.১.জ.) স্থাপত্যের ইতিহাস

(১.১.ঝ.) স্থানীয় ইতিহাস

(১.১.ঞ.) শহরের ইতিহাস

(১.১.ট.) সামরিক ইতিহাস

(১.১.ঠ.) পরিবেশের ইতিহাস

(১.১.ড.) বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাস

(১.১.ঢ.) নারী ইতিহাস

এইসব ইতিহাসচর্চার ধারার মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ অতিসংক্ষিপ্ত আলোচনা করে ইতিহাসের বিভিন্ন দিকের ধারণা।(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

১.২. আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদান ব্যবহারের পদ্ধতি

(১.২.ক.) সরকারি নথিপত্র (পুলিশ/গোয়েন্দা/সরকারি আধিকারিকদের প্রতিবেদন/ বিবরণ/চিঠিপত্র)

(১.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা {সত্তর বৎসর (বিপিনচন্দ্র পাল), জীবনস্মৃতি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর), জীবনের ঝরাপাতা (সরলা দেবী চৌধুরাণী)}

(১.২.গ.) চিঠিপত্র {ইন্দিরা গান্ধিকে লেখা জওহরলাল নেহরুর চিঠি (Letters from a Father to His Daughter)}

(১.২.ঘ.) সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র (বঙ্গদর্শন এবং সোমপ্রকাশ)

টুকরো কথা

আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চায় ফোটোগ্রাফের ব্যবহার। ইতিহাসের তথ্যসংগ্রহে ইনটারনেট ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা।

উপরের উপাদানগুলি ব্যবহারের পদ্ধতি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত আলোচনা (আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

Leave a Comment